এই আইপিএল সিজনে সর্বপ্রথম কোয়ালিফাইয়ের জায়গা করে নিলো কলকাতা
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল কলকাতা আর মুম্বাইয়ের মধ্যে। যদিও কলকাতার জন্য এটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। কারণ এই ম্যাচে জিতলে তাদের কোয়ালিফাই নিশ্চিত। তবে গতকালকের খেলায় বিঘ্নতা সৃষ্টি হলো প্রথম থেকেই। মাঝে তো মনে হচ্ছিলো খেলাই হবে না, আর হলেও অনেক ওভার কেটে দেবে। আর ক্রিকেট খেলায় এই ওভার কাটা খুবই একটা বিরক্তিকর, কারণ এতে সত্যি বলতে মূল ওভারের খেলার যে আকর্ষণীয়তা থাকে সেটাই নষ্ট হয়ে যায়, আর তা যদি আবার এক পক্ষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। তো গতকাল ম্যাচ রাত ৯ টার দিকে গিয়ে শুরু হয় এবং টসে মুম্বাই জিতে যায় আর তারা আগে বোলিং করার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিল। কারণ এই পিচে কিন্তু বৃষ্টি হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরে ব্যাট করলে সুবিধা পাওয়া যায়।
তবে ইডেনের পিচে একটু বোলারদের ক্ষেত্রে সুবিধা বেশি, বিশেষ করে স্পিনারদের। কলকাতার গতকাল ব্যাটিং একদমই ভালোমতো শুরু হয়নি। ওপেনেই ম্যাচটা একদম ঢলে পড়েছিল আর বুমরার বলও সুইম করছিলো এতো যে, পিচে পড়লে সেই বল খেলার পর্যায়ে ছিল না প্রথম দিকে। নারিন তো বলেই দেখতে পাইনি বা বুঝতেই পারিনি। ও যে বলটা মনে করলো অফের বাইরে যাবে, সেই বলটাই সুইম করে অফ স্ট্যাম্পে লেগে গেলো। আর নারিন ব্যাটেই চালায়নি ওই বলে, ওখানেই জিরো রানে আউট হয়ে গেলো। ওখানেই রান একদম ঝিমিয়ে গেলো, এক তো ১৬ ওভারের খেলা দিয়েছে, তারপর যদি এই হয়, তাহলে খুবই বাজে একটা পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবুও পরে ব্যাঙ্কেটেশ আর নীতিশ রানা ম্যাচের রূপটা চেঞ্জ করার চেষ্টা করে। নীতিশ খুবই ধৌর্য সহকারে খেলে ওখানে আর সুযোগ পেলেই সেটা ঠিকঠাক মারার চেষ্টা করে।
আসলে কিছুই করার ছিল না ওখানে, কারণ কারো না কারো ম্যাচের হাল তো ধরতেই হবে, নাহলে তো ওখানেই ম্যাচ শেষ। মোটামুটি ওখানে ৩-৪ জন পরপর এসে একটু ভালো খেলে আর রান রেটটাও পরে মোটামুটি ১০ এর কাছাকাছি রেখেছিলো এটাই অনেক। কারণ ১৬ ওভারে মোটামুটি ১৬০-১৮০ এর মধ্যে রান না রাখলে চেজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই থেকে যায়। তাও যাইহোক, ১৬০ না করতে পারলেও তার কাছে রানটা টার্গেট দিয়েছিলো। তবে এই রান চেজে মুম্বাই শুরুটা ভালো করেছিল। তবে যেহেতু রোহিত খেলছিল না, সেক্ষেত্রে তাদের একটা সুযোগ ছিল, কিন্তু পরে দেখলাম ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামলো। শুরুটা ঈশান ভালোই করে দিয়েছিলো ৪ আর ৬ দিয়ে। রোহিত বেশি ভালো না খেলতে পারলেও ঈশান মোটামুটি ৬ ওভার কাঁপিয়ে দিয়ে গিয়েছিলো আর কলকাতার মনে একটা ভয় লাগিয়েও দিয়েছিলো।
