মায়ের সঙ্গে ডিপ ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার অনুভূতি
ঈদ মোবারক
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
মায়ের সঙ্গে ডিপ ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার অনুভূতি
আমি ও আমার আম্মা আমরা দুজন মিলে বেশ কয়েকটি শোরুমে যেয়ে দেখতে থাকি কোনটা কেনা যায়। আসলে হুট করেই কোন একটা জিনিস তো আর কেনা যায় না ।যেহেতু দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হবে। আর আমরা আগে থেকে সেরকমভাবে সিদ্ধান্ত নিই নি যে কোন ব্রান্ডের ফ্রিজটা কিনব ।যার কারণে আমাদের বিভিন্ন শোরুম ঘুরে দেখতে হয়েছিল। তবে পছন্দমত ফ্রিজ পাচ্ছিলাম না ।যেই টা পছন্দ হয় সেটা আবার আমরা যেরকম সাইজ চাচ্ছিলাম সেরকম হচ্ছিল না ।আবার দেখা যায় যেটা সাইজ মত মিলে কিন্তু সেটার প্রাইজ টা অনেক বেশি হয়ে যায় ।যার কারণে বেশ কিছু দোকান দেখতে হয়।
তবে আমাদের সঙ্গে আমার ভাইয়েরও যাওয়ার কথা ছিল ।কিন্তু সে একটু পরে আসতে চেয়েছিল। যার কারণে আমরা কয়েকটি শোরুম দেখে ফেললাম। তারপর ওকে ফোন করলাম এবং আসতে বললাম।আমি আর আম্মা মোটামুটি দুইটা ফ্রিজ পছন্দ করেছিলাম । তারপর ওকে দুইটা দেখালাম ।ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না কোনটা কিনবে। যাইহোক আমার মামীরও ওখানে আসার কথা ছিল। বেশ কিছু সময় পর সেও এলো ।তারপর সবাই মিলে ফ্রিজ দুটি দেখতে লাগলাম।
তারপর সবার সম্মতিতে যে ফ্রীজ টা পছন্দ হলো আমরা সেটি নিয়ে নিলাম ।তবে আমরা ডিসপ্লে তে রাখা ফ্রিজটি বাদ দিয়ে ইনটেক একটি ফ্রিজ নিতে চেয়েছিলাম। যার কারণে আমাদেরকে আধা ঘন্টা শোরুমে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তারপর অবশেষে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফ্রিজ পেয়ে গেলাম। তবে এসব জিনিস কেনার ক্ষেত্রে স্ক্রাস কার্ড বা গিফটের ব্যবস্থা থাকে। যেখানে মোবাইলে এসএমএস আসার পরে গিফট দেওয়া হয় ।সেখানে আমরা একেবারে শেষের যেটা ছিল সেটাই পেলাম ।মাত্র তিনশত টাকা ।আসলে এরকমই ওরা দিয়ে থাকে সবাইকে।
যাইহোক অবশেষে আমরা আমাদের ফ্রিজ টি নিয়ে বাসায় পৌঁছে গেলাম। আমার মায়ের একটি ইচ্ছে পূরণ হলো । আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগলো। কেননা অনেকদিন থেকেই কিনবে কিনবে করছিল ,কিন্তু কেনা হয়ে উঠছিল না। এবার শেষমেষ কেনা হয়েই গেল। এই কোরবানি ঈদের সময় ডিপ ফ্রিজটা অনেক বেশি কাজে দেয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি খুবই ভালো করেছেন আপু ডিসপ্লে তে রাখা ফ্রিজ গুলো না নিয়ে এই ফ্রিজ গুলো অনেক সময় অন্যরকম লাগে কিন্তু ভেতরে অনেক সুন্দর সুন্দর ফ্রিজ থাকে। তবে ঈদের আগে বা পরে ফ্রিজ বা যেকোনো ধরনের জিনিস কিনতে গেলে গিফট সাথে থাকে। আপনারা সেই উপলক্ষে তিনশত টাকা পেয়েছেন। মায়ের সঙ্গে ডিপ ফ্রিজ কিনতে যাওয়ার দারুন অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ।
আপু ডিসপ্লে তে যে ফ্রিজ ছিল ওটার ই ইনটেক ফ্রিজ দিতে বলেছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি ডিপ ফ্রিজ কিনলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। অনেক সময় দেখা যায় যে নিজের চাহিদা থাকে কিন্তু সময় মত কেনা হয় না। আর নিজের পছন্দ হলে দামে মিলেনা সত্যি আপু। অবশেষে আপনারা শোরুম ঘুরে সুন্দর একটি ফ্রিজ পছন্দর করলেন। কালারটি আমার অনেক ভালো লেগেছে আপু।
হ্যাঁ আপু ফ্রিজ টি দেখতে বেশ ভালই ছিল। মায়ের বেশ পছন্দ হয়েছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
এটা ভালো করেছেন কয়েকটা শোরুম দেখে শুনে তারপর যেটা পছন্দ হয়েছে সেটা নিয়েছেন । এসব জিনিস কেনার ক্ষেত্রে একেবারে তাড়াহুড়া করা ঠিক নয় অনেকগুলো দেখে তারপর নেয়া উচিত । আর স্ক্রাচ কার্ডের কথা কি আর বলব আমাদের ভাগ্যে সব সময় এটাই আসে । মনে হয় ওরা এভাবেই সেট করে রাখে কখনোই তো ভালো জিনিস পড়া দেখি না । সবাই মিলে পছন্দ করে কিন্তু ভালো একটি ফ্রিজ কিনেছেন ।
হ্যাঁ আপু স্ক্র্যাচ কার্ডে আমরা সবসময়ই সর্বনিম্ন গিফট পেয়ে থাকি। এটা আর নতুন কি? তবে বেশিরভাগ ওরা এটাই দিয়ে থাকে দোকানদার বলছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।