দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ৮ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত পর্বে বনগাঁর একটি ক্লাব এর আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। আজকে বনগাঁর আরেকটি ক্লাব এর পুজোর আলোকচিত্র শেয়ার করবো। এই ক্লাবটি অনেক বড়ো করে পুজো করে আর বেশ নামধামও আছে। প্রতিবছর এখানে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের কিছু দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য তারা তুলে ধরে। এই ক্লাবটার নাম হলো "গান্ধীপল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব। এই ক্লাবে এইবারের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল অর্থাৎ তারা থিমটা এশিয়ার বাইরের থেকে এনেছে। এই থিমটা চীনের সেই "গ্র্যান্ড লিসবোয়া ক্যাসিনো" এর থিমটা তুলে ধরেছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই বিবেকানন্দ এর রাস্তার লাইটিংটা প্রতিবছরই একইরকম করে থাকে যদিও, কিন্তু দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। আসলে ক্লাবটা মেইন রোড থেকে অনেকটা ভিতরে, ফলে এই লাইটিংগুলোর কালার একাধারে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এইগুলো জাস্ট ছবিতে এইরকম লাগলেও, এর থেকে ভিডিও আকারে দেখতে পেলে আরো সুন্দর লাগবে ভিন্ন ভিন্ন কালারের লাইটিংয়ের। আসলে লাইনে এতটাই ভিড় থাকে যে, ধীরেসিস্তে দাঁড়িয়ে ভিডিও করা যায় না, এতো ঠেলাঠেলি। যাইহোক, প্রায় আধাঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অবশেষে প্যান্ডেলের কাছে গিয়ে পৌঁছিয়েছিলাম। লিসবোয়া ক্যাসিনোর ডিজাইনটা শুধু তাকিয়ে দেখার মতো ছিল।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এখানেও অনেকটা লাইন এর ভিড় ছিল, ফলে দাঁড়িয়ে বেশ খানিক্ষন দেখা গিয়েছিলো। তবে এই লিসবোয়া ক্যাসিনোর বাহিরে এবং ভিতরে ভালো লাইটিং এর প্রদর্শন করেছিল অর্থাৎ যেমনটা কোনো অনুষ্ঠানে ঝিক ঝিক লাইটিংগুলো হয়। এইগুলো যেন ডায়মন্ড এর মতো দেখতে লাগছিলো বাইরের থেকে। এরা প্যান্ডেলের উপরে বেশ ভালো বড়ো আকারের ঝাড়বাতির মতো দেখতে তৈরি করেছিল, এইগুলো অনেকটা দামিও বটে, কারণ এইসব প্যান্ডেলে সব অরিজিনালই লাগিয়ে থাকে। যাইহোক প্যান্ডেলের ভিতরে যদিও বেশিক্ষন দাঁড়াতে দিচ্ছিলো না, তবে আমরা কর্নারে দাঁড়িয়ে মায়ের মূর্তির বেশ কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
তাছাড়া ছবি ভালোভাবে তোলার মতো পরিস্থিতি আর ছিল না, ঢুকাচ্ছে আর সাথে সাথে সিকিউরিটি গার্ডগুলো বের করে দিচ্ছে। আসলে সব জায়গায় একই ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে প্যান্ডেলগুলোতে বেশি ভালো হয়, সেগুলোতে বেশি ভিড় এড়াতে আর ভিতরে দাঁড়াতে দেয় না। যাইহোক, এই ছিল এই ক্লাব এর কিছু আলোকচিত্র, পরের পর্বে আবারো একটি ক্লাব এর পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
দাদা,চীনের "গ্র্যান্ড লিসবোয়া ক্যাসিনো" থিমটি দেখে মুগ্ধ হলাম।আসলে বনগাঁতেও যে এত সুন্দর প্যান্ডেল করে জানা ছিল না।তাছাড়া মায়ের মূর্তিটি অসাধারণ হয়েছে ,এটিও মনে হয় কিছুটা চাইনিজদের মতই আকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করেছে।আর প্যান্ডেলের ভিতরে বেশি ভিড় জমালে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে তাই ভিড় কম রাখাই ভালো।আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।আসলে একেক সময় একেক রকম লাইটিং দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।গম্বুজের মতো অংশটি কি কাঁচের তৈরি দাদা?
