বিশ্ব উষ্মায়ন সম্বন্ধিত একটি চিত্রাঙ্কন ।। অরিজিনাল আর্টওয়ার্ক
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করে নেবো। আজকের টপিকটা একটু ভিন্ন ধরণের অর্থাৎ প্রকৃতির একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা। আসলে এই অঙ্কনটার বিষয় ভাবনায় এসেছে এই গ্রীস্মকালকে কেন্দ্র করে। এখন বর্তমানে আমাদের পৃথিবীতে যে পরিমানে গরমের ভয়াবহতা শুরু হয়েছে, তাতে করে মানুষ সহ বিভিন্ন প্রাণীকুলের জীবন একপ্রকার দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এই গরমের তাপমাত্রাটা দিনদিন আসলে বেড়েই চলেছে, আর এখন প্রতিবছরই এইরকম একটু একটু করে বাড়তে থাকবে, ফলে একসময় দেখা যাবে চারিদিকে খাঁ খাঁ করছে। এই অতিরিক্ত গরমের মাত্রাটা বাড়ার একটাই কারণ হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়া। একপ্রকার নষ্টই হয়ে গেছে বলতে গেলে। গাছপালা যত কেটে উজাড় করবে, ততো এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
কারণ এখন আবহাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট ঠিক নেই, কখনো গরম পড়ছে তো আবার কখনো শীতের মতো পড়ছে। এই যেমন কিছুদিন আগে কিন্তু এতো কুয়াশা পড়েছে যেন শীতকাল এখন, এইরকম অদ্ভুত অদ্ভুত বিষয় এখন দেখা যাচ্ছে আবহাওয়ার। আর এতেই মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক, মূল বিষয়ে আসি, এই চিত্রটিতে আপনারা দুটি বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন, এক সাইডে সবুজতার দৃশ্য আর আরেক সাইডে বিশ্ব উষ্মায়ন এর দৃশ্য। অর্থাৎ এখানে আগে প্রকৃতির দৃশ্যগুলো কেমন ছিল আর এখন এই বিশ্ব উষ্মায়ন এর ফলে প্রকৃতির কি অবস্থা হচ্ছে বা হতে চলেছে সামনে তার একটা দৃশ্য তুলে ধরার চেষ্টা। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের অঙ্কনটি তৈরির ধাপসমূহ।
❁উপকরণ:❁
❣এখন অঙ্কনের ধাপসমূহ নিচের দিকে তুলে ধরা হলো---
➤প্রথম ধাপে, আমি এখানে প্রথমে সেইসব সমস্ত দৃশ্যগুলো এঁকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছি। এখানে একটি গাছ এঁকে তার এক সাইডে সবুজ গাছপালা এবং একটি মেঘের দৃশ্য এঁকে দিয়েছি। আর অন্য পাশে গাছের সমস্ত পাতা শুকিয়ে পড়ে গিয়েছে এবং কিছু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তার গুঁড়ি অঙ্কন করে দিয়েছি আর সূর্যের দৃশ্য এঁকে দিয়েছি।
➤দ্বিতীয় ধাপে, আগে সমস্ত বিষয় অঙ্কন করে নেওয়ার পরে তাতে মার্কার পেনের কালী দিয়ে গাঢ় করে সমস্ত বিষয়গুলো ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলাম।
➤তৃতীয় ধাপে, অঙ্কনটিতে এক পাশে কালার করে সূর্যটিকে কালার করে দিয়েছিলাম।
➤চতুর্থ ধাপে, গাছের অর্ধাংশ কালার করে দিয়েছিলাম যেটাতে গ্রীষ্ম উষ্মায়ন এর চিত্র এবং কাঠের গুঁড়ি দুটিতেও কালার করে দিয়েছিলাম।
➤পঞ্চম ধাপে, গাছটির বাকি অংশ কালার করে উপরের দিকে পাতাগুলোতে কালার করে সবুজতার চিত্র তুলে ধরেছিলাম।
➤ষষ্ঠ ধাপে, যে ছোট ছোট গাছ, লতাপাতার মতো এঁকেছিলাম তাতে এবং ভূমিতে কালার করে দিয়েছিলাম, সাথে আকাশের দৃশ্যটাতে। এরপর মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়ছে তার একটা দৃশ্য তুলে ধরেছিলাম।
আর্ট বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিশ্ব উষ্মায়ন সম্বন্ধিত চিত্রাঙ্কন খুবই সুন্দর চিত্রাংকন করেছেন দাদা। আপনার চিত্রটি দেখে খুবই ভালো লাগলো একদম অরজিনাল চিত্র অংকন হয়েছে। আপনার চিত্র অঙ্কন দক্ষতা অসাধারণ। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে প্রতি বছর তাপমাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। নয়তো দিনদিন পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। রমজান মাসের শেষ সপ্তাহে ভোর বেলা দেখলাম ঘাসের উপরে হালকা শিশির পরেছে। যাইহোক এই আর্টের কনসেপ্ট টা দারুণ লেগেছে দাদা। সত্যি বলতে আর্টটি দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আপনার আর্ট গুলো সবসময়ই দুর্দান্ত হয়। আপনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে খুবই নিখুঁতভাবে সম্পূর্ণ আর্টটি করেছেন। তাছাড়া কালার কম্বিনেশনটাও জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। সবমিলিয়ে আর্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি আর্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেশ সময়োপযোগী বিষয় মাথায় রেখে আর্টটি করেছেন। বর্তমানে বিশ্ব উষ্মায়নের ফলে আবহাওয়ার বিপুল পরিবর্তন হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে প্রানিকুলের উপর।এভাবে যদি উষ্মায়ন বৃদ্ধি পেতে থাকে,তবে পৃথিবীতে প্রানীকুল বেঁচে থাকতে পারবে না। যাইহোক বেশ সুন্দর ভাবে সেই চিত্র আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার অংকনের মাধ্যমে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য।
এভাবে ভেবে দেখিনি দাদা। সত্যি এখন মনে হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য টা নষ্ট হয়েই গিয়েছে। ঈদের দিনের কথা বলি সকালে উঠে দেখি বেশ ভালো কুয়াশা এবং ঠান্ডা। আবার দুপুরের দিকে অতিরিক্ত গরম। বিশ্ব উষ্ণায়ন এর চিএ টা সুন্দর আর্ট করেছেন। বেশ চমৎকার লাগছে দাদা। একটা আর্ট দুইটা অবস্থা প্রকাশ করা হয়েছে সুন্দর ভাবে। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে দাদা মানুষের টিকে থাকাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণের জন্য আবার আমরাই দায়ী! বন উজাড় করছি, কল কারখানার ধোয়াঁ। সবই পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। গাছপালা থাকলে পরিবেশটাও সুন্দর লাগতো। যাইহোক, আপনি আর্টের মাধ্যমে বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা। 🌸
বিশ্ব উষ্মায়ন সম্বন্ধিত চিত্রাঙ্কনটি অসাধারণ হয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে দাদা আপনার প্রত্যেকটা চিত্র অংকন আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি এত সুন্দর ও দক্ষতার সাথে অঙ্কন করেন, চিত্রগুলো যেন একদম হুবহু অরজিনাল হয়ে থাকে। আজকের চিত্রটি অসাধারণ হয়েছে।
দাদা আপনার আর্টগুলো আমি সব সময়ই দেখি। চমৎকার আর্টের হাত আপনার।আর আজকের আর্টের বিষয়টি ও দারুন।পৃথিবীর আগের ও পরের অবস্থা দেখতে পেলাম আমরা এই আর্টের মাধ্যমে। আপনি খুব সুন্দরভাবেই দৃশটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন দাদা।পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে আমরাই এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছি।এর থেকে বাঁচার উপায় হলো বেশী বেশী গাছ লাগানো।নয়ত আমাদের অবস্থা আরও বেশী ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াবে।আপনার এই সুন্দর আর্ট অনেকবেশি মুগ্ধ করেছে আমাকে।আপনি দুটো চিত্র খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ দাদা চমৎকার এই আর্টটি শেয়ার করার জন্য। অনেক অভিনন্দন দাদা আপনাকে। ভালো থাকবেন সব সময়।
দারুন একটি আর্ট করলেন দাদা আপনার আর্ট গুলো সব সময় ভিন্নধর্মী হয়। আজকেও ভিন্ন ধরনের একটি আর্ট শেয়ার করলেন। গরমের উষ্ণতা নিয়ে এমন সুন্দর একটি আর্ট আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ অনেক।ধন্যবাদ
আপনাকে।
দাদা,একদম সময় উপযোগী বিষয় তুলে ধরেছেন এই আর্টের মাধ্যমে।আসলেই বর্তমানে খুবই গরম পড়ছে,আর এর জন্য মানুষেরাই দায়ী।অনিয়মিত গাছ কাটার ফলে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তীতে প্রকৃতি মারাত্মক রূপ ধারণ করবে।তাই বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন।আপনার চিত্রাঙ্কন মানেই অরিজিনাল ও অসাধারণ।সবসময় যেটা আমার বেশি ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।