ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
ইলিশ খিচুড়ি রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ইলিশ মাছ | পরিমাণ মত |
চাল | পরিমাণ মতো |
মসুর ডাল | পরিমাণ মতো |
মুগ ডাল | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুঁড়া | দুই চা চামচ |
জিরা গুড়া | দুই চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | দুই চা চামচ |
লাল মরিচ গুড়া | এক চা চামচ |
আদা বাটা | তিন চা চামচ |
রসুন বাটা | দুই চা চামচ |
পেঁয়াজ কুচি | পাঁচটি |
কাঁচা মরিচ | চারটি |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
জিরা গুঁড়ো | দুই চা চামচ |
গরম মশলা গুঁড়া | এক চা চামচ |
তেজপাতা | দুইটি |
দারচিনি | দুই টুকরা |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে চাল, ডালগুলো ভালোমতো পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
তারপর ইলিশ মাছ গুলো ভালোমতো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো ও লবণ মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। তারপর হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
তারপর সামান্য তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপর পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করবো।
কিছুক্ষণ জাল দেওয়ার পর পানি সামান্য শুকিয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই ।তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই ।পেঁয়াজ কুচি সামান্য ভেজে আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দেই।
তারপর সব গুঁড়ো মসলা, লবণ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নেই।
মসলা কষানো হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা চালগুলো দিয়ে দেই।
তারপর চালগুলো ভালো মত নেড়ে চেড়ে ভেজে নেই।তারপর তেজপাতা ও দারচিনি দিয়ে দেই।
তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দেই ।পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে ভেজে রাখা চাল গুলো দিয়ে দেই।তারপর কাঁচা মরিচ দিয়ে দেই।
তারপর পানি একটু শুকিয়ে এলে আগে থেকে জাল করে রাখা মাছগুলো দিয়ে ভালো করে ঢেকে দেই।
তারপর পানি একদম শুকিয়ে এলে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার ইলিশ খিচুড়ি রান্না।
তারপর প্লেটে পরিবেশন করি, সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজাও ছিল। খেতে কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আসলে এমন রেসিপি দেখলে খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। ইলিশ মাছ আমার খুব পছন্দের। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ইলিশ খিচুড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন । ইলিশ খিচুড়ি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার রন্ধন প্রণালী আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।আপনার খেতে ইচ্ছে করছে তাহলে অবশ্যই ভাইয়া একবার এভাবে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টির দিনে এরকম খিচুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এরকম ইলিশ খিচুড়ি কখনো খাওয়া হয়নি। ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন আপনি। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। পরিবেশনটাও বেশ দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি কখনো এভাবে ইলিশ খিচুড়ি খাননি তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ।তাহলে বুঝতে পারবেন এটি খেতে কতটা সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ইলিশ খিচুড়ি বেশ জমে যায়।আপনি চমৎকার লোভনীয় ও সুস্বাদু করে ইলশে খিচুড়ি করেছেন আপু।ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। ভাইয়া খেতে চেয়েছে আর আপনি যত্ন করে রান্না করেছেন ভাইয়া নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছে। ধাপে ধাপে ইলশে খিচুড়ি রন্ধন প্রণালী চমৎকার সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ খুব বেশ মজা করে খেয়েছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। তবে ইলিশ খিচুড়ি কখনো আমার খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি ইলিশ খিচুড়ি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। তবে খিচুড়িতে একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া যেহেতু কখনো আপনার ইলিশ খিচুড়ি খাওয়া হয়নি তাহলে অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন। আর ঝাল হলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ইলিশ খিচুড়ির রেসিপি পোস্টটি অত্যন্ত মনোগ্রাহী এবং বিস্তারিত ভাবে প্রস্তুত প্রণালী বর্ণনা করা হয়েছে, যা পাঠকদের নিজেরাই সহজে রান্না করে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়। আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং ছবিগুলো পোস্টটিকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ইলিশ খিচুড়ি খেতে ভীষণ মজার।আপু আপনার রেসিপি দেখে আমার আম্মুর হাতের খিচুড়ির কথা মনে পরে গেলো।আম্মু এভাবেই খিচুড়ি রান্না করে।কিন্তু আমার শ্বশুর বাড়িতে মাছ আলাদা রান্না করে।কিন্তু আমার কাছে এভাবে মাছ দিয়ে একসাথে খিচুড়ি করলেই খেতে বেশী ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু দারুন স্বাদের ইলিশ খিচুড়ির রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার আম্মু এভাবেই রান্না করে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এভাবে রান্না করলে খেতে বেশ মজার হয়ে থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি আমার জানা মতে কম বেশি সবাই পছন্দ করেন খেতে। তবে ঈলিশ মাছ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। চমৎকার ভাবে পরিবেশন করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভাইয়া যেহেতু কখনো এভাবে খাননি অবশ্যই একবার এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আপনার কাছে ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু বেশ কিছুদিন ইলিশ মাছ ফ্রিজিং করা থাকে বলে টেস্ট অনেক কমে যায়। আর সেই সাথে ঘ্রাণ কমে যায়। ইলিশ খিচুড়ি রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। ভাইয়া এই খাবারটি অনেক পছন্দ করেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
হ্যাঁ আপু এই সাজানো প্লেটটি আপনার ভাইয়াকে দিয়েছিলাম বেশ মজা করে খেয়েছিল। দেখেও ভীষণ খুশি হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খিচুড়ি ভাত আমার খুবই প্রিয়।
আর সেটা যদি ঠান্ডা দিনে ইলিশ মাছ দিয়ে প্রস্তুত করা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
আপনার প্রস্তুত করা ইলিশ খিচুরির রেসিপি দেখেই খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন প্রস্তুত প্রণালী শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ।আপনার লোভ লাগছে যেনে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।