কারণ এইভাবে যদি খেলে যায়, তাহলে তো ১৬ ওভারের আগেই এই রান চেজ হয়ে যাবে। যেটা বলেছিলাম যে, স্পিনারদের জন্য ভালো সুবিধা ছিল আর শ্রেয়াস এখানে নারিনকে এনে বুদ্ধিমানের কাজ করে, ওর আনতেই ঈশানও আউট হয়ে গেলো আর এর পরেই বরুন এর স্পিনে রোহিত গেলো। একদম পুরো পার্টনারশীপ ওখানেই গুড়িয়ে দিলো। এটা অনেকটা প্লাস পয়েন্ট ছিল তাদের জন্য। এরপরে আর কারোরই তেমন কোনো পারফরমেঞ্চ দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে তিলক বর্মা আসলেও রান রেট অনেকটা বেড়ে গিয়েছিলো আর সেখান থেকে পুনরায় ম্যাচের রূপ বদলানো একার পক্ষে অসম্ভব ছিল, তবে অনেকটাই ধরে নেওয়া গিয়েছিলো যে।
মুম্বাই এই ম্যাচ জিতে যাবে, কারণ ম্যাচটা শুরু হয়েছিল সেইভাবে। কিন্তু ৮-৯ ওভার থেকে একদম ঝিমিয়ে যায় এই আকর্ষণীয়তা। কলকাতার বোলাররা মোটামুটি শেষের দিকে এসে ভালো বল করেছিল। তবে তিলক যতক্ষণ ছিল ম্যাচে প্রাণ রেখেছিলো। হরষিত এরে নিয়ে ছিল সবাই চিন্তিত, আমিও ছিলাম। কারণ এর বলে প্রচুর মার খেয়েছে আর ঠিক ১৫ ওভারের মাথায় রাসেল এসে ২২ রান দিয়ে গেলো। আর শেষের ওভার ওরে দিয়ে তো মনে করেছিলাম ম্যাচ শেষ এইবার, কিন্তু ওইই দেখলাম লাস্ট ওভার দুর্দান্ত করলো। তবে যাইহোক, কলকাতা প্রথমবার এই বছরের আইপিএল-এ কোয়ালিফাই করে নিলো।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আইপিএল এর শুরু হতেই এখন পর্যন্ত আমার প্রিয় দল কলকাতা, আপনার রিভউটি পড়ে দারুন লাগলো ভাই। সত্যি বলতে বেশ চাপের মধ্যে আছি তাই এবারের আইপিএল এর একটা ম্যাচও দেখা হয় নাই পত্রিকার খবর ছাড়া। অনেক ধন্যবাদ
আমি বাইরে গেলেও ফোনে অন করে দেই। এইবারের আইপিএল-এ কয়েকটা টিম দারুণ খেলছে, তবে রাজস্থান আর কলকাতা এই দুই টিমের মধ্যে একটা লড়াই হবে ফাইনালে যাওয়া নিয়ে।
আমি অবশ্যই কলকাতাকে সাপোর্ট করবো ফাইনালে :D
গতকাল ১০ টার দিকে টিভি খুলে দেখি খেলা মাএ শুরু হলো তখন একটু অবাক হয়েছিলাম। বুমরাহ নিজের প্রথম বলে সুনিল নারিন কে যে ইয়োর্কার টা মেরেছিল সত্যি সেটা দেখার মতো ছিল। তবে কলকাতা যে ম্যাচটা জিতে যাবে এইটা আশা করিনি। সবমিলিয়ে দারুণ একটা ম্যাচ ছিল এইটা।
আসলেই দাদা বৃষ্টি হলে ওভার কাটা হয়,আর খেলা দেখার সময় এই জিনিসটা খুবই বিরক্ত লাগে। এই ম্যাচে কলকাতার সুনীল নারিন সহ টপ অর্ডারের কয়েকজন ব্যাটসম্যান ভালো ব্যাট করতে না পারলেও,শেষ পর্যন্ত বেশ ভালোই স্কোর গড়তে সক্ষম হয়েছে। তবে মুম্বাইয়ের ঈশান কিশানের ব্যাটিং দারুণ লেগেছিল। কলকাতা এই ম্যাচ জিতেছে বলে বেশ ভালোই হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই তারা ১৮ পয়েন্ট পেয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। যাইহোক এই ম্যাচের রিভিউ দারুণভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।