জেনারেল রাইটিং :-চোখের দেখাও অনেক সময় ভুল হয়।

ঘটনাটি বহু বছর আগের। যদিও ঘটনাটি বহু বছর আগের তবুও বর্তমান সময়ে বা অতীত সময়ের জন্য এটি খুবই বাস্তব। অনেক সময় আপনি যা দেখছেন তা ঠিক নাও হতে পারে। কোন কিছু হঠাৎ করে দেখে সেটাকে অনেক কিছু ভেবে নেওয়া এটা কখনো উচিত নয়। কারণ আপনি যা দেখেছেন সেটা সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু আপনার বক্তব্যর মধ্য দিয়ে ওই মিথ্যাটা সত্যিতে পরিণত হওয়ার ফলে অনেক বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ঠিক এমনই কয়েকটা বিষয় নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। যদিও এসব ঘটনা গুলো সচরাচর ঘটে না। কিন্তু যেগুলো ঘটে সেগুলো অনেক বিপদে কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আগের মানুষ ছিল সহজ সরল এটা সবারই জানা। তাদের এই সরলতার কারনে অনেক সময় যারা একটু শিক্ষিত বা জ্ঞানী লোক ছিল তারা সুযোগ নিয়েছে। অনেক মানুষকে নিঃস্ব করেছে শুধু তাদের সরলতার কারণে। ঘটনাটি শুনেছিলাম আমাদের এক ভাইয়ের কাছ থেকে। বর্তমান সময়ে বন সম্পদ কমে গেলেও অতীত সময়ে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা ছিল। আপনারা হয়তোবা অনেকেই বিশ্বাস করেন জ্বীন বলে একটা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি রয়েছে। একজন ব্যক্তি একটা রাস্তা দিয়ে প্রায় যাতায়াত করতো। সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত সকালের দিকে। নিজের কাজকর্ম শেষ করে আসতে আসতে প্রায় রাত সাতটা থেকে আটটা কোন দিন নয়টা বেজে যেত। এভাবে চলাচল করতে হঠাৎ করে একদিন সে একটা বিষয়ের লক্ষ্য করলো। দেখল একজন মহিলা মানুষ রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে। তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই একজন পুরুষ মানুষ ওই মহিলার পিছু পিছু হেঁটে চলে যাচ্ছে।

ওই দিনের রাতটা ছিল বেশ জোসনা ময়। একটু দূরের কিছু থাকলেও সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল। যে ব্যক্তি প্রতিদিন কাজে যায় ওই ব্যক্তি লক্ষ্য করে দেখল একজন মহিলা মানুষ এবং সেই মহিলাটিকপ সে চিনতে পারলো। ওই মহিলার সাথে যে পুরুষটা ছিল সে পুরুষকে সে চিনতে পারছিল না। তাকে দেখার পরে তার সন্দেহ হয়। প্রথম দিন সে তেমন কিছু বলে না। কারণ বলবে বা কি করে কিছুক্ষণ না যেতে সেটা আর দেখা মেলে না। এভাবেই দিন পার হয়ে গেল। হঠাৎ আবারও ওই মহিলার সাথে দেখা। তার মনে সন্দেহ আরো বেশি গাড়ো হলো। ঐদিন ওই ব্যক্তি ওই মহিলার পিছু নিল। যেতে যেতে বেশ অনেক দূর চলে গেল সামনের দিকে। এরপরে ওই মহিলা বনের মধ্যে একটা ঘর রয়েছিল সেই ঘরের মধ্যে ঢুকে গেল। সে বাইরে থেকে খুব একটা ভালো কোন কিছু বুঝতে পারল না। তবে এই অবস্থা দেখে তার মনে খারাপ কিছু উদয় হলো।

