ওয়েব সিরিজ রিভিউ: দুর্গ রহস্য ( পর্ব ৫ )

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'দুর্গ রহস্য' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "কলমচর"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ খানিকজন মারা গিয়েছিলো এবং তার মধ্যে রামবিনোদের খুনের এই কাহিনী নিয়ে তদন্ত করতে দেখা যায় ব্যোমকেশের। আজকের এই পর্বে দেখবো যে, কাহিনীটা কি হতে চলেছে।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
দুর্গ রহস্য
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
কলমচর
পরিচালকের নাম
সৃজিত মুখার্জী
অভিনয়
অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জী, সোহিনী সরকার, চন্দন সেন, বিপ্লব চ্যাটার্জি, দেবেশ রায়চৌধুরী, দেবরাজ ভট্টাচার্য, অনুষা বিশ্বনাথন ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১৯ অক্টোবর ২০২৩( ইন্ডিয়া )
সময়
২৭ মিনিট ( পঞ্চম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


☀মূল কাহিনী:☀


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই পর্বে দেখা যায় যে, জঙ্গলের ভিতরে একজন যে সাধু বসে ছিল তার কাছে একজন হাবিলদার যায়। আর এই হাবিলদার ব্যোমকেশ এবং পান্ডের নির্দেশেই মূলত সেখানে যায় খুনের বিষয়ে জানতে অর্থাৎ সে কিছু দেখেছে কিনা। কিন্তু সাধু তার মতো ধ্যানে বসেই আছে কোনোরকম উত্তর না দিয়ে। এরপর সেই হাবিলদার গ্রামের একজন লোকের সাথে কথা বলতে যায়, কারণ বেদে লোকজনদের কাছে ওই মহল থেকে কারা কারা যেত সেই ইনফরমেশনগুলো তাদের জানার প্রয়োজন ছিল। তো ওই লোকের কথা অনুযায়ী মূলত সবাই সেখানে যাওয়া আশা করতো আর সব তাদের বাড়ির চাকর গণপতি নামের একজন যাওয়া আশা করতো। সেটা যেকোনো কারণে হতে পারে, যেমন বিষ আনতেও যেতে পারে। এই লোকটাও যেত সেখানের একজন বুড়ির সাথে দেখা করে হাত দেখাতে অর্থাৎ তার হাতের রেখায় নাকি জমিদার হওয়া লেখা আছে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

যাইহোক, এইসব আবোলতাবোল কথা শুনে হাবিলদার সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় যে, ব্যোমকেশ আর তার বন্ধু একসাথে সেখানে বসে গুপ্তধনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগে অর্থাৎ ওই সময়ে সৈন্যরা তাদের উপর অত্যাচার করার চাপে হয়তো গুপ্তধনের সন্ধান বলে দেয় আর সবকিছু লুটে নিয়ে যায়। কিন্তু এই মহলে বর্তমানে যারা আছে তাদের ধারণা যে গুপ্তধন কোথাও না কোথাও লুকানো আছে। এরপর এই আলোচনা করতে করতে পান্ডে বাবু আর সাথে করে ব্যোমকেশের ওয়াইফকেও নিয়ে আসে। এরপর দেখা যায় তার ওয়াইফ রুমে গিয়ে যখন পরিষ্কার করতে থাকে, তখন দেওয়ালের কোথাও হাত লেগে একটা দরজা মতো খুলে যায় অর্থাৎ ওইটা ছিল একটা সরাইখানা, যেটা আগের রাজা বাদশারা কোনো গুপ্তধন বা কোনো কিছু লুকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করতো।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এরপর তারা সবাই সেই সরাইখানায় প্রবেশ করে এবং সিঁড়ি বেয়ে নিচে গিয়ে দেখে, ওখানে বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি বা রাখার কাজে ব্যবহার করা হতো। যেমন বিভিন্ন অস্ত্র ঝালাই বা তৈরি করার জন্য হাপর রাখা আছে আর সেখানে অনেক কিছুই আছে, যা বেকার হয়ে বছরের পর বছর পড়ে আছে। এখন ওখানে গুপ্তধন রাখার জন্য যেসব পাতিল বা হাড়ি ব্যবহার করতো, সেগুলো সাধারণত সব ফাঁকা দেখে তাদের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগে অর্থাৎ এখানে এটাও হতে পারে যে, সৈন্যরা সব নিয়ে পালিয়েছিলো বা ঈশান মাস্টারকে যারা খুন করেছিল তারা নিতে পারে বা রাজারাম এইসব গুপ্তধন এখান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রেখেছে সুরক্ষা হিসেবে।

☀ব্যক্তিগত মতামত:☀

এই পর্বে আসলে কলমচর এর বিষয়টা হলো তাদের বাড়িতে মাস্টারকে নিয়ে। অর্থাৎ এখানে যে মাস্টার থাকতো আর কুসুম নামের এক মেয়ে তাকে ভালোবাসতো। কিন্তু তাদের বাড়ির কেউ সেইটা মেনে নিতে পারতো না। এখন কুসুম একদিন একটা কলম যেটা আবার সাধারণ কলম না, সেই একটা কলম তাকে দেয়। এখন এই কলম মাস্টারের হাতে দেখে তার দাদা আর বাড়ির অন্যরাও সন্দেহ করে যে এই মাস্টার কলম চুরি করেছে। আর তার জন্য তাকে বিভিন্ন ভাবে চোরের অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এইটাই ছিল কলমচরের মূল ঘটনা। এখন ব্যোমকেশ আর পান্ডে এর সামনে এই সরাইখানা খুলে যাওয়ায় একটা নতুন রাস্তা খুলে গিয়েছে। অর্থাৎ এই গুপ্তধন এখন রাজারাম অন্য কোথাও কিভাবে রেখেছে সেই সন্দেহের উপরে কাজ করবে মনে হচ্ছে। কারণ তাদের সামনে তিনটি পথ, যার মধ্যে এই একটা সন্দেহের তালিকায় আছে যে, না এখনো গুপ্তধন এই দুর্গেই কোথাও লুকায়িত আছে।

