কাঁকড়ার পিঠা রেসিপি
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো কাঁকড়ার পিঠা। ছোট কাঁকড়ার পিঠা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার খুবই প্রিয় এই কাঁকড়ার পিঠা, এই পিঠাগুলো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ভাত দিয়ে খেতেও খুবই ভালো লাগে, তবে শুধু খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আমি নরমালি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুধুই খেয়ে থাকি, ভাতের সাথে আমার কাছে অতটা ভালো লাগে না। এই পিঠাগুলো মুড়ির সাথেও খেতে বেশ ভালো লাগে, যেমন আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চপ খেয়ে থাকি, এটাও খেতে সেইরকমই লাগে। কাঁকড়ার পিঠা আসলে সবসময় খেতে মন চাইলেও এই ছোট কাঁকড়া তেমন হাতের কাছে সবসময় পাওয়া যায় না। মাঝে মধ্যে আমাদের এদিকে যখন বিক্রি করতে আসে, তখন আমরা বেশি করে কিনে রাখি। আমি মূলত এই ছোট কাঁকড়াগুলো বেশি করে কিনি সেদ্ধ করে গুলে খাওয়ার জন্য। এটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে, পোড়া লঙ্কা দিয়ে একটু ঝাল ঝাল করে খেলে সেই মজা পাওয়া যায়। যাইহোক, এই পিঠা তৈরিতে আমি নরমালি শুধু বেসনটাই ব্যবহার করেছি, তবে চালের গুঁড়া দিলেও ভালো হয়। এখন এই পিঠা তৈরি কিভাবে সহজে করলাম তার ধাপগুলো নিচে তুলে ধরবো উপকরণসহ।
✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠
❦এখন পিঠা তৈরির ধাপগুলো নিচে তুলে ধরলাম--
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
➤কাঁকড়াগুলো একটি পাত্রে করে ৩-৪ ঘন্টার মতো উষ্ণ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। এরপর জলের থেকে তুলে একটু ঠান্ডা করে সব কাঁকড়ার থেকে ঘিলু আর শাঁস বের করে নিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিয়েছিলাম।
➤পেঁয়াজ এর খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নেওয়ার পরে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো আলাদা করার পরে খোসা ছালিয়ে রেখেছিলাম। এরপর মিক্সারের বাটিতে দিয়ে দিয়েছিলাম, সাথে কাঁচা লঙ্কাগুলো।
➤মিক্সারে করে সব ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপর যে পাত্রে কাঁকড়ার ঘিলু আর শাঁস রেখে দিয়েছিলাম তাতে সেই পেস্টটা দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤পেস্ট দেওয়ার পরে তাতে লবন দিয়েছিলাম এবং পর পর হলুদ আর জিরার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে বেসন দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে তাতে সরিষার তেল হাতের মাপে দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সব উপকরণ একসাথে করার পরে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছিলাম। এরপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং গরম হয়ে আসলে পিঠার সাইজ করে তেলের উপর দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এইভাবে কয়েকবার দিয়ে দিয়ে পিঠাগুলো সব তৈরি করে নিয়েছিলাম এবং একটি পাত্রে পিঠাগুলো তেলের থেকে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
জীবনে প্রথম দেখলাম দাদা এই সুন্দর রেসিপি। চমৎকার ভাবে আপনি কাকড়ার পিঠা তৈরি করে দেখিয়েছেন। এত পূর্বে আমি কিন্তু কখনোই দেখিনি এভাবে বড়া জাতীয় পিতা তৈরি করতে কাঁকড়া দিয়ে। তবে নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। আপনাদের প্রিয় এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি কখনো ভাতের সঙ্গেও খাইনি কাঁকড়া তাই রেসিপিটি সম্পর্কে অবগত নই। কখনো খাইবা না খায় শিখে রাখা ভালো তাই ধাপে ধাপে পুরো রেসিপিটি দেখে নিলাম আশা করি তৈরি করতে পারব। যাইহোক ভাইয়া প্রতিবারের ন্যায় আজকেও অসাধারণ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হলেন পরবর্তী রেসিপির অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
কাঁকড়া দিয়ে যে পিঠা তৈরি করা যায় এটা আজকে প্রথম জানলাম দাদা। ছোট ছোট কাকড়া গুলো দিয়ে দারুন পিঠা তৈরি করেছেন। মনে হচ্ছে এই পিঠা খেতে দারুন লাগবে। যদিও কাঁকড়া খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। তাই এই পিঠার টেস্ট সম্পর্কে বুঝতে পারছি না দাদা। আসলে আমরা বাঙালিরা সবসময় ভিন্ন কিছু তৈরি করতে ভালোবাসি। আর নতুন নতুন খাবার খেতেও ভালোবাসি। কাঁকড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করার রেসিপি আমার কাছে একদমই নতুন মনে হয়েছে দাদা। তবে মনে হচ্ছে খেতে একেবারে পারফেক্ট হয়েছিল। কাঁকড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে এই পিঠাটি খেতে দারুন হবে। আর আপনার হাতের রান্না তো সবসময় সেরা হয় দাদা। কাঁকড়া দিয়ে পিঠা তৈরির রেসিপি আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
