ওয়েব সিরিজ রিভিউ: পর্ণশবরীর শাপ ( পর্ব ১ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'পর্ণশবরীর শাপ' ওয়েব সিরিজটির প্রথম পর্ব শেয়ার করবো। এই পর্বের নাম হলো "অভিশপ্ত চমকপুর"। এই ওয়েব সিরিজটির কাহিনী ভৌতিক। প্রথম পর্বে এই চমকপুরের কাহিনী কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☫মূল কাহিনী:☫
চমকপুরের জঙ্গলে প্রথমত একটি লোককে রাতের অন্ধকারে কাউকে খুঁজতে দেখা যায়, মূলত তার বান্ধবী সেখানে হারিয়ে যায় আর খুঁজে পায় না। রাতের দিকে গভীর জঙ্গলের ভিতরে একা একা যাওয়া একটা ভীষণ রিস্কের বিষয়, কিন্তু সে তার বন্ধুকে না খুঁজে ফিরবে না। আর এই চমকপুরের জঙ্গলটা খুবই ভয়ানক, কারণ সেখানকার লোকমুখে শোনা যে, এখানে একবার যে হারিয়ে যায় তাকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব, কারণ সে আর জীবিত ফিরে আসে না। এখন সেই লোকটা খুঁজতে খুঁজতে অনেকটা গভীরের দিকে চলে যায় আর যেতে যেতে একটা নুপুর পায় অর্থাৎ তার বান্ধবীর। এরপর সেখানে দাঁড়াতেই পিছন দিক থেকে একটা আওয়াজ আসতে থাকে অর্থাৎ কারো আসার শব্দ শুনতে পায়। আর ওখানে ওই রাতে শুনশান জায়গায় ওইরকম শব্দ শুনলে যে কারো অবস্থা ভয়ানক হয়ে যাবে।
লোকটা ফিরতেই দেখে একজন নিলে কালারের হাত তার দিকে কেউ বাড়িয়ে দিয়েছে আর তার কপালে ঠেকায় আর সাথে সাথে সে ভ্যানিশ হয়ে যায়। এরপর দেখা যায় কলকাতা থেকে চমকপুরে ৪ জন বন্ধু মিলে একটা ট্যুরে আসে, তবে এখানকার বিষয়ে তাদের একদমই ধারণা ছিল না, স্বাভাবিক ভাবে যেমন লোকজন ছুটি কাটাতে শহরের বাইরে চলে যায়, তারাও এই জায়গাটা সিলেক্ট করে চলে আসে। রাস্তাগুলোও খুবই সংকীর্ণ, কারণ পাহাড়ি জায়গায় রাস্তাগুলো বরাবরই রিস্কি থাকে। তাদের এখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা মতো ঘনিয়ে আসে এবং তারা একজায়গায় আটকে যায় অর্থাৎ সেই জঙ্গলের পাশে, কারণ রাস্তা ওখানে এতটাই সরু যে গাড়ি নিয়ে যাওয়া অনেক সমস্যা। তাই সেখানে নেমে অর্না আর অনিন্দিতাকে রেখে গৌরব আর তার বন্ধু বাংলো বাড়িটা দেখতে যায় অর্থাৎ তারা যেখানে উঠবে।
এদিকে সেখানে খুবই ঠান্ডা বলে তারা বেশিক্ষন বাইরে থাকতে না পেরে গাড়িতে যেতে চাইলে জঙ্গলের ভিতর থেকে একটা আওয়াজ আসতে থাকে আর এইটা শুনে তারা দুইজন সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে একটা মূর্তি দেখতে পায়, যেটার গায়ে লতাপাতা ভরে গিয়েছে। অনিন্দিতার ফোন আসলে সে অন্যদিকে কথা বলতে চলে যায় আর অর্না এই মূর্তিটার কাছে গিয়ে পরিষ্কার করতে লাগলে হঠাৎ একটা রশ্নি তার গায়ে এসে পড়ে এই মূর্তি থেকে। এরপর একটা দমকা হাওয়ার মতো হাওয়া এসে তার শরীরে প্রবেশ করার মতো একটা বিষয় অনুভব হয়। তারা সবাই এরপর স্বাভাবিক ভাবে রাতের দিকে চলে আসে বাংলোয় এবং সেখানে তাদের গাইড হিসেবে দুইজন পাহাড়ি লোক থাকে, তবে তারা তাদের পাহাড়ি ভাষায় বরাবর কথা বলে, ফলে কেউ বুঝতে পারে না, আড়ালে কি কথা হচ্ছে না হচ্ছে।
☫ব্যক্তিগত মতামত:☫
