ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ১- পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' নামের একটি নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ দেব। এই সিরিজটি দুটি সিজন নিয়ে তৈরি থ্রিলার সিরিজটি দুটি সিজনে আলাদা আলাদা পরিচালক হ্যান্ডেল করেছে। এই সিরিজের প্রথম সিজনের প্রথম পর্বের নাম হলো "থ্রেট"। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক প্রথম পর্বে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
কাহিনীটা শুরু হয় একটি কিডন্যাপের মাধ্যমে। এখানে হরিয়ানা শহরে একটা ছেলে মহল্লার একটি কটেজে অপরাধ করে লুকিয়ে থাকে এবং সেখান থেকে বেরোনোর চেষ্টা করলে বাইরে দেখে আগে থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার জন্য ফোর্স নামিয়ে দিয়েছে। এখন সে আরেকটা প্ল্যান করে যে, এখান থেকে যদি বেরোতে চায় তাহলে কারো না কারো মাধ্যমে সেটা করবেই, আর তাই ওখানে একটি মেয়েকে আটক করে তার গলায় ছুরি ধরে বাইরে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে, যদি তারা কোনোরকম চালাকি বা স্টেপ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, তাহলে সেই মেয়েটাকে মেরে ফেলবে। এখন তারা কোনো উপায় না দেখে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে আরো ফোর্স এবং এসপি পৃথ্বি সিংকে খবর দেয়। এই এসপির আবার ওইদিন তার কর্মজীবনের অর্থাৎ ডিউটির শেষ দিন, এরপরেই তিনি অবসর নিয়ে নেবেন। তাই বিষয়টা কিভাবে সহজে হ্যান্ডেল করা যায় সেইটা ভেবে উপরে চলে যায় এবং ওই ছেলেটি যে রুমে মেয়েটাকে আটকে রেখেছিলো, সেখানে তাকে সহজভাবে সহযোগিতা করার কথা বলে এসপি একাই ভিতরে চলে যায়।
কিন্তু ছেলেটি ভয় পেয়ে মেয়েটিকে মেরে ফেলার কথা বলে, যদি না সবাই তাকে সেখান থেকে বেরোনোর ব্যবস্থা করে। এরপর এসপি তাকে আস্বাশন দেয় আর তার জন্য একটি গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেবে বলে বলে আর সে প্রমাণস্বরূপ তার নিজের পিস্তল টাও তার কাছে দিয়ে দেয়, কিন্তু তাতে গুলি লোড করা ছিল না। ছেলেটা আগেপিছে না ভেবে পিস্তলটা নিয়েই এসপির দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আর স্যারেন্ডার করে বাইরে যেতে বলে, কিন্তু এসপিও বুদ্ধি করে তাকে ধরে ফেলে। এরপর দেখা যায় সিটি হসপিটালে বড়ো একজন সার্জারির ডাক্তার মিরা নামের, তাকে দ্রুত হার্ট এর একজন রুগীর সার্জারি করার কথা বলে। কিন্তু এখানে একটা সমস্যা হলো যে, ওই রুগী আবার একজন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার সার্জারির ডেট আরো পিছিয়ে নির্ধারিত করা, তাই এখন দ্রুত করা মানে একটা বড়ো রিস্ক।
সামনে নির্বাচন, তার রেলির জন্য এই অপারেশন খুবই জরুরি বলে দাবি করে তারা আর সেখানে সিনিয়র ডাক্তাররাও বলে দ্রুত করতে মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে। আর সবার মীরার উপর আস্থা থাকে যে, সে পারবে, কারণ সে একজন বড়ো সার্জারির ডাক্তার আর এর থেকেও অনেক কেস ভালোভাবে হ্যান্ডেল করেছে। সে যাইহোক, সে তাও রিস্ক নিয়ে দ্রুত করতে চাচ্ছিলো না, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি হয়ে যায় স্পেশ্যালভাবে। এখন এইসব নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা করে সে বাড়িতে আসে, কিন্তু তার বাড়িতে আসার পরে একটা সমস্যা দেখা দেয়। এখন কিছু দুস্কৃতির দল তার বাড়িতে সবার উপরেই আক্রমণ করে আর সবাইকেই বন্দি করে ফেলে রাতের দিকে। এখন তাদের দাবি হলো যে, মিরা যেন মুখ্যমন্ত্রীর সার্জারি না করে আর যদি করেও তাহলে যেন বেঁচে না ফেরে। এখন এই দাবি একজন ডক্টরের কাছে মেনে নেওয়া খুবই কঠিন, কারণ ডাক্তার ভগবান হয়ে যদি খুন করে, তাহলে তো সেটা অন্যরকম একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
মূলত এই যে মিরা এবং তার পরিবারের সবাইকে ধরে বেঁধে রাখলো, এটা কিন্তু তাদের অনেকদিনের একটা প্ল্যান ছিল। মূলত তাদের টাকা পয়সা নিয়েও কোনো দাবিদাবা নেই। শুধু তাদের কথা হলো যে, মুখ্যমন্ত্রীকে যেন মেরে ফেলে। আর তা নাহলে তার ছেলেমেয়ে এবং তার হাসব্যান্ড কেও মেরে ফেলবে। তবে এই প্লানটা করেছিল কিন্তু সেই এসপি, হয়তো কোনো শত্রুতা বা অন্য কোনো কারণ ছিল এই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে। এখন একজন এসপি হয়ে সে কেন এইধরণের একটা জঘন্য কাজ করছে সেটা দেখার বিষয়।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৬.৪/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একজন ডাক্তার কখনোই ইচ্ছে করে রোগীকে মেরে ফেলতে পারে না। কারণ ডাক্তারেরা রোগীর সেবায় সবসময় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে পছন্দ করে। তবে মীরা তো দেখছি বেশ ঝামেলার মধ্যে আছে। মুখ্যমন্ত্রীকে না মারলে তো মীরার পরিবার শেষ করে দিবে। তবে আমার মনে হচ্ছে, মীরা পরিবারের কথা চিন্তা না করে,বরং মুখ্যমন্ত্রীকে সুস্থ করার ট্রাই করবে এবং সফলও হবে। কিন্তু এসপির সাথে মুখ্যমন্ত্রীর কি এমন শত্রুতা, সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকারভাবে এই সিরিজের রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।