মনের কল্পনায় তৈরি একটি কাল্পনিক চিত্র ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটা অঙ্কন শেয়ার করে নেবো। আজকের অঙ্কনটি একটু ভিন্ন ধরণের করেছি। আজকের অঙ্কনটি মনের কল্পনায় তৈরি একটি কাল্পনিক চিত্র অঙ্কন। আসলে গতকাল আমাদের এদিকে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো ফলে সকাল থেকে ভাবছিলাম এখন আর কিছু ভালো লাগছেনা ফলে শুয়ে না থেকে একটা অঙ্কন করা যাক দেখি। শুয়ে শুয়ে কি করা যায় সেটাও ভাবলাম খানিক্ষন তারপর তেমন কিছু না ভাবনায় আসলে পরে ভাবলাম কাল্পনিক কিছু একটা ভেবে তৈরি করি দেখি। ব্যাস আস্তে আস্তে অঙ্কন করতে লাগলাম আর শেষমেশ এটাই প্রকাশ পেলো আমার কাল্পনিক অঙ্কনের মাধ্যমে। অঙ্কনটি গতকালই এঁকে কমপ্লিট করে রেখেছিলাম, আজকে শুধু কালারটা করে পরিপূর্ণ করেছিলাম অঙ্কনটিকে। আশা করি আজকের অঙ্কনটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
☬উপকরণ:☬
✎এখন অঙ্কনের ধাপগুলো নিচের দিকে তুলে ধরবো----
❖প্রথম ধাপে অঙ্কনটির শুরুতে আমি একটা মহিলাকে পরিপূর্ণভাবে তৈরি করে নিয়েছিলাম।
❖দ্বিতীয় ধাপে মহিলাটির দুই পাশ দিয়ে কিছু ছোট, বড়ো বাড়ি তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং পরে খানিকটা গাছ গাছালি বাড়ির আনাচে কানাচে দিয়ে তৈরি করে দিয়েছিলাম। পরে এক পাশে একটা ঢিবি মতোও তৈরি করেছিলাম এবং সবকিছু তৈরি করার পর মহিলাটির হাঁটার সোজা একটা রোডও তৈরি হয়ে গেছিলো।
❖তৃতীয় ধাপে অঙ্কন করা গাছগুলোতে, একটা ছোট মতো ঢিবি এবং এক পাশের কিছু বাড়িতে পেনের কালী দিয়ে ভালোভাবে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
❖চতুর্থ ধাপে একইভাবে পেনের কালী দিয়ে মহিলাটি সহ বাকি সব বিষয়ে পেনের কালী দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
❖পঞ্চম ধাপে কালার করে আকাশ এর রূপ দিয়েছিলাম। এরপর দুটি গাছ এবং যেটা একটা ঢিবি মতো তৈরি করেছিলাম সেটাতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖ষষ্ঠ ধাপে মহিলাটির পিছনদিকে একটা ছোট বাড়িতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖সপ্তম ধাপে আরো এক পাশের একটি গাছ এবং দুটি বাড়িতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖অষ্টম ধাপে পাশের দিকে বাকি থাকা বাকি গাছ এবং বাড়িগুলোতেও কালার দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖নবম ধাপে রোডের পাশ দিয়ে হালকা করে যেসব ডিসাইন মতো করেছিলাম তাতে কালার দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর মহিলাটিকে কালার করে পরিপূর্ণ করেছিলাম।
❖দশম ধাপে রোডটিতে কালার দিয়ে পিচ ঢালাই এর মতো বোঝাতে চেয়েছিলাম।
❖একাদশ ধাপে কিছু পাখির উড়ে যাওয়ার প্রতিচ্ছবি তৈরি করে অঙ্কনটি সম্পন্ন করেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
যখন বাহিরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ে তখন মন চায় অংকন করতে। আর মজার মজার কোন খাবার খেতে। দাদা আপনি আপনার অংকনের যাদুতে দারুন একটি চিত্র অংকন করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি দাদা আপনার অংকনের দক্ষতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আপনি খুবই নিখুঁতভাবে এই চিত্রটি অংকন করেছেন। মনের মাধুরী মিশিয়ে দারুন একটি চিত্র অংকন করে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং আপনার কল্পনাকে বাস্তব চিত্র দান করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার ছবি আকার হাত আর কল্পনা শক্তি কে হিংসে হয় দাদা।শিল্পীর কল্পনা শক্তি না থাকলে শিল্পী হওয়া যায় না। আপনা কল্পনা শক্তি বেশ ভাল,তাই কাল্পনিক ছবিটিও বেশ ভাল হয়েছে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির দিনে ইলিশ মাছ দিয়ে ভুনা খিচুড়ি সাথে রবি ঠাকুরের নরম সুরের গান দিনটা যেন খুব ভালোই লাগে আমার কাছে এরকম হলে। অনেকদিন পর আপনার হাতের অংকন দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর একটি গ্রাম্য পরিবেশের একটি চিত্র প্রস্তুত করেছেন। বিশেষ করে কালার কম্বিনেশন টা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন শুভকামনা রইল দাদা।।
