ওয়েব সিরিজ রিভিউ: জাতিস্মর- দ্যা গার্ডেড সিক্রেট ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'ওয়েব সিরিজ রিভিউ' জাতিস্মর এর চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা গার্ডেড সিক্রেট"। গত পর্বের শেষ দেখেছিলাম যে রূপকথা রাতের বেলা গেস্ট হাউসে গিয়ে হঠাৎ বাচ্চাদের মতো আচরণ করতে লাগে সবার সামনে। এর পরের থেকে দেখবো কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
সেদিন রূপকথা মেয়েটা রাতে যখন গেস্ট হাউসে গিয়ে আপন মনে তার ছেলেবেলার ভেসে আসা স্মৃতি গুলো মনে করে করে কথা বলতে থাকে তখন সেখানে বাড়ির সবাই এসে অবাক হয় এবং ভয় পায়, কারণ তার আচরণটাই ছিল অদ্ভুত ধরণের। ওখানেই তার একটা খেলার পুতুল ছিল এবং কোথায় ছিল সেটা ওই বাড়ির আর কেউ না জানলেও রূপকথা ঠিক জানে এবং সেখান থেকে গিয়ে পুতুলটা বের করে আনে এবং তাকে কে খুন করেছিল সেটাও বলতে যায় কিন্তু হঠাৎ সে ওখানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এরপর অরণী তাকে সেখান থেকে রুমে নিয়ে যায় এবং সারা রাত তার সাথে থেকে পাহারা দেয় যাতে আবার কোনো উল্টোপাল্টা ব্যবহার না করতে লাগে। সকালে উঠে দেখে আবার ঠিক হয়ে গেছে। আসলে সে যে এই সব বলছে আর আচরণ করছে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে যখন জ্ঞান ফিরে আসছে তখন আর কিছুই মনে থাকছে না অর্থাৎ আগের মতো স্বাভাবিক চলাচল করতে থাকে। এদিকে বাড়ির লোকজন তো একটা অস্বস্তির মধ্যে পড়ে যায় যে বাড়িতে এইসব কি হচ্ছে, একটা অদ্ভুত ধরণের, যেন একটা ভুতুড়ে বাড়ির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বাড়ির লোকজন তো মনে মনে ভাবতে থাকে যে মেয়েটা জাতিস্মর হয়ে ফিরে আসলো কিনা। অরণীর মা এই বিষয় নিয়ে খুব রাগারাগি করতে থাকে যে কাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে আর এদিকে অরণীর বোন এই বিষয় নিয়ে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তে গেলে তার হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে ডিলিট করে দেয় আর রাগারাগি করে, কারণ এই কথা যদি মিডিয়ার কাছে পৌঁছায় আর গ্রামের লোকজন যদি জানতে পারে তাহলে একটা হুলুস্থূল কান্ড তৈরি হবে। যাইহোক, এরপর অরণীর ছোট মা বাড়ির গার্ড-কে পুজোর থালা বাসন বের করে ধুতে বলে আর তখন রূপকথা আবার সেখানে এসে গার্ডের হাতে কাটা দাগ দেখে বলতে লাগে যে আমি তোমাকে আঘাত করেছিলাম তো ওখানে, খুব রক্তও বের হয়েছিল। এই কথা শুনে গার্ড তো ভয়ে সেখান থেকে সব রেখে চলে যায় আর অরণীর ছোট মায়ের এই গুলো শুনে সেই পুরোনো দিনের পিকনিক স্পটের কথা মনে পড়ে যায় , যেখানে এই গার্ড এসে তাদের বলেছিলো যে সে সাইকেল থেকে পড়ে গিয়েছিলো আর হাতে পাথর ঢুকে গিয়েছিলো।
এইগুলো নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে আর এই রূপকথাও সেখান থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো তার আগে থেকে। এইসব ভাবার পরে অরনির কাকাকে ফোন করে কলকাতা থেকে ডেকে আনে আর এই কথা বলার পরে তার সমস্ত মিটিং ক্যানসেল করে সেখান থেকে চলে আসে। এদিকে অরণীর মা যে গুরুমা অর্থাৎ জ্যোতিষদের ডেকেছিল তারাও চলে আসে। রূপকথাও এদিকে ছবি তোলার জন্য বাইরে একা একা একটা অটো রিকশা নিয়ে চলে যায় এবং জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে একটি গ্রামের ভিতরে গিয়ে তার যেসব বিষয়ের ছবি লাগবে সেগুলো তুলতে লাগে। গুরুমা বাড়িতে এসে সেই যে বসে আর মালা জবতেই থাকে। অনেক্ষন পরে বলে যে এই মেয়ের তো এইসব বিষয়ে জানার কথা নয় তাহলে কারো কাছ থেকে নিশ্চই শুনেছে। কিন্তু এরপর অরণীর মা বলে যে এইরকম আসলে কোনো কিছুই সম্ভব না, কারণ তাকে আমরা আমার পরিবারের মধ্যে আমার ছেলে ব্যাতিত আর কেউ তাকে চেনে না তাই কেউ তাকে কিছু বলেনি।