জেনারেল রাইটিং :- কাঁঠাল চুরির গল্প।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো কাঁঠাল চুরির গল্প। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
প্রত্যেকটা মানুষের একটা সময় থাকে যে সময়টা বাধা মানে না কোন কিছু। কিছু সময় ইচ্ছা করে হারিয়ে যায় অন্য কোন জগতে। আবার কিছু সময় অজানা পথের পথিক হয়ে যায়। সবাই জানে কুড়ি বছর বয়সেরর ছেলেদের বাঁধভাঙ্গা জীবন যাপন করে। যেখানে ধরা বাধার কোন নিয়ম নেই। যখন মন যা চায় তাই করে বেড়ায়। আসলে এই জীবনটা ভুলার নয়। শুধু আমি কেন প্রত্যেকটা ছেলের একই অবস্থা। যখন অনেক গুলো বন্ধু এক জায়গায় থাকা হয় তখন সেখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করা হয়। আর এই কাজ গুলো কিন্তু পরবর্তী জীবনের স্মৃতি। ঠিক যেমন আমরা ওই গণ্ডি পার করে চলে এসেছি। এখন অতীতে যা ছিল সেগুলো আমাদের জন্য একটা স্মৃতি। মাঝেমধ্যে মনে পড়লে মনটা অনেক খারাপ লাগে। ইচ্ছে করে ফিরে যদি পেতাম সেই দিন গুলো আবার। আবার যদি গা ভাসিয়ে বেড়াতে পারতাম। কিন্তু ইচ্ছে করলেই কি সবকিছু হয়। আর ইচ্ছা করলেই কি সবকিছু ফিরে পাওয়া যায় যায় না।
মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী আর এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের মানুষ ইচ্ছা করলে অনেক কিছু করতে পারে এবং করেও। এই জীবনের মধ্যে চমৎকার জীবন উঠতি বয়সের জীবনটা। আমরা অনেকেই এক জায়গায় বসবাস করতাম। বলতে পারেন বসবাস কেন বললাম? আসলে এমন ভাবে থাকতাম যেটা আমাদের কাছে পরিবারের মত মনে হতো। আমরা কত কিছু করতাম কত দুষ্টুমি করেছি তার কোন ঠিক নেই। তবে আপনারা হয়তোবা আমার সাথে একমত হবেন এই বয়সে সবচেয়ে বেশি দুষ্টুমি বলতে, কার বাগানে কোন ফলটি ধরেছে কোন ফলটি মিষ্টি কোনটা ভালো খারাপ এইগুলো নিয়েই আমরা বেশি থাকতাম। গরমের সময় কারেন্ট খুবই কম থাকতো প্রচন্ড গরমের ঘরে বসতে পারতাম না। যদিও পড়াশোনা ছিল সকালে স্কুল যেতে হবে স্যার একটি বার সেখানে পড়ায় দিতে হবে
। সব মিলে বেশ প্যারায় থাকতাম তারপরও গরমে পড়াশোনার প্রতি মনটা খুব একটা ভালো বসতো না।
মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার পরে দুষ্টুমি করতে সবার বেশি ভালো লাগবে। একবার কাঁঠালের সময় রাত তখন বারোটা। আমি অনেকজন ছিলাম সবাই বললাম আজকে কাঁঠাল খেতে যেতে হবে। পাশে একটা বড় বাগান ছিল। তার পাশে কয়েকটা গাছ ছিল। সেখানে আমরা গিয়েছিলাম কিন্তু কোন পাকা কাঁঠাল পেয়েছিলাম না। পরবর্তীতে আমারই নিজের খালুদের কয়েকটা কাঁঠাল গাছ ছিল। ওই গাছের কাঁঠাল ছিল খুবই সুস্বাদু। এই বিষয়টা আমি আমার সহপাঠীদের বলেছিলাম। এরপর আমরা সেখানে গেলাম কাঁঠাল পেরে খেতে লাগলাম। এর আগে একটা মজার কাহিনী হয়েছিল আমাদের সাথে একজন বলেছিল যেহেতু স্যারের কাঁঠাল পেরে খাচ্ছি। তাই স্যারকে একটা চিঠি লিখে দিই। সেখানে লিখে দিয়েছিল স্যার আমি আপনাদের ছাত্র দয়া করে আমাদেরকে গালিগালাজ করবেন না। কাঁঠাল খাওয়ার পরে আমরা যে রাস্তা দিয়ে এসেছিলাম তার উল্টো রাস্তাতে কাঁঠালে বীজগুলো ছিটিয়ে দিয়েছিলাম। যেন আমাদেরকে সন্দেহ না করতে পারে। এরপরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি পরের দিন সকাল বেলায়। আমরা স্কুলে আসার পরে আমার খাল জিজ্ঞাসা করেছিল, আপনাদেরকে একটু বলে রাখি উনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এমন একটা কাজ হয়েছে কাঁঠাল চুরি হয়ে গেছে তুই কি কিছু জানিস। এই কথা শোনা মাত্রই একটু হাসি লাগছিল।
এই বিষয়টা শোনার পরে আমি বললাম, না আমি কিছুই জানি না। তখন আমার খালু বলছিল মজার ব্যাপার হল এটা আমার ছাত্র করেছে। আমি তখন বললাম কি করে বুঝলেন? তখন উনি বলেছিল চিঠির মধ্যে বুঝতে পারলাম। চিঠিতে লেখা ছিল স্যার আমি আপনাদের ছাত্র। আপনি যেন আমাদের গালিগালাজ করবেন না। তখন থেকে একটা কথা বলেছিলেন তিনি বলেছিলেন এই কাজটা বাইরের পাড়ার ছেলেরা করেছে। কারণ যেহেতু তাদের এই রাস্তায় আমি বীজ পেয়েছিলাম। এই কথা শোনার মাত্রই আমার প্রচন্ড হাসি পেয়েছিল। তারপর থেকে সে বিষয়টা কেউই জানছিল না। অনেকদিন পরে খালুকে আমি বলেছিলাম যে এই কাজটি আমরাই করেছিলাম। তখন আমার খালু এটা শুনে ভীষণ হাঁসছিল। আর বলছিল তোরা কাজটি করলি কিন্তু আমরা একটু বুঝতে পারলাম না। আমি বলেছিলাম যদি আপনারা বুঝতেই পারবেন তাহলে আমরা মজা করবো কিভাবে।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার কাঁঠাল চুরির গল্প পড়ে বেশ হাসি পেল ভাইয়া। স্যার ভালো ছিলেন তাই বেঁচে গেছেন,হাহা।চুরি করে আবার চিঠি লেখা।গ্রামের ছেলে পেলে আসলেই দুষ্টু আর চঞ্চল হয়।ভালো লাগলো পোস্টটি,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু আমরা সেই সময় যে ব্যাচ নিয়ে চলতাম আমরা প্রত্যেকজনই ছিলাম খুবই ডান পিঠে। শুধু কাঁঠাল নয় এমন কোন জিনিস নেই যে সেগুলো আমরা চুরি করে খাইনি। আসলে চুরি বললে ভুল হবে, আমরা সবসময় একটু মজা করতাম।
