এলোমেলো আলোকচিত্র- #১১

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আলোকচিত্রগুলি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি একটি ফুলের। আশা করি অনেকে চিনবেন, কারণ এই ফুল আমরা প্রায় সবাই দেখে থাকি যেকোনো জায়গায়। এই ফুলটি হলো শশা গাছের ফুল। তবে এখানে একটা বিষয় আছে, সেটি হলো এই শশা গাছের ফুল সেটা কিন্তু একটা যেমন শশার ফুল হতে পারে আবার কিন্তু মাঠের লাগানো গাছের ফুল হতে পারে। দুটি প্রজাতিরই ফুল একইরকম দেখতে লাগে, কিন্তু ফল ভিন্ন গঠনের দেখতে হয়ে থাকে কিন্তু। যেমন এখানে লেমন শশার কথা যে বললাম সেটার শশা কিন্তু লেবুর মতোই দেখতে হয়, গোলগাল। তবে এই ফুলটা মাঠের লাগানো গাছেরই ফুল। ফুলগুলো দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগে, বিশেষত হলুদ কালারটা বেশ উজ্জ্বল আর সৌন্দর্যমন্ডিত একটি কালার। এটি যদিও আমি তুলেছিলাম রাস্তার পাশের থেকে, ফুলগুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিলো তাই তুলে নিয়েছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: মাধবপুর
তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৩


Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি তোলা হঠাৎ করে। রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলাম, তখন দেখলাম একটা বালক বেশ হেলেদুলে সাইকেল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। ছেলেটি আবার বেশ লাজুক স্বভাবের, ছবি সে মোটেও তুলতে দেবে না। যেই ছবি তুলতে যাই সেই ছেলেটি মুখ ঘুরিয়ে নেয় হা হা । এইজন্য বললাম ছবিটা হঠাৎ করে তুলেছি, যেই জোরে চালিয়ে আসছিলো, তখনি সাথে সাথে ক্যাপচার করেছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: মাধবপুর
তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৩


Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম একটি পুকুর বা লেকের কাছ থেকে। ওখানে মূলত বিকালে একদিন বসে ছিলাম, তখন দুইজন বড়শি নিয়ে মাছ ধরছে দেখলাম। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টা অনেকদিন বাদে দেখলাম। আগে এইভাবে মাছ ধরা হতো, আমিও ধরেছি। বড়শি দিয়ে মাছ ধরার মধ্যে একটা আলাদা মজার ব্যাপার আছে। তবে এইটা অনেক ধৌর্যের বিষয়, মাছ কখন ঠোকর মারবে আর বড়শিটা গিলবে সেই আশায় বসে থাকা। বড়শিতে বড়ো কোনো মাছ উঠলে আর আনন্দের সীমা থাকে না সত্যি বলতে গেলে। এই দৃশ্যটা দেখলে ছোট বেলায় ঠাকুরমার সাথে সেই মাছ ধরার বিষয়গুলো মনে পড়ে যায়।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: রঙ্গপুর
তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৩


Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি একটি বিটলের। তবে এই বিটলকে আমরা কুমড়ো পোকা বলে থাকি সাধারণ ভাষায়, কারণ এই বিটলগুলো বেশিরভাগ যদি দেখা যায় তাহলে কিন্তু কুমড়ো গাছের পাতায় বা কাণ্ডে দেখা যায়। এই বিটলগুলোর আবার বেশ কিছু প্রজাতি আছে, আর এইগুলোর গঠন একই রকম, তবে বেশ কিছু কালারেরও দেখা যায়। তবে লাল কালারের কাছে অন্য কালারের কোনো তুলনা হয় না যদি দেখা যায় তো। এদের লাল কালারটা একদম গাঢ় হয়ে থাকে, আর খুবই আকর্ষণীয় দেখতে লাগে। এই পোকাটি একটি কাঠির মাথায় বসে ছিল, আর দেখতেও খুবই ভালো লাগছিলো, ফলে তুলে নিয়েছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: মাধবপুর
তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইগুলো বেশ কিছু খাদ্য খাবারের ছবি। এই ছবিগুলো তুলেছিলাম অনেকদিন আগে, মানে সেই রথের সময়ে। মেলার থেকে কিছু খাবার কিনছিলাম তাই তুলেছিলাম। বাদাম, জিলাপি এইসব। বাদামগুলো আমার কাছে কাঁচা বেশি ভালো লাগে, এইজন্য কাঁচা বাদামটা বেশিরভাগ সময়ে কিনে থাকি, এখান থেকেও অনেকটা কিনে নিয়েছিলাম। তবে জিলাপি আমার একদমই ভালো লাগে না, অতিরিক্ত মিষ্টি কেমন যেন লাগে খেতে আমার কাছে। তবে গজা আমার কাছে দারুন লাগে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: মাধবপুর
তারিখ: ৫ জুলাই ২০২৩


