ওয়েব সিরিজ রিভিউ: দুর্গ রহস্য ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে "দুর্গ রহস্য" ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "তৃতীয় রিপু"। গত পর্বের শেষ দেখেছিলাম ব্যোমকেশ এবং তার বন্ধু সেই দুর্গে এসেছিল খুনের রহস্য উন্মোচন করবে বলে। আজকে দেখবো এই পর্বে ঘটনাটা কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
মূলত তাদের যে দুর্গের রুমে অবস্থান করতে দিয়েছিলো সেখান থেকে তারা অন্য আরেকটি রুমে শিফট হয় অর্থাৎ যে রুমে খুন হয়েছিল সেই রুমেই তারা থাকতে রাজি হয়, কারণ ওই রুমে কি হয়েছে না হয়েছে তার যদি কিছু প্রমান পাওয়া যায়। এখন এখানে আরেকটি কাহিনী ঘটেছে যেটা অনেক আগের অর্থাৎ প্রায় ১৯৮৩ সালের কথা রামকিশোর বাবু এবং তার সাথে থাকা আরো কিছু লোকজন ছিল এবং তার মধ্যে রামবিনোদ নামের একজনের মৃত্যু হয়েছিল তখন, কিন্তু এই বিষয়টাও ধামা চাপা থাকার মতো থেকে যায়। যদিও এর একটা বড়ো কারণ ছিল আর তখন সেভাবে কেউ বিষয়টাকেও গুরুত্ব দেয়নি। এখন ব্যোমকেশ আর তার বন্ধু রামকিশোর বাবুর বাড়িতে যায় তার বাড়ির কিছু লোকজনের সাথে কথা বলতে। রামকিশোর বাবু সহজে মানা না করলেও একপ্রকার ভয়ের মধ্যে দিয়ে কথা বলতে থাকে ব্যোমকেশের সামনে।
তাদের বাড়িতে অনেক লোকজনের বসবাস বলতে গেলে। আর তাদের বাড়িতে মুরলীধর নামের একজনের কাছে তার চাকরের কথা জিজ্ঞাসা করে, তবে মতিলাল নামেরও একজন ছিল সেখানে আর সেই তাকে দেখিয়ে দিয়েছে। তবে সেই চাকরকে আর সকাল থেকে দেখতে পায় না বাড়ির দিকে, তাই সবার একটা সন্দেহ হয়েছে যে সে হয়তো পালিয়েছে। মুরলীধরকে জিজ্ঞাসা করলে সেও বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অর্থাৎ থতমত খেয়ে একটা কথা বানিয়ে বলে দেয় যে, তাকে ছুটি দিয়েছে, কিন্তু ধরা খেয়ে যায় যখন জিজ্ঞাসা করে কবে ছুটি দিয়েছে, কারণ এদিকে মতিলাল বলেছে সকালের কথা আর মুরলীধর বলেছে আগেরদিন দুপুরের কথা। এরপর ব্যোমকেশের সাথে আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর আরো একজনের সাথে দেখা করতে যায় আর সে মূলত সবটাই জানতো রামবিনোদের খুন কিভাবে হয়েছিল। তার কাছে জিজ্ঞাসা করতেই এড়িয়ে যাওয়ার মতলব নিয়ে রেডি। কিন্তু ব্যোমকেশ তাকে জেলের ভয় দেখিয়ে বলতে বলে, আর সে রাজিও হয়, কিন্তু অর্ধেক সত্যি বলেছে আর অর্ধেক গোপন রেখেছে আর এটা বোমকেশও বুঝতে পেরেছিলো। তারপর রামকিশোর বাবুর মেয়ে তুলসীকেও জিজ্ঞাসা করে এই বিষয়ে অর্থাৎ রিসেন্ট যে খুনটা হয়েছিল। তবে তার কাছে জানতে পারে যে, মতিলাল নামের একজন লোক সবসময় সবার ক্ষতি করার মতলবে থাকে আর তার বাবার কাছে এসে এর কথা ওর কথা লাগায়। আর এই বাড়িতে যে সবাই খুন করতে পায়ে সেটা আবার মতিলাল নামের সেই লোকটা ব্যোমকেশকে বলে দেয়। কারণ সবারই একটা হিংসাপ্রয়াণ ভাব আছে এক একজনের উপরে। তবে এই দুর্গে ব্যোমকেশ আর তার বন্ধুর উপরেও যে হামলা হতে পারে সেই ব্যাপারে পান্ডে নামের পুলিশের একটা আশঙ্কা আছে। যদিও তাদের প্রটেকশন এর ব্যাপারে কোথাও বলছে।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
মূলত এখন যে খুনটা হয়েছে সেটার তো একটা রহস্য রয়েছে আবার এখান থেকে প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে রামবিনোদ নামের একজনের যে খুনটা হয়েছিল সেইটার বিষয় নিয়েও পড়েছে। তবে এই বিষয়ে তেমন একটা লাভ তাদের হয়েছে বা হবে বলে মনে কয় না। কারণ রামবিনোদ বাবুর যখন মৃত্যু হয়েছিল তখন শহরে প্রায় সবাই প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিলো। আর রামকিশোর, রামবিনোদ এরা সবাই মূলত একটা ঘি এর আড়তে কাজ করতো আর শহরে এই রোগের আক্রমন হলে তারা সবাই শহর ছেড়ে নদীতে একটি নৌকায় জীবনযাপন করতে লাগে আর মাঝে মাঝে আড়তে গিয়ে দেখাশুনা করে আসে। এখন এই রামবিনোদ লোকটার হঠাৎ জ্বর চলে আসে আর কোনোমতেই কমতে চায় না। তারা ভেবেছিলো শহরে নিয়ে ডাক্তার দেখালে হয়তো ভালো হবে, কিন্তু সেখানেই মারা যায়। আর তখন তারা তাকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এই কাহিনীটা ব্যোমকেশকে বলেছে, কিন্তু তার পরেও তার মনে হয়েছে এই কাহিনীর মধ্যে কিছু রহস্য এখনও আছে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৮.