এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ১৮ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি এলোমেলো ছবি থাকছে।
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটি তুলেছিলাম বারবিকিউ নেশন থেকে। অনেকদিন আগে একবার গিয়েছিলাম বারবিকিউতে, তখন এই ড্রিঙ্কস এর একটি ছবি তুলেছিলাম। এই ড্রিংকসটির নাম আমার আসলে ঠিক মনে নেই, অনেকদিন হয়ে গিয়েছে তো এইজন্য। এটা মনে হয় ছিল বাদাম শেক, এইরকম কিছু। কারণ এতে বাদাম, পুদিনা আরো অনেক কিছু দিয়েছিলো যেটা উপরে ছড়ানো রয়েছে দেখতে পারছেন। তবে এটিতে দুধ আর আইসক্রিম মিলিয়েও করা ছিল খেতে খারাপ ছিল না, তবে সন্দেহ ছিল যে টেস্ট কেমন হবে, কারণ এটা আগে কখনো খাইনি। খাওয়ার সময় ভালো টেস্ট লেগেছিলো, কিন্তু সমস্যা হলো এইগুলো খেলে আরো জলের পিপাসা পায় আর এইগুলো দামিও, নষ্ট করতেও ইচ্ছা হয় না। এতে এইরকম দেখালেও কিন্তু অনেকটা থাকে, খেয়ে পারা যায় না অনেকসময়।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিটা তুলেছিলাম একদিন সকালে রাস্তার পাশে ডাব খাওয়ার সময়। আসলে কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম গ্রামের একটি বড়ো মাছের আড়তে আর তখন সকালে ওখান থেকে ফেরার পথে একটা মিলিটারি ক্যাম্প এর সামনে দেখি একটা লোক অনেকগুলো কচি ডাব বিক্রি করছে। আর ওইসময় গরমটাও লাগছিলো খুব, তাই গাড়িটা পাশে পার্কিং করে ডাবের জল খেয়ে নিলাম। এইটুকু ডাবের দাম তাও ৬০-৭০ টাকা, কিন্তু কিছু করার নেই, খেতে হলে এটাই খেতে হবে। তবে ডাব ভালোই ছিল, জলটাও ভালো মিষ্টি ছিল আর শাঁসও হয়েছিল।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: খড়িবাড়ি
তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইবার এইটা তুলেছিলাম মাছের আড়ত থেকে। অনেকদিন থেকে প্ল্যান করছিলাম যে একদিন এই বড়ো মাছের আড়তে যাবো মাছ কিনতে, কিন্তু এই সকালে ওঠাই হয় না আর যাওয়াও হয় না। তো কিছুদিন আগে ভেবেছিলাম যে রাতে ঘুমই পড়বো না, একবারে মাছ কিনে এনে তারপর ঘুমাবো। আর এইটা গ্রামের দিকের মাছের আড়ত, সব থেকে বড়ো আড়ত হিসেবে পরিচিত। সকালে তাও সাড়ে ৫ টায় রওনা দেব করে করে ৬ টা বেজে গেলো, আর সেখানে পৌঁছাতেই পনি ৭ টা বেজে গেলো, আর আমি সন্দেহ করেছিলাম এর মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যাবে, কারণ রাত সাড়ে ৪ টার থেকে শুরু হয়ে যায় এখানে। আর এখানে একটা সুবিধা হলো, পাশেই সব ঘের, ফলে মাছগুলো কোনো ইমপোর্টেড না। আমি গিয়ে দেখি অর্ধেকের বেশি সব কেনাকাটা শেষ। তবে যা পেয়েছিলাম তাতে দাম কম পেয়েছিলাম আর মাছগুলো ভালো জ্যান্ত ছিল। ৯ কিলোর মতো কিনে নিয়ে এসেছিলাম। ভালো সস্তা ছিল আমাদের এদিকের থেকে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: খড়িবাড়ি
তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪
Photo by @winkles
এটা তুলেছিলাম গত বছর ক্রিসমাস এর দিন। ওইদিন সবাই কেক এইসব খেয়ে থাকে। আমিও একটা বড়ো কেক আনবো বলে ভেবেছিলাম। মূলত আমি আগেই কিছু কিছু পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম যে আমি অনলাইনে বেশি অভ্যস্ত কেনাকাটায়। তাই এর আগে আমি প্রায় অনলাইনেই অর্ডার করতাম কেক। তবে এইবার এই কেকটা আমি আমাদের এখানে অনেক নাম করা 'mio amore' কেক শপ থেকে কিনে এনেছিলাম। এদের প্রোডাক্ট সবসময় ভালো হয়। এই কেকটা ছিল চকলেট কেক আর নামটা ছিল হোয়াইট ফরেস্ট। নামটা যেমন সুন্দর খেতেও তেমন টেস্টি ছিল।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিটা তুলেছিলাম বাইক কেনার সময়ে। আসলে আমি যে ওইদিন বাইক কিনবো তেমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কারণ ওইদিন বেরিয়েছিলাম এমনি একটু কাজে, সেই সময় হঠাৎ মনে হলো না, যাই বাইকটা দেখি কিনে আসা যাক। তেমন একটা রেডিও হয়ে যাইনি, আর শোরুমে একজনের সাথে পরিচিতিও ছিল ভালো, তাই তেমন একটা সমস্যা হয়নি। সেই সব কিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো, আমি শুধু কিছু ডকুমেন্টস দিয়ে বসে ছিলাম। তবে এই বাইকটা কিনবো এটা আমি আর আমার বন্ধু ব্ল্যাক্স আগেই গিয়ে পছন্দ করে এসেছিলাম। সেই হিসেবে পরে ওদের বলে রেখেছিলাম এবং কেনার দিন পেমেন্ট করার পরে বাইকের বাকি যেসব একসেসোরিস ছিল সব লাগিয়ে দেয় আর তারপর একটা ছবি তুলে বাইক নিয়ে সোজা বাড়ি।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৬ নভেম্বর ২০২৩
