আমেরিকার বিপক্ষে অর্শদীপ সিং এর সেরা বোলিং

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল ইন্ডিয়া আর আমেরিকার মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল। আর এখন এই গ্ৰুপে ইন্ডিয়া আর আমেরিকাই সমানে সমানে আছে পয়েন্টের দিক থেকে, যদিও নেট রান রেটে ইন্ডিয়া একটু এগিয়ে আছে । যাইহোক, গতকাল টসে ইন্ডিয়া জিত অর্জন করে আর তারা প্রথমেই ফিলডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে এই ম্যাচটা যে আমেরিকার সাথে ইন্ডিয়ার খেলা হয়েছে, এটা দেখলে মনে হবে না। কারণ আমেরিকার অনেক প্লেয়ারই ইন্ডিয়ান, তারা একসময়ে ইন্ডিয়ায় আন্ডার ১৯-এ একসাথে খেলাধুলা করেছিল। কাজের সূত্রে হয়তো তারা আমেরিকায় সেটেল হওয়ায় এখন সেই হিসেবে খেলছে। তবে এদের অনেকের ফরম্যাট সম্পর্কেও জ্ঞাত আছে, তাই ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে মোটেও সুবিধা হয়নি কারো জন্য।

আমেরিকা ব্যাটিং করতে আসলেও প্রথম বলেই অর্শদীপ সিং বোল্ড আউট করে দেয়, শুধু তাই না, একই ওভারে আরো একটি উইকেট নিয়ে নেয় সে। এতে করে একপ্রকার আমেরিকান ব্যাটসম্যানদের মনোবল কিছুটা হলেও ভেঙে যায় আর একটু ভয়ভীতি তো কাজ করেই নতুন অবস্থায়। আমেরিকা আসলে নতুন হলেও তারা শক্তিশালী আছে একটা কারণে যে, ইন্ডিয়ান কিছু প্লেয়ারের কারণে দ্রুত ভালো টিম হয়ে উঠেছে। অবস্থা দেখে তো মনে হয়েছিল যে, ৫০ রান হবে কিনা, কারণ কানাঘোষা খেলার মতো অবস্থা হয়েছিল। অর্শদীপ এর বোলিংএ যদি এই ইফেক্ট পড়ে, তাহলে বুমরাহ এর মতো শক্তিশালী বোলার আসলে কি করে সামলাবে। কেউই তাদের তেমন ব্যাটিং করতে পারেনি, তবে শেষের দিকে মোটামুটি ১০ ওভারের পরে একটু টেইলর আর নীতিশ কুমার নামের এরা দুইজন টুকিটাকি মেরে ১০০ রানটা কোনোমতে ক্রস করেছিল।

তবে এই নিউ ইয়র্ক এর পিচে ১০০ রান চেজ মানে ভীষণ কঠিন একটা বিষয়, তাই মোটামুটি সব টিমই ১০০ রান করতে পারলে একটু নিশ্চিন্ত হয় । এই যেমন ভারত এতো ভালো টিম, কিন্তু গতকালকের পিচে এতটাও তাদের জন্য সহজ হয়নি, কঠিন উইকেট ছিল। এতো স্লোয়ার রান উঠেছে যে বলার মতো না। আর কোহলি ওপেনে আসলে সুবিধা করতে পারছে না যা দেখলাম কয়েকটা ম্যাচে। রোহিতও এই ম্যাচে পারফর্ম করতে পারেনি, আমেরিকাও তাদের উঠে উঠে দুই উইকেট নিয়ে নেয় প্রথমে। ফলে রান করা খুব একটা সহজ ব্যাপার হয়নি। প্রথম ১০ ওভার তো বলা যায় একদম ৫০/৫০ ম্যাচ ছিল। আমেরিকাও বেশ দারুন বোলিং করেছে এই ম্যাচে, তবে পন্থ এসে মোটামুটি খেলা শুরু করেছিল ঠিকই, কিন্তু আলী খানের অফ কাটারে বোল্ড আউট হয়ে যায়। এরপর সূর্যকুমার আর শিবম দুবে দুইজনেই অনেকক্ষন ধরে ধরে খেলে ভালো একটা পার্টনারশিপ গঠন করে, যেটা জেতার সম্ভাবনা করে দেয়, নাহলে শেষ মাথায় তোলা একটা কঠিন হয়ে যেত।

মূলত এই পিচে ব্যাটসম্যানদের রান করতে খুবই পরিশ্রম করতে হচ্ছে, বিশেষ করে যারা চেজ করছে, তাদের তো অবস্থা আরো কাহিল হয়ে যাচ্ছে। এই রান চেজ করতে গিয়ে তাই প্রায় ৯৫% পর্যন্ত ওভার লেগে গিয়েছিলো, যদিও এখানে ম্যাচ এর অন্য রূপ হতে পারতো, যদি তাদের সৌরভ সূর্যকুমারের ক্যাচটা ধরতে পারতো। তবে যাইহোক, ইন্ডিয়া জিতেছে এটাই অনেক বড়ো একটা বিষয়। তবে এই গ্রূপের খেলা দেখে একটা বিষয় যা বুঝতে পারছি যে, দুই টিম হিসেবে ইন্ডিয়া আর আমেরিকা কোয়ালিফাই করতে পারে। আমেরিকার কথা বললাম, কারণ এদের টিম নিউ হলেও খেলা দেখে ভালোই শক্ত মনে হচ্ছে।