বাহ্! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। এই রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। কাঁকড়া আমার খুব পছন্দ। তবে কাঁকড়া ফ্রাই করে এবং কাঁকড়ার স্যুপ অনেক খেয়েছি। তবে কাঁকড়া দিয়ে তৈরি পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। পিঠা গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। বিকেলের নাস্তার জন্য পারফেক্ট একটা রেসিপি। এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দেখে তো চমৎকার মনে হল দাদা। তবে এভাবে এটা তৈরি করে কখন খাওয়া হয়নি কাঁকড়া। আপনি তো দেখছি বেশ মজার করে তৈরি করে নিলেন। আমার কাছে আপনার আজকের শেয়ার করার রেসিপিটি একদম ইউনিক মনে হয়েছে। কাঁকড়া বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় সেটা জানি। তবে এভাবে যে ঝাল করে পিঠা তৈরি করে খাওয়া যায় সেই আইডিয়াটা জানা ছিল না। তবে ভালো লেগেছে আপনার মাধ্যমে অনেক ইউনিক একটি রেসিপি জানতে পারলাম। আপনি তো দেখছি বেশ পছন্দ করেন কাঁকড়া খেতে।
কাঁকড়ার পিঠা এই রেসিপি টা আমার কাছে একেবারেই নতুন লেগেছে। তবে রেসিপি টা বেশ দারুণ। এর আগে কাঁকড়ার ঝোল বা কাঁকড়ার ফ্রাই দেখেছি। কিন্তু কাঁকড়ার পিঠা রেসিপি টা এই প্রথম দেখলাম। রেসিপি টা বেশ চমৎকার ছিল দাদা। এবং পিঠা টা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে কাঁকড়ার পিঠা রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। একেবারেই ইউনিক ছিল রেসিপি টা।
সত্যি বলতে কাকড়ার কোন রেসিপি আমি এখন পর্যন্ত খেতে পারিনি কারণ আমাদের এলাকায় কাঁকড়া পাওয়া যায় না। যেহেতু খাইনি তাই এই রেসিপিটির টেস্ট সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই তবে তেলে ভাজা রেসিপি হিসেবে খেতে বেশ মজা হবে এটা বলা যায়। যদি ভুল না বলি তাহলে এটা অনেকটাই চিংড়ি চপের মত টেস্ট বোধ হয়।
দাদা আজকে আপনি বেশ ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার এই ইউনিক রেসিপি তৈরি করা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগেছে। এভাবে কখনো আমার কাঁকড়ার পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয়নি, এমনকি এটির নামও শুনিনি কখনো। তবে সর্বপ্রথম আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে এই রেসিপিটার কথা জানতে পারলাম। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে আমার কাছে কিন্তু অসম্ভব ভালো লেগেছে। প্রতিনিয়ত আপনি ইউনিক রেসিপি গুলো শেয়ার করেন যেগুলো দেখলে লোভ সামলানো যায় না। অন্যান্য দিনের মত আজকের রেসিপিটা দেখতেও অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। ছোট ছোট কাঁকড়া গুলো আপনাদের ওইদিকে যখন বিক্রি করতে আসে, তখন আপনি বেশি করে কিনে রাখেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। আর আপনি এগুলো বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেয়ে থাকেন এটা জেনে তো আরো বেশি ভালো লেগেছে। আর দেখছি এই পিঠাগুলো ও বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আপনি এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আমি যদি কখনো পারি তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করব এটি তৈরি করা। কারণ এই রেসিপিটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।
দাদা কাঁকড়া আমি অনেক বেশি পছন্দ করি খেতে। আমি বেশ কয়েকবার কাঁকড়া খেয়েছি, তবে এভাবে কখনো আমার খাওয়া হয়নি। কাঁকড়া কিন্তু বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু হয় এবং খেতে অনেক ভালো লাগে। কাঁকড়ার পিঠা রেসিপিটা বেশ ইউনিক ছিল। আর এরকম ইউনিক রেসিপি গুলো দেখলে সবারই ইচ্ছে করবে খেয়ে নিতে। আমার তো এখন ইচ্ছে করছে কয়েকটা পিঠা নিয়ে খেয়ে ফেলতে। বিভিন্নভাবে কিন্তু এই পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগবে বলে আমার মনে হচ্ছে। আমাদের এদিকে এরকম কাঁকড়া গুলোও একেবারেই পাওয়া যায় না। যার কারণে একেবারেই খাওয়া হয়না। তবে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কারণে খাওয়া হয়েছিল কয়েকবার। দাদা আপনি যে ইউনিক রেসিপি গুলো তৈরি করেন সেগুলো দেখলে লোভ সামলাতে পারি না। মজাদার এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে দেখে ভালো লেগেছে। আপনার পরবর্তী ইউনিক রেসিপি দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।