এর পরে সেখান থেকে চলে আসলো। ঐ ব্যক্তি মহিলাটা কে দেখে তার বাড়িতে আসলো। তার স্ত্রীর সাথে এ ঘটনা বর্ণনা করলো। তার স্ত্রী বলল চলো তুমি তার স্বামীর সাথে কথা বলো এই বিষয় নিয়ে। এই কথা শোনার পরে কোন স্বামীর মাথা ঠিক না থাকার কথা। তারপরও সে নিজে চোখে দেখতে চাইল। পরের দিন ওই ব্যক্তির সাথে করে ওই মহিলা স্বামী একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকল। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই মহিলাটি ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখে। এটা দেখার পরে তারা আড়ালে লুকিয়ে যায়। এরপরে ওই মহিলার পিছনে তারা হাঁটতে থাকে। ঠিক ওইভাবে ওই মহিলাটি ওই জঙ্গলে ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। এটা দেখার পরে স্বামী তার নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারে না। এভাবেই সে বাড়িতে চলে আসে। পরের দিন সকালবেলায় তার বউকে ডাক দেয় এবং তাকে তালাক দিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় তাকে মারধর করে গালিন্দেহ করে। তার স্ত্রী তার দোষ সম্পর্কে জানতে চাইলে সে শুধু বলে আমি কিছু জানি না তুই যা করেছিস তার জন্য এটা তো শাস্তি।

ওই মহিলার স্বামী কোন অবস্থাতে তার কথা শুনতে রাজি না। এর ফলে তাদের বহুদিনের সংসারটা ভেঙে যায়। এভাবেই বেশ কয়েক মাস চলে গেল। যে ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো বা কাজ করতে যেত সেই ব্যক্তি হঠাৎ করে আবারও একদিন ওই মহিলাকে ওই রাস্তায় দেখতে পাই। এটা দেখার পরে তার স্বামীর কাছে এসে বলে তুই তোর বউকে তালাক দিয়ে দিছিস খুব ভালো করেছিস কারণ তার সমস্যা রয়েছে। তখন ওই মহিলার স্বামী তাকে বলে কেন আপনি এ কথা বলছেন তখন সে বলে আবারও তাকে আমি সেখানেই দেখেছি। আসলে এই ব্যক্তির তার স্ত্রী সম্পর্কে জানা ছিল সে যথেষ্ট ভালো। এ ব্যক্তির তখন ভাবতে থাকে আসলে কি আছে কেন সে সেখানে যায়। আমি কি কোন ভুল করে ফেললাম। এরপর একদিন তার স্বামী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। এবার শেষ হওয়া শরীরে সেখানে উপস্থিত হয় এবং ওই মহিলা ওই সেই ঘরে যাওয়ার পরে। তার স্বামী সরাসরি ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। গিয়ে দেখে একজন বৃদ্ধ মহিলা পড়ে আছে। সেই বৃদ্ধ মহিলাকে দেখার মত কেউ নেই। তাই এই মহিলা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যার পরে তার সাথে দেখা করতে যায় এবং তার জন্য কিছু খাবারে ব্যবস্থা করে।

এটা দেখার পরে ওই ব্যক্তি আফসোস করতে থাকে, আর বলে হাই আমি কি করেছি এটা? যে এত বড় একটা মহৎ কাজের সাথে নিয়োজিত আর আমি তোকে ভুল বুঝে আমার সংসার থেকে তাকে বিতাড়িত করেছি। সেখানেই ওই ব্যক্তি তার সামনে গিয়ে তার হাত ধরে ক্ষমা চাই। স্বামীর এই ভুল বুঝতে পারাতে স্ত্রী তাকে ক্ষমা করে দেয়। আবারো তারা নিজেদের সংসার গুছিয়ে নেয়। এখানে একটা বিষয় দেখেন, যদিও আগের ওই ব্যক্তি নিজের চোখে দেখেছে কিন্তু তার দেখাটার মধ্যে ভুল ছিল। পরবর্তীতে তার স্বামী দেখেছিল কিন্তু তারা সশরী উপস্থিত হয়ে দেখে নাই। আসলে সেখানে কি করতো তিনি। যার কারণে তাদের সংসার ভেঙে গিয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা গুলো বর্তমান সমাজে অনেক সময় ঘটে থাকে। তাই আমাদেরকে বুঝতে হবে অনেক সময় চোখের দেখা ভুল থাকতে পারে। আসল সত্য জানার পরে যে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর উত্তম।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।