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা দুর্গাপুজোর সবগুলো পর্ব আমি দেখেছি। আর এই অষ্টম পর্বের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। অনেক সুন্দর করে আপনি দুর্গা পুজোর অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে তোলা। বনগাঁর থেকে তোলা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি সপ্তম পর্বে দেখেছিলাম। আর আজকে বনগাঁর আরেকটা জায়গার থেকে তোলা ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। প্রায় আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তারপরে প্যান্ডেলের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন দেখছি। আসলে বেশি ভিড় থাকলে এরকমটাই হয়। সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো মুগ্ধ হলাম। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আশা করছি নবম পর্বে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। আপনার পরবর্তী পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ওয়াও! গান্ধীপল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব এর থিমটা তো এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে দাদা। সামনাসামনি দেখতে কতোটা সুন্দর লেগেছিল, সেটাই ভাবছি। এতো ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি করাটাই কষ্টকর, আর ভিডিও করা তো মোটেই সম্ভব নয়। তাদের সম্পূর্ণ আয়োজন জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম এই পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
পূজা প্যান্ডেলের ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জা দেখে একদম চক্ষু স্থির দাদাভাই। বেশ দারুন সব ফটোগ্রাফি উপভোগ করলাম।
শুভেচ্ছা রইল ভাই।
দাদা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দিলো। আজকে যে গান্ধীপল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন,শুনেছি তারা প্রতিবছর এখানে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকের কিছু দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য তুলে ধরে। এই ক্লাবে এইবারের চিন্তাধারা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল অর্থাৎ তারা থিমটা এশিয়ার বাইরের থেকে এনেছে। এই থিমটা চীনের সেই "গ্র্যান্ড লিসবোয়া ক্যাসিনো" এর থিমটা তুলে ধরেছে। থিমটা দেখতে মনে হচ্ছে আপেলের মাঝখানে একটি গাছ উঠেছে। এটা তৈরী করতে কমপক্ষে দুই তিন মাস সময় তো লাগবেই। এত নিখুঁত কাজ,এত লাইটিং দেখা যাচ্ছে ডায়মন্ডের মত চমকাচ্ছে। এত সুন্দর একটি থিম তৈরী করেছে,মানুষে ভিড় তো হবেই। প্রথম দিকের ছবিতে দেখতে পাচ্ছি,আপনি লাইন ধরে পিছন দিয়ে হাটতে হাটতে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। রাস্তার উপরের দৃশ্যটিও দারুন ছিল। যেমন বাহিরে ডিজাইন করেছে ঠিক তেমনি ভিতরেও ডিজাইন করেছে। ভিতরের মাঝখানের উপরের ফটোগ্রাফিটা জাষ্ট অসাধারন হয়েছে। আমার তো মনে হয় এবারে এই গান্ধীপল্লী বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাব এক নাম্বার হবে। তাদের থিম মনে হয়না অন্য কোথাও করেছে। যায়হোক দাদা অনেক কষ্ট করে আমাদের জন্য ফটোগ্রাফি গুলো সংগ্রহ করেছেন। ধন্যবাদ।
দাদা দেখতে দেখতে দুর্গা পুজোর অষ্টম পর্ব ও শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম পর্ব থেকে শুরু করে অষ্টম পর্ব পর্যন্ত একটাও মিস যায়নি। যার কারণে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে সবগুলো পর্ব পড়তে। দাদা আপনার এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট গুলোর অপেক্ষায় থাকি আমি প্রতিনিয়ত। গত পর্বে তো বনগাঁর একটা জায়গার প্যান্ডেল দেখেছিলাম ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। আজকে আরেকটা জায়গার প্যান্ডেল দেখলাম। আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে মূর্তিগুলোকে অনেক সুন্দর ভাবেই সাজানো হয়েছে। অনেক বেশি ভিড় ছিল জায়গাটাতে, আর ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি তো অবশ্যই থাকবে দাদা। আর এরকম ঠেলাঠেলির মধ্যে তো ভিডিওগ্রাফি করা একেবারেই সম্ভব হয় না। যাইহোক তবুও আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আমারও দেখে মনে হচ্ছে ভিডিও করলে আরো বেশি সুন্দর দেখাতো। দাদা দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা হয়েছিল বুঝতেই পারছি সবগুলো পর্ব দেখে। আজকের এই পর্ব টাও খুব উপভোগ করলাম।