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই পর্বে বাড়িতে থাকা গার্ডের সিক্রেট এক প্রকার কিন্তু বেরিয়েই গেছে, এর কারণ হলো গার্ডের সম্পর্কে রূপকথা পদে পদে যেসব বিষয়গুলো তুলে ধরছে সেগুলো কিন্তু পর পর মিলে যাচ্ছে। আর গার্ডের সেই সাথে ভয়ভীতিটাও আরো সত্যের দিকে নিয়ে যেতে সবাইকে সাহায্য করছে এবং সন্দেহটাও উৎপন্ন হচ্ছে, বিশেষ করে অরণীর ছোট মায়ের মনে তো অলরেডি এই বিষয় নিয়ে সন্দেহ উৎপন্ন হয়েই গেছে। আর এই সন্দেহটাকে সামনে প্রকাশ করার জন্য অরণীর ছোট কাকাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে যে আসলে সেদিন কি হয়েছিল অর্থাৎ যেদিন রূপকথা হারিয়ে গিয়েছিলো সেদিন আসলেই তারা খুজেছিলো কিনা। এর মধ্যে গার্ড সেখানে আসে আর তাকেই চেপে ধরে যে কি হয়েছিল ওইদিন। গার্ড আর চাপ না নিতে পেরে সব কথা বলে দেয় মানে সেই তাকে খুন করেছিল। আর এদিকে গুরু মাও এসে সবার মতো জাতিস্মর বলে ধারণা করছে। এখন এই রহস্যময় বাড়ির এবং এইসব ঘটনাগুলো কিভাবে সামনে আসছে সেটা সামনের পর্বে আরো কিছু খোলসা হবে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৫/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
আমি আগের পর্ব গুলো দেখিনি। আজকে প্রথম রিভিউ টি দেখলাম। আমি আগে ইউটিউবে সার্চ করে পূর্ববর্তী পর্বগুলো দেখে নিব। আশা করি সিরিজটি ভালো লাগবে। রেটিং পয়েন্ট দেখে মনে হচ্ছে ভালই হবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা জাতিস্মর মুভিটির চতুর্থতম পর্ব পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আগের পর্ব গুলোর মত। আস্তে আস্তে দেখছি অনেক কিছুই খোলাসা হয়ে পড়ছে। আর গার্ডের সম্পর্কে সব সিক্রেট আস্তে আস্তে বেরিয়ে যাচ্ছে। গার্ড কিভাবে হাতের মধ্যে আঘাত পেয়েছিল এটাও রূপকথা বলে দিয়েছে। পরবর্তীতে তাহলে গার্ড সবকিছুই বলে দিয়েছিল অরণীর ছোট মা কে। আমার তো এখন অনেক বেশি আগ্রহ যাচ্ছে পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে সবকিছু আরো বেরিয়ে আসবে। এবং ঘটনাগুলো আস্তে আস্তে সামনে বেরিয়ে আসবে। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা পরবর্তী পর্বটির জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্ব।
জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ জাতিস্মর এর চতুর্থ পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই ওয়েব সিরিজের "দ্যা গার্ডেড সিক্রেট" নামক এই পর্বটিতে অনেক তথ্য সামনে চলে এলো। রূপকথার শিশুসুলভ আচরণ এবং গার্ডের সব সিক্রেট কথাগুলো বলে দেওয়াতে সবাই অনেক আশ্চর্য হয়েছিল। কিন্তু প্রথম প্রথম সবাই বিশ্বাস না করলেও পরবর্তীতে যখন সবকিছু মিলে যাচ্ছিল তখন সবাই বিশ্বাস করে ফেলেছিল। আর সবাই বুঝতে পেরেছিল এর মাঝে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। সেই ছোট্ট মেয়েটির হারিয়ে যাওয়ার পেছনে এই লোকটি কোন না কোন ভাবে দায়ী। হয়তো সেই তথ্যগুলো এতদিন সেভাবে সামনে আসেনি। কিংবা কেউ সামনে উন্মোচন করতে চায়নি। কিন্তু রূপকথার সেই শিশুসুলভ আচরণ এবং তার কথাগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছুই সামনে চলে এলো। অন্যদিকে অরণীর ছোট মায়ের মনে অনেকটা সন্দেহ হয়। এরপর সবাই যখন চেপে ধরে তখন গার্ড সব সত্যি কথা বলে ফেলে এবং সেই তাকে খুন করেছিল এটাও বলে ফেলে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
