সবথেকে লো স্কোরিং রান নিউ ইয়র্কের পিচে
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। বর্তমানে টি২০ বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এইবার বিশ্বকাপ খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই হবে এবং সেটা প্রতিটা ম্যাচ। কারণ ইতোমধ্যে যে কয়টা খেলা হয়েছে তাতে সবগুলোই লড়াই সম্পন্ন খেলা ছিল। আর এইবার তো মনে হয় কোনো দেশ বাকি নেই, প্রায় সব দেশ ক্রিকেটে ঢুকে পড়েছে। উগান্ডাও চলে এসেছে, পরপর ক্রিকেট সমস্ত দেশের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে এখন। তবে এইবার বিশ্বকাপটা একটু কঠিন হবে কারণ, আমেরিকার পিচ বড্ডো জটিল আর সব থেকে বড়ো কথা, বাউন্ডারি অসম্ভব বড়ো। আর এতে বাউন্ডারি বের করা একপ্রকার মুশকিল সাদ্ধ বলা যায়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচ মোটামুটি ঠিক আছে এক্ষেত্রে। যাইহোক, গতকাল আমেরিকার নিউয়ার্ক পিচে খেলা হয়েছে। শ্রীলংকা আর সাউথ আফ্রিকার মধ্যে।
আর এই পিচে অনেক জটিলতা আছে যেটা খেলার মধ্যে বোঝা গেলো। কারণ এই পিচে যেমন একদিকে লেন্থ কড়া হচ্ছে আবার বাউন্স খাচ্ছে, তেমনি অনেক ক্ষেত্রে বল ডাউনও হচ্ছে। এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা রান করা নিয়ে। এতে যেমন একপ্রকার ব্যাটসম্যানরা রান করা নিয়ে ভুগতে থাকে আবার বেশিক্ষন টিকে থাকাও একটা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। তবে গতকাল শ্রীলংকা টসে জিতেছিল এবং সিদ্ধান্ত তো ঠিকই নিয়েছিল। কারণ এইরকম পিচে আর এতো বড়ো এরিয়ায় যদি রান একটু মোটামুটি তুলে দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে কিন্তু চেজ করা বিপক্ষ টিমের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমেরিকার এই পিচে একটা সমস্যা হচ্ছে যে, খেলা দেখে টি২০ খেলা মনে হচ্ছে না, যেন টেস্ট ম্যাচ খেলা চলছে, এইরকম রানের গতি।
গতকালকের ম্যাচে যেমন শ্রীলংকা ব্যাটিং করতে এসে যেনো সে, রান করতেই ভুলে গিয়েছে হা হা। রান তো হচ্ছেই না, উইকেট ঝপাঝপ পড়ছে। একপ্রকার পাওয়ারপ্লে ওভারে ২৪ রান, এটা কি আসলেই টি২০ বলা যায়! এই পিচে কালকে বাউন্ডারি বের করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে গিয়েছে সবাই। সবাই মোটামুটি ৬ বা ৪ মারতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দিচ্ছে আর পিচে এতো স্লোয়ার যে, বল তুলে মারতে গেলেই বাউন্ডারি আর পার হচ্ছে না। লাস্ট ১০ ওভারে ৪৪ রান, একটা লজ্জাজনক ব্যাপার হয়ে গিয়েছে বলতে গেলে। ৩১-৪০ রানের মধ্যে ৪ টা উইকেট গিয়েছে, সেখানে রান আর কিভাবে হতে পারে। তবে মেথুইস আর শানাকা এই দুইজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্লেয়ার ছিল, সেক্ষেত্রে খেলছিল ভালোই, কিন্তু উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে সে পার্টনারশীপও বেশিক্ষন টিকলো না।
এদের প্রথম থেকেই অবস্থা দেখে ভেবেছিলাম যে ১০০ হবে না, কারণ উইকেট অলরেডি ৯৫% পড়েই গিয়েছিলো আর বাকি যা ছিল সবাই পিউর বলার। ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায়, যা সব থেকে লো স্কোর এই বিশ্বকাপে। তবে এটাও মানতে হবে যে, সাউথ আফ্রিকা বোলিং এবং ফিল্ডিং বেশ ভালোই করেছিল। তবে এই পিচে একটা বিষয় যে, ফরম্যাট অনুযায়ী খেললে রান উঠবে না, ফরম্যাট ছাড়া খেলতে পারলে যদি কিছু হয়। এই রান চেজ আমি ভেবেছিলাম সাউথ আফ্রিকা পাওয়ারপ্লে ওভারেই বের করে দেবে। কিন্তু তা না, এই পিচে তাদেরও নাকানিচুপানি খেতে হয়েছে একপ্রকার। তাদেরও একই অবস্থা ছিল বলতে গেলে এই রান চেজে, ১০ ওভারে সাউথ আফ্রিকারও ৫০ রান পুরো হয়নি। এই রান তুলতে গিয়ে ১৫ ওভারও লেগে গিয়েছিলো।
তবে একটা ব্যাপার যে, সাউথ আফ্রিকার শ্রীলংকার মতো এতো দ্রুত উইকেট পড়েনি, যার কারণে এই ম্যাচ জিততে পেরেছে, কারণ পিচ যতই জটিল হোক, একটা ব্যাটসম্যান অনেক্ষন ধরে ঠুকে ঠুকে খেললেও সেট হয়ে যায়। এদেরও যদি উইকেট পড়তো ওইরকম, তাহলে এই রান চেজে তাদেরও অবস্থা ভয়ানক হতো, শেষ অব্দি দেখে যেটা মনে হলো। শ্রীলংকা যদি আরেকটু কষ্টমষ্ট করে ১২০-৩০ রান পর্যন্ত নিয়ে যেত, তাহলে খেলা একটা বেধে যেত। তার পরেও এই রানে লড়াই হয়েছে, শ্রীলংকা সহজে জিততে দেয়নি, বেশ অনেক্ষন ধরে চেপে রেখেছিলো তাদের।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গতরাতে খেলাটা আমি দেখছিলাম বলার জন্য বল যে সে যেন আমার নিজেরই ভয় লাগছিল। বিশেষ করে পাত্থিরানা যখন বল করছিল তখন বল গুলো এমন ভাবে বাউন্স করছিল যা দেখেই ভয় লাগার মত। এই রকম পিচ এ ব্যাট করা আসলেই অনেক কঠিন কাজ।
যতদূর জানি আমেরিকার পিচগুলো অস্ট্রেলিয়ার পিচের অনুকরণ করে তৈরি করা। এবং প্রস্তুতি ম্যাচ সহ গতকালের ম্যাচ থেকে এটা পরিষ্কার যে প্রতিটা পিচ বাউন্সি এবং পেস বোলার ফ্রেন্ডলি হবে। গতকাল শ্রীলঙ্কার অবস্থা একেবারে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আফ্রিকা ধরে খেলেছিল। সবমিলিয়ে ম্যাচটা যে ভালো লেগেছে সেটা বলব না।
এমন পিচে বোলারদের সুবিধার কোনো শেষ নেই। তবে ব্যাটসম্যানদের জন্য রান তোলাটা খুবই কষ্টকর। তাছাড়া এমন টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখলে এমনিতেই ঘুম পায়😂। যাইহোক ঠিক বলেছেন দাদা, শ্রীলংকা যদি ১২০-১৩০ রান করতো,তাহলে সাউথ আফ্রিকার খবর হয়ে যেতো। বাংলাদেশের প্রথম খেলা তো শ্রীলংকার বিপক্ষে। বাংলাদেশ যে কেমন পারফরম্যান্স করবে আমেরিকার পিচে, সেটাই ভাবছি। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।