লাইফ স্টাইল:- ভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। বেশ কয়েকদিন আগে একটা গ্রামে মেলা বসেছিল, সেই মেলায় গিয়েছিলাম। প্রতিবছরে সেখানে মেলা বসে। এই গ্রামের নাম বাউট। এই মেলার জন্য এই গ্রামটা বেশ ঐতিহ্যবাহী সুনাম অর্জন করেছে। প্রতিবছর এখানে বিশাল মেলা হয়ে থাকে আর এখানে বিভিন্ন প্রকারের জিনিস আসে। আর এসব জিনিস গুলো ক্রয় করার জন্য মানুষের ভিড় জমে উপচে পড়া মতো। যাই হোক আমি বরাবরই মিষ্টি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আর তাই সেখানে বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি খেয়েছিলাম। আর সেখানে বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি বিক্রি করা হয়েছিল আর এই মিষ্টির সম্পর্ক নিয়ে আমি শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
এর আগে আমি এই মেলা নিয়ে অনেক কিছুই শেয়ার করেছি। তবে সেখানে আমি বেশ কিছু মিষ্টি খেয়েছিলাম। সে সব মিষ্টির কথা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। মেলা মানে ভিন্ন রকমের মিষ্টির আয়োজন। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন মেলাতে এমন এমন মিষ্টি আসে, যেটা অনেক সময় আপনারা সচারচর দেখবেন না। আর এই কারনে আমি কোন মেলাতে গেলে প্রত্যেকটা মিষ্টি খাওয়া চেষ্টা করি। ঠিক তেমনি একটি মিষ্টি এটা গুড় দিয়ে বানানো অনেকটা খুরমার মত। ভিতরে ময়দা দিয়ে তৈরি করা এবং তেলে ভেজে পরবর্তীতে গুড় দিয়ে এটা বানানো হয়। এটি খেতে মচমচে এবং খুবই সুস্বাদু। হয়তোবা যারা এটা খেয়েছেন তারা খুব ভালো ভাবেই জানেন এটা কতটা সুস্বাদু। আমার কাছে এটা খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল। কখনো যদি আপনারা দেখেন অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে আশা করি। আর সবচেয়ে বড় কথা অবশ্যই এটা কোনো না কোনো মেলাতেই পাবেন। এ ছাড়া অন্য কোন জায়গায় পাওয়াটা একটু কঠিন।
এখানে আপনারা যে মিষ্টি দেখতে পারছেন এটা আসলে মিষ্টি হলেও এর একটা নাম রয়েছে যেটা এই মুহূর্তে আমার মনে আসছে না। তবে এটা খেতে অনেক ভালো। এটা সাধারণত তৈরি করা হয় রোলার ময়দা গোল করে কেটে উপরে চিনে মাখিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আবার কোন কোন জায়গায় আমি দেখেছি ভুট্টার খৈয় গুড় দিয়ে অথবা চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে এটা কিন্তু দারুন লাগে। হাটে বাজারে সহজে এটা দেখা অনেক ভার। কিন্তু কোন মেলাতে দেখবেন এগুলো বিক্রি হয়। এই যে বললাম মেলা মানেই ভিন্ন ধরনের আয়োজন। যেখানে অনেক কিছু না দেখার জিনিস গুলো দেখা যায়। আর এই কারণে মেলা প্রত্যেকটা মানুষের কাছে একটা ভিন্ন আয়োজন।
এখানে আপনারা যে মিষ্টি দেখতে পারছেন এটা সচরাচর যে কোন হোটেলে পাওয়া যায়। আমরা সাধারণত এই মিষ্টিকে ছোট কালোজাম বলে থাকি। এই মিষ্টিগুলো কিন্তু বেশি উন্নতমানের নয় যেটা সত্য কথা। কারণ যখন আমি এটা খেয়েছিলাম তখন দেখলাম এর মধ্যে ময়দার গুটি রয়েছে। অর্থাৎ বুঝতেই পারলাম এটা খেতে মোটামুটি ভালো হলেও মানের দিক থেকে খুবই কমা। আসলে মেলাতে ভিন্ন ধরনের জিনিস পাওয়া যায়, তাই খাওয়া হয়। কিন্তু যেগুলো সচরাচর দেখা মেলে বা পাওয়া যায় সেগুলো এসব জায়গাতে না খাওয়াই ভালো। কারণ এরা উন্নতমানের তৈরি কখনোই করতে চায় না। কারণ এরা সব সময় অধিক মুনাফা চিন্তা করে। তা এটা খেতে মোটামুটি ভালো লাগছিল বলবো।
এই মিষ্টির নাম হলো বুন্দিয়া। সচরাচর হাটে বাজারে দোকানে যেকোনো জায়গায় এই বুন্দিয়া পাওয়া যায়। এটা তৈরি করা খুবই সহজ। যদি একটু যত্ন করে আদলে বানানো যায় তাহলে এটা খেতে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু। অনেক সময় চালের ময়দা দিয়ে তৈরি করে। কিন্তু যদি এটা বেসমের ময়দা দিয়ে তৈরি করে তাহলে এটা খেতে বেশি সুস্বাদু লাগে। অবশ্য আমি যেটা খেয়েছিলাম এটা মিশ্রণ। মোটামুটি ভালো লাগছিল। আসলে মেলাতে এসেছি বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি খাব তাই খাওয়া। তাছাড়া এসব মিষ্টি গুলো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি রয়েছে আমার মনে হয়। তবে আর একটা বিষয় এই মিষ্টি তৈরি যে শিরা তৈরি করা হয় শিরা যদি ভালো হয় তাহলে কিন্তু এটা খেতে বেশ ভালো লাগে।
মেলাতে সর্বশেষ সময়ের দিকে যখন সবকিছু খাওয়া-দাওয়া বেড়ানো শেষ হয়ে গেছে। এরপরে ফিরে আসার সময় এক জায়গায় দেখতে পেলাম ম্যাজিক অফ ইংলিশ বই পাওয়া যায়। এ জায়গাটাই বেশ ভালো লাগলো। একজন চাচা এটা বিক্রি করছিল। যদিও ভালো লাগছিল তারপরও সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছিলাম না। কারণ পরবর্তীতে দেখলাম তার সামনে ভিন্ন ধরনের বই বিক্রি করছেন । যেগুলো সচরাচর আমি অনেক দেখেছি এবং পড়েছি। তবে ইংলিশ ম্যাজিক এটা আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম লেগেছে। যাইহোক সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম। সেই মেলায় কাটানো সময়ের শেষটা আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/scorched.plants.jagged |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1791848995209560423?t=T9KLWaKz5mTHa6cOk3NsjA&s=19
মেলায় গেলে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ হয়। আর এই মিষ্টি গুলো খেতে ভালো লাগে। ছোটবেলায় যখন মেলায় যেতাম তখন মজার মজার খাবার বেশি খাওয়া হতো। এখন খুব একটা মেলায় যাওয়া হয় না ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার।
সময় সুযোগ পেলে মেলাতে যায় । বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া করার জন্যই বেশি যায় । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার মেলাতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অনুমতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এখানে আমার কাছে কালোজাম মিষ্টিটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এছাড়া আর একটি মিষ্টি দেখলাম বুরিন্দা মিষ্টি। এ মিষ্টি গুলো আমি তেমন খেতে পারি না। রমজান মাসে অনেক সময় এগুলো মুড়ি দিয়ে মানুষ খেয়ে থাকে। এগুলো যদি মুড়ির সাথে দেওয়া হয় তাহলে আমি সেই মুড়ি ও খেতে পারিনা। আপনার ছবি ও অনুভূতি অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ
আপনি একটা বিষয় ঠিক বলেছেন, রমজান মাসে বুন্দিয়ার বেশ কদর রয়েছে। কারণ মুড়ির মধ্য দিয়ে বন্দিয়া অনেকেই মাখিয়ে খায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার মেলাতে গিয়ে মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। আসলে আমি এ ধরনের মেলাতে গেলে মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনার সবকটা মিষ্টির ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখে খেতে মন চাইছে। বিশেষ করে বুন্দিয়া মিষ্টির ফটোগ্রাফি টা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে ,ধন্যবাদ এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি সবসময় মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। তাই যেখানেই যাই মিষ্টির প্রতি আকর্ষণটা আমার থেকেই যায়। আর মেলাতে গেলে তো সব মিষ্টি গুলো একবার করে একটু হলেও খেয়ে দেখি।
মিষ্টি খাওয়ার অনেক সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বেশ চমৎকার ভাবে আপনি মিষ্টি খাওয়ার মুহূর্তটা শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথম দুটি মিষ্টি ছোটকালে বেশ দেখেছি তবে নামগুলো মনে নাই। সাদা রঙের আমরা বাতাসা খেয়েছি যেগুলোকে মিষ্টি বলা হত। কোন শুভ কাজে বাতাসা ব্যবহার করা হতো গ্রামের মানুষ মিষ্টি হিসাবে। তবে এখন বাতাসার প্রচলন খুব কম। আপনার শেয়ার করা মিষ্টিগুলো দেখে মিষ্টি খেতে ইচ্ছা করতেছে। কারণ আমি প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি খেতে পছন্দ করি।
আপনি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। একদিন আমাকে দাওয়াত করেন। আমিও প্রচুর মিষ্টি খেতে পছন্দ করি। বেশি জমিয়ে মিষ্টি খাওয়া হবে কি বলেন আপনি?
মেলায় অনেক কিছুই থাকে। তার মধ্যে খাবার অন্যতম এবং সেখানে অনেক ভিন্ন ভিন্ন খাবার থাকে যা সকলের খেতে ইচ্ছা করে৷এই ভিন্ন কিছু খাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। আজকে আপনি এই ভিন্ন কিছু মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।