ম্যাচটাতে বেশ একটা ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার ছিল
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল লখনৌ আর মুম্বাইয়ের মধ্যে এই আইপিএল সিজনের শেষ ম্যাচ ছিল এটি। তবে এই দুই টিমের ম্যাচ এর মধ্যে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের কারণ ছিল না, কারণ দুই টিমেরই অবস্থান মাইনাসে। তবে এদের হার মাধ্যমেও অন্যদের ফায়দা হতে পারে। যেমন রাজস্থান আর হায়দ্রাবাদ এর ক্ষেত্রে বিষয়টা হয়েছে। ওদের পয়েন্ট বা নেট রান রেট যা অবস্থানে, তাতে করে কোয়ালিফাইয়ে যাওয়ার মতো না, তবুও কিন্তু তারা কোয়ালিফাই হয়ে গিয়েছে অন্যদের হার বা জিতের মাধ্যমে। যাইহোক, গতকালকের ম্যাচটা ইম্পরট্যান্ট না থাকলেও বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল। গতকাল মুম্বাই টসে জিতেছিল এবং তারা বোলিং এর সিদ্ধান্তই নিয়েছিল। তবে লখনৌ গতকাল চিন্তাধারার বাইরে রান করে ফেলেছিলো একপ্রকার।
তবে এখানে তাদের শুরুটা ছিল lbw আউট দিয়ে, কিন্তু রাহুল আবার এখানে বেশ ভালো খেলেছিলো। কিন্তু তাও তেমন একটা না, বল খেয়ে ফেলেছিলো বেশি একপ্রকার। তার সাথে পর পর দুইজনের পার্টনারশীপও তেমন কোনো ভালো সুবিধার ছিল না, এক কোথায় তাদের প্রথম দিকে কারো পজিশন ভালো ছিল না। শুধু একজনই এই ম্যাচের রূপ বদলে দিয়েছিলো, নিকোলাস পুরান পরে এসে একাই বেধড়ক মার শুরু করে, রান এক লাফে সাড়ে ৯ এর উপরে চলে যায় কয়েক ওভারের মধ্যেই। এই ম্যাচে পুরো ২৫৮ স্ট্রাইক রেট নিয়ে খেলেছে, শেষ ম্যাচে ভালো একটা ব্যাটিং প্রদর্শন দেখিয়ে দিয়ে গেলো । ২৯ বলে ৭৫ রান মানে একটা চিন্তাধারার বাইরে রান যাকে বলে। শুধু ওর ব্যাটিং এর কারণেই লখনৌ ২০০ রান ক্রস করে ফেলে। আর পিচটাও কিন্তু ভালোই ছিল রান তোলা বা চেজ করার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে মুম্বাই পরে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল কিছু করিনি, এই রান চেজ করতে পারতো এই পিচে।
কারণ মুম্বাই চেজিং এর সময়ে শুরুটা করেছিল অসাধারণ। রোহিত একাই দাপিয়ে রেখেছিলো প্রত্যেক বোলারকে। ৬ বেশি না মারলেও ৪ মেরে দিয়ে গিয়েছিলো বেধড়ক, রান রেট বা রানের গতি একাই ধরে রেখেছিলো বলতে গেলে শুরু থেকে, আর এ থেকেই বুঝে নেওয়া গিয়েছিলো যে, রান চেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশত ক্যাচ তুলে দেয় স্লিপে, ওটা মারতে গিয়েছিলো অন্যভাবে, কিন্তু স্লিপে চলে যায়। তবে যাইহোক, ও যে রান করে দিয়ে গিয়েছিলো, সেখান থেকে বাকিরা টান দিলে কিন্তু ভালোই পজিশন ধরে রাখতে পারতো। কিন্তু ১০ ওভারের পরের থেকেই সব শান্ত হয়ে গিয়েছিলো যেন, রান আর তো উঠছেই না, প্লাস উইকেট পড়ে যাচ্ছিলো। তবে রানের এমন অবস্থা হয়েছিল যে, মনে হচ্ছিলো এইবার ১৫০ রানও মনে হয় ওদের কপালে জুটবে না।
লখনৌ এর এখানে বড়ো রানে জেতার একটা সুযোগ এসেছিলো আর এমনিতেও ১৩ ওভারের পরেই ৯৫% লখনৌ এর পক্ষে চলে গিয়েছিলো, কারণ জরুরি রান রেটই ২০ এর ওপরে চলে গিয়েছিলো পার ওভারে। কিন্তু লাস্ট ৪ ওভারে একজনেই লড়াই করে গিয়েছে, মন থেকে হার মেনে নেইনি সে, একাই পিটিয়ে গিয়েছিলো। নমন ধীর নামের এই ব্যাটসম্যান প্রত্যেকটা ওভারে ৬ আর ৪ মেরেছিল, তবে শেষ রক্ষাটা আর হয়নি তাদের, কারণ এতো হিউজ প্রেসারে যে একাই লড়াই করে জয়ের কাছে নিয়ে গিয়েছিলো এটাই অনেক। তবে লখনৌ জিতলেও আমি বলবো এই ম্যাচ মুম্বাই জিতেছে, কারণ লাস্ট মোমেন্টে এইরকম দৃশ্য দেখা যায় না অনেক সময়।
রান অনেক কমিয়ে নিয়ে এসেছিলো, মাত্র ১৮ রানের ব্যবধানে এই ম্যাচ হারে। ম্যাচ জিতুক আর না জিতুক বড়ো রানের ব্যবধানে না হারলেই হলো। দারুন ইন্টারেষ্টিং মুহূর্ত ছিল এই ম্যাচে, একদিকে নিকোলাস আর একদিকে নমন, দুইজনেই তাদের নিজস্ব টিমের জন্য অসাধারণ খেলে দিয়েছে। এখন যাইহোক, কোয়ালিফাইয়ে ৩ জন চলে গিয়েছে, আর আজকে যদি ব্যাঙ্গালুরু হারে, তাহলে চেন্নাই কোয়ালিফাই করে যাবে। এইবার কোয়ালিফাইয়ে আসলেই লড়াই হবে বেশ, কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না যারা যারা উঠেছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ক্রিকেট খেলা গুলো এরকমই, যেকোনো দলের দুই থেকে একজন প্লেয়ার সব থেকে ভালো খেলে থাকে। যেমন মুম্বাই এবং লখনৌ দুই টিমের মধ্যে নিকোলাস পুরান এবং নমন ধীর অসম্ভব সুন্দর খেলা দিয়েছে। তবে মুম্বাই টিমের যে এমন অবস্থা এটা আশা করিনি আমি। আসলেই দেখছি খেলার মধ্যে দারুন রকম একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় ছিল। স্পোর্টস রিভিউটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি ,ধন্যবাদ।
এই ম্যাচে নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি দাদা। মনে হচ্ছিলো হাইলাইটস দেখছি। পুরান যেদিন ভালো ব্যাটিং করে,তখন তার কাছে কোনো বোলার ই পাত্তা পায় না। যাইহোক টার্গেট বড় হলেও মুম্বাই তো কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। নমন ধীর হার না মানা ব্যাটিং করেছে। হার্দিক এবং ঈশান কিশান যদি একটু ভালো ব্যাট করতে পারতো,তাহলে এই ম্যাচ মুম্বাই জিততে পারতো। যাইহোক বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফাই করে ফেললো চেন্নাইকে হারিয়ে। এটা বেশ খারাপ লেগেছে আমার কাছে। আমি চেয়েছিলাম চেন্নাই কোয়ালিফাই করুক। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।