দাদা আপনি আজকে চমৎকার ভাবে মনের কল্পনায় তৈরি একটি কাল্পনিক চিত্র অংকন করেছেন। দেখতে অসাধারণ হয়েছে। এধরনের কাজ গুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ঠিকই বলেছেন দাদা, বাইরে বৃষ্টি নামলে তখন আর কিছুই ভালো লাগে না শুধু শুয়েই থাকতে ইচ্ছা করে। আর বৃষ্টিতে আবহাওয়াটাও এত ভালো হয় যে সব কিছুই তখন ভালো লাগে ।আমাদের এদিকেও কালকে ভালোই বৃষ্টি নেমেছে আজকে একেবারে কড়া রোদ। আপনার কল্পনার জগতে কত সুন্দর সুন্দর ছবি আছে তাই তো আমি ভেবে পাইনা। যখনই কল্পনা করেন তখনই কল্পনার জগত থেকে সুন্দর সুন্দর কিছু বের হয়ে আসে। আপনার ছবির কালারটাই তো দুর্দান্ত হয় যা শুধু দেখতে ইচ্ছা করে আর মহিলাটিকে এমন পারফেক্ট এঁকেছেন যে মনে হচ্ছে না যেটা আঁকা মনে হচ্ছে সত্যিই একটি মহিলা হেঁটে যাচ্ছে। এত সুন্দর ছবি যে কি করে আঁকেন আপনি তাই আমি বুঝে পাইনা। রাস্তাটা পিচ ঢালাই এর মত বোঝাতে চেয়েছিলেন একদম তাই মনে হচ্ছে আমার কাছে।মহিলার চুলের খোঁপা কি সত্যি নাকি এঁকেছেন আমার কাছে তো সত্যি মনে হচ্ছে এত পারফেক্ট এঁকেছেন।
দাদা আপনার মনের কল্পনার আঁকা এই ছবিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি কতকাল আপনি যখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ভাবতে ছিলেন কি অংকন করবেন। এই সময় আপনার মনের কল্পনার মধ্যে থেকে এই সৌন্দর্যময় চিত্রটি অঙ্কন করলেন। সত্যি আপনার কল্পনার ধারণা অসাধারণ। আমার অনেক ভালো লেগেছে, এটি অনেক সুন্দর হয়েছে ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। আসলে আপনার চিত্র অংকন যত দেখি ততই ভালো লাগে। একদম হুবহু অরজিনাল চিত্র অঙ্কন করতে পারেন আপনি। আপনার দক্ষতার প্রশংসা না করে পারা যায় না। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা আমি যদি আপনার কল্পনার চিত্র হতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। আপনি আমাকে কত মাধুর্য দিয়ে এঁকে ফেলতেন আর সবাই তা দেখে বাহবা দিত।
বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয় তখন মন যেন কোথায় হারিয়ে যায়। সত্যি বলতে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কবিতা লিখতে কিংবা আপনার মতো ছবি আঁকতে। দাদা কাল্পনিক ছবিটি কিন্তু অসাধারণ হয়েছে 👌 সত্যি বলতে কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিতে পারাটা অনেক বড় একটি বিষয় যা আপনার অংকনের মধ্যে প্রতিয়মান।
বিশেষ করে রঙের সামঞ্জস্য চোখে পরার মতো ছিল।
ধন্যবাদ দাদা চমৎকার অংকনটি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
পুরো পরিবারের জন্য দোয়া রইল 🥀
দাদা আপনার অরজিনাল আর্টওয়ার গুলা খুব চমৎকার হয়। আপনি এত সুন্দর ভাবে আর্ট গুলো অঙ্কন করেন যা বলতে হয় অসাম। আসলে সত্যিকারের আর্ট বলতে তো এগুলোই। আপনি শুয়ে শুয়ে এই চিত্রটি অংকন করেছেন ।মানে নিজের সময়টাকে সঠিক ব্যবহার করেছেন। আসলে অনেক সময় এমন হয় যে বিছানা থেকে উঠতে মন চায় না কিন্তু আবার কাজও করতে মন চায়। এই পর্যায়ে কবিতা লেখা , অঙ্কন লেখা চমৎকার একটি উপায় সময় সঠিক ব্যবহার করার। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর একটি আর আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাল তো আমাদের এদিকেও বৃষ্টি হয়েছে। আপনার সঙ্গে মিলে গেল। বৃষ্টির দিনে সুন্দর একটি আর্ট করে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। দাদা আপনি কি রং দিয়ে রং করেন যে আপনার রংগুলো এত চমৎকার হয়? আপনার রং করার স্টাইলটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যার কারণে আপনার প্রতিটি ছবি একেবারে জীবন্ত লাগে। কল্পনার শুরুতে আপনি একটি মহিলাকে আর্ট করেছেন। তারপরে ধীরে ধীরে আপনি মহিলা চারপাশে এত সুন্দর রাস্তা ঘরবাড়ি এবং গাছ এঁকে আর্টটিকে পরিপূর্ণ করে ফেলেছেন। সবশেষে পাখিগুলোকে এঁকে আর্টটিকে আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে আপনার আর্টটি।।