হামলা সর্বত্র....
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
copyright free image source: pixabay
আজকে একটি ভিন্ন টপিকের উপর সাধারণ লেখা শেয়ার করে নেবো। এটা আমাদের দেশের একটি খবর, শুধু আমাদের দেশ বলে না, এটা এখন সর্বত্র হতেই আছে। বর্তমানে আমাদের কাশ্মীরের ব্যাপারে সবাইতো জানেনই যে, পাকিস্তান প্রায় সময় নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে কাশ্মীরের বাকি অংশটা দখলে নেওয়া যায়, কিন্তু আদৌ তারা কোনোভাবে তাতে সফলতা অর্জন করতে পারেনি। আবার এদিকে সেম বিষয়ে যদি দেখা যায়, তাহলে এটা নিয়ে চীন আবার কম মাথা ঘামাচ্ছে না, তারাও টার্গেটে থাকে সবসময়। আর এই জম্বু কাশ্মীরে বর্তমানে একটা জঙ্গির আড্ডাখানা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেটা কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বেড়েছে আরো। জম্বু কাশ্মীরে খবর বা নিউজ পেপারে একভাবে দেখা যায় জঙ্গি হানা হচ্ছে, তাতে যেমন সেখানে সাধারণ মানুষজনেরও সমস্যা হচ্ছে, তেমন বিভিন্ন সেনাবাহিনী বা পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাণ হারাচ্ছে।
যদিও এখানে পুলিশের থেকে আর্মিদেরই বেশি দায়িত্ব থাকে লাইন লেনে। কিছুদিন আগে এইরকম একটা নিউজে দেখছিলাম জম্বু কাশ্মীরে জঙ্গিদের সাথে বেশ লড়াই হয়েছে আর্মি এবং সাথে পুলিশ দেরও। এই বিষয়ে তারা সাধারণত উভয় মিলেই বিষয়টা সমাধান করতে চেয়েছিলো। আর এগুলোতো সাধারণত হয়ে থাকে বিভিন্ন সোর্স এর মাধ্যমে। যেমন তাদের অনেক সোর্সই চারিদিকে ছড়ানো থাকে যে, জঙ্গিদের হালচালের উপর নজর রাখতে। আর এই গুপ্ত মাধ্যমেই তারা জানতে পেরেছিলো যে, জম্বু কাশ্মীরের কোথাও একটি জায়গায় কিছু জঙ্গি ঘাটি বেধেছে আর সেই হিসেবে তাদের প্ল্যান অনুযায়ী একটা অপারেশন জারি করে রাতের দিকে।
এই নিয়ে জম্বু কাশ্মীর একটা অশান্ত পরিবেশের মধ্যে থাকে বলা যায়, একভাবে হামলার আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। তবে তাদের এই অভিযানের মাঝেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে থাকে একভাবে, যদিও এর প্রতি উত্তরে তারাও জবাব দিয়েছে, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি উভয়েরই হয়েছে। কিন্তু বেশি ক্ষতি হয়েছে আর্মি এবং পুলিশের, কারণ একজন নিহত হয়েছেন আর বাকি যারা আহত হয়েছিল, তাদেরও পরে মৃত্যু হয়। হামলা যাইহোক না কেন, আসলে সেই স্থানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানটা একটু বেশিই হয়ে থাকে। তবে বিগত কয়েক বছরে এই জঙ্গি উচ্ছেদ করার অভিযানে বেশ সৈনিকের প্রাণ গিয়েছে। জঙ্গিদের আসলে কোনো ঠিকানা বা তাদের ঠিক থাকে না কোনো ব্যাপারে, যখন তখন বুঝে ওঠার আগেই বোমা বা গুলি করে দেয়। আসলে বর্তমানে জঙ্গি সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছে।
