বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় আসা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় আসা
এর আগে বেশ কয়েকবার আমরা ঢাকায় গিয়েছি ট্রেনে করে। কিন্তু এবার যেহেতু শাশুড়ি সঙ্গে ছিল তাই আর ট্রেনে না যেয়ে বাসে গিয়েছি। কেননা ট্রেনে ওঠানামা বয়স্ক লোকদের জন্য একটু সমস্যা। তাছাড়া গরমের ভেতর ট্রেনে যাওয়া একটু ঝামেলার মনে হল। যার কারণে এসি বাসে যাবার ইচ্ছা ছিল। যদিও আমার হাজবেন্ড খুব ভোরে যাবার ইচ্ছা পোষণ করলো ।কিন্তু খুব ভরে যেতে আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। খুব তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠে খুব তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে বের হওয়া আমার কাছে খুবই কষ্টদায়ক লাগে। যার কারণে আমি একটু দেরিতে যেতে চাইলাম। আমার শাশুড়ি ও দেরিতে যেতে রাজি যার কারনে সে খুব একটা জোর করল না। সে বলল ঠিক আছে ।আমাদের মূলত দশটার সময় যাবার ইচ্ছা ছিল ।তবে সেটাও রেডি হতে হতে দেরি হয়ে গেল।
তারপর আমার হাজবেন্ড টিকেট কাটতে বাস স্ট্যান্ডে গেল। কেননা সে ফোনে বুকিং দিতে চেয়েছিল কিন্তু তারা জানালো ফোনে তারা বুকিং নেয় না। ওখানে যাবার পর যদি টিকেট না পাওয়া যায় তাহলে দীর্ঘ সময় আমাদের বসে থাকতে হবে। যার কারণে সে হাতে দু ঘণ্টা থাকতেই টিকেট কাটতে চলে গেল ।সে যখন আসলো ততক্ষণে আমরা রেডি হয়ে গিয়েছি ।তবে সে জানালো আমাদের বাস ১২:০০ টায়। তখন বাজে মাত্র সাড়ে দশটা ।তখন অত সময় আমরা ওখানে গিয়ে বসে থাকবো, যার কারনে তখন আর বাসা থেকে বের হলাম না। বেশ কিছু সময় পরে আমরা বাসা থেকে বের হলাম। আমাদের এই বাসের কাউন্টার টা বেশ চমৎকার। খুব সুন্দর করে সাজানো গোছানো। নতুন তৈরি করা ।এটি মূলত সব থেকে বড় কাউন্টার ।আর এই বাসটাই ফরিদপুরে সবথেকে বেশি ভালো সার্ভিস দেয়। আমরা সবসময় এই বাসে করেই যাওয়া আসা করি ।বাসটির নাম হচ্ছে গোল্ডেন লাইন।
কাউন্টার টি বিশাল জায়গা নিয়ে তৈরি এবং পুরোটাই
শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যার কারণে সেখানে বসে থাকতে খুব একটা খারাপ লাগছিল না। অল্প সময় অপেক্ষা করার পর আমাদের বাস চলে এলো। তারপর আমরা আমাদের বাসে উঠে পড়লাম ।আমার হাজবেন্ড বাসে খাবার জন্য কিছু টুকিটাকি খাবারদাবার নিয়ে এলো। যদিও এখন আমাদের বাসে করে ঢাকায় যেতে মাত্র দু ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু আগে একটা সময় যখন পদ্মা সেতু ছিল না তখন সারাদিন লেগে যেত ।কেননা তখন ফেরিতে পারাপার হতে হতো। ফেরিঘাটে প্রচুর জ্যাম থাকত ।যাই হোক এখন বেশ সুবিধাই হয়েছে। খুব অল্প সময়ে ঢাকায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হয়।
তবে বাস প্রায় ঠিক দু ঘন্টা পর আমাদের ঢাকায় নামিয়ে দিল ।কিন্তু সেখান থেকে বাসায় পৌঁছাতে আমাদের আরো দুই ঘন্টা লেগে গেল। কেননা ঢাকা শহরে প্রচুর জ্যাম। যেটা আমরা সবাই জানি ।এই কারণেই আমার ঢাকা শহরে কোথাও বের হতে ইচ্ছা করে না। আর খুবই বিরক্তিকর লাগে।কিন্তু বিরক্ত হয়ে লাভ নেই। আর দুদিন পরেই তারা তাদের হজ্জের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে। তারপর আমি আমার বোনের বাসায় যেয়ে দুদিন থেকে আবার ফিরে যাবো নিজ গন্তব্যে ।সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু এবার ঢাকায় আসা প্রয়োজনটা প্রতিবারের চাইতে অনেক গুন ভালো। ভাইয়া আর আন্টি হজ্জে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। তাদের দুজনের হজ্জ আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।আপনারা ট্রেনে না এসে বাসে এসে ভালো ই করেছেন। গরমে এসি বাসে আসাই ভালো। এটা ঠিক পদ্মা সেতু হওয়াতে এখন ঢাকা আসতে সময় কম লাগে। এখন পথে খাবার-দাবার না কিনলে ও সমস্যা হয়না।যেহেতু সাথে মেয়েটি আছে তাই ভাইয়া কিছু খাবার ও নিয়ে নিলেন।দোয়া করি দুজন সুস্থ ভাবে গিয়ে পৌঁছাবেন।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এবারের ঢাকা আসা প্রতিবারের থেকে আলাদা।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
গতকাল ভাইয়ের পোস্ট পড়ে আপনাদের ঢাকা যাওয়ার টুকটাক কথা জানতে পেরেছিলাম। তবে এটা ঠিক কথা, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছে। তাছাড়া এই কথাটা জেনে খুব ভালো লাগলো যে, আমাদের ভাই এবং আন্টি হজ্জে যাচ্ছেন। যাইহোক, তাদের যাত্রা শুভ হোক, এটাই কামনা করি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।ভালো থাকবেন সবসময়।
বাস কাউন্টার টা বেশ সাজানো গোছানো শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত। দেখে ভালোই লাগলো। আসলে এমনই হওয়া উচিত। আমাদের বাঙালিদের অভ্যাস চেইন্জ হয় না। কয়দিন নতুন থাকে,পরে আবার সব আগের মত হয়ে যায়। যায়হোক আশা করি ঢাকার পরের আপডেট পাবো। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু নতুন দেখে অনেক বেশি সুন্দর ।সময় যত যাবে ততই নষ্ট হবে।
ভাইয়া এবং উনার মা হজে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। তবে এটা ঠিক আপু ঢাকা শহরের জ্যামের কারণে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আর অনেক বিরক্ত লাগে। যাইহোক আপনার ঢাকায় কাটানো দিনগুলো ভালো কাটুক এই প্রত্যাশাই করি।
হ্যাঁ আপু জ্যাম অনেক বেশি বিরক্তিকর।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন সবাই মিলে এক জায়গায় একসাথে আসলে আবার সবাই মিলে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে একজনকে রেখে গেলে তখন একটু খারাপ লাগেই ।তারপরও তারা ভালো কাজে যাচ্ছে তাদের জন্য দোয়া করবেন । আর বাসের কাউন্টারে গিয়ে বসে থাকাটা আসলেই বোরিং । আপনারা দেরি করে বের হয়ে ভালো করেছেন । ফরিদপুরে বাস কাউন্টারটা আসলেই ভাল করেছে আমার কাছেও ভালো লাগে ।
হ্যাঁ আপু তাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ফরিদপুর থেকে ঢাকায় তো খুব সহজেই আসা যায়। কিন্তু যাদের বাসা একটু দূরে তাদের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসার ফিরতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এর আগে আমারও একবার এরকম হয়েছিল। এত দূরের রাস্তা দুই ঘন্টায় চলে এসেছিলাম, কিন্তু খুব কাছের রাস্তায় জ্যামের কারণে দুই ঘন্টা লেগেছিলো। যাক অবশেষে সুস্থ মতো পৌঁছতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু দূরের পথ খুব সহজেই আসা যায়। ঢাকার ভিতরে ঢোকার পর জ্যামে আটকা পড়তে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।