আমি ও আমার মেয়ের প্রথম বার একা রেস্টুরেন্টে যাওয়া

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।




বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একদিন আমার মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি ।মূলত কয়েকদিন আগে মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে আনতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। সে বেশ কিছু সময় ছুটির পর অপেক্ষা করছিল। তারপর যখন তাকে বাসায় আনা হল সে তো রেগে মেগে অস্থির ।তখন সে তার বাবার কাছে বায়না ধরলো আমাকে দেরিতে আনার জন্য আমাকে রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যেতে হবে। তখন তার বাবাও রাজি হয়ে গেল ।তার বাবা ভেবেছিল বিকেল বেলায় তাকে রেস্টুরেন্ট থেকে খাইয়ে আনবে। কিন্তু যখন দুপুর হয়ে গেল মেয়ের বাবা নামাজ পড়ে এসে খেতে বসবে ,তখন মেয়ে বায়না শুরু করলো তোমার না রেস্টুরেন্টে যাবার কথা। তখন মেয়ের বাবা বলল সে তো বিকেলে। কিন্তু সে কিছুতে মানতে রাজি নয় সে দুপুরেই যাবে।

এদিকে মেয়ের বাবা ওই সময় কিছুতেই যেতে চাইছিলো না। কারণ তার ভীষণ খিদে পেয়েছিল ।সে খেতে বসে গেল কিন্তু মেয়ে তো খুবই কান্নাকাটি শুরু করে দিল। সে রেস্টুরেন্ট এ যাওয়া ছাড়া কিছুতেই খাবে না ।তখন কি আর করা ।তখন মেয়ের বাবা আমাকে বলল মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যেতে। আমি তো একেবারেই যেতে রাজি ছিলাম না। কারণ আমি পুরো ব্যাপারটা জানতামই না। তাদের দুজনের এই রেস্টুরেন্টে যাওয়ার বিষয়টা। তারপরেও আমি মেয়েকে নিয়ে কখনো একা একা রেস্টুরেন্টে যাইনি ।সব সময় আমরা তিনজন মিলেই গিয়েছি। যাইহোক মেয়ের জিদের কাছে পরাজিত হয়ে শেষমেশ মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে।


আমি ও আমার মেয়ের প্রথম বার একা রেস্টুরেন্টে যাওয়া


IMG20240528143021.jpg

IMG20240528142953.jpg

IMG20240528142947.jpg


এখনকার বাচ্চারা রেস্টুরেন্টের খাবারগুলোর প্রতি এতটা আসক্ত হয়ে পড়েছে যে তাদের কাছে বাসার খাবার খেতে একদমই ভালো লাগেনা। আমার মেয়ের ইদানিং রেস্টুরেন্টের প্রতি অনেক বেশি চাহিদা হয়ে গিয়েছে ।যাই হোক আমরা দুজন মিলে রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। এই রেস্টুরেন্ট টিতে আমরা বেশ কয়েকবার এসেছি ।এটি আমাদের শহরের স্টার কাবাব রেস্টুরেন্ট । তবে মেয়ে সবসময় ফ্রাইড রাইস খেতে চায় কিন্তু সেদিন সে কেন জানি মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে চাইল। যাই হোক তারপর আমরা তাই অর্ডার করলাম।


IMG20240528143306.jpg

IMG20240528143301.jpg


অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের খাবারগুলো সার্ভ করল। তবে এদের কাচ্চিটা খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু দেখলাম যে কাচ্চিতে যে মাংস গুলো ছিল সেগুলো দেখলাম পুরোই হাড্ডি দিয়েছে। যেহেতু এই রেস্টুরেন্টে টিতে বেশ কয়েকবার এসেছি তো ওয়েটারকে ভালোভাবেই চিনি। তো তাকে বললাম ভাইয়া মাংসের অবস্থা দেখেন ।তখন সে বলল আপু কোন সমস্যা নেই আমি চেঞ্জ করে আনছি। তারপর অবশ্য বেশ ভালো মাংসই দিয়েছিল ।যাই হোক আমরা দুজন মিলে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম ।তারপর ড্রিঙ্কস খেয়ে আমাদের বিল পরিশোধ করলাম এবং ওয়েটারকে টিপস দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।


IMG20240528145750.jpg

IMG20240528145746.jpg

IMG20240528145732.jpg

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে যখন রিকশায় উঠবো তখনই হঠাৎ চোখে পড়লো রেস্টুরেন্টের সামনে ফটোসেশন করার জন্য নতুন করে ডেকোরেশন করেছে এরা। এর আগের বার যখন এসেছিলাম তখন এই জায়গাটা এভাবে ডেকোরেশন করা ছিল না। তারপর মেয়েকে দাঁড় করিয়ে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম ।তবে মা মেয়ের এই প্রথমবার একা একা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো ছিল না। কেননা প্রতিবার আমরা তিনজনেই আসি ।এইবার একা একা যেয়ে মেয়ের বাবাকে ভীষণ মিস করেছিলাম।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:OPPO Reno8 T

