কচুরমুখী দিয়ে শিং মাছের মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। অনেকদিন বাদে রেসিপি পোস্ট করছি বলা যায়। যদিও এই রেসিপিটা করা এখান থেকে প্রায় মাসখানিক হতে চললো, কিন্তু করার সময় হয়ে ওঠেনি। তারপর এখন বাংলাদেশের এই ভয়াবহ অবস্থায় চারিদিকে একপ্রকার অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছিলো বলা যায়। বিশেষ করে আমাদের কমিউনিটি, শেয়ার করবো কোনো কিছু তো, কাদের কাছে শেয়ার করবো এই একটা সমস্যা ছিল। এখন নেট দিয়েছে দেখে ভালো লাগলো, এখন আস্তে আস্তে পরিস্থিতি সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
যাইহোক, এই রেসিপিটা করা ছিল শিং মাছের আর এইটা করেছিলাম কচুরমুখী দিয়ে। আমার এই দুটিই অনেক প্রিয় বলা যায়। শিং মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, আর এই মাছটা এমনিতেও অনেক সুস্বাদু আর উপকারীও। আর কচুরমুখীটা আমার সারাবছরই তরকারিতে দারুন লাগে, বিশেষ করে কচুরমুখী একটু ঝোল ঝোল মতো করে করলে খেতেও ভালো স্বাদ লাগে। এই তরকারিটা আমি করেওছিলাম ঝোল মতো করে। যাইহোক, রেসিপিটা খেতে অনেক মজার হয়েছিল। এখন রেসিপিটার মূল বিষয়ের দিকে চলে যাবো।
❄প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❄
✦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
☀প্রস্তুত প্রণালী:☀
➤শিং মাছগুলো প্রথমে ভালো করে কাটিয়ে নিয়ে পরে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর কচুরমুখীগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে ধুয়ে রেখে দিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে নিয়ে কুচি করে রেখেছিলাম। এরপর কাঁচা লঙ্কাগুলো কেটে নেওয়ার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤ধুয়ে রাখা শিং মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤কড়াইতে তেল দেওয়ার পরে তাতে শিং মাছের পিসগুলো অল্প অল্প করে দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤এরপর কড়াইতে তেল দিয়ে কচুরমুখী ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤এরপর কড়াইতে আরেকবার তেল দিয়ে একটি শুকনো লঙ্কা দেওয়ার পরে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤ভালো করে ভেজে নেওয়ার পরে তাতে একেবারে আগে থেকে ভেজে রাখা কচুরমুখী দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ আর লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
➤মিক্স করার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা ভালো করে ফুটিয়ে কচুরমুখীগুলো সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম।
➤সেদ্ধ কচুরমুখী কিছুটা তুলে নেওয়ার পরে ভালো করে গলিয়ে নিয়েছিলাম।
➤এরপর তরকারিতে ভেজে রাখা শিং মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে গলিয়ে রাখা কচুরমুখী দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য তাতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
➤ঝোলটা ঘন হয়ে আসলে তরকারি নামিয়ে নিয়েছিলাম এবং তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি দুটোই আমারও প্রিয়। শিং মাছ দিয়ে অবশ্য সব সবজিই দারুণ স্বাদের হয়ে থাকে। আবার শিং মাছ দিয়ে ঝোল ঝোল কিছু করাও কিন্তু আমি পছন্দ করি। দারুণ স্বাদের রেসিপি ছিলো এটা। ধন্যবাদ
আসলেই ভাই, এই দুটো খাবার আমারও অসম্ভব পছন্দের। দারুণ কম্বিনেশন, খুবই মজাদার লাগে ঝোল ঝোল করে খেলে।
কচুরমুখী দিয়ে শিং মাছ। দারুণ রেসিপি তো। খাবার ইচ্ছে রইল খুব। সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে রেসিপিটা বোঝালেন। আর পদটি আনকমনও। ছবির ডিটেলিং ভীষণ যথাযথ। অসাধারণ পোস্ট। শুভেচ্ছা
হ্যাঁ দাদা আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যাইহোক বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। আপনার মতো আমারও শিং মাছ ভীষণ পছন্দ। তাছাড়া কচুরমুখী তো আমি সবসময়ই খুব পছন্দ করি খেতে। শিং মাছ এবং কচুরমুখীর কম্বিনেশনটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।