"জাতিস্বর "নামক এই ওয়েব সিরিজ টি অনেক জনপ্রিয় শুনেছি। তোমার লেখা আগের পর্ব গুলো পড়লে এই বিষয়ে আরও ভালো জানতে পারলাম। খুব একটা বুঝতে না পারলেও প্রথমে মনে হলো ভূতুড়ে কাণ্ড কিন্তু তারপর মনে হলো একটা রহস্য জনক অভূত ঘটনা। আর গার্ড টিকে দুষ্টু লোক বলে মনে হলো। তবে সত্যিই জাতিস্বর বলে কিছু হয় কিনা তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা আজকে আপনি জাতিস্মর মুভিটির চতুর্থ পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আজকের এই পর্বের মাধ্যমে অনেক তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে এই বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ও অরণীদের গার্ডের সকল তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। রূপকথা তার শিশুসুলভ অনেক কিছুই ফাঁস করেছে। তার এরকম আচরণ দেখে সবাই তো অনেক বেশি আশ্চর্য, আর আশ্চর্য হওয়ারই কথা। কারণ এই কথাগুলো সেই ছোট্ট মেয়েটা ছাড়া আর কেউই জানতো না। আর এই কথাগুলো রূপকথাকে কেউই বলেনি, যার জন্য সবাই একজন জ্যোতিষীকেও ডেকে এনেছে। এখানে তো দেখতে পাচ্ছি জ্যোতিষী ও রূপকথাকে জাতিস্মর বলে দাবি করেছে। শেষ পর্যন্ত সবাই যখন গার্ডকে চেপে ধরে সেও নিজের কথাগুলো স্বীকার করে, কিন্তু কি কি হয়েছিল তা তো জানতে পারলাম না। আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলোতে সবকিছু আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে পারব। সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা, জাতিস্মর ওয়েব সিরিজের গত পর্ব পড়ে ও আমার ভীষণ ভালো লেগেছিল। এ পর্বে তো দেখলাম একদম অনেকগুলো রহস্য বেরিয়ে আসলো। দেখতে পেলাম ওর নিজের ছোট মায়ের সন্দেহতে গার্ড নিজেই দেখছে সবকিছু স্বীকার করে নিয়েছে যে সেই মেয়েটাকে মেরে ফেলেছিল। এই বিষয়টা সামনের সাথে সবাই অবাক হয়ে গেল। ছোট্ট মেয়েটার আসলে কি হয়েছিল সেদিন তা একপ্রকার সামনে এসেছে। কিন্তু এসব কিছুর রহস্য গুলো জানতে ইচ্ছে করছে। পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই পুরো বিষয়টা জানতে পারবো।
দাদা আমার কাছে এই ওয়েব সিরিজের দ্যা গার্ডেড সিক্রেট এই পর্বটা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ এই পর্বে দেখলাম আসলে রূপকথার শিশুসুলভ আচরণ করতে করতে অনেক রহস্যই বেরিয়ে আসছে। বিশেষ করে আজকের পর্বে দেখছি অরণীর ছোট মায়ের সন্দেহ হয়েছে। আর এই সন্দেহের কারণেই গার্ড সামনে আসাতে, সে নিজে নিজেই ভয়ে সব কিছু স্বীকার করে নিল। আসলে গার্ড নিজেই মেয়েটাকে মেরে ফেলেছিল। অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে আছে দেখছি এখানে। কিন্তু পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই এই বাড়ির পুরো রহস্য সম্পর্কে জানতে পারবো। পরবর্তী পর্ব টা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।