জেনারেট রাইটিং :- হনুমানের দাঁত খিল-খালানো।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো হনুমানের দাঁত খিল-খালানো। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
পৃথিবীতে আঠারো হাজার মাখলুকাতের বাস। আর সব সৃষ্টি করেছেন একজন, তিনি হলেন মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা। পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা যিনি তার অপার সৌন্দর্য দিয়ে সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনার এই সৃষ্টির সৌন্দর্য প্রত্যেকটা মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আকাশ বাতাস পশু-পাখি আর আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ সবকিছুই তিনি সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। সৃষ্টি কুলের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রয়েছে আর তাদের জীবনযাত্রা ও কিন্তু ভিন্ন। পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষের স্বভাব এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে পশুর সাথে তুলনা করা হয়। আমার কথা ভুল হলেও হতে পারে কিন্তু আপনাদের দৃষ্টিতে কি মনে হয় একটু জানাবেন। দেখবেন বর্তমান মানুষ মানুষ হয়েও দেখবেন পশুর মত আচরণ করে। কিন্তু সেই মানুষগুলো জানে না যে সে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব। তার আচরণটা এমনও হওয়া উচিত যেটা মানুষের মধ্যে পড়ে। একটা বিষয় আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখবেন অনেক সময় মানুষকে বলে তুই মানুষ হবি না। এর অর্থ কি নিশ্চয় সে মানুষ দেখতে কিন্তু তার আচরণ হল পশুর মত। আর এই কারণেই হয়তোবা বলে থাকে যে তুই মানুষ হবি না।
আজকের টাইটেল দেখে হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন হনুমানের দাঁত খিলখিলানো বলতে আমি কি বোঝাতে চেয়েছি সেখানে। অনেক সময় দেখা যায় আপনার পাশের মানুষটা এমন ভাবে আপনার আচরণ করছে বা এমন কিছু করছে যেটা হনুমানের থেকেও খারাপ। ছোট্ট করে একটা ঘটনা বলে আপনাদের তাহলে আপনারা বুঝতে পারবেন। একদিন গ্রামের মধ্যে একটা হনুমান চলে এসেছিল। হনুমান টা ছিল খুব ক্ষুধার্ত মানুষ তাকে খেতে না দিয়ে তার সাথে মজা করছিল। সে ক্ষুধার্ত অর্থাৎ সে কিন্তু বিপদময় অর্থাৎ তার খোদাই হলো তার জন্য বিপদ। অথচ এটা নিয়ে মানুষ মশকরা করছে। তো সেখানে হনুমান যখন দাঁত খিল্লাছিলো ছিল ছিল ঠিক তখন সেখানে একজন ঠিক অনুরূপ তার মতই করে সে দাত খিল্লাছিলো। তাহলে এখানে একটা বিষয় দেখেন মানুষ এবং পশুর মধ্যে পার্থক্যটা কি। বর্তমানে সমাজে শুধু এখানেই নয় সর্বত্র সরে রয়েছে এমন মানুষ। যারা আচরণ করে মানুষের মধ্যে ঠিক হনুমানের মত। সমাজে এমন মানুষ রয়েছে যারা অন্যকে নিয়ে হাসি তামাশা ঠাট্টা করতে ভালোবাসে। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি একটা ছোট্ট তম মূল্যবোধ থাকতো যদি তাদের মধ্যে বিবেকবোধ জেগে উঠতো তাহলে তারা কখনো এটা করতে পারে না। কিছু সময় দেখবেন মানুষ জোকার সাজে। আর এটা সাজার কারণ হলো মানুষকে হাসানোর জন্য আর কিছু মানুষ দেখবেন জোকার না সেজেই মানুষকে হাসায়। এখানে আমি তুলনা করছি ঠিক হনুমানের মতই হনুমান জোকার সাজেনা কিন্তু মাঝেমধ্যে হনুমানের কান্ড কারখানা দেখে মানুষ হাসে। আমরা সৃষ্টি করে সর্বোত্তম জীব আমাদের আচরণ হবে মানুষের মত যেটা দশ জন দেখে বলবে না এটা একটা মানুষ।
কিছু মানুষের স্বভাব দেখবেন পাঁচটা লোক এক জায়গায় বসে আছে তাদের কথাবাত্রা হচ্ছে। এমন সময় তাদের মধ্যে একজন এমন একটা আচরণ করবে দেখবেন সে আচরণটা আপনার পাঁচটা লোকের ভিতরে চারটা লোকই বলে বসবে এটা আবার কেমন কথা। অর্থাৎ আমি এখানে হনুমানের সাথে তুলনা করেছি এই বিষয়টি আপনি দেখবেন পাঁচটা হনুমান এক জায়গায় থাকলে তাদের মধ্যে একজন আচরণ এমন হবে ঠিক যেন ওই মানুষের মতই। এখন আপনারাই বলেন ওই মানুষ এবং এই হনুমানের মধ্যে পার্থক্য কি? শুধু হাত পা চোখ কান থাকলে মানুষ হওয়া যায় না তার মধ্যে মনুষত্ববোধ থাকা লাগে। মানুষের মধ্যে মানুষের চামড়া থাকা লাগে। মানুষের মধ্যে পশুত্বটাকে ছেড়ে ফেলে দিতে হবে এবং মানুষের মত মানুষ হতে হবে। আমরা মানুষ আমরা শ্রেষ্ঠ জীব আমাদের আচরণগুলো এমন হতে হবে যেন। আমরা সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ জীব আর আমরা সৃষ্টির আচরণ এমন করবো না যেটা সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবে। পৃথিবীটা প্রায় শেষের দিকে তাই আমরা মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াই মানুষের সম্মান দিতে শিখি মানুষের ভালবাসতে শিখি