https://twitter.com/ABashar45/status/1802737969050300645?t=l7m6B110DHINrvUBqwhPvQ&s=19
বেশ দারুণ একটি গল্প আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার। আপনার কাঁঠাল চুরির গল্প পড়ার মধ্য দিয়ে কিন্তু নতুন একটি অজানা গল্প জানার সুযোগ মিলেছে। তাই একে অপরের মাঝে এভাবে গল্প শেয়ার করা মধ্য দিয়ে কিন্তু অজানা বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা যায়।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কাঁঠাল চুরির গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া কাঁঠাল চুরি করেছে ঠিক কিন্তু আবার চিঠি লিখে তার প্রমাণ রেখেছে। যাইহোক অবশেষে স্যার বুঝতে পেরেছেন এটাই অনেক। আসলে স্যার অনেক ভালো মনের মানুষ ছিল তাই আপনারা বেঁচে গেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আপু ওই স্যার ছিল আমার আপন খালু। তাই আর কিছু বলে নাই 😃।
আপনার কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। ভালো বুদ্ধি আপনার কাঁঠাল চুরি করে খেয়ে স্যারকে চিটি লিখেছেন এবং কাঁঠালের বিজ উল্টাপথে ছিটিয়ে এসেছেন। আপনাকে স্যার কাঁঠাল চুরির বিষয়ে কিছু জানেন কি না জানতে চাইলে হেসেছেন জেনে আমারও হাসি পেলো।কিছু দিন পর আপনার চুরির ঘটনা বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ বেশ মজার কাঁঠাল চুরির ঘটনাটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কোন কিছু করার একটা বয়স থাকে। সেই বয়সে দুষ্টুমি গুলো এখন মনে পড়লে বেশ ভালো লাগে হাসিও পায় অনেক। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি কখনো কাঁঠাল নারিকেল চুরি করে খাইনি, তবে একবার আম চুরি করে খেয়েছিলাম। আপনি তো দেখছি আপনার স্যারের গাছের কাঁঠাল চুরি করে খেলেন। আবার স্যারের বরাবর চিঠি লেখেন যেন গালাগালি না করে। পরের দিন যখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছিল তখন আমি হলে ভয়ে সব কিছু বলে দিতাম হে হে হে। গল্পটা দারুন ছিল।
আসলে ভাই ওই কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল গুলো ছিল খুবই মিষ্টি। এক বার যে খাবে বারবার খেতে চাইবে। আর এই কারণেই কিন্তু খাওয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার কাঁঠালির গল্পটি পড়ে তো বেশ ভালই মজা পেলাম। আসলে দুষ্টামির চলে অনেকে অনেক ধরনের ছোটখাটো চুরি করে থাকে। তবে আপনাদের মত এরকম চুরি মনে হয় কেউ করে নাই। কারণ চুরি করে কাঁঠাল খেয়ে আবার চিঠি ও দিলেন। আপনার ছাত্র বলে গালি দিবেন না। এই স্মৃতিগুলো আসলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাঝেমধ্যে মনে পড়বে। গল্পটি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে ভাই আমরা সবসময় দুষ্টুমি করে এগুলো করতাম। তবে যিনি স্যার ছিলেন উনি আমার আপন বড় খালু। তবে ওই বয়সের স্মৃতিগুলো সত্যি ভোলার নয় আর ভুলবোও না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
সাধু মানুষের নাম শুনেছে তবে আজকে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনিও সাধু মানুষ। আপনাদের শিক্ষক এবং খালুর কাঁঠাল চুরি করে খেয়ে ফেলেছেন। এবং চুরি করার লোক শিক্ষকের ছাত্র বলে চিঠি দিয়েছেন। আবার জিজ্ঞেস করার পরও সাধু সাজলেন। সত্যি আপনার অসাধারণ প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পারলাম। এই স্মৃতিগুলো কখনো ভুলার মত নয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোট কালের কাঁঠাল চুরি করা স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঁঠাল চুরি করার দারুন একটি গল্প শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি লাইন উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।