৪/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা সিরিজটি মনে হচ্ছে বেশ রহস্যময়। আর বেশ সুন্দর করে আপনি এই রহস্যময় সিরিজটির রিভিউ করেছেন আমাদের সাথে। আমার রিভিউ পড়ে সিরিজ টি সম্পর্কে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। দাদা আপনি কিন্তু সিরিজটি রিভিউ করতে গিয়ে বেশ সুন্দর করে আপনার ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেছেন। দারুন ছিল সিরিজের রিভিউ টি।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজটার চতুর্থ পর্ব আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে চতুর্থ পর্বের রিভিউ টা পড়তে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বুঝতেই পারছি দাদা, এই এই ওয়েব সিরিজটার মধ্যে অনেক বেশি রহস্য রয়েছে। আর এটা তো আমি প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছি। এখানে তো দেখছি ৩০ থেকে ৪০ বছর আগেও একটা খুন হয়েছিল। রাম বিনোদ নামের একজন লোকের। হঠাৎ করে ওনার এত বেশি জ্বর কিভাবেই বা আসল? লোকটা সেখানেই মারা গিয়েছিল এবং তাকে নদীতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এটা শুনেই খারাপ লেগেছে। আমারও কিন্তু মনে হচ্ছে এই কাহিনীটার মধ্যে এখনো অনেক রহস্য রয়েছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে আস্তে আস্তে প্রত্যেকটা রহস্য সামনে আসবে। এরকম রহস্যময় ওয়েব সিরিজ গুলো দেখতে এবং পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাইতো আমি প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েব সিরিজ গুলো পড়ার চেষ্টা করি দাদা। এত সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজটার চতুর্থ পর্ব সবার মাঝে তুলে ধরে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনি পরবর্তী পর্বটা আমাদের মাঝে খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা দূর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজটার পর্বগুলো যত পড়তেছি আমার কাছে ততই ভালো লাগছে দেখতে দেখতে এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে দাদা। আর আপনি এই পর্বের মাধ্যমে ওয়েব সিরিজের আরও একটা পার্ট তুলে ধরেছেন, তা পড়তে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই ওয়েব সিরিজটার এগিয়ে যাচ্ছে ততই ওয়েব সিরিজটা রহস্যজনক হয়ে যাচ্ছে। এই রহস্যের বেদ গুলো কখন ভাঙবে? আমি তো এটাই ভাবছি। অবশ্যই এখন যে খুটা হয়েছে, তার পেছনে অনেক বড় রহস্য রয়েছে। আর ৩০-৪০ বছর আগে দেখছি রাম বিনোদ নামের একজন এরও খুন হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই ওয়েব সিরিজটার কি হয়, এটা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি আপনি পরবর্তী পর্বগুলোর রিভিউ আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা মুভিটার নাম যেমন দূর্গা রহস্য তেমনি মুভিটায় অনেক রহস্যই রয়েছে। যেদিকে যায় শুধু খুন আর খুন। আর প্রত্যেকটা খুনের পিছনে রহস্য লুকিয়ে আছে। পুলিশ কোন কেইসটা রেখে কোনটা সলভ করবে সেটাই বুঝতেছি না। এখানে ৩০-৪০ বছর আগে রামবিনোদ নামের একজনের যে খুনটা হয়েছিল সেইটাও সামনে এসেছে। রামবিনোদ লোকটার হঠাৎ জ্বর চলে আসে আর কোনোমতেই কমতে চায় না। রামকিশোর ভেবেছিলো শহরে নিয়ে ডাক্তার দেখালে হয়তো ভালো হবে, কিন্তু সেখানেই মারা যায়। আর তখন তারা তাকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ই কাহিনীটা ব্যোমকেশকে বলেছে, কিন্তু তার পরেও তার মনে হয়েছে এই কাহিনীর মধ্যে কিছু রহস্য এখনও আছে। আবার মুরলীধর নামের একজন মতিলাল নামেরও একজনকে এক খুনের ব্যাপারে দেখিয়ে দিয়েছে। তবে সেই চাকরকে আর সকাল থেকে দেখতে পায় না বাড়ির দিকে, তাই সবার একটা সন্দেহ হয়েছে যে সে হয়তো পালিয়েছে। মুরলীধরকে জিজ্ঞাসা করলে সেও বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অর্থাৎ থতমত খেয়ে একটা কথা বানিয়ে বলে দেয় যে, তাকে ছুটি দিয়েছে, কিন্তু ধরা খেয়ে যায় যখন জিজ্ঞাসা করে কবে ছুটি দিয়েছে, কারণ এদিকে মতিলাল বলেছে সকালের কথা আর মুরলীধর বলেছে আগেরদিন দুপুরের কথা। এরপর ব্যোমকেশের সাথে আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যায়। দূর্গে যারা আছে সবাইকে সন্দের তালিকায় রেখে জিঙ্গেস করা হচ্ছে। দেখা যাক কোথায় গিয়ে ঠেকে। ধন্যবাদ দাদা।