ওলের ডাঁটা দিয়ে চিংড়ির মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা যদিও করেছিলাম গত সপ্তাহে। এখন গরমে তা রান্না করার জায়গায় গেলে শরীরে ঝাল উঠে যায় ঘামতে ঘামতে। যাইহোক, এই রেসিপিটা করেছিলাম ওলের ডাঁটার সমন্বয়ে চিংড়ির একটি তরকারি। ওলের ডাঁটা অনেকদিন খাওয়া হয় না, তাই ভাবলাম এই তারিখ এইটা দিয়ে কিছু একটা তরকারি রান্না করি। যদিও এই ওলের ডাঁটা কিনে ফ্রিজে রাখা ছিল। ওলের ডাঁটা দিয়ে চিংড়ির তরকারি খেতে কিন্তু বেশ মজাদার লাগে। তবে ওলের ডাঁটা দিয়ে অন্যান্য মাছও খাওয়া যায়, কিন্তু আমার কাছে বেশি ভালো লাগে এইসব চিংড়ি দিয়ে খেতে।
সবজি হিসেবে ওলের ডাঁটা বেশ ভালো, তরকারিতে খেতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি এইসব ডাঁটার উপকারিতাও আছে বেশ। বেশি একটা ঝোল ঝোল করিনি, কারণ এই গরমে খাওয়ার লোক নেই এতো। আসলে গরমের জ্বালায় যে একটু শান্তিতে খাবো সে উপায় নেই, জল খেতে খেতে পেট ভরে যায় হা হা। তবে চিংড়ির ক্ষেত্রে এই ডাঁটার তরকারিতে যদি এইরকম বা এর থেকে একটু তুলনামূলক বড়ো চিংড়ি দেওয়া যায়, তাহলে খেয়ে সেই তৃপ্তি পাওয়া যায়। যদিও এটা এক একজনের কাছে এক একরকম হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে চিংড়ি সাইজে একটু বড়ো না হলে মজা পাইনা খেয়ে হা হা । যাইহোক, এই তরকারিটা খেতে বেশ মজাদার ছিল। এখন রেসিপিটার প্রস্তুতপ্রণালীর দিকে চলে যাবো।
❂প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:❂
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম----
❄প্রস্তুত প্রণালী:❄
❖চিংড়িগুলো প্রথমে কাটিয়ে রাখা ছিল এবং পরবর্তীতে ধুয়ে নিয়েছিলাম একবার ভালো করে। এরপর ওলের ডাঁটাগুলো থেকে খোসা ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖আলুগুলোর খোসা ছালিয়ে নিয়ে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছালিয়ে কুচি করে রেখেছিলাম। এরপর লঙ্কাগুলো কেটে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❖ধুয়ে রাখা চিংড়িগুলোতে ১ চামচ করে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো ভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে তেল দিয়ে চিংড়িগুলো ভাজার জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছিলাম।
❖কড়াইতে আবার আরেকটু তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❖এরপর শেষ আরেকবার কড়াইতে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং সব ভালো করে ভেজে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে ওলের ডাঁটা দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে ভেজে রাখা আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে ভাজা চিংড়ি সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন, হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম এবং পরে সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর তাতে জল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ওলের ডাঁটা আর আলুর পিসগুলো ভালো করে সেদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
❖ভালো করে সব সেদ্ধ হয়ে গেলে পরে তাতে চামচখানিক জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম।
❖তরকারি ভালোভাবে হয়ে আসলে আর সেই সাথে ঝোলটা কমিয়ে নেওয়ার পরে তাতে আরেকবার জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ছবি দেখেই অনুমান করতে পারছি রেসিপিটি বেশ সুস্বাদ হবে। চিংড়ি মাছ থাকায় স্বাদটা যেন খুবই মজাদার হবে বুঝতেই পারছি। ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওলের ডাটা রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। তা যদি হয় চিংড়ি মাছের সাথে রান্না করো তাহলে তো আরো সুস্বাদু রেসিপি হবে। আপনার এই চমৎকার রেসিপি তৈরি করতে দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে দাদা। অনেক সুন্দর রান্না করেছেন আপনি। আশা করি এই রেসিপি অনেক সুস্বাদু ছিল।
দাদা সর্বপ্রথমেই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তবে আপনি একটা সময়োপযোগী রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ওলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। ওল কিন্তু শরীর ঠান্ডা রাখে। এই প্রচন্ড গরমে ওল খেলে আপনার শরীরটাও ঠান্ডা থাকবে। সর্বোপরি চিংড়ি দিয়ে ওল রেসিপিটা ধাপ এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যা যে কেউ সহজে বুঝতে পারবে এবং রেসিপিটা তৈরি করতে পারবে। সময়োপযোগী এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক বলেছেন দাদা এই গরমে এতটা পরিমাণ পানি খাওয়া হয় যে পানি খেয়েই পেট ভরে যায়।অন্য খাবারের জন্য পেটে জায়গা থাকে না।যদিও কখনো এইভাবে ওলের ডাটা দিয়ে চিংড়ি মাছ খাওয়া হয়নি।তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ মজাদার মনে হচ্ছে।কালার টা বেশ দারুন হয়েছে।খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা।খুবই সুন্দর ভাবে ধাপ গুলো তুলে ধরেছেন যা দেখে সহজেই রেসিপিটি তৈরি করা যাবে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলেই দাদা এই গরমে কিচেনে ঢুকে রান্না করাটা খুবই কষ্টকর। যাইহোক বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। চিংড়ি মাছের যেকোনো রেসিপি আমার খুব পছন্দ। ওলের ডাঁটা দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা খেতে দারুণ লেগেছিল। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। ওলের ডাঁটা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। সবমিলিয়ে রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আপনার রেসিপির কালার টি দেখেই আমি আনুমানিক ধারণা করে ফেলেছি লোভনীয় ছিল রেসিপিটি, প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।ওলের ডাঁটা দিয়ে চিংড়ির মজাদার রেসিপি, আসলে রেসিপিটি অনেক মজাদার মনে হয়েছে আমার কাছ থেকে। আশা করি আপনার এই রেসিপিটি আমি তৈরি করে খাবো দাদা খুব লোভ হচ্ছিল।
ওলের ডাঁটা দিয়ে চিংড়ির মজাদার রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লাগে দাদা। আপনি এত সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেন আর এই রেসিপির দেখে যেন খুব সহজেই তৈরি করা শিখতে পারা যায়। আপনার রেসিপিটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
ওল মাঝে মাঝে খাওয়া হয় কিন্তু ওলের ডাটা খাওয়া হয় না সেরকম ওলের ডাটা দিয়ে চিংড়ি মাছ ভালো লাগে এটা জানা ছিল না। ওলের ডাটা দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। রেসিপি টা দেখেই লোভনীয় লাগছে। রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
আপনার তৈরি করা সুন্দর একটি রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। নতুন একটি রেসিপি তৈরি করতে দেখলাম আপনার আজকের পোষ্টের মাঝে। আর আপনার রেসিপি প্রস্তুত করাটা অনেক সুন্দর। খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে উপস্থাপন করেছেন রেসিপি।