☀ব্যক্তিগত রেটিং:☀

৮.৯/১০

☀ট্রেইলার লিঙ্ক:☀


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 11 months ago 

দাদা এই পর্বটা কলমচর দিয়ে শুরু হলেও ভিতরে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। মুভিটাতে মুহর্তে মুহর্তে নতুন দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যোমকেশ এবং পান্ডের নির্দেশেই হাবিলদার যে এখানে সেখানে ঘুরছে ,সে কোন তথ্য বের কতে পারবে বলে মনে হয় না। জঙ্গলের ধ্যান মগ্ন সাদু তো কোন কথাই বলে নাই। আর ঐ গ্রামে বেদে পল্লিতে গেছে সেখানে হাবিলদার উল্টা পাল্টা কথা শুনে চলে এসেছে। এখন ব্যোমকেশের ওয়াইফ আবার ঘর ঝাড়ু দিতে গিয়ে কিছুটা তথ্য খুজে পেয়েছে। সে জমিদারের সরাই খানার সন্ধান খুজে পেয়েছে। তারা সবাই সেই সরাইখানায় প্রবেশ করে চেক করেছে। রহস্যের বিষয় হলো সেখানে কোন গুপ্তধন নেই। কেউ বা কারা সেখান থেকে গুপ্তধন সরিয়ে অন্য কোথাও রেখেছে। এখন দেখা যাক কিভাবে সেই গুপ্তধনের সন্ধান সহ খুনের রহস্য খুজে বের করতে পারে কি না। আর মাস্টার আর কুলসুমের কাহিনীটা পড়ে খারাপ লাগলো। মাস্টার কি আর জানতো যে কুলসুমের দেওয়ার কলম অন্য মানুষেরা দেখলে তাকে চোর বলে অপবাদ দিবে। জানলে তো মাষ্টার সেই কলম মানুষের সামনে বের করতো না। এখন মাষ্টার কোথায় আছে,সেটা বুঝা যাচ্ছে না। মাষ্টার থাকলে হয়তো কিছুটা তথ্য পাওয়া যেতো। দুর্গ রহস্যের মধ্যে এত রহস্য আগে জানতাম না। ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

দাদা আপনার ওয়েব সিরিজের রিভিউ গুলো আমি প্রতিনিয়ত পড়ার চেষ্টা করি। আপনি সব সময় অনেক সুন্দর সুন্দর ওয়েব সিরিজ এর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। দেখতে দেখতে দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। কলমচর পর্বটা কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল আর এই পর্বের মাধ্যমে কলমচর বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মাস্টার কে কুলসুম অনেক বেশি ভালোবাসতো। আর এই জন্যই তো সে তাকে কলম দিয়েছিল। তবে এই সম্পর্কটা দেখছি তার ফ্যামিলির মানুষ মেনে নেয়নি। আর তার কাছে ওই কলমটা দেখে তারা থাকে চোর অপবাদ দিয়েছিল। এখন তো দেখছি তারা অন্য সন্দেহের উপরে কাজ করবে। তাদের সামনে যে তিনটি পথ রয়েছে, এই তিনটির মাধ্যমে তারা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কি হতে চলেছে এটাই ভাবছি। এখন এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব করার জন্যই অপেক্ষায় রয়েছি দাদা। শেষ পর্যায়ে কি হয় এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

 11 months ago 

দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে, দুর্গ রহস্য ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বটার নাম ছিল কলমচর। তাদের বাড়িতেই মাস্টারকে নিয়ে দেখছি, কলমচর এই ঘটনাটা ঘটেছিল। কুলসুম নামের ওই মেয়েটা দেখছি মাস্টারকে ভালোবাসতো। কিন্তু তাদের বাড়ির কেউ এটা মেনে নিতে পারত না। আর কুলসুম একদিন ওই কলমটা তাকে দিয়েছিল, যেটা কোনরকম সাধারণ কলম ছিল না। আর মাস্টারের হাতে কলমটা দেখার কারণে মাস্টারকে দেখছি বিভিন্ন রকম ভাবে চোরের দোষারোপ দিয়েছিল। এবং কি চোরের অপবাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। গুপ্তধন এখনো দুর্গের কোথাও রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করতেছে দেখছি। মনে হচ্ছে এরকম কিছুই হবে। শেষ পর্যন্ত কি হয় আমি তো শুধু এটাই ভাবছি। আরো অনেক রহস্য রয়েছে। দেখা যাক এই রহস্য গুলোর মুখোমুখি তারা হতে পারে কিনা। দাদা আশা করছি পরবর্তী পর্বগুলো আপনি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন। আপনার লেখা এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 75751.82
ETH 2893.02
USDT 1.00
SBD 2.61