ওয়েব সিরিজ রিভিউ: নভেম্বর স্টোরি ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'নভেম্বর স্টোরি' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "ক্রস রোডস"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে, পুলিশ এই মার্ডার কেসে খুনিকে সন্দেহজনক ভাবে অনুরাধার বাবাকে গ্রেফতার করতে চায় এবং সেই সাথে যে খুন হয়েছে তার পরিচয়ও বের করতে চায়। এই ঘটনার এখানে কি হয় সেটা দেখা যাক।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
❁মূল কাহিনী:❁
তো পুলিশ এখানে যখন অনুরাধার বাড়ি গিয়ে তার বাবার সাথে কথা বলে এবং বাকি বিষয়গুলো পরীক্ষা করে, তখন সবই প্রায় মিলে যায়। কিন্তু এখানে ঠোস প্রমান তারা এখনো হাতে পায়নি, আর এইসব খুনের ব্যাপারে একদম মজবুত প্রমান যদি না পায়, তাহলে সহজে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে না চাইলেও। কিন্তু উপরের থেকে তাদের চাপ দিতে থাকে যে অনুরাধার বাবার বিরুদ্ধে সবকিছুই যখন প্রমান মিলে যাচ্ছে, তাহলে গ্রেফতার কেন করছে না তাকে। এই নিয়ে অনেকটা রেগেও যায়। কিন্তু এখানে আবার আরো একটা সমস্যায় পড়ে যায় তারা, কারণ এই যে মহিলার খুন হয়েছিল আর এটা তাদেরই এরিয়ার মধ্যে, কিন্তু তাদের পাশের থানার এরিয়ায় আরো একটা ছেলের খুন হয়, এখন এই খুনের সাথে একটা লিঙ্কও থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা হয়। এদিকে অনুরাধা তার বাবাকেই আবার বলে এই খুনের বিষয়ে হেল্প করতে, কারণ তার বাবা যেহেতু একজন এই মার্ডারের বিষয়ে নামকরা লেখক, তাই সে হয়তো হেল্প করতে পারবে এই বিষয়ে।
আর এই ঘটনাকেই তার বাবার সামনে একটা গল্প আকারে তুলে ধরে, যেহেতু তার বাবার মাথায় একটু সমস্যা আছে, তাই আগের ঘটনা মনে নেই। এখন এই বিষয়ে তার বাবা তাকে একটা বিষয়ে বলে যে, যে মহিলা খুন হয়েছে সে মূলত ওই ট্রেনের থেকে নামার পরে কে তাকে পিকআপ করেছে আর সেখান থেকে ওই মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় গিয়েছে। আর কেসটা তাকেই বুদ্ধি খাটিয়ে সমাধান করতে বলে। এখন একটাই মোটিভ হয়ে দাঁড়ায় যে, ওই মহিলা আর সাথে মেয়েটাকে ট্রেনের থেকে নামার পরে কে তাদের ওখান থেকে নিয়ে গিয়েছিলো আর সেই হবে এই খুনের আসামি। আর যে মেয়েটা ছিল তার ব্রেনের এক সাইড যেহেতু প্যারালাইস তাই ওই মেয়ের একার পক্ষে কোথাও গিয়ে কিছু করার ক্ষমতা নেই। এখন অনুরাধার বন্ধু তাদের অফিসে সেই হ্যাকড হওয়ার বিষয়ে অন্য একজনকে নিয়ে আসে আর এক্ষেত্রে সেই ছেলেটা আবার সিসিটিভি হ্যাকের কিছুই জানে না।
এক্ষেত্রে অনুরাধা তাকে হেল্প করে আর সমস্ত ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরা হ্যাক করতে বলে, কারণ ওই মহিলা ওখান থেকে কোথায় কিভাবে কার সাথে গিয়েছিলো সেটা জানতে পারবে। এখন তারা সিসিটিভি তো হ্যাক করে এবং ওখানে অফিসে আরেকটা সমস্যা খাড়া হয়, কারণ ঠিক করার সময়ে ফাইল যখন লোড করছিলো, তখনি শেষ মুহূর্তে তাদের আবারো একটা ফাইল হ্যাক করে নেয়। আর এদিকে অনুরাধা ক্যাফে বসে যে সিসি ক্যামেরা হ্যাক করেছিল তাতে পরিষ্কার দেখতে পায় যে, ওই মহিলার আর মেয়েকে একটা ছেলে সেখান থেকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। আর এই ছেলেটা কিন্তু ছিল ওই হায়দ্রাবাদ থেকে পালিয়ে আসা তিন আসামির একজন। এখন এই বিষয়টা অনুরাধার কাছে ক্লিয়ার যে, ওই মহিলা আর মেয়ে কার সাথে গিয়েছিলো। কিন্তু এখানে আরো একটা বিষয় বের হয়েছে যে, ওই মহিলাকে যে খুন করেছিল তাকে পেয়ে গিয়েছে।
❁ব্যক্তিগত মতামত:❁
এই কেসটাতে এই পর্যায়ে এসে বেশ কিছু বিষয় খোলসা হয়েছে। যেমন, এখানে আসলে ওই মহিলার সাথে যে মেয়েটা ছিল তাকে ওই আহমেদ নামের ছেলেটি কিডন্যাপ করে তাদের ঠিকানায় নিয়ে যায়, কিন্তু ওই মহিলাকে তারা অন্য জায়গায় অর্থাৎ অনুরাধাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং খুন করে। এইবার এখানে এই খুনের সাথে যে একটা পারস্পারিক লিঙ্ক আছে, সেটা কিন্তু মার্ডার করার টেকনিক থেকে সন্দেহ করেছিল। কারণ ওই মহিলাকে যেভাবে খুনটা করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ওই আহমেদ ছেলেটিকেও খুন করা হয়েছিল। এখন এখানে আরো একটা বিষয় হলো, তারা যখন ফিঙ্গারপ্রিন্টস ম্যাচিং করছিলো তখন ওই মহিলার বডিতে থাকা ফিঙ্গারপ্রিন্টস আর এই আহমেদ ছেলেটির ফিঙ্গারপ্রিন্টস ম্যাচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুলিশ এটা নিশ্চিত হয় যে, খুনটা অনুরাধার বাবা করেনি, বরং এই আহমেদ ছেলেটি করেছিল। কিন্তু যে খুনটা করেছিল তাকেই আবার একইভাবে অন্য কেউ খুনটা করে দিয়েছে। কেস পাল্টি খেয়ে গিয়েছে এখানেই। এখন কেস দুইভাবে চলবে, কারণ আবার এটাও হতে পারে যে, কেউ খুন করে আহমেদ এর ফিঙ্গারপ্রিন্টস কেউ ইচ্ছা করে রেখে দিয়েছিলো!
❁ব্যক্তিগত রেটিং:❁
৮.৯/১০
❁ট্রেইলার লিঙ্ক:❁
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাহলে তো দেখছি অনুরাধার বাবা খুনটা করেনি। তবে লোকটা বাজেভাবে ফেঁসে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ যেহেতু নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে অনুরাধার বাবা খুনটা করেনি, এতে করে অনুরাধার বাবার আর কোনো সমস্যা হবে না। তাহলে তো মনে হচ্ছে আহমেদ খুন দুটি করেছে। দেখা যাক পুলিশ আরও তদন্ত করে কি বের করে। তবে ছেলেটা যে খুন হয়েছে, সেই ব্যাপারে অনুরাধা তার বাবাকে হেল্প করতে বলেছে, এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো হয়েছে। অনুরাধার বাবা ঠিকই এই বিষয়ে হেল্প করতে পারবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।