দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ৭ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর আরো কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। এই পর্বে বনগাঁর একটি স্থানের দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরবো। আমাদের কলকাতার মতো বনগাঁতেও অনেক ভালো দূর্গা পুজো হয়ে থাকে আর সেখানেও প্রচুর লোকজনের সমাগম হয়ে থাকে। বনগাঁ আসলে আমাদের এখানে কলকাতার থেকেও অনেকটা দূরে, সময়ও লাগে। বনগাঁতে প্রথমে আমি স্টেশনে নেমে একটি প্যান্ডেল দেখতে পেলাম আর সেখানে সবাই যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলাম। মূলত স্টেশনের পাশে এই ক্লাবটিতে কোনোবছরই তেমন দেখা হয়ে ওঠে না, কারণ সবার শেষে একবারে দেখে ট্রেনে করে বাড়ি যাবো সেই ভেবে আগে দূরের থেকে দেখা শুরু করে দেই।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আর শেষে পা ব্যাথা হয়ে যাওয়ায় আর বলতে গেলে সারা রাত দেখে আর ধারে কাছের প্যান্ডেলও দেখতে ইচ্ছা হয় না, মনে হয় ট্রেনে উঠতে পারলে রক্ষা পাওয়া যায়। যাইহোক, এই ক্লাবটার নাম হলো "বৈজয়ন্ত ক্লাব" আর থিমটা ছিল এইবারে "ত্রাণ"। এখানে মূলত প্রতিবারই ছোটোখাটো করেই করে থাকে, তবে ভালোই করে। এইবারের সাজানোটা দেখতেও ভালো লাগছিলো প্যান্ডেলের ভিতর এবং বাহির। লোকজনের লাইনও ছিল ভালো, মূলত পুজোতে যে প্যান্ডেলে বেশি লাইন থাকে, দেখে যেন মনে হয় এটা মনে হয় ভালোই করেছে, নাহলে এতো লাইন হওয়ার কথা না।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আসলে ডিজাইনের দিক থেকে দেখতে যত সুন্দর হয় দেখতেও ততটা আকর্ষিত হয়ে থাকে। প্যান্ডেলের মুখ্য দুয়ারে ভালো একটি মূর্তির ডিজাইন করেছে, আর এটি আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো, মূলত এই মূর্তির জন্যই প্যান্ডেলের বিষয়টা ভালো লাগছিলো। সাধারণত দেখে মনে হলো, বেশিটাই বাঁশ, কাঠ এইসব ব্যবহার করেছে এখানে। এই বছর ত্রাণের এই বিষয়টা অনেক ইউনিক একটা চিন্তাভাবনা আর আমরা সাধারণত ত্রাণ অর্থ যেটা জানি সেইরকমই কিছু একটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানে ভিতরে যে ল্যাম্পোস্টগুলো দেখা যাচ্ছে, মূলত এইগুলো বাঁশের মাধ্যমে কিছু হ্যারিকেন এর মতো তৈরি করেছে আর সেইগুলো চটের কোনো ব্যাগের মাধ্যমে মুড়িয়ে দিয়েছে আর ভিতরে বাল্ব আকারের জ্বালিয়ে দিয়েছে। একসাথে অনেকগুলো দেখতেও অনেক সৌন্দর্যপূর্ণ দেখাচ্ছিল। তাছাড়া তার মাঝে মায়ের মূর্তিটাও ভালো লেগেছে। যাইহোক, এখানে কিছুক্ষন বাইরে আবার মেলার মধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করে বেরিয়ে এসেছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
দাদা আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে দুর্গাপুজো ২০২৩ এর সপ্তম পর্ব শেয়ার করেছেন, যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দুর্গাপুজোর প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে, যার কারণে সপ্তম পর্বের জন্য এই কয়েকদিন অপেক্ষায় ছিলাম দাদা। আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে সপ্তম পর্ব শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বের মাধ্যমে আগের মত অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। বনগাঁর একটি স্থানের দুর্গা পূজোর অনেক সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। অনেক সুন্দরভাবে সম্পূর্ণটা সাজানো হয়েছে। লাইটিং যেমন সুন্দর হয়েছে, তেমন প্যান্ডেল সাজানোটাও অসম্ভব দারুন হয়েছে। ল্যাম্পপোস্ট গুলো সত্যি অনেক দারুন লাগতেছে দাদা। সবকিছুর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে, আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে এরকম আরো সুন্দর সুন্দর আলোকচিত্র আমরা দেখতে পাবো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৈজয়ন্ত ক্লাব পুজোর প্যান্ডেলটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে হারিকেনের মতো ল্যাম্প পোস্ট গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আসলে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করে ধর্মীয় উৎসবটি আকর্ষণীয়ভাবে উদযাপন করতে। দুর্গাপূজার চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দাদা দেখতে দেখতে আপনি পুজো পর্বের ৭ম পর্বে চলে এসেছেন। আপনার প্রতিটি পুজো পর্বের ফটোগ্রাফিই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর আজ তো বনগাঁর দূর্গা পুজোর কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বেশ সুন্দর ছিল আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফি। এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বেশিরভাগ সময় কাছের জিনিসের চেয়ে দূরের জিনিসের প্রতি আমাদের আগ্রহ বেশি থাকে। যাইহোক বনগাঁর একটি জায়গায় দূর্গা পূজা উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করেছে বৈজয়ন্ত ক্লাব। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। তাদের থিমটা এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম এই পোস্টটি দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা, পুজো দেখতে সেই এত দূরে গিয়েছিলেন। তবে তারপরেও যে বেশ ভালো সময় কেটেছে আপনার, সেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। পুজো প্যান্ডেলের ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জা ছিল একদম অসাধারণ । সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম ব্লগটা।
শুভেচ্ছা রইল 🙏
দাদা দুর্গাপুজোর সময় নিশ্চয়ই আপনি অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন। আমার মনে হয় আপনারা দুর্গাপুজোর সময় অনেক জায়গায় গিয়ে থাকেন সব সময়। আপনাদের দুর্গাপুজোর সময় সব জায়গায় দারুন দারুন প্যান্ডেল করে। বনগাঁর একটি স্থানের দুর্গাপুজোর আলোকচিত্র দেখে তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলাম। এই প্যান্ডেলটা সবথেকে সুন্দর হয়েছে এটা বলতে হচ্ছে। ল্যাম্পপোস্টের ব্যাপারটা কিন্তু সত্যি অনেক দারুন ছিল দাদা। এই বিষয়টা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। প্যান্ডেলের মুখ্য দুয়ারে মূর্তির ডিজাইন করা হয়েছে দেখে আমার কাছেও দেখতে ভালো লেগেছে দাদা। আসলে এটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগতেছে দাদা। এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, এটা আমি ফটোগ্রাফিতে দেখেই মুগ্ধ হয়েছি। আপনি তো সরাসরি দেখে নিশ্চয়ই আরো বেশি উপভোগ করেছিলেন। মূর্তির জন্য আসলেই প্যান্ডেলের দৃশ্যটা সুন্দর লাগছিল অনেক বেশি। ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আশা করছি পরবর্তীতে অন্য একটা স্থানের দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আমাদের সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন।
দাদা দেখতে দেখতে আমরা দূর্গাপুজো পর্ব-৭ দেখে ফেললাম। আজকে দারুন একটি ক্লাবের ফটোগ্রাফি দেখলাম। যেটা বনগাঁতে অবস্থিত। ক্লাবটার নাম হলো "বৈজয়ন্ত ক্লাব" যার থিম ছিল "ত্রাণ"। এসব পরিচিত জায়গাতে মূলত প্রতিবারই ছোটোখাটো করেই পুজো করা হয়ে থাকে, তবে ছোট হলেও দেখতে ভালোই লেগেছে। আমিও ফটোগ্রাফি দেখে যা বুঝতে পারলাম স্টেজের পিছনে বাঁশ দিয়ে সাজানো হয়েছে। এমন ভাবে বাঁশ গুলো বিছানো হয়েছে দেখে একটু আজবই লাগলো। কেমন একটি গম্ভির গম্ভির ভাব রয়েছে। আর লাইটিংও করেছে খুব সুন্দর ভাবে। উপরের লাইট গুলো ফানুসের মত করে সাজিয়েছে। তবে দেখে মনে হয় প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে লেম্প গুলো ডেকে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বস্তার ভিতরে লেম্প রেখে উপর দিয়ে মুখ বেধেঁ দেওয়া হয়েছে। নরমাল জিনিষ হলেও চিন্তাটা কিন্তুু দারুন ছিল। মানুষের কোলাহল ভালোই দেখা যাচ্ছে। প্রতি বছরই মানুষ দেখতে আসে কোন নতুন কিছু করা হয়েছে না কি। সেই উদ্যেশ্যই মানুষের উপস্থিত বাড়ে। যায়হোক মোটামুটি ভালোই আয়োজন করেছে বৈজয়ন্ত ক্লাবের সদস্যরা। ধন্যবাদ দাদা।