ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নভেম্বর স্টোরি ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ফ্ল্যাশেস"। গত পর্বে দেখেছিলাম একজন রিটায়ার্ড প্রাপ্ত বড়ো পোস্টমর্টেমর তাদের এই কেসে সাহায্য করার জন্য রাজি হয়। এই পর্বে দেখা যাক বিষয়টা কতদূর এগোয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❂মূল কাহিনী:❂
তো উনি যখন অফিসারদের নিয়ে পরে সে ক্রাইম এর জায়গায় পুনরায় গিয়ে খুনির বিষয়ে কিছু তথ্য বের করতে সাহায্য করে। সেখানে তিনি অফিসারদের মোটামুটি যে নির্দেশিকা দেয় যে, খুনির হাইট ৫ ফুট এবং সেই খুনির মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ এইরকম মানসিক সমস্যা না থাকলে কখনোই এইভাবে কাউকে খুন করতে পারে না। এখন সেইভাবে তারা ইনভেস্টিগেশন করতে থাকে, কিন্তু খুনি পর্যন্ত তারা কোনোমতে পৌঁছাতে আর পারে না। সেখানে মূলত অনুরাধাদের বাড়ি বিক্রি বা কেনার জন্য যেসব ব্রোকাররা ছিল সবাইকে ধরে থানায় নিয়ে যায় এবং সেই সাথে তাদের পাড়ার অনেককেই নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য। কিন্তু কোনো লাভ হয়না, সবার কাছে জিজ্ঞাসা করে একটাই রেজাল্ট পায় যে, তারা কিছুই দেখিনি আর কিছুই জানে না এই খুনের বিষয়ে। এখন এই অনুরাধার বাবার একটা সমস্যা আছে যেটা তারা কেউ এজ পর্যন্ত বুঝতে পারেনি অর্থাৎ প্রতি বছর এই নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখের দিকে ওই বাড়ীতে যায় অর্থাৎ যেখানে এই খুনটা হয়েছে।
সে যাইহোক, এখন এখানে বিষয়টা আরেকটা প্যাঁচ লেগে গিয়েছে। এই কেসের মাঝে আরেক রাজ্যের কেস এসে জুড়ে বসেছে, তাদের এই কেসের তদন্তের সময়ে হায়দ্রাবাদ থানার থেকে ফ্যাক্স আসে ছবি সহ যে, সেখান থেকে ৩ জন আসামি অর্থাৎ একটা মেয়েকে রেফ করে পালিয়ে চেন্নাইতে গিয়েছে। এখন এদের তো এরিয়া ভাগ থাকে, এক জেলার থেকে আরেক জেলায় গিয়ে কিছুই করতে পারে না সেখানকার ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের সাহায্য ছাড়া। এখন এই কেসের সাথে সেইটা জুড়ে দিয়েছে, কিন্তু এই মূল কেসে যে অফিসার আছে সে, এই বিষয়টাকে অতটা গুরুত্ব দেয়নি। এখন হঠাৎ করে এই অফিসার একদিন অনুরাধাকে ফোন করে তাদের বাড়িতে আসতে চায় তার বাবার সাথে দেখা করার জন্য, এর ফলে তার চিন্তা বেড়ে যায়, কারণ এখানে খুনের সাথে তো তার বাবার লিঙ্ক আছে, যেখানে তার বাবার লিখিত পেন ছিল।
এখন সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী ফরেন্সিকের টিম মার্ডার এর অস্ত্র খুঁজতে থাকে আর এদিকে অফিসার হাইট নিয়ে তদন্ত করতে থাকে। আর এখন সন্দেহটা অনুরাধার বাবার দিকেই গিয়েছে। এক তো হাইটের সাথে মিলে যাচ্ছে এবং আরেক মানসিক দিক থেকে তেমন সুস্থ না। আর এখন বুদ্ধি করে তার বাবার কাছ থেকে একটা অটোগ্রাফ নেওয়ার নাম করে স্বাক্ষর নিয়ে নেয় প্রমান স্বরূপ আর একটা ছবি তুলে নেয়। এরপরে মিলিয়ে দেখে বিষয়গুলো সব মিলে যাচ্ছে আর এদিকে তারা মার্ডার করা অস্ত্রও খুঁজে পেয়েছে। আর যে ওই লোকটার গাড়ির ডিক্কিতে একটি ছেলেকে দেখা গিয়েছিলো, ওটাও আসলে তাকে কিডন্যাপ করেই নিয়ে এসেছিলো নিজে এবং পরে দেখা গেলো তাকে মারধরও করেছে। এখন কেন এটা করেছে সেটা তো পরের বিষয়, কারণ সবে বিষয়টা শুরু।
❂ব্যক্তিগত মতামত:❂
এই পর্বে তেমন বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটেনি, শুধু এই পর্বে তিনটি বিষয় জানা গিয়েছে, এক তো হায়দ্রাবাদ থেকে কিছু আসামি পালিয়ে চেন্নাইতে এসেছে এবং তাদের খুঁজে দেওয়ার উত্তর দায়িত্ব পড়েছে চেন্নাইয়ের পুলিশদের উপরে। আর অন্যদিকে যে মার্ডার করা হয়েছে সেই অস্ত্র সম্পর্কে জানা গিয়েছে অর্থাৎ তাকে পেন দিয়েই খুন করা হয়েছে। এখন এই পেনের রহস্য তো অনুরাধার বাবার দিকেই যাচ্ছে পুলিশের সন্দেহ হিসেবে, আর এমনিতেও বেশ কিছু বিষয়ে মিলেও যাচ্ছে তার সাথে। এখন বিষয় হলো এই যে খুন করেছে তার প্রমান কিভাবে করবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট তো খুঁজে পাইনি। এছাড়া এই যে মহিলা খুন হয়েছে, তার পরিচয়ও এখনো তারা বের করতে পারেনি। আরো একটা বিষয়ে যেটা বোঝা গেলো যে, এই যে তিন আসামি পালিয়ে এসেছে, এদের একজনকেই ওই লোকটা কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছে, কাহিনীতে বিষয়টা যতদূর বোঝা গেলো, তবে এই বিষয়টা এখনো ঘোলাটে আছে।
❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৭.৮/১০
❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বাকি ২ পর্বের ঘটনাগুলো পড়া হয়নি তবে নভেম্বর স্টোরির এই পর্ব পড়ে অনেকটাই উৎসাহিত পেলাম। আমি তো ওয়েব সিরিজ অনেক বেশি দেখি এই স্টোরিটা কেন যে মিস হয়ে গেল সেটাই ভেবে পাচ্ছি না, যেহেতু আপনি এক্সপ্লেইন করেছেন তাই ওয়েব সিরিজটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই পর্বে তো দেখছি আসলেই বিশেষ কিছু ঘটেনি। আমার মনে হচ্ছে সেই খুনটা অনুরাধার বাবা করেছে। যেহেতু পেন দিয়ে খুনটা করা হয়েছে এবং আরও অনেক কিছুই মিলে যাচ্ছে। তাছাড়া হায়দ্রাবাদ থেকে কিছু আসামি যেহেতু চেন্নাইতে পালিয়ে এসেছে, সবমিলিয়ে চেন্নাই পুলিশদের খুব ব্যস্ত থাকতে হবে। তাই খুনের সঠিক তদন্ত করতে বেশ ভালোই সময় লাগবে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।