ম্যাচটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল
| হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
|---|
আজকে একটু খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। খেলা আসলে এখন আর তেমন দেখাই হয় না নানান ঝামেলায়। এই আইপিএল খেলা এই পর্যন্ত একটাও দেখতে পারিনি, তবে গতকালকের খেলাটা দেখেছিলাম এবং আমার কাছে খেলাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং আর ইন্টারেস্ট লাগার মতো ছিল। গতকাল আইপিএল এর দ্বিতীয় কোয়ার্টারফাইনাল খেলা ছিল যেটাতে মুম্বাই আর গুজরাট অংশগ্রহণ করেছিল। আর এই খেলাটাও দুই পক্ষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল, কারণ এখানে একটি দলই ফাইনালে যাবে তাই এক টিমের মুখে হাসি ফুটবে আবার অন্য টিমের মুখে নিরাশার ছাপ দেখা যাবে। খেলাটা যদিও বৃষ্টির মধ্যে পড়ে গেছিলো আর মাঠ ভিজে ছিল তাই সমস্যা তো একটু ছিল খেলার ক্ষেত্রে। তারপরেও এখানে টসে মুম্বাই জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় আর রোহিত একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার ফলে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলোও আশা করেছিলাম তার অভিজ্ঞতা থেকে।
যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে কলকাতা টিম এর সাপোর্টার কিন্তু সে তো আগেই হেরে বাড়ি চলে গেছে। আজকে বেসিক্যালি আমি কারো সাপোর্ট হিসেবে দেখিনি, কিন্তু ক্রিকেট খেলা আমি ভীষণ পছন্দ করি আর সেই সুবাদে খেলাটা ইনজয় করেছি। গতকাল বলতে গেলে গুজরাটের ব্যাটিং বিশেষ করে গিল এর মারপিটো ব্যাটিং দেখে সবাই অবাক, যেন তার ব্যাট দিয়ে ছয়ের বর্ষা হচ্ছে। লাগাতার শুধু বলে বলে ছয় আর চারের পাহাড় গড়ছে। গিল এমনিতেও এই আইপিএল এ তার অনেক সুনামও হয়েছে কারণ, গুজরাটের বেশিরভাগ ম্যাচ জেতার পিছনে তার অসাধারণ ব্যাটিং কৌশল এর হাত রয়েছে। একজন গেম চেঞ্জার হিসেবেও সে তার নাম তুলে ফেলেছে। গতকাল ম্যাচে ওপেনেই ঋদ্ধিমানের সাথে ব্যাট করতে আসে এবং প্রথম দিকে পাওয়ার প্লে ওভারে তেমন একটা রান না করতে পারলেও মোটামুটি ৬ ওভারে একটা মানসম্মত রান তৈরি করেছিল।
আর গিল পাওয়ার প্লে ওভারের পরের থেকে যেন ঠেকানো মুম্বাইয়ের বোলারদের কাছে অসম্ভব একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্থাৎ কোনো বলেই কাজ হচ্ছে না, যে বল দিচ্ছে তাতেই চার নাহয় ছয়। তবে মুম্বাইয়ের ফিল্ডিং অনেকটা খারাপ হয়েছে যার জন্য এই অবস্থা গিলের অনেক ক্যাচ মিস করেছিল না হলে গুজরাট যে ২৩৪ রানের একটা বিশাল পাহাড় গড়েছিল সেটা সম্ভব হতো না। যাইহোক গুজরাট শুধুমাত্র গিলের জন্য এই রানের টার্গেট মুম্বাইয়ের সামনে রাখতে পেরেছিলো। তবে মুম্বাইও ব্যাটে এসে কিন্তু যথেষ্ট ভালো খেলছিল, বলতে গেলে গুজরাটের থেকে তাদের রান রেট যথেষ্ট ভালো ছিল। আর এই রানের সামনে পাওয়ার প্লেতে যে রানের প্রয়োজন ছিল হিসেব অনুযায়ী ঠিকই তুলেছিল আর সেইভাবে এগিয়েও যাচ্ছিলো রান রেট অনুযায়ী।
কিন্তু ১০ ওভারের পরের থেকে যেন কেমন ঝিমিয়ে পড়লো আর একের পর এক আউট হতে থাকলো। মুম্বাইয়ের কাছ থেকে একটা আসার কিরণ ছিল সূর্যকুমার কিন্তু সেও আউট হয়ে যায়। আসলে গুজরাটের এক মোহিত শর্মাই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। একাই লাস্টের দিকে ২ ওভারে লাগাতার ভালো ভালো ৪ উইকেট এর পতন করে দেয় যার ফলে মুম্বাইয়ের স্কোর একদম ধসে পড়ে, বলতে গেলে নৌকা তরীতে এসে ডুবে যাওয়ার মতো। আরেকটু ধরে ধরে যদি খেলতে পারতো তাহলে এই রান চেস করতেও পারতো। আর তাছাড়া অনেকে আবার ইনজুরিতে পড়ে গেছিলো যেমন ঈশান এর মতো একজন ভালো ব্যাটসম্যান ইনজুরিতে বসে যাওয়ায় আরো ক্ষতির মাশুল দিতে হয় মুম্বাইকে, কারণ ঈশানও অনেক ভালো মারপিটো একজন ব্যাটসম্যান ।