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @wahidasuma,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 months ago 

মেয়েকে নিয়ে আপনি দেখছি একা একা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন, যদিও একা একা যাওয়ার জন্য আপনার ইচ্ছা একেবারেই ছিল না। আসলে মাঝেমধ্যে ছোটদের রাগের কাছে বড়দের কে হেরে যেতেই হয়। আজ পর্যন্ত আমি কখনো এরকম ভাবে একা একা রেস্টুরেন্টে যাইনি। তবে এইটার জন্য কিন্তু আপনার আলাদা একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে আপু। নিশ্চয়ই সে অনেক মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিল। আপনি একা একা মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু একদমই অন্যরকম একটি অনুভূতি হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

রেস্টুরেন্টে যেতে এখন শুধু বড়রা না ছোটরাও অনেক বেশি পছন্দ করে। আর তেমনি আপনার মেয়েও অনেক বেশি পছন্দ করে রেস্টুরেন্টে যেতে এটা তো বুঝতেই পারলাম। ভাইয়াকে ছাড়া আপনি একা মেয়েকে নিয়ে যেহেতু রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন, তাই খারাপ লেগেছিল বুঝতে পারছি। তবে আপনার মেয়ে নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছে খাবারটা। মাঝে মাঝেই ছোটরা এমন আবদার করে বসে আমাদের কাছে, যেটা পালন না করেও পারা যায় না।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া ঠিকই বলেছেন বড়রাও এখন রেস্টুরেন্টে যেতে পছন্দ করে। আমি তো ভীষণ পছন্দ করি। আর খাবারটা বেশ টেস্টি ছিল ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ভালোই হয়েছে মেয়ের বায়নার কারণে দুজনে মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার খাবার খেয়ে আসতে পারলেন ।সব সময় রাইস খেতে কি আর ভালো লাগে এবার কাচ্চি খেয়ে ভালো করেছেন । কাচ্চিটা তো দেখে আমার খেতে ইচ্ছা করছে । পরিচিত রেস্টুরেন্ট হওয়াতে সুবিধা হয়েছে এবং মাংসগুলো চেঞ্জ করে নিতে পেরেছেন । আর জায়গাটা তো মনে হয় ভালই ।ফরিদপুর গেলে আবার এখানে যাওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ ।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু এখানের কাচ্চিটা খেতে বেশ ভালই ।এর পরের বার আসলে ট্রাই করবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আজ আপনি মেয়েকে নিয়ে একা একা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। ভাইয়ার অনেক ক্ষুধা লেগেছিল বলে সে আগেই খেয়ে ফেলেছে। আর সেই জন্যেই ভাইয়ার রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়নি। তবে রেস্টুরেন্টে যেতে আমার খুব ভালো লাগে। যখন বেশ কয়েকজন বান্ধবী থাকে তখন আমরা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে যাই কাচ্চি খেতে। আমার আম্মু মাঝেমধ্যেই বলে রান্না করতে করতে বিরক্ত লাগে। তবে মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু প্রতিদিন নিয়মিত রান্না করতে আসলেই বিরক্ত লাগে ।যার কারণে মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে গেলে বেশ ভালই হয় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

হে আপু আপনারা তিনজন তো সব সময় একসাথে কোথাও খেতে যান।কিন্তু ভাইয়া যেহেতু খেতে বসে গিয়েছিল। তাই মেয়ের বায়না মেটাতে আপনি নিয়ে গিয়ে ভালো ই করেছেন।তবে মেয়ে সব সময় ফ্রাইড রাইস খেলে ও সেদিন কাচ্চি খেতে চাইলো।বাচ্চাদের কখন যে কি খেতে ইচ্ছে করে বোঝা মুস্কিল।রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন বেশ ভালোই করেছে দেখছি। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আপু রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন এর থেকে খাবারটা বেশ সুস্বাদু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আসলে বাইরের খাবার তো আমাদের বড়দেরই খেতে ভালো লাগে। ছোটদের দোষ দিয়ে লাভ কি। দেরি করে আনতে গিয়েছেন মেয়েকে তো ট্রিট দিতেই হবে। যাইহোক আপনাদের দুজনের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাহলে। খাবার দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ মজা ছিল। এখনকার অনেক রেস্টুরেন্ট গুলোর সামনে এরকম ফটো সেশনের জন্য ব্যবস্থা করে। জানে যে সবাই এসে ছবি তুলবে সেজন্য। যাই হোক ভালো লাগলো।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু খাবারটা বেশ মজা ছিল। খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68523.63
ETH 3260.51
USDT 1.00
SBD 2.66