পিঠা উৎসবে ঘোরাঘুরি পর্ব -২
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
পিঠা উৎসবে ঘোরাঘুরি পর্ব -২
সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে এই স্টল টির নাম দেখে ।সত্যিই প্রথম দেখায় অবাক করার মত মনে হবে। যেন স্টল টি আপনাকে ডাকছে। বেশ ভালো লেগেছিল স্টলের নামটি দেখে। আসলে স্টুডেন্টরা মজা করে প্রত্যেকটি স্টলের নাম দিয়েছে। আর প্রত্যেক টি স্টল চমৎকার করে সাজিয়েছে।এমন ভাবে সাজিয়েছে যেন গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ করেছে।
মূলত স্টুডেন্টরা মজা করেই প্রতিটি স্টলের নামকরণ করেছিল ।এক একটি স্টলের একেক ধরনের নাম ছিল। প্রথম দেখায় যে কেউ দেখে অবাক হয়ে যাবে ।একটা স্টলের নাম দেখেছিলাম পাশের দোকানে যাবেন না । আমি যখন ওই দোকানটিতে দাঁড়িয়েছিলাম তখন দোকানের ছেলেগুলো বলছিল আপু স্টলের নাম কি লেখা দেখেন। তাই করবেন কিন্তু এই বলে হাসছিল।এটা আমার কাছে সত্যিই আরো অনেক বেশি মজার লেগেছিল।
যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্টুডেন্টরা এই স্টল গুলো দিয়েছিল ।তেমনি তাই এই স্টল টির নাম ওদের পড়াশোনার সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছিল ।মূলত বেশ ভালো লেগেছিল স্টল গুলোর নামকরণ দেখে ।আর প্রতিটি স্টলের নাম যে মজার ছলে করা তা স্টল গুলোর নাম দেখেই বোঝা যায় ।প্রতিটি স্টলে ছিল হরেক রকম পিঠার আয়োজন যা স্টুডেন্টরা নিজেরাই তৈরি করেছিল। ভীষণ মজার মজার খাবার গুলো দিয়ে স্টল পরিপূর্ণ ছিল।
এই পিঠা উৎসবে গেলে একদিকে যেমন হরেক রকমের পিঠা দেখা যায় ,তেমনি অনেক নাম না জানা পিঠার সঙ্গেও পরিচিত হওয়া যায়। যেগুলো এর আগে কখনো দেখা হয়নি আবার খাওয়াও হয়নি। বেশ ভালো লাগে সেগুলো দেখতে।পিঠা উৎসবে গেলে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি যেন মনে পড়ে যায় ।প্রতিবছর পিঠা উৎসবের এই আয়োজন সত্যি বেশ ভালোলাগার বিষয়। আমি চেষ্টা করি প্রতি বছরই এই পিঠা উৎসবে যাবার জন্য ।যদিও কখনো কখনো সঠিক সময় জানা হয় না যার কারণে কোন কোন বার মিস হয়ে যায়। এবারও যেমন শহরে দুইটা পিঠার উৎসব হয়েছিল প্রথমটা মিস হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়টি পেয়েছিলাম।
এই পিঠা উৎসবে বিভিন্ন ধরনের ভাজা পিঠা , শামুক পিঠা, জামাই পিঠা, সেই সঙ্গে সিঙ্গারা, সমুচা, চিকেন চপ, ভেজিটেবল চপ, স্যান্ডউইচ আরো বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল ।শুধু যে পিঠার মধ্যে এই পিঠা উৎসব সীমাবদ্ধ ছিল সেটা কিন্তু নয় ।সব ধরনের খাবার ব্যবস্থাই এখানে ছিল। এছাড়া একটি স্টলে দেখতে পেলাম ছোট ছোট কাপ কেক। যে কেকগুলো খেতে সত্যি ভীষণ মজার ছিল। এছাড়াও কলিজার সিঙ্গারা ছিল যেটি খেতেও বেশ ভালো লেগেছিল। পরবর্তী পোস্টে আরো বেশ কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু পিঠা উৎসবের স্টলের নাম দেখে তো হাঁসতে হাঁসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম। কয় যান-এই দিকে আসেন,মাথা নষ্ট লাগা পিঠা, পিঠা পুলির সাব স্টেশন কি নাম দিলোরে বাবা। আবার বিভিন্ন ধরনের পিঠার নামও শুনলাম। সর্বপরি ব্লগটি পড়ে অনেক মজা পেয়েছি। ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া স্টল গুলোর নাম বেশ মজার ছিল ।আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। যাই হোক আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।