এখন যদি বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের দিকে তাকাই, তাহলে সেখানেও একরকম এই পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। একটা অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের উপরে। চারিদিকে ভীষণ খারাপ অবস্থা, মারামারি, হানাহানি যেন লেগেই আছে আর সেই সাথে হাজারে হাজারে প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। আজকে ফেসবুকে বাংলদেশের বিভিন্ন স্থানে যে ভয়াবহতা লক্ষ্য করলাম, সেটা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। তবে কলেজের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময়ে যেভাবে নিচে কয়েকজন পড়লো, সেটা ভয়ানক দৃশ্য ছিল। তবে যাইহোক, এইগুলো আসলে একটা দেশের বা সেই এলাকার জন্য খুবই খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
জম্বু কাশ্মীর এখন হাই এলার্ট এর মধ্যে পড়ে গিয়েছে। এর ফলে সবকিছুতেই সাধারণ মানুষের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে, কারণ জঙ্গি হামলা বেশ কিছুদিন ধরে হচ্ছে মানেই যেকোনো সময় এটাক হতে পারে। আর এই হাই এলার্ট এর কারণে কেউ বাইরে অহেতুক ঘোরাফেরা করতে পারবে না আবার খাবারেরও সমস্যার মধ্যে অনেকেরই পড়তে হবে। তবে জম্বু কাশ্মীরের এটা নতুন কিছু না, কারণ প্রায় হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য দেশে এটার খুবই বাজে প্রভাব পড়ছে। সবমিলিয়ে আসলে বর্তমানে সব জায়গায় একটা অশান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা সব সময়ের জন্য সত্য, দিন শেষে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার হন এবং ক্ষতিটা তাদেরই বেশী হয়। ফেসবুকের দৃশ্যগুলো সত্যি খুবই মর্মান্তিক ছিলো ভাই।
আসলেই ভাই, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ।
জঙ্গিরা আসলেই বেশ মারাত্মক। তারা অ্যাটাক করার জন্য সবসময়ই রেডি থাকে। কাশ্মীরের এই ঝামেলা মনে হয় কখনোই শেষ হবে না। তবে কাশ্মীরের ব্যাপারে ইন্ডিয়া কখনোই ছাড় দিবে না। যাইহোক আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ দাদা। শিক্ষার্থীদের উপরে যেভাবে হামলা করছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। চারিদিকে শুধু হামলা আর হামলা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
সমসাময়িক সময়ে দাদা, আমাদের দেশের অবস্থা খুবই বাজে। এ লক্ষণ খুব একটা ভালো ঠেকছে না, সামনের দিনগুলোতে যে আমাদের কপালে কি আছে সেটাই ভেবে পাচ্ছি না ।
কাশ্মীরের বাকি অংশ দখলের জন্য পাকিস্তান এবং চীন উঠে পড়ে লেগেছে। তবে জঙ্গি হামলা তো ভয়ানক আকার ধারণ করছে। এভাবে চলতে থাকলে জনজীবন তো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। সারা বাংলাদেশের যে অবস্থা বর্তমানে, চিন্তা করছি যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে নিজেদের শিক্ষিত করে তুলবে। শিক্ষিত বা মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কোন দাম নেই তাদের কাছে। কষ্ট করে পড়াশোনা করে যারা যোগ্য হচ্ছে তাদেরই দাম নেই অযোগ্যদের কাছে।অযোগ্যদের হাতে যোগ্যতা পিষে যাচ্ছে।
কাশ্মীর সমস্যা দীর্ঘদিনের।তবে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেইরকম পর্যায়ে চলে যাচ্ছে দেখে খারাপ লাগে।আসলে ভবিষ্যতে মনে হচ্ছে সেটাও পাকিস্তানের মতোই জঙ্গীবাদে রুপ নেবে।বিচার ব্যবস্থা নড়বড়ে থাকলেই এমন হয় আর দিন শেষে সাধারণ মানুষের উপর সব প্রভাব গিয়ে পড়ে।খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দাদা,ধন্যবাদ আপনাকে।