বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় একদিন শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় একদিন শেষ পর্ব
আমরা বিভিন্ন স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে শেষের দিকে এই স্টল গুলোতে এসে পৌঁছলাম । যেখানে বাচ্চাদের কেনার মত কিছু জিনিসপত্র ছিল ।আমার মেয়ে ঘুরে ঘুরে বেশ বিরক্ত হচ্ছিল । কেননা সে কেনার মত কিছুই খুঁজে পাচ্ছিল না । এই দোকানগুলোতে যদিও কেনার মত তেমন কিছু নেই তারপরেও বাচ্চারা খুঁজে খুঁজে তাদের কেনার জিনিসপত্র বের করে । এখানে কাঠের ছোট ছোট বিভিন্ন সামগ্রী ছিল । এছাড়াও বাচ্চাদের মুখোশ ছিল এবং আরও কিছু জিনিসপত্র সে কিনেছিল । যেখানে প্রতিটি জিনিসের দাম ৯৯ টাকা করে ছিল।
আমার মেয়ে কোথাও গেলে দেখা যায় বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য অস্থির হয়ে যায় । কিন্তু বাসায় এসে সেগুলো আর ধরেও দেখে না। এবারও ঠিক তেমনি হলো । বেশ কিছু জিনিস কিনলো কিন্তু বাসায় এসে তাকে একবারও সেগুলো নিয়ে খেলতে দেখলাম না ।মুখোশটি মনে হয় একবার পড়েছিল । আর দ্বিতীয়বার তাকে পড়া দেখি নি । বাচ্চাদের এই এক সমস্যা কেনার জন্য অস্থির হয়ে যায় কিন্তু খেলার তাদের সময় নেই । খেলবে কি করে মোবাইল নিয়ে যে ব্যস্ত থাকে। আমাদের সময় আমরা যেমন বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে খেলাধুলা করতাম এখনকার সময়ে সেই জিনিসটা একদমই দেখা যায় না।
তারপর মেয়ের জন্য কেনাকাটা শেষ করে আমরা আরো একটু সামনে এগোতে থাকলাম । যেখানে দেখলাম সারিসারি শুধু খাবার দোকান । যেখানে হরেক রকমের খাবার ছিল । চটপটি ফুচকা বিভিন্ন আইটেমের ফ্রাই । এছাড়াও আচারের দোকানগুলো ছিল। যেকোনো মেলায় গেলেই এই স্টল গুলো দেখতে পাওয়া যায় । আমি প্রথমের দিকে ভেবেছিলাম হয়তো এই মেলায় এই স্টল গুলো দেখতে পাবো না । কিন্তু শেষের দিকে দেখলাম অসংখ্য খাবারের দোকান রয়েছে । সব ধরনের মেলায় যে খাবারগুলো পাওয়া যায় সেই খাবার গুলোই মূলত এই মেলায় রয়েছে।
বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখলাম । যদিও আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া-দাওয়া করেই এই মেলায় গিয়েছিলাম, যার কারণে এই মেলা থেকে আমাদের তেমন কিছু খাওয়া হয়ে ওঠেনি । তারপরে আবার রাত দশটা বেজে গিয়েছিল যার কারণে এ ধরনের খাবারগুলো আরো বেশি এভোয়েড করেছিলাম । তবে এমনিতে মেলায় গেলে টুকিটাকি কিছু খাওয়া হয় । বিশেষ করে চটপটি, ফুচকা খাওয়া হয় । তাছাড়া চিকেন ফ্রাই, চিংড়ি ফ্রাই বা অন্যান্য যেগুলো থাকে সেগুলো খেতে খুব একটা মজা হয় না । তাছাড়া হরেক রকমের আচার সাজিয়ে রাখলেও আচার গুলোর টেস্ট একেবারে নিম্নমানের থাকে । যার কারণে ওগুলো খাওয়া একদমই বাদ দিয়ে দিয়েছি ।তারপরেও মেলায় গেলে এগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে বেশ ভালই লাগে । আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিসিক উদ্যোক্তা মেলার একদিন দিন শিরোনামের পোস্ট এ আপনি অনেক সুন্দর করে মেলায় ঘুরে বেড়ানোর কথা এবং আপনার মেয়ের কোন জিনিস পছন্দ না হওয়ার কথা এবং অনেক জিনিস কেনার পরেও বাসায় এসে সেগুলো ব্যবহার না করার কথা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলে শুধু আপনার মেয়ে নয় প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে যেকোনো জায়গায় গেলে একটা জিনিস দেখলেই সেটা কেনার জন্য অস্থির হয়ে যায় কিন্তু কিনে দেওয়ার পর সেটি আর ব্যবহার করে না। আর মোবাইলের কথা না বললেই নয় আজকাল বাচ্চারা মোবাইলের প্রতি এতটা আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে অন্যদিকে তাদেরকে ফেরানোই যাচ্ছে না।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আজকালকার বাচ্চাদের খেলনার প্রতি আগ্রহ বেশ কমই থাকে । মোবাইলের প্রতি বেশি আসক্তি থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় অনেক ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন এটা তো আপনার পোস্টগুলো দেখেই বুঝতে পেরেছি। আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তের শেষ পর্ব টা শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই মেলায় দেখছি অনেক কিছুরই আয়োজন করা হয়েছিল। এই মেলার সৌন্দর্য দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা এরকমই হয়ে থাকে। কোনো কিছু দেখলে কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে পড়ে, কিন্তু বাসায় আসলে আর সেগুলো দিয়ে খেলা করে না। আমার মেয়েও সব সময় এরকমটাই করে থাকে। যাই হোক পুরো মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
প্রতিটি বাচ্চাই এখন মনে হয় এরকমই করে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন।
আপু,মেলার ফটোগ্রাফিগুলি সুন্দর ছিল।বিশেষ করে মুখোশগুলি।আপনি ঠিকই বলেছেন মেলার খাবার সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখলেও টেস্টি হয় না।তাছাড়া দামও ইচ্ছেমতো নিয়ে থাকে, যাইহোক বাচ্চারা এখন বেশি ফোন আসক্ত হয়ে পড়ছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু মুখোশ গুলো বেশ সুন্দর ছিল । আর মেলার খাবারগুলোর দামও অত্যধিক রাখে ঠিকই বলেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আপনি আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এই বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই মেলার বেশ কিছু সুন্দর যে দেখতে পেলাম আর আপনার কাটানো মুহূর্তটাও ভালোভাবে উপভোগ করলাম। মেলায় এ ধরনের খাবারগুলো খুব একটা ভালো লাগে না আমার কাছে খেতে। কারণ এগুলোর টেস্ট একেবারেই ভালো লাগেনা।
হ্যাঁ ভাইয়া মেলার খাবারগুলো আমার কাছেও খুব একটা ভালো লাগে না । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।