আলিফ বার্গারে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম মেয়ের বাবাকে বিদায় জানাতে ।তখন মেয়ে বাবার কাছে বায়না ধরেছিল বার্গার খাবে। আমার মেয়ের ভীষণ পছন্দের খাবার বার্গার ।সে সুযোগ পেলেই বার্গার খাবার আবদার করে বসে। তখন হাজবেন্ড মেয়েকে নিয়ে বাইরে যাবে আমাকেও যেতে বলেছিল। ঢাকায় গেলে আমার আবার বাসার মধ্যে বসে থাকতে একদমই মন চায় না ।মনে হয় বাইরে ঘুরে বেড়াই ।তাই আমিও আর বসে থাকলাম না। আমিও তাদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম ।তারপর সবাই মিলে আলিফ বার্গারে পৌঁছে গেলাম । যদিও রেস্টুরেন্ট টি বাসার একদম কাছেই ছিল, তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম। সে অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আলিফ বার্গারে একদিন
রেস্টুরেন্টে যাবার পর আমরা দেখলাম রেস্টুরেন্টটি খুব একটা বড় নয়। ছোট্ট একটি রেস্টুরেন্ট এবং লোকজন খুব বেশি ছিল না ।আমরা একটি টেবিল দেখে সেখানে বসে পড়লাম ।তারপর মেয়ের জন্য বার্গার অর্ডার করলাম ।সঙ্গে মেয়ের ফুফাতো ভাই ছিল তার জন্য অর্ডার করলাম। আমার হাজবেন্ড আমাকে খেতে বলছিল। কিন্তু আমার এসিডিটির প্রবলেম ছিল যার কারণে আমি খেতে চাইছিলাম না ।তারপরও সে বলল তাহলে অন্য কিছু যেন খাই।
তারপর সে ম্যেনু কার্ড দেখে আমার জন্য ক্রিসপি উইংস অর্ডার করল। বলল এটা খাও ,এতে প্রবলেম হবে না । তারপর আমিও আর না করলাম না ।রেস্টুরেন্টে যেয়ে না খেয়ে বসে থাকা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার, যেটা আমি কখনোই পারি না। তারপর আমিও খেতে রাজি হয়ে গেলাম ।আমি ও আমার হাজবেন্ড আমরা দুজন ক্রিসপি উইংস ফ্রাই খেয়েছিলাম ।এর আগে আমার উইংস ফ্রাই কখনো খাওয়া হয়নি । তবে হট উইংস খেয়েছি অসংখ্য বার। উইংস ফ্রাই টা খেতে কিন্তু বেশ ভালোই ছিল।
আমার মেয়ে এবং তার ভাই দুজন মিলে বেশ মজা করে বার্গার খেলো ।কারণ তার ভীষণ পছন্দের খাবার যে ।বার্গারটা দেখে মনে হয়েছিল খেতে বেশ ভালই হবে ।মেয়েও জানালো হ্যাঁ খেতে ভীষণ মজার। সে বেশ তৃপ্তি করে খেলো ।এদিকে আমরাও উইংস খেতে লাগলাম।
উইংস টি দেখে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এটি খেতে কতটা ক্রিস্পি ছিল। এই রেস্টুরেন্ট ছোট হলেও এদের খাবারের মান দেখলাম বেশ ভালোই ।খাবার গুলো বেশ মুখোরোচক । উইংসটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল। আবার বার্গারটাও তাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছিল ।সবমিলিয়ে খাবার গুলো ভালো ছিল ।তারপর আমার মেয়ে বার্গার শেষ করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে চাইলো। তারপর তার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার করা হলো । আরো কিছুক্ষণ বসে আমরা গল্প করতে থাকলাম।
তারপর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এলে তারা ভীষণ মজা করে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেল। এদের সসটা বেশ মজার ছিল। সবমিলিয়ে সেদিনের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল ।আসলে মজার মজার খাবার সঙ্গে থাকলে সময়টা কিন্তু ভালই কাটে ।মাঝে মাঝে এরকম সময় কাটালে কিন্তু মন্দ হয় না কি বলেন আপনারা ? যদিও আমার হাজবেন্ড অনেক দিন দেশে নেই ,যার কারণে রেস্টুরেন্টে খুব একটা যাওয়া হচ্ছে না । সে ফিরে এলে আবার খুব শীঘ্রই রেস্টুরেন্টে যাব ইনশাআল্লাহ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা আফরোজ সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আমারও মনে হয় আপু মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে বাহিরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বুঝতেই পারতেছি আপু আপনার মেয়ে বার্গার খেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কোনো কিছু না খাওয়া হলে সত্যি ভালোই লাগে না। খাবারগুলো দেখেইতো বুঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি এবং ভাইয়াও দেখছি অনেক বেশি মজাদার ভাবে উইংস টা খেয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা খুব ভালোভাবেই উপভোগ করলাম।
হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ মজা করে খেয়েছিলাম এবং ভালো কিছু সময় কাটিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বার্গার খেতে আমি নিজেও বেশ ভালোবাসি। আর আলিফ বার্গারের বার্গার, ফ্রাইস আর উইংস সব দেখতেই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বার্গার খেতে আপনিও ভালোবাসেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন দাদার মন ভালো না থাকলে কি আর আমাদেরও মন ভালো থাকে মনটা একটু অন্যরকম হয়ে আছে সবারই তারপরও তো কাজ কাম চালিয়ে যেতে হয় । মজার মজার বার্গার খেয়েছেন আর বার্গার সামনে রেখে না খেয়েও পারা যায় না । তারপরও আপনি ক্রিসপি চিকেন খেয়ে নিয়েছেন ভালো করেছেন । ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে ।
হ্যাঁ আপু মজার মজার খাবার সামনে রেখে না খাওয়া বেশ মুশকিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খাবারের মান ভালো ছিল যেহেতু, সেহেতু আপনারা খুব মজা করেই খাবার গুলো খেয়েছিলেন বোঝা যাচ্ছে আপু। ক্রিসপি উইংস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এদিকে বার্গার ও বেশ ভালো লাগে। আপনার মেয়ের পছন্দের বার্গারটা খেয়ে নিশ্চয়ই সে খুব খুশি হয়েছিল। শেষে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও নিয়েছিলেন দেখছি। সব মিলিয়ে দারুন একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ ভালই ছিল ।যার কারণে খেতে বেশ ভালোই লেগেছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মেয়ে বার্গার খাওয়ার জন্য আবদার করাতে, তাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো আপু। বারবার এর ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারতেছি কত বেশি মজাদার ছিল। আপনি বার্গার না খেতে চাইলেও পরবর্তীতে উইংস খেয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে সবকিছুই অনেক মজাদার ছিল। আসলে মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে গিয়ে এভাবে ভালো সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। আমরা তো মাঝেমধ্যেই যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি। কারণ মাঝেমধ্যে জেনে ভালো সময় কাটানো যায়।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের সবারই উচিত মাঝে মধ্যে বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা আর নিজেদের জন্য একটু সময় রাখা । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়ার পোস্টে পড়েছিলাম ভাইয়া মেয়েকে বার্গার খাওয়াতে নিয়ে গেছিল সাথে আপনাকে নিয়ে গেছিলো। আপনি সেই বিষয়টি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো আপু। সত্যি বলতে ঢাকায় যেয়ে বসে থাকার কোন মানে হয় না। ঘুরে ঘুরে যদি এত মজাদার খাবারগুলো খাওয়া যায় আর পছন্দের জায়গা গুলো ঘুরাঘুরি করা যায় অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু মুহূর্তটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপু ঢাকায় গেলে আমার বেশিরভাগ সময় বাইরেই কাটে ।ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়ায় ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাবার কাছে একমাত্র মেয়ের আবদার তাও আবার বিদায় বেলায় করেছে, সেটা কি আর না রেখে পারে। যাই হোক আপনার মেয়ে যেহেতু বার্গার খেতে পছন্দ করে আর বাবা মা ও বাইরে ঘুরতে পছন্দ করে সেই হিসেবে মেয়ের খাওয়াটাও হয়ে যাবে। তবে এই মধ্যরাতে বার্গার, চিকেন উইংস ফ্রাই আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সব গুলো দেখে তো আমার লোভ লেগে গেল আপু। এখন কি করবো বলেন, পার্সেল করে পাঠিয়ে দেন অপেক্ষায় আছি😂😂।
পার্সেল করলে আপনার কাছে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নষ্ট হয়ে যাবে ।এর থেকে এক কাজ করেন এরপর যখন ঢাকায় যাই আপনাকেও বলব ,আপনিও চলে আসবেন ।একসঙ্গে নতুন করে খাওয়া যাবে । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক আছে আপু, যখন যাবেন তখন অবশ্যই বলে যাবেন যাওয়ার চেষ্টা করব 🥰🥰
শুনেছি উইংস খেলে নাকি মানুষ উড়তে পারে, তা আপনি কি উড়ার চেষ্টা করেছিলেন? হি হি হি
ভাইয়া এমন প্রশ্ন করলেন সত্যি একা একাই পাগলের মত হেসে উঠলাম।এমন আজব কথা আমি কোন দিন শুনি নি , তাই আর ওড়ার চেষ্টাও করা হয় নি।এর পরের বার আপনাকে সঙ্গে নিব, সবাই মিলে চেষ্টা করে দেখব কি বলেন?🤪🤪
হা হা হা, না থাক পরে দেখা যাবে উড়তে না পারার কষ্টে খাবারের বিল আমাকেই পরিশোধ করতে হবে।
হা হা হা না হয় দিলেনই বিল টা।বোনকে ভাই খাওয়ালে কিছু মনে করব না।😄🤪