ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ১: পর্ব ৬ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির ষষ্ঠ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "স্পিরিট & ঘোস্টস"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে ওই লোকটাকে সেলের ভিতরে মেরে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। আজকে এই পর্বে দেখবো ঘটনা কি ঘটতে চলেছে।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☀মূল কাহিনী:☀
তো মোস্তাক আর তার এক অফিসার পরিকল্পনা করতে থাকে যে, ওখানে তাকে মেরে দিলে কোনো সন্দেহ হবে না কারো। কিন্তু মোস্তাক তার কোথায় তেমন গুরুত্ব দেয়নি, কারণ এটা অনেকটা রিস্ক এর একটা কাজ। এমনিতেই একটা কেসে ফেঁসে আছে, আর তারপরে যদি আরো একটি কেসে ফেঁসে যায়, তাহলে সব যাবে। এখন এই সেলের ভিতরে কয়েদীগুলো আরো ক্ষেপে উঠেছে, বিশেষ করে এই মোস্তাকের উপর। কারণ তারা মেনেই নিয়েছে যে তাদের হারিয়ে যাওয়া বাবা অনেকদিন পরে ফিরে এসেছে তাদের দিক নির্দেশনা দিতে। এখন তার উপর যে মোটামুটি একপ্রকার অত্যাচার চলছে, সেটা তাদের আবার কানেও গিয়েছে। তাই তারা সবাই একটা টিম গঠন করে প্রতিবাদ জানানোর জন্য।
এদিকে সেখানে আবার মোস্তাকের নিজের ছেলে আছে, তার বাবার নামে নিন্দা শুনে আরো বেশি ক্ষেপে যায় আর সেখানেই মারামারি লাগিয়ে দেয় সবার সাথে। এই নিয়ে অনেক আহতও হয়। একটা কেসে নিজের ছেলেকে ইনফর্মার বানিয়ে এখন এমন ফাঁসা ফেঁসেছে যে, নিজের ছেলেকেই ছাড়াতে পারছে না। এদিকে যে মোস্তাকের বন্ধু এই কেসটা নিয়ে সল্ভ করার চেষ্টা করছে, সেটাও একপ্রকার নাকে দম করে রেখেছে বলা যায়। কারণ একটা কেসও সঠিক ভাবে সল্ভ করতে পারছে না, যে কেসে হাত দেয় সেটাতেই অর্ধেক করে বসে থাকে। মাহিয়াকে পরে ফোর্স করে ডেকে আনে লোকটার সাথে কথা বলার জন্য ঠিকই, কিন্তু লোকটাকে কি জিজ্ঞাসা করবে!
তার আগেই সে বলে দিচ্ছে তাকে যে ধন্যবাদ এখানে আমাকে ভালো খাবার দেওয়ার জন্য এবং ভালো জায়গায় রাখার জন্য। এই কথাটা বলার একটাই কারণ ছিল যে, সে আগে যে জেলে ছিল সেখানে এইরকম উন্ননতমানের খাবার বা থাকার ব্যবস্থা ছিল না অর্থাৎ আন্দামানের সেই আদিবাসীদের সেলুকাস নামের কি জেল নাকি সেটাতে। তবে মোস্তাক তার উপর অসম্ভব রেগে থাকে আর গায়ে হাতও তোলে। আর তার এক অফিসার আবার মাহিয়ার উপর গরম দেখায়, কিন্তু এটা করলে তাদেরই বিপদ, কারণ এই কথা বাইরে বলে দিলে নিজেরাই সমস্যায় পড়ে যাবে। অনেক ভাবে ম্যানেজ করে তাদের এবং আবারো মোস্তাককে বলে সে রাজি থাকলে সেলের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তার ব্যবস্থা সে নিজেই করতে পারবে।
☀ব্যক্তিগত মতামত:☀
এই পর্বে আসলে তেমন বিশেষ কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে একটা বিষয় তারা জানতে পেরেছে যে, তাদের যে ফুটেজগুলো লিক হয়েছে সেটা ভিতরের থেকে হয়নি, কারণ এটা সম্ভব না। ফলে ওই মহিলার যে ফুটেজ লিক হয়েছে ওটা বাইরের কেউ একজন করেছে। এখন এই রিপোর্ট তারা কিভাবে সাবমিট করবে সেটা বুঝতে পারছে না, কারণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ এসেছে আবার যে কিছু কিছু কয়েদিদের অন্যত্র ট্রান্সফার করার জন্য। এই লোকটার সেলের সামনে একজন ফকির বাবা এসে আবার কিছু বকবক করে গিয়েছে অর্থাৎ সে কিভাবে এসেছে বা এখানে জীন-ভূতের কি রহস্য এইসব। এই পর্বে আসলে তেমন কিছু জানা যায়নি, দেখা যাক এই সিজনের শেষ পর্বে কি ঘটনা সামনে আসে।
☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀
৭.৭/১০
☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মোস্তাক তো সবদিক দিয়েই ঝামেলায় পরেছে তাহলে। একদিকে এই লোকটার কোনো সমাধান বের করতে পারছে না। আবার সেই মহিলার সিসিটিভির ফুটেজ লিক নিয়ে ঝামেলা, তাছাড়া মোস্তাকের ছেলেও জেলের মধ্যে রয়েছে। সেই লোকটাকে মেরে ফেললে ঝামেলা আরও বাড়বে। কারণ সেলের ভিতরের কয়েদীগুলো আরও ক্ষেপে যাবে। এতে করে খবরটা বাহিরে ছড়িয়ে যাবে। পরবর্তীতে মোস্তাকদের আরও সমস্যায় পরতে হবে। তবে লোকটা জেলের মধ্যে বেশ ভালোই আছে। ভালো ভালো খাবার পাচ্ছে এবং ভালো জায়গায়ও থাকতে পারছে। সে তো মনে মনে খুব খুশি তাহলে। এই পর্বে আসলেই তেমন বিশেষ কিছু ঘটেনি। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। তবে এই ওয়েব সিরিজটি বেশ উপভোগ করছি দাদা। আপনি সবসময়ই চমৎকার ভাবে ওয়েব সিরিজ এবং মুভির রিভিউ শেয়ার করে থাকেন। যাইহোক এতো সুন্দর একটি ওয়েব সিরিজের রিভিউ, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা এই পর্বের নামটা অনেক কঠিন "স্পিরিট & ঘোস্টস"। যার অর্থ বুঝা আমার পক্ষে অসম্ভব। কারন আমার ছোট নলেজে এত গভীরের অর্থ ঢুকে না। তবে এই পর্বে আশানোরুপ কোন তথ্য পেলাম না। রহস্যটা রহস্য হয়েই রয়ে গেলো। তবে এই পর্বে একটি বিষয় বুঝা গেছে যে মোস্তাক দুইটা সমস্যায় পড়েছে। এক হলো অদ্ভুত কয়েদিকে নিয়ে আর দ্বিতীয় হলো তার ছেলেকে নিয়ে। সে না পারছে চঞ্চল চৌধুরীকে মারতে আবার না পারছে তাকে ছাড়তে। আবার অন্য দিকে ছেলেকে ছাড়াতে পাড়ছে না। বরং ছেলে আবার তার বাবার পক্ষ হয়ে অন্য কয়েদিদের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মোস্তাকের এখন রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ কিভাবে পালন করবে,মোস্তাক সেই উপায় খুঁজতেছে। মাহিয়াকে দিয়েও কোন তথ্য বের করা যাচ্ছে না। সেও কি করবে। সে তার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন পরের পর্বে কোন তথ্য পায় কি না সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ধন্যবাদ দাদা।
@winkles দাদা এটা তো ওয়েব সিরিজের ৬ তম পর্ব। কিন্তু টাইটেলে ৭ লেখা আছে। হয়তো মিস্টেক হয়েছে এটা, আশা করছি একটু দেখে ঠিক করে নিবেন।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার সিজন এক এর রিভিউ শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আমার কাছে ছয় তম পর্বের রিভিউ পোস্ট পড়তে সত্যি খুব ভালো লেগেছে দাদা। দাদা এই পর্ব তো দেখছি অন্যগুলো পর্বের মতো তেমন কোনো বিশেষ ঘটনাই ঘটেনি। ওই ফুটেজে দেখছি বাহিরে থেকেই কেউ কিছু একটা করেছিল। কারণ ভেতরে তো এরকম কোন জায়গায় ছিল না অর্থাৎ এটা ভেতরে থেকে হওয়া সম্ভব একটা কাজে না। রিপোর্ট তারা সাবমিট ভালোভাবে করতে পারবে কিনা এটাই এখন দেখতে হবে। আর এটা কিভাবে করবে আমি নিজেও বুঝতেছি না দাদা। এখন তো দেখছি এখানে আরো একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ফকির বাবাটা এসে বিভিন্ন রকম কথা বলে গিয়েছিল ভূত জ্বীনের কথা কি বলেছিল এটাই তো বুঝলাম না। এখানে জ্বীন ভূতের কি রহস্য রয়েছে এটা দেখতে হবে এখন। এই সিজনের শেষ পর্বের ঘটনাটা জানার জন্য অনেক বেশি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। দাদা আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই এটার পরবর্তী পর্ব সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম দাদা এই সিজনের শেষ পর্বের রিভিউটা পড়ার জন্য। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে দাদা।
@narocky71 হ্যা, এটা একটু মিস্টেক হয়ে গিয়েছিলো। ধন্যবাদ ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
দাদা অনেক ভালো লাগতেছে এই কারাগার ওয়েব সিরিজটার পর্বগুলোর রিভিউ যত পড়তেছি ততই। এই ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আর ৬ তম পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এই পর্বের নামটা দেখছি একটু অন্যরকম ছিল। "স্পিরিট & ঘোস্টস"এই নামটা কঠিনও ছিল বটে। আমি তো শুধু এটা ভাবছিলাম তাকে কি আসলেই মেরে ফেলা হবে কিনা। কারণ গত পর্বে যেরকম ভাবে দেখেছিলাম তারা তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল। তবে এই পর্বের দেখছি তেমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। বাহিরের কোন একজন ওই ফুটেজ তাহলে লিক করেছিল। যেহেতু ভিতর থেকে কাজটা করার কোন সম্ভাবনা ছিল না। শেষে দেখলাম আরো একটা কান্ড ঘটে গিয়েছিল। অর্থাৎ জ্বীন ভুতের ব্যাপারটা এখানে কেন আসলো, এটাই তো বুঝে উঠতে পারতেছে না এখনো পর্যন্ত। আর ওই ফকির বাবাটাইবা কে হতে পারে?? হঠাৎ করে এসে এরকম কথাই বা সে কেন বলল?? আশা করছি এসব কিছু এই সিজনের শেষ পর্বে ক্লিয়ার হবে দাদা। এখন এটা দেখার জন্যই অপেক্ষা করতে হবে।