মোট কথা মুম্বাইয়ের ভালো ভালো ব্যাটসম্যান কেউ বেশিক্ষন ধরে খেলতে পারেনি, সবাই ঝপাঝপ মেরে আউট হয়ে গেছে। আর আসলেও এতো বড়ো রান চেস করাটা সহজ বিষয় না, খুবই কঠিন একটা পরীক্ষা বলা যায়। এতো বড়ো রানের চেস করতে গেলে প্লেয়ারদের মাথায় একটা টেনশনও কাজ করে আর এর জন্য অনেক সময় দ্রুত রান করার জন্য মারতে গিয়েই আউট হয়ে যায়। তারপরেও বলবো যে মুম্বাই এতো বড়ো রানের টার্গেটে আর প্লেয়ার ইনজুরিতে থাকা সত্বেও ব্যাটিং ভালো করেছে শেষ পর্যন্ত।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |









Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রিয় দাদা, গত রাতের খেলাটা অত্যন্ত জমজমাট এবং উত্তেজনাকর ছিল। গত রাতের খেলায় সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে গিলের ১২৯ রানের মারকুটে ইনিংসটি দেখে। যতক্ষণ গিল ক্রীজে ছিল ততক্ষণ মনে হচ্ছিল যে মাঠে সুপার সাইক্লোন প্রবাহিত হচ্ছে। গত রাতের খেলাটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল।
দাদা এবারের আইপিএল আসরে খুব একটা বেশি ম্যাচ দেখতে পারিনি। তবে প্রথমেই বলে রাখি আমি কিন্তু চেন্নাই কে সাপোর্ট করি। চেন্নাই টিমটাকে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে শুধু মাত্র ধরির জন্য। তবে গতকাল গুজরাট যা খেলা দেখালো তা শত্তি অসম্ভব খেলা। তবে কাল যেহেতু ফাইনাল, ফাইনাল খেলাটি দেখব, তবে কালকে খেলাটির আমি হাইলাইটস দেখেছিলাম।
দাদা এক সময় আমিও আইপিএলের পোকা ছিলাম। সব গুলো ম্যাচে চোখ রাখতাম। মানুষ আমার কাছে খেলার আপডেট জানতো। কিন্তুু এখন জীবন নামের যুদ্ধে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছি যে বাংলাদেশের খেলা দেখার সুযোগ পর্যন্ত নেই। মাঝে মাঝে আমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারি না। জীবনে কি চাইলাম আর কি হয়তেছে। যায়হোক দাদা আপনার মাধ্যমে মুম্বাই আর গুজরাটের কোয়ার্টারফাইনাল খেলার রিভিউটা পড়ে ভালই লাগলো। আসলে দাদা ২০ ওভারে ২৩৪ রানের বিশাল বড় পাহাড় চেস করা সত্যি কঠিন ছিল। তবে রোহিত শর্মাকে দিয়ে আশা করেছিলাম। যায়হোক খেলাতে যে কোন এক দল জিতবে, এটাই নিয়ম। ধন্যবাদ দাদা।
যদিও আইপিএল খেলা দেখা হয়না। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে সত্যি একেবারে দারুণ উত্তেজনা ছিল। গুজরাট কিন্তু সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে। আর যখন টার্গেট অনেক বেশি থাকে তখন বিপক্ষীয় দলের প্লেয়ারদের মাঝে আলাদা রকমের টেনশন কাজ করে। তখন ভালো ভালো প্লেয়াররাও খুব একটা ভালো খেলতে পারে না। আসলে টেনশন নিয়ে কখনোই ভালোভাবে খেলা সম্ভব হয় না। দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দাদা আপনি তো দেখছি বেশ ভালই আইপিএলের এই জাঁকজমক ম্যাচটা উপভোগ করেছেন। আমিও সম্পূর্ণ ম্যাচটা দেখেছিলাম আর উপভোগ করেছিলাম। ফাইলটা সময় করে দেখবেন দাদা। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলে দাদা সত্যি বলতে আমি খেলা দেখতে একদম কম পছন্দ করি। তাই জন্য আইপিএল খেলা দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি যে এই ম্যাচটা সত্যি অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। বিশেষ করে টার্গেট অনেক বেশি থাকলে ওই ম্যাচটাতে অনেক বেশি টেনশনের থাকে। টেনশন নিয়ে আসলেই ভালোভাবে খেলা কখনোই সম্ভব নয়। তবে আজকে আপনার ভিন্ন রকমের পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।