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
চমৎকার কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফির বিবরন খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। দাদা আপনাদের ওখানে ডাব তবু কম ই দাম। আমাদের এখানে অনেক বেশী আরও। ডাবের পানির সাথে ডাবের শাঁস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে।বাইকটি খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা।চমৎকার লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো।ধন্যবাদ দাদা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথম ফটোগ্রাফি টা দেখে বাদাম শেক ই মনে হচ্ছে। গরমের মধ্যে এই ধরনের ড্রিংকস গুলো বেশ স্বস্তি দেয়। বিভিন্ন সময় ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো দাদা। বাইক কেনার সময় ফটোগ্রাফি করেছেন। বাইকটা তো খুবই সুন্দর হয়েছে। কেকের ফটোগ্রাফি টাও বেশ লোভনীয় লাগছে।
笑尿
প্রথম ড্রিংকস টা দেখে আমার কাছে মিল্ক শেখ মনে হচ্ছে। আপনাদের ওখানে তো ডাবের দাম মোটামুটি ঠিক আছে বলতে হয়। আমাদের এখানে ১০০-১২০ টাকা প্রতি পিস ডাবের দাম। রয়্যাল এনফিল্ড আমার অনেক পছন্দের একটা বাইক। ছবিগুলো বেশ সুন্দর ছিল। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
দাদা বাইকটা কিন্তু বেশ সুন্দর আশাকরি চালিয়ে বেশ মজা পাবেন। ডাব এর কথা কি বলবো আমাদের এখানে একটি ডাবের দাম হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা। বাদাম শেক খেতে ভীষণ মজা লাগে। ভালো লাগলো দাদা ভিন্ন রকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
দাদা আপনার বিভিন্ন সময়ে সংগ্রহ করে রাখা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি গত বছরের ক্রিসমাসের কেকের ফটোগ্রাফিও সংগ্রহ করে রেখেছেন। তাছাড়া আবার দেখলাম কতদিন আগে বাইক কিনেছেন সেটার ফটোগ্রাফিও এখনো রেখেছেন। তবে সব থেকে সুন্দর ফটোগ্রাফি হয়েছে ড্রিংকসের ফটোগ্রাফি টা। ধন্যবাদ দাদা।
সৌন্দর্য্য দেখতে কাউকে নিমন্ত্রণ করতে হয় না তবে সেই সৌন্দর্য্য আরও একবার দেখার জন্য তা ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করতেই হয়।আমাদের প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে যদি প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে রাখি তাহলে তা একটা সময় গিয়ে মধুর কিছু স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।দাদা নতুন বাইক কেনার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাই এবং সেইসাথে আপনার পথচলা নিরাপদ হোক সেই প্রার্থনা করি।🙏সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো।সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
বিভিন্ন সময়ের করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে বর্তমানে ডাবের দাম সত্যি অনেক বেশি। তবুও মানুষ চড়া দামে ডাব কিনে খাচ্ছে। আর হঠাৎ করেই বাইক কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। যদিও এর আগে আপনার কেনা বাইকটি দেখেছিলাম। ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার সময় একটি পোস্ট করেছিলেন। আপনাকে অনেকদিন পর দেখে ভালো লাগলো দাদা।
বাহ্! একটি পোস্টে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। সেজন্যই আমার কাছে রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রথম ফটোগ্রাফির ড্রিংকসটা হচ্ছে বাদাম শেক। গরমের সময় বিভিন্ন ধরনের ড্রিংকস খেলে কলিজাটা একেবারে শীতল হয়ে যায়। যাইহোক প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করেছি দাদা। আর আপনার বাইকটা আসলেই খুব সুন্দর। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।