আমার দুটি প্রিয় সাবজেক্টস
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Copyright free image source: pixabay
আজকে আপনাদের সাথে একটি সাধারণ বিষয় শেয়ার করবো। অনেকদিন কোনো সাধারণ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করা হয় না, ভাবলাম আজকে একটা লিখি। আসলে এই বিষয়টা আজকে আমার মনে পড়ছিলো বার বার, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা আর কি। এটা আসলে আমার স্কুল জীবনের প্রিয় একটি সাবজেক্ট নিয়ে। তবে এটা শুধু যে আমার স্কুল জীবন তা নয়, এই সাবজেক্টটি আমার কলেজ লাইফের সাথেও অতোপ্রতোভাবে জড়িত। আমার পড়াশুনার জীবনে সব থেকে প্রিয় দুটি সাবজেক্ট ছিল, একটি হলো ম্যাথ এবং অন্যটি বায়োলজি বা লাইফ সাইন্স। তবে আমার কাছে স্কুল লাইফে বেশি ভালো লাগতো ম্যাথ সাবজেক্টটি। তবে এই ম্যাথ নিয়ে একটা ঘটনা বলি। ম্যাথ আমার পড়াশুনার জীবনে একসময় একটা বিরক্তিকর সাবজেক্ট ছিল, সেটা প্রাইমারি থেকেই।
আসলে ম্যাথ আমার কাছে তখন এতো কঠিন লাগতো, যে এই সাবজেক্টটি দেখলেই বিরক্ত লাগতো সবসময়। আর পরীক্ষার সময়ে তো আরো চিন্তায় পড়ে যেতাম যে, আজকে যে কি হবে এই ম্যাথ নিয়ে। তখন মনে মনে ভাবতাম কোনোমতে এটা উতরে গেলে বাঁচি। তবে এই ম্যাথ সাবজেক্ট নিয়ে স্কুলে ম্যাডামের কাছে অনেক মার আর বোকাও খেয়েছি। এখন তো আসলে সব জায়গায় মার উঠে গিয়েছে, কিন্তু আমাদের সময়ে ম্যাডাম বা স্যাররা লাঠি না নিয়ে ক্লাসে ঢুকতো না। আর ওটা দেখলেই গলা শুকিয়ে যেত হা হা। আর আমি প্রায় এই অঙ্ক করা নিয়ে বোকা বা মার খেতাম, আর বাড়িতেও নালিশ যেত প্রায়। আমি সব থেকে কাঁচা ছিলাম এই ম্যাথে।
তবে প্রাইমারি লাইফের পরে এই ম্যাথ যেন আমার কাছে একটা প্রিয় সাবজেক্ট হয়ে দাঁড়ালো। আসলে এর পিছনেও একটা কারণ আছে, কারণ প্রতিটা বিষয়ে তৈরি করার জন্য একজন মানুষের অনেক ভূমিকা থাকে। তেমনি আমি যে স্কুলে পড়েছিলাম সেখানকার ম্যাথ টিচার নিজের হাতেই আমাকে তৈরি করেছিল আর সেখান থেকেই আমার ম্যাথের প্রতি একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করতো। যে ম্যাথ আমি ভয় করতাম, সেই ম্যাথ না করতে বসলে যেন আমার ভালো লাগতো না আর কিছু, আর কোনো সাবজেক্ট না পড়ি, কিন্তু ম্যাথ না করলে শান্তি পেতাম না মনের দিক থেকে। ম্যাথ এর মধ্যে বীজগণিত বা ত্রিকোণমিতি সব থেকে বেশি ভালো লাগতো, কারণ এই অঙ্কগুলো শুধু সূত্র বসালেই কাজ শেষ।
ওখান থেকেই আমার জীবনে এই ম্যাথ যেন জল ভাতের মতো হয়ে গিয়েছিলো, যে অঙ্ক পরীক্ষায় পড়তো সেটাই নিমিষে করে ফেলতে পারতাম আর কোনো পরীক্ষায় আমার ৮০-৯০ এর নিচে মার্কস নামেনি। তবে এর সাথে সাথে আমার আরো একটা সাবজেক্ট প্রিয় হয়ে যায় সেটা হলো বায়োলজি। বায়োলজি হলো সব থেকে সহজ একটি সাবজেক্ট, এটা প্রাক্টিক্যালি ভাবলে আরামসে লিখে ফেলা যায়। আমার মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে পুরো বায়োলজি বই একটা মুখস্ত ছিল বলতে গেলে। ম্যাথ আর বায়োলজি এই দুটো সাবজেক্টে সব থেকে নম্বর বেশি তোলা যায়, কারণ এতে মার্ক্স্ কাটার জায়গা থাকে না। হলে ফুল মার্ক্স্ আর নাহলে শূন্য। বায়োলজিতে যে বৈজ্ঞানিক নামগুলো ভালো মুখস্ত বা ঠিক করে লিখতে পারে তার নম্বর আসলে কাটার জায়গা থাকে না আর ওই জায়গাতেই নম্বর বেশি পাওয়া যায়।
