মাত্র ২১ বলেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়!
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতদিন ইন্ডিয়া আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রথম টি২০ ম্যাচ খেলা হয়েছে। এটা একদম নতুন কোচ এবং নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে হয়েছে আর কি। খেলাটা মোটামুটি একেবারে খারাপ হয়নি। তবে পিচ একদম বলতে ব্যাটিং পিচে খেলা হয়েছে, তবে এই ধরণের পিচে বোলিং এর ক্ষেত্রে যদি লেন্থ ঠিকঠাক রেখে বল করা যায়, তবে ব্যাটসম্যানদের রান করা থেকে কিছুটা হলেও বিরত রাখা যায়। গতকাল টসের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সুবিধাটা পায় এবং তাদের পিচ সেই হিসেবে তারাই ভালো জানবে আর সিদ্ধান্তটা ঠিকই নিয়েছিল, কারণ ব্যাটিং পিচে চেজ করা যায়। তবে বিষয়টা তাদের ক্ষেত্রে অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলো, কারণ তারা আসলে সেই হিসেবে আটকাতে পারেনি। যাইস্বল আর গিল ব্যাটিংয়ে এসে সেই বরাবরের মতো আক্রমণাত্মক ভাব নিয়ে খেলা শুরু করে।
আর এটা আসলে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনিং জুটি আক্রমণাত্মক না হলে বিষয়টা আসলে ঠিক জমে না। যাইস্বল প্রথমেই শুরু করে এক্ষেত্রে, গিলকে রেখে একাই প্রথমে স্ট্রাইক নিয়ে নিয়ে পিটিয়ে গিয়েছিলো, রান রেটও প্রথম ওভার থেকে সাড়ে ১১ করে রেখেছিলো এবং সেটি আবার ১২ এর মতোও হয়ে গিয়েছিলো লাস্ট ৬-৭ ওভারে। রান মোটামুটি ১২ ওভার পর্যন্ত ১৩০+ এর মতো হয়ে গিয়েছিলো। তবে এখানে পরে রানটা ৩-৪ ওভারের মতো চেপে যায়, কারণ প্রথমেই তো যাইস্বল ভুল করে উঠে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে যায় এবং অন্যদিকে গিলও ক্যাচ তুলে দেয়। তবে তারা দুইজন আউট হয়ে গেলেও ৩৭ বলে ৭৪ রানের একটা দারুন পার্টনারশীপ গড়ে দিয়ে গিয়েছিলো। পরে সূর্যকুমার যাদব এবং পন্থ ম্যাচটাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। মোটামুটি রানের সিংহভাগ টপ অর্ডারের তিনজন এবং মিডিল ওভারের একজন মিলেই করে দিয়েছিলো।
তবে রান যেভাবে উঠেছিল, তাতে ২৩০ এর মতো হবে এইরকম ধারণা করে নিয়েছিলাম। কিন্তু মাঝে উইকেট পড়ে যাওয়ায় ওই ৩ ওভার চেপে যায় আর পরে তেমন কেউ রান করতে পারেনি। অনেকদিন বাদে ধোনির সেই হেলিকপ্টার শর্ট দেখলাম পন্থ এর ব্যাট থেকে। শর্টগুলো মোটামুটি বেশ ভালো ছিল, প্রথম থেকে একদম টি২০ ফরম্যাটের মতো শর্ট খেলেছে সবাই। যাইহোক, রানটা তাদের আসলে অনেক হয়ে গিয়েছিলো, কারণ ১৮০ পর্যন্ত চেজ করা যায়, কিন্তু তার বেশি হয়ে গেলে চাপ হয়ে যায়। যদিওবা একজন কি দুইজন টেনে দিলো, কিন্তু কতক্ষন খেলবে, আউট যেকোনো সময়ে হয়ে যেতে হবে, খুবই রেয়ার দেখা যায় একজনের দ্বারাও এই রান চেজের ক্ষমতা থাকে।