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 last year 

শসার ফুলের মধ্যে যে ভিন্নতা রয়েছে সেটা তো আমি জানতাম না দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমেই এটা প্রথমবার জানতে পারলাম। কি বলেন দাদা আপনার জিলাপি ভালো লাগে না আমার তো জিলাপির কথা মনে হলেই খেতে ইচ্ছা করে।

 last year 

এলোমেলো ফটোগ্রাফি হলেও অসাধারণ প্রত্যেকটি।শসা ফুল আমাদের ক্ষেতে ও রয়েছে।তাছাড়া বিটলকে কুমড়ো পোকা বলা হয় জানতাম না দাদা।তবে এই পোকা খুবই ক্ষতিকারক, শসার পাতা ফুল সব খেয়ে ফেলছে আমাদের।আর শেষে খাবারের ছবি দেখে লোভ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।তিনটি খাবারই আমার প্রিয়,বিশেষ করে বাদাম ও জিলিপি।দাদা লাজুক ছেলের ছবি দেখে আমার কাছে মেয়ে মনে হয়েছে দূর থেকে, হি হি।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

দাদা আপনার এলোমেলো আলোকচিত্র দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি সাথে খুব সুন্দর বর্ননা তুলে ধরেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।আপনি রথের মেলায় গিয়ে কিছু খাবার কিনে তার ফটোগ্রাফি করেছেন।খাবারের এমন ফটোগ্রাফি দেখলে আসলে লোভ লেগে যায়। আপনার জিলাপি পছন্দ নয় দাদা। কারন মিষ্টি থাকে। আসলে জিলাপি আমার খুব পছন্দ। শাহী জিলাপি চিকন আর বেশ মুচমুচে হয়।আর মিষ্টি ও খুব কম।তাই খুব ভালো লাগে খেতে। আর হলুদ রঙের ফুল দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে।ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।সাথে অসাধারন বর্ণনা ছিলো।

 last year 

দাদ যা ফটোগ্রাফি করলেন আজ! প্রথমে তো ভালোই দেখছিলাম। ফুল আর প্রকৃতির খেলা দেখতে দেখতে কখন যে খাবারের ফটোগ্রাফির মধ্যে ঢুকে গেলাম সেটাই বুঝতে পারলাম না। এভাবে মুরলী, বাদাম আর জিলাপি কি চোখের সামনে ঝুলাতে আছে দাদা? এমনিই তো আপনার কাছে আগের কতশত ট্রিট পাওনা। তার উপর আজ আবার প্রিয় সব খাবার গুলো। মাথা কিন্তু ঘুরোচ্ছে দাদা।

 last year 

দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফিই অনেক সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো এলোমেলো হলেও উপস্থাপন বেশ সাজানো গোছানো হয়েছে দাদা। জিলাপি গুলো দেখে তো লোভ লেগে গেলো রীতিমতো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

জিলাপি দেখে বেশ লোভ লেগে গেল দাদা, এই রাত্রি বেলা পোস্টটা পড়ার সময়। তবে ছোট বাচ্চার রাস্তায় সাইকেল চালানোর ছবিটাও বেশ ভালোই লেগেছে। তাছাড়া কুমড়ো ফুলের সঙ্গে কিন্তু শশা ফুলের অনেকটাই সাদৃশ্য আছে। সব মিলে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।

 last year 

দাদা আমার কাছে আপনার আজকের আলোকচিত্র গুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছে। আপনি বিভিন্ন ধরনের আলোকচিত আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি অনেক ধরনের খাবারের এবং পোকামাকড়ের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কুমড়ো পোকা এর ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা এক সাথে অনেক গুলো এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখলাম। প্রথম ফটোগ্রাফির ফুলটা আমি প্রথমে ভেবেছিলাম চাল কুমড়ো ফুল। পরে বর্ণনা পড়ে জানতে পারলাম শশা গাছের ফুল। আর শশা আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। তার পরে আরেকটি দারুন ফটোগ্রাফি দেখলাম বড়শি দিয়ে মাছ ধরার। এই শখটা এক সময় আমারও ছিল। আমাদের পুকুর থেকে ধরতাম। এখন তো বর্ষার পানিই দেখতে পায় না। আর শেষে দেখলাম মজার মজার খাবারের ফটো। গরম গরম জিলাপ গুলো দেখলে মনকে মানানো বেশ কঠিন। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58751.99
ETH 2642.76
USDT 1.00
SBD 2.47