আমার কাছে মনে হয় বায়োলজি সেরা একটা সাবজেক্ট, কারণ এটা মুখস্ত করার চেয়ে প্রাক্টিক্যালি ভেবে বুঝে লিখতে পারলে সহজেই সব প্রশ্ন লিখে ফেলা যায়। আমার লাইফে এই দুটো সাবজেক্টে সব সময়ে বেশি নম্বর ছিল। তখনই আমি ভেবেছিলাম যে, পরে আর যাই করি এই দুটি সাবজেক্টের একটা দিয়েই কিছু করবো। কিন্তু পরে কলেজে উঠে ভাবলাম বায়ো নিয়ে পড়ি, কারণ ম্যাথ করতে গেলে অনেক সময় দেওয়া দরকার আর অনেক চর্চার বিষয়ও থাকে এতে। আর বায়ো নিয়েছিলাম, কারন সুবিধা হলো, বেশি পড়া লাগতো না, একবার পড়লেই আমার বিষয়গুলো মনে থাকতো আর পরীক্ষার সময়ে একবারই পড়ে যেতাম, তাতেই কাজ হয়ে যেত। যাইহোক, এই ছিল আমার স্কুল লাইফে বা আমার পড়াশুনার লাইফের দুটি প্রিয় সাবজেক্ট নিয়ে কিছু কথা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা এই বিষয়ে আপনার সাথে দেখছি আমার ভালোই মিল আছে। স্কুলে লেভেলের শেষ পর্যায়ে ম্যাথ আমার কাছে ফেভারিট সাবজেক্ট ছিল যদিও অন্যান্য সাবজেক্টের চেয়ে ম্যাথে বেশি সময় দিতাম। যাই হোক বিষয়টা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আজ আলাদা টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা।বেশ ভালো লাগলো।আসলে লাইফের বিষয় গুলো নিয়ে পোস্ট দিলে পড়তে ভালো ই লাগে।আর লেখকের জীবন সম্বন্ধে বেশ ভালো ই জানা যায়। আপনার ম্যাথ আর বায়োলজি সাবজেক্ট খুব ভালো লাগতো জানতে পারলাম।আসলেই যে সাবজেক্ট গুলো প্রাক্টিক্যালি করা যায় তা পড়তে খুব আনন্দ পাওয়া যায়। আর এজন্য ই শেষ পর্যন্ত বায়োলজি সাবজেক্ট নিয়ে পড়লেন তা ভালো ই করেছেন। আপনার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ম্যাথ আর ফিজিক্স এই সাবজেক্ট আমার বেশ ভালো লাগে,তবে বায়োলজি আমার বেশ ভয় লাগতো।কারন বৈজ্ঞানিক নামগুলো আমার সহজে মুখস্থ হতো না।এত এত বৈজ্ঞানিক নাম আবার কোনটা কোন পর্বের সেগুলোও মনে থাকতো না।বায়োলজি এর জয়োলজি আর বোটানি এই দুইটাই কঠিন।ম্যাথ এর সূএ পারলেই হতো।যাই হোক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ম্যাথ এবং বায়োলজি সাবজেক্ট আপনার পছন্দের ছিল জেনে ভালো লাগলো। ছোটবেলায় ম্যাথ আপনার ভালো লাগতো না কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাথ টিচার আপনাকে নিজের হাতে সুন্দর মত বুঝিয়ে ছিল যার কারণে পরবর্তীতে ম্যাথ সাবজেক্ট আপনার প্রিয় হয়ে গেছে। আসলে কোনো টিচার যদি চাই তাহলে যে কোনো ছাত্রকে ভালোমতো শিখিয়ে দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সেই ছাত্রেরও আগ্রহ থাকতে হবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বললেন দাদা এখন মার উঠে গিয়েছে এজন্যই পড়াশুনা আর আগের মতো নেই।আমাদের সময় এই মার খাওয়া থেকে বাঁচতে মূলত পড়াটা করতে হতো।প্রথমদিকে আপনার গনিত বিরক্ত লাগতো পরে গিয়ে এক স্যারের জন্য আপনার প্রিয় সাব্জেক্টে হয় গনিত। বাইয়োলোজি আর গনিত দুইটা আপনার পছন্দের সাবজেক্ট।