তবে শ্রীলঙ্কা কিন্তু শুরুটাও বেশ ভালো করেছিল, বিশেষ করে নিশাঙ্কা এবং মেন্ডিস দুইজনেই সমানে পিটাচ্ছিলো প্রথম থেকে। ১০ ওভারে ১০০ রানও করে ১ উইকেট এর বিনিময়ে। বেশ ভালো টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো তারা বলা যায়। এইভাবে এগিয়ে গেলে তারা ম্যাচ বের করতে পারতো, কারণ যতক্ষণ পিচে নিশাঙ্কা আর মেন্ডিস ছিল এক নাগাড়ে ৪ আর ৬ মেরেই যাচ্ছিলো। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া ফিল্ডিং খুবই বাজে করেছে, কারণ হাতের ক্যাচ মিস এবং বাউন্ডারিও মিস করেছে। আর বোলিং এর ক্ষেত্রে বলতে গেলে বেশিরভাগই হাফ বোলিং, অফের বাইরে বা লেগের বাইরে বল করেছে। কারণ বল সব তারা তৈরি করে করে মেরেছে এইরকম অবস্থা। কিন্তু এখানে একটা মজার বিষয় ঘটেছে আসলে, ১৩ ওভারে রান ১৩০ এর উপরে থাকলেও লাস্ট ২১ বলে ম্যাচ পরিবর্তন হয়ে যায়।
কারণ মোড় ঘুরে যায় নিশাঙ্কা এর বোল্ড আউট হওয়ার পরে। পরাগ একদম নতুন বলার আর এটা তার প্রথম অভিষেক ম্যাচ আন্তর্জাতিক। আর এসেই কামাল করে দিলো, বলা যায় একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে ফেলে। নিশাঙ্কা সহ ওই ২১ বলের মধ্যে ৫ উইকেট আর রানও ১৬, এতেই কুপোকাত শ্রীলঙ্কা। বলা যায় হাতের ম্যাচ হেরে যায় তারা। বাকি পরে একজনও খেলতে পারেনি, ম্যাক্সিমাম শূন্য রানে আউট হয়েছে আর একদম শেষ ওভারেই ওই পরাগ আরো দুইজনকে পরপর নিয়ে অলআউট করে দেয়। ম্যাচটা মোটামুটি ভালোই উপভোগ করা গিয়েছিলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার রিভিউ আমিও করেছি। ইন্ডিয়া সবসময় অনেক ভালো খেলে। খেলা শুরু দেখে বুঝতে পারছিলাম অনেক রান করবে সেটা করেছে তারা। তবে শ্রীলঙ্কার শুরুটা কিন্তু খুবই দারুণ ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে নাই। ধরে রাখতে পারলে ম্যাচের রেজাল্ট ভিন্ন হতে পারত। তবে অভিনন্দন জানাই ভারতের বোলিংদের দারুণ করেছে শেষ পর্যন্ত।
দাদা আপনি আজকেও আমাদের মাঝে একটা খেলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। আপনার খেলা বিষয়ক পোস্টগুলো আমি প্রতিনিয়তই পড়ার জন্য চেষ্টা করি। ইন্ডিয়া কিন্তু প্রতিনিয়তই ভালো খেলে থাকে। এই ম্যাচেও শেষ পর্যন্ত দেখছি ইন্ডিয়া অনেক ভালো করেছে। তবে পুরোটা পড়ে এটা বুঝতে পারলাম যে শ্রীলঙ্কা প্রথমে যে রকম ভাবে খেলেছে, পরবর্তীতে আর সেটা ধরে রাখতে পারিনি। দাদা আপনার পুরো রিভিউটা পড়ে আমিও ভালো ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি এই ম্যাচটা। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর করে সম্পূর্ণ ম্যাচটার রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। পরবর্তী খেলা বিষয়ক পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা এই ম্যাচে ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দারুণ লেগেছিল। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন ব্যাটিং না হলে খেলা দেখে কোনো মজাই নেই। কিন্তু এতো বড় স্কোর চেজ করাটা আসলেই খুব কঠিন। তবে শ্রীলংকার দুই ওপেনার ছাড়া, বাকি ব্যাটসম্যানরা একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি। তাছাড়া পরাগ এক কথায় দুর্দান্ত বোলিং করেছে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।