ওয়েব সিরিজ রিভিউ: হোস্টেজেস ( সিজন ২: পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'হোস্টেজেস' ওয়েব সিরিজটির সিজন ২ এর দ্বিতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "নো ভিজ্যুয়াল"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে পৃথ্বী এবং তার ওয়াইফ সহ আরো কিছুজন একটা ভাঙা পুরানো বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এই পর্বে ঘটনা কি ঘটে সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
মূলত তারা সবাই যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল, সেখানে তো একপ্রকার বলা যায় অনেক হাতাপাই হয় শত্রুদের সাথে। তবে শত্রুদের উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রী সহ পৃথ্বী এবং তার বাকি সদস্যদের মেরে ফেলা। এখন সেটা তো করতে পারেনি। উল্টে একজন মারা যায় আর মুখ্যমন্ত্রীর যে ম্যানেজার ছিল সে, আহত হয় আর তাকে এক কোনে বেঁধে রাখে। আর একজন লেডি পুলিশকেও ভিতরে বেঁধে রাখে, কিন্তু তার কোনো ক্ষতি করেনি। আর একজন জেন্টস পুলিশ অফিসারকে গুলি করে, তবে সেটা শত্রুপক্ষের গুলি থেকে আহত হয় আর সে বাইরে চলে আসে এবং বাকিদের কাছ থেকে ব্যাকআপ হিসেবে আরো ফোর্স পাঠাতে বলে। এখন ফোর্স হিসেবে অনেক আসে আর তাদের চারিপাশ ঘিরেও ফেলে। তবে এখানে বেশ কিছু সাংবাদিক এই বিষয়টাকে ইস্যু বা কে কিভাবে এই বিষয়টা নিয়ে রিপোর্ট করবে সেই নিয়ে পাল্লা দিতে থাকে।
একপ্রকার বলা যায় বিজিনেস হিসেবে বিষয়টাকে দেখে ফেলেছে। তবে একজন আয়শা নামের সাংবাদিক সেখানে গিয়ে পুলিশ অফিসারদের সাথে কথাবার্তা বলে এবং সে তাদের সাথেও কথা বলতে চায়। সেখানে বিষয়টা প্রায় ১ দিনের মতো গড়িয়ে গিয়েছে, ফলে সেখানে পুলিশ একটা ক্যাম্প মতোই তৈরি করে ফেলেছে তাবু দিয়ে। যাইহোক, সেখানে পরিস্থিতিটা একটু জটিল হয়েছে, কারণ ভিতরে আসলে কতজন কিভাবে কি আছে সেটা তাদের কাছে একপ্রকার অজানা। এখন পৃথ্বীর বন্ধু আবার এই বিষয়ে ইনচার্জ হিসেবে আছে। বাইরে থেকে এরা ভিতরে যোগাযোগ করার জন্য কথা বলতে চায়, পুলিশ আয়শাকে ব্যবহার করে কথা বলায় আর অন্যদিকে পৃথ্বি পিটার অর্থাৎ সেই মর্গের ইনচার্জকে দিয়ে কথা বলায়। এতে করে পৃথ্বী ল্যান্ডলাইন এর একটা ফোন চায়। আর সেটা দিয়েই কথা বলতে চায়, যাতে করে পৃথ্বী যেভাবে বলতে চায় সেইভাবেই পিটারকে বলিয়ে দিতে পারে।
এখন সেইভাবে কথা বলে আর বলে যে বাইরে থেকে যদি কোনো ফোর্স না আসে বা আক্রমণ না করে তাহলে কারো কোনো ক্ষতি করবে না। আসলে এই বৃদ্ধিটা করে নিজেদের লোককেই হোস্টেজেস বানিয়েছে। কিন্তু ভিতরে যে লেডি পুলিশ অফিসার বাঁধা ছিল, সে আবার একটু চালাকি করে তার চুলের থেকে ক্লিপ খুলে হাতকড়া টা খুলে তাদের উপরেই আক্রমন করে বেরিয়ে যেতে চাইছিলো, আর তখনই গুলি চলে যায়। আর এই নিয়ে বাইরে একটা হাঙ্গামা মতো তৈরি হয়ে যায়। এরপরে ফোর্সদের আদেশ দেয় ভিতরে দরজা ভেঙে প্রবেশ করার। আর তখনি পৃথ্বী বুদ্ধি করে ওদের কাছে ফোন দেয়,যদিও তারাই আগে এই বিষয়টা জানার জন্য ফোন দেয় অর্থাৎ গুলি কেন চললো। তারা ধরেনি, তাই তারা পরে কল ব্যাক করে বলে এমনি হঠাৎ ফায়ার হয়ে গিয়েছে। যখন ফোর্স দরোজায় বোমা লাগাতে যায়, ঠিক ৩ সেকেন্ড বাকি থাকতে তারা একটা ভিডিও পাঠায় অর্থাৎ সেই নার্স এর যে, পৃথ্বীর ওয়াইফ এর সেবা শুশ্রূষা করতো। মানে তাদের এটাই জানানোর জন্য যে তারা সবাই ঠিক আছে ভিতরে, তাদের কোনো ক্ষতি করেনি।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
পুলিশ মোটামুটি তাদের চারিদিকে থেকে ঘিরে রেখেছে ওই বাড়ির। এখন ওখান থেকে বাইরে বেরোনো একপ্রকার অসম্ভব বলা যায়। কিন্তু সেখানে পৃথ্বীর মেয়ে আবার বাড়িতে একা আর তাই তার মাও ভিতরে একপ্রকার অস্থির হয়ে যাচ্ছে তার কাছে যাওয়ার জন্য। এখন তারা কোনোমতে কিভাবে সেখান থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাইরে বেরোবে সেটা নিয়েই প্ল্যান কষছে। তবে পিটারের এখানে আবার ধৌর্য হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ তার অনুমান হচ্ছে যে, বাইরে গিয়ে যদি ধরা দেই তাহলে হয়তো কিছু হবে না, কিন্তু সে তো আসলে বুঝতে পারছে না যে, বাইরে গেলেই জেলে যেতে হবে। এই পিটারকে নিয়েই একটা চিন্তা তৈরি হচ্ছে যে, সে ভয় পেয়ে না কিছু উল্টোপাল্টা করে বসে ওখানে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৭/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাংবাদিকরা আসলেই বিজনেস এর জন্য কিছু পেলে রিপোর্ট করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যাইহোক পুলিশ তাদেরকে যেভাবে ঘেরাও করেছে, সেখান থেকে তারা মনে হচ্ছে বের হতে পারবে না। তবে এতোটা সময় কিভাবে বন্দী অবস্থায় থাকবে,এখন সেটাই প্রশ্ন। দেখা যাক পৃথ্বী শেষ পর্যন্ত কি প্ল্যান করে এবং এই ঝামেলা থেকে কিভাবে মুক্তি পায়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।