একটি মুখস্ত করার আর একটি বুঝে করার বিষয়।আপনি অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন বুঝলাম এজন্য দুইটাই পারদর্শী।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ম্যাথে আমিও খুব কাঁচা। ম্যাথ না পারার কারণে ফিজিক্স সাবজেক্ট এও অনেক সমস্যা হতো। প্রাইমারিতে পাটিগণিত খুবই কঠিন লাগতো। তবে হাই স্কুলে ওঠার পর যখন বীজগণিত পেয়েছিলাম তখন কিছুটা সহজ ছিল। আসলেই বীজগণিত এবং ত্রিকোণমিতিতে সূত্র বসাতে পারলেই সলভ করা যায়। তবে কলেজে ওঠার পর আবার সেটাও খুব কঠিন হয়ে গেল। আর বায়োলজি সাবজেক্ট প্রথম থেকেই আমার খুব পছন্দের একটা সাবজেক্ট। এখানকার পড়াশোনা নিজের সাথে রিলেট করতে পারি যার কারণে এই সাবজেক্টটা আমার খুব ভালো লাগতো। আপনার প্রিয় দুইটা সাবজেক্ট সম্পর্কে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
কি যে বলেন দাদা, ম্যাথ কি কোন ভালো লাগার সাবজেক্ট হলো। আসলে প্রাইমারি স্কুলে যখন ছিলাম, তখন কিন্তু আমারও ম্যাথ খুবই ভালো লাগতো। এমনকি পরীক্ষায় একদম ১০০% আনসার করতাম। তেমনি রেজাল্ট বেশ ভালো হতো। কিন্তু হাই স্কুলে যাওয়ার পর ম্যাথ করতে একদমই ভালো লাগতো না। এরপরে যতটুকু পর্যন্ত গিয়েছি কোন রকমে। আপনার তো দেখছি প্রথমে খারাপ লাগা থেকে শুরু করে এরপরে ভালো লাগতে শুরু হয়ে গেছে। আবার দেখছি বেশ ভালোই নাম্বার পেতেন। তবে বায়োলজি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। আপনার কথাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
বেশ ভালো লিখলেন দাদা অনেকদিন পরেই জেনারেল রাইটিং। আপনার লেখাগুলোর মাধ্যমে আপনার দুটি প্রিয় সাবজেক্ট সম্পর্কে জানতে পারলাম। এক সময় দেখা যায় যে সাবজেক্ট গুলো সবচেয়ে বেশি কঠিন থাকতো সে সাবজেক্ট গুলো একদম পানির মত হয়ে যায়। অনেকেই থাকে ইংরেজিতে কাঁচা অথবা ম্যাথের মধ্যে একটু কাঁচা। কিন্তু একটি সময় এসে দেখা যায় সেই সাবজেক্টগুলো সবচেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে যায়। আপনার তো দেখছি ম্যাথ এবং বায়োলজি বেশ প্রিয় সাবজেক্ট হয়ে গেল। ভালো লাগলো আপনার পছন্দের সাবজেক্ট গুলো জানতে পেরে।
ম্যাথ এমন একটা সাবজেক্ট, বুঝতে পারলে একেবারে সহজ লাগে। আমি ক্লাস ৯ পর্যন্ত ম্যাথে অনেক কাঁচা ছিলাম। কারণ প্রাইভেট টিচার ভালো ছিলো না এবং আমি স্কুলে খুবই কম যেতাম। তো আমাদের হাইস্কুলের ম্যাথ টিচারের কাছে যখন প্রাইভেট পড়া শুরু করলাম,তখন ম্যাথ একেবারেই সহজ লাগতো। আর ম্যাথ করাটা আমার এক ধরনের নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে সবসময়ই ম্যাথে ভালো মার্কস পেতাম। যাইহোক ম্যাথ এবং বায়োলজি আপনার প্রিয় সাবজেক্ট ছিলো, জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। আমি কমার্সের স্টুডেন্ট ছিলাম, তাই বায়োলজি সম্পর্কে তেমন জানি না। কিন্তু হিসাববিজ্ঞান আমার খুব প্রিয় একটি সাবজেক্ট ছিলো। যাইহোক পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা। অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।