বায়তুল মোকাররম মার্কেটে কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়া
যেহেতু সে শপিংয়ে যাবে এবং আমাকে যেতে বলছিল তাই আমি আর না করিনি। আমি ভেবেছিলাম সেখানে গিয়ে আমিও কিছু জিনিসপত্র কিনব । যার কারণে মূলত যাওয়ার প্রতি আগ্রহ অনেকটা বেশি ছিল । কিন্তু ওখানে যাবার পরে দেখলাম ওখানে আমার কেনার মত তেমন পছন্দ মত কোন জিনিস পেলাম না । সেখানে সব ছেলেদের জিনিসপত্রই বেশি দেখলাম ।হজ্জে যাবার জিনিসপত্রই ওই মার্কেটে বেশি দেখলাম ।আর মেয়েদের কেনার মত দ্রব্যসামগ্রী খুব কম পরিমাণেই রয়েছে আমার মনে হল । তবে মার্কেট টিতে প্রচন্ড ভিড় ছিল ,যার কারণে মোবাইল বের করে ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠেনি। আর এই মার্কেটে নাকি ছিনতাই এর ঘটনা অহরহ ঘটে । যায় কারণে মোবাইল বের করার সাহস হয়নি।
যাই হোক আমরা বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে আমার হাজবেন্ডের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনলাম । তবে হজ্বে যাওয়ার আগের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য এই মার্কেটটি একদম পারফেক্ট ছিল । এখানে প্রতিটা জিনিস কিভাবে কতটুকু কিনতে হয় তার সবই এখানকার লোকজনের মুখস্ত দেখতে পেলাম। কেননা সবাই মনে হয় এখান থেকেই কেনাকাটা করে । বেশ কিছু জিনিস কেনাকাটা করার পর আমরা হাঁটছি হঠাৎ এই ছোলা বুট মাখানো লোকটাকে দেখতে পেলাম । তারপর আমরা দুজন মিলে সেখানে দাঁড়িয়ে ছোলা বুট মাখানো খেলাম । এটি খেতে বেশ ভালই লাগে আমার কাছে। তাই তো ওখানে যেয়েও এর লোভ সামলাতে পারলাম না । দুজন মিলে কিছু সময় খাওয়ার কাজে ব্যয় করলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আবারও কেনাকাটা শুরু করলাম । তবে আমার জন্য কিছুই কিনতে পারিনি, যা কেনার তার জন্যই কেনা হয়েছে। তারপর আবার আসরের আযান পড়ে গিয়েছিল, যার কারণে দোতালায় একটি মসজিদ ছিল সে সেখানে নামাজ পড়তে যায় এবং আমাকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে যায় । দাঁড়িয়ে থাকার মুহূর্তটা সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছিল । কেননা একা একা এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কষ্টকর । যাই হোক তার নামাজ শেষ হলে সে বেরিয়ে এল । তারপর আমরা আবারো কিছু কেনাকাটা করলাম । আবার কিছু কেনাকাটা করার পর আমরা একটি খাবার দোকানে গেলাম । সেখানে আমি লাচ্ছি খেলাম । কেননা প্রচন্ড গরম ছিল ।গরমের ভিতর ঠান্ডা কিছু খেতে ইচ্ছে করছিল ।আর আমার হাজবেন্ড কলিজার সিঙ্গারা ও মিন্ট লেমোনেড খেয়েছিল। তার আবার এই ড্রিংসটা ভীষণ পছন্দের।
যাইহোক এভাবে কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়া করতে করতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল । তখন মাগরিবের আজান পড়ে গেল । তখন একটা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হলো । আমার হাজবেন্ড নামাজে যাবে তখন সে আমাকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ওখানে প্রথমে দাঁড় করালো ও মসজিদের দিকে রওনা দিল । তারপর সে নিশ্চিন্ত হতে পারছিল না একা একা এভাবে রেখে যাবে । সে আবার ফিরে এলো । তারপর সে আমাকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদের উপরে সিঁড়িতে এক মহিলা ও তার বাচ্চা বসেছিল তার পাশে বসিয়ে দিল । কেননা তার হাজবেন্ডও নামাজে গিয়েছিল ।তারপর সে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে নামাজ পড়তে গেল ।তারপর সে নামাজ শেষ করে আসার পর আরো কিছু কেনাকাটা করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।তবে সেদিনের ঘোরাঘুরিটা কিন্তু মোটামুটি খারাপ ছিল না। যদিও আমি কিছুই কিনি নি, তারপরও খারাপ লাগেনি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়ের জন্য কেনাকাটা করতে বায়তুল মোকাররম মার্কেটে গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে আপনি আপনার জন্য কোনো কিছুই কিনতে পারেননি এটা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। তবে যাই হোক ভাইয়ার জন্য কেনাকাটা করার সময় খাওয়া দাওয়া করেছিলেন, কেনাকাটা শেষেও আবার খাওয়া দাওয়া করা হয়েছে এগুলো শুনে অনেক ভালো লাগলো। কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটা সুন্দর করে শেয়ার করেছেন, এটা বেশ ভালোভাবে উপভোগ করলাম।