এখানে আসলে এই জঙ্গলের ভিতরে অর্নার সাথে একটা হাতসা হয়ে গিয়েছে,কিন্তু সেটা সে না নিজে অনুভব করতে পারছে আর না তার বন্ধু, বান্ধব কেউ বুঝতে পারছে। অর্না একদম স্বাভাবিক ভাবেই চলাফেরা করছে, কিন্তু একদিন হঠাৎ রাতের দিকে তার বমি বমি পায় এবং দেখে তার মুখ থেকে চুলের মতো বের হচ্ছে এবং সেটি আবার মুখে ঢুকিয়ে নেয় অর্থাৎ সে তখন আর নিজের মধ্যে ছিল না, তার শরীর অন্য কেউ পরিচালনা করছে। এইভাবে অর্না আর অনিন্দিতা এক রুমে ঘুমিয়ে পড়লে অর্না হঠাৎ একজনের কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় এবং সে উঠে দেখতে গেলে সামনে একটি রুমাল পায় অর্থাৎ যে রুমালটা দিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ওই মূর্তিটাকে পরিষ্কার করছিলো। এরপর সে অনিন্দিতাকে ডাকে এবং সেও কান্নার আওয়াজ পায়। এরপর দুইজন বাইরে গিয়ে দেখে কিছুই না, কিন্তু জানালার গায়ে রক্ত দেখতে পায়, তবে তারা এটাকে কোনো জন্তুর রক্ত বলে এড়িয়ে যায় গুরুত্ব না দিয়ে। কিন্তু পাহাড়ি যে মহিলাটা ছিল সে আবার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলো অর্থাৎ সে এই বিষয়ে অনেক কিছুই জানে। যাইহোক মাঝ রাতের দিকে আবার অনিন্দিতা দেখে অর্না নখ দিয়ে কাঠের উপর আঁচড়াচ্ছে। এই বিষয়টা এখন কি হয় সেটা পরের পর্বে বোঝা যাবে যে, এর কোনো রহস্য বের হচ্ছে কিনা।
☫ব্যক্তিগত রেটিং:☫
৭.৪/১০
☫ট্রেইলার লিঙ্ক:☫
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গল্পটা শুনেছি। অসাধারণ লেগেছিল।কিন্তু ওয়েব সিরিজ যে বের হয়েছে জানতাম না। আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম।বেশ ভাল রিভিউ লিখেছেন পড়ে দেখার আগ্রহ জাগল।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রিভিউ লেখার জন্য।
বেশিদিন হয়নি রিলিজ পেয়েছে। এর কাহিনীটা বেশ ভালো ইন্টারেস্টিং আছে।
দাদা ভৌতিক গল্প পড়তে বা যে কোন ভৌতিক সিরিজ দেখতে কিন্তু আমার কাছে বেশ ভয়ঙ্কর মনে হয়। এই যেমন আপনার আজকের সিরিজটির রিভিউ পড়ে কিন্তু আমার কেমন যেন ভয় ভয় কাজ করছে। বেশ ভৌতিক একটি সিরিজ মনে হচেছ। বিশেষ করে তো মাঝ রাতের দিকে অর্নার নখ দিয়ে কাঠের উপর আঁচড়ানোর বিষয়টি আমার বেশ ভয়ঙ্কর মনে হয়েছে। দেখা যাক সামনের পর্বে কি হয়। ধন্যবাদ দাদা এমন একটি সিরিজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন আপনি। আপনার রিভিউটি পড়ে ওয়েব সিরিজটি দেখার আগ্রহ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হৈচৈ এর সাবসক্রিপশন কিনবো কিনবো করেও কেনা হয়না কারণ মনে হয় কিনে আর দেখা হবেনা।তবে ফেসবুকে কিছু কিছু ক্লিপ দেখেছিলাম এই ওয়েবসিরিজ টার,তখন থেকেই দেখার ইচ্ছে ছিলো।ভাইয়া আপনি কিছু মাস্ট এর বাকি পর্বের কাহিনী লিখবেন,পড়বো।
আচ্ছা, ঠিক আছে লিখব।
দাদা আপনি আজকেও অনেক সুন্দর একটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পর্ণশবরীর শাপ এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্বের রিভিউ, আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বের নাম ছিল অভিশপ্ত চমকপুর। এই ওয়েব সিরিজের মধ্যে কিন্তু ভয়ঙ্কর কিছু বিষয় রয়েছে। আর জঙ্গল টাও দেখছি অনেক বেশি ভয়ংকর দাদা। তাইতো লোকের মুখে শোনা যায়, এই জঙ্গলে যারা একবার হারিয়ে যায় তাদেরকে কখনোই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার কাছে কিন্তু এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্ব পড়েই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর এই জন্য আমি ভাবছি এই ওয়েব সিরিজের সবগুলো পর্ব আমি অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। আর আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে পড়ার তো চেষ্টা অবশ্যই করবো। অর্না নিজেও জানে না তার কি হয়েছে। তার শরীর অন্য কেউ পরিচালনা করে দেখছি। হয়তো সে এটা উপলব্ধি করতে পারছে না এবং কি অন্য কেউ ও পারছে না। কান্নার আওয়াজ শোনার পরে তারা দুইজন বাহিরে বের হয়েছিল, আর জানালার ধারে রক্ত দেখেছিল দেখছি। কিন্তু তারা দেখছি জন্তুর রক্ত বলে এই বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছে। আর অনিন্দিতা মাঝরাতে দেখেছিল অর্না কাঠের উপর নখ আঁচড়াচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে এই সময়টাতেও সে নিজের ভেতরে নেই। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে এই বিষয়টা নিয়ে কি হয়। শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন আশা করছি দাদা।
দাদা নতুন ওয়েব সিরিজ রিভিউ শুরু করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। কারন সব মুভিতো দেখা হয় না কিছু মুভি রিভিউর মাধ্যমে ধারনা নেওয়া যায়। আজকে পর্ণশবরীর শাপ মুভির রিভিউটা পড়লাম। সব কিছু পড়ে মোটামুটি যেটা ধারনা পেলাম সেটা হলো, এটি একটি হরর মুভি। এ ধরনের মুভি প্রায় দেখা যায়। যেমন কিছু লোক শহর থেকে পাহাড়ি অঞ্চলে বেড়াতে গেলে বা কোন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে গেলে বিপদে পড়তে হয়। এই মুভিটাও এমনই একটি মুভি। এখন আমার মনে হচ্ছে অর্নার উপর সেই মূর্তিটা থেকে কিছু একটা তার ভিতরে প্রবেশ করেছে। যার ফলে সে কিছু অস্বাভাবিক আচরন করছে। এখন পরের পর্ব গুলোতে দেখা যাবে আসলে মূল বিষয়টা কি। ধন্যবাদ দাদা।
দাদা সব সময়ের মতো আজকেও একটা ওয়েব সিরিজের রিভিউ ভাগ করে নিয়েছেন। পর্ণশবরীর শাপ এই ওয়েব সিরিজটার প্রথম পর্ব আমার কাছেও সম্ভব ভালো লেগেছে দাদা, তবে পড়ার সময় কিছুটা ভয়ও লেগেছে। এই মুভিটার মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেটা এখনো পর্যন্ত বুঝাই যাচ্ছে না। এবং কি এই মুভিটা কিন্তু অনেক বেশি ভয়ানক হবে। কারণ একটা জঙ্গলে কেউ যদি একবার হারিয়ে যায়, তাকে কখনোই পাওয়া যায় না, এই বিষয়টা ভয়ানক তো বটেই। মেয়েটা তো নিজেই জানে না মাঝে মাঝে তার সাথে কি হচ্ছে। তার শরীর যে অন্য কেউ কন্ট্রোল করছে, এটার প্রতি তার কোন ধারণা নেই। কান্নার আওয়াজ যখন তারা শুনেছিল, তখন বাহিরে বের হয়েছিল এবং রক্ত দেখেছিল, কিন্তু এটাকে তারা এড়িয়ে গিয়েছিল এটা দেখলাম। আমার তো মনে হয় না ওই রক্তগুলো পশুর রক্ত ছিল বলে। যখন সে মাঝ রাতে কাঠের উপর নখ আঁচড়াচ্ছিল, তখন ও মনে হয় তার শরীরটা অন্য কেউ কন্ট্রোলে রেখেছিল। এই বিষয়টা এখন কি হয় এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। পরবর্তী পর্বে আশা করছি কোন না কোন রহস্যের কথা অবশ্যই জানতে পারবো।