হ্যাঁ আপু কেনাকাটা খাওয়া-দাওয়া করে সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আপনার হাজবেন্ড এর সাথে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন।আসলে এখানে হজ্জে কেনাকাটা বেশি হয় বিদায় তাদের সকল কিছু মুখস্থ। যাইহোক আপনি না কিনতে পারলেও আপনার হাজবেন্ড সব কিনতে পেরেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ছোলা বুট খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ছোলা বুট খেতে অনেক মজার। নিশ্চয় আপনারা অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছিলাম। আর খাবারগুলো ভালো ছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বায়তুল মোকাররমে কেনাকাটার মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। একদম ঠিক বলেছেন আপু ওখানে শুধু পুরুষদের জামা কাপড়ই বেশি মেয়েদের নেই বললেই চলে। তবে আপনার ওইখানে অনেক টাইম কেনাকাটা করেছেন। হালকা নাস্তা হিসেবে ছোলা বুটের কোন বিকল্প নেই। তবে আপনি কিছু কিনতে পারেননি জেনে খুবই খারাপ লাগলো। তারপরেও প্রিয় মানুষটির জন্য কেনাকাটা করে আপনি খুবই আনন্দিত।আর এটাই হওয়া দরকার। অতিরিক্ত গরমে কিন্তু লাচ্ছিটাও খেয়েছিলেন। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া ওই মার্কেটে যেয়ে আমি রীতিমতো হতাশ হয়েছি। নিজের জন্য কেনার মত কিছুই পেলাম না ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাহ চমৎকার একটা মুহূর্ত আপনি শেয়ার করলেন। আসলে পরিবারের মানুষগুলো সব সময় চাই পরিবারের প্রিয়জন মানুষ গুলো সব সময় নিরাপত্তায় থাকুক। তাই আপনাকে ভাইয়া মসজিদে প্রবেশ করার সময় আবারও ফিরে এসে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেলেন। আর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বাইতুল মোকাররম মসজিদের মার্কেট থেকে নিলেন। বোট মাখা দেখেই খেতে ইচ্ছে করলো অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু আপনার ভাইয়া আমাকে রেখে নামাজ পড়তে যেতে ভীষণ টেনশনে পড়েছিল। যাই হোক পরবর্তীতে নিরাপদ জায়গায় বসিয়ে রেখে গিয়েছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই আপু, একটু ভিড় এর জায়গা মোবাইল বের করে ফটোগ্রাফি করতেও ভয় লাগে। কখন মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে যাবে বলা যায় না। আপনাদের মার্কেটে কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। এটা ঠিক আপু, যেকোনো জায়গায় একা দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই অনেক মজার ছিল।
হ্যাঁ আপু আমাদের মোবাইল তো এখন শুধু একটি মোবাইল নয়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। যার কারণেই মোবাইল নিয়ে এখন ভীষণ ভয়ে থাকি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু, একা একা রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে রেখে গেলে খুবই বিরক্তিকর লাগে।যাইহোক ছোলা বুট মাখানো রেসিপিটি বেশ লোভনীয় দেখতে লাগছে।বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো।ভালোই সময় পার করেছেন সবমিলিয়ে আশা করি, ধন্যবাদ আপু।
মাঝেমধ্যে কিন্তু এরকম ভাবে কেনাকাটা করার সময় খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়ার জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন নিশ্চয়ই। আপনার জন্য কেনার ইচ্ছা থাকলেও, তেমন কিছু না থাকায় কিনতে পারেননি শুনে খারাপ লাগলো। তবে যাই হোক ভাইয়ার জন্য যখন কেনাকাটা করেছিলেন, তখন আবার খাওয়া-দাওয়া করেছেন, এটা দেখে তো আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ছোলা বুট মাখানো দেখে তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। দেখেই অনেক মজাদার বলে মনে হচ্ছে।
দাঁড়িয়ে থাকার কি দরকার ছিলো নিচ তলায়ই তো মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা ছিলো, সেখানে গিয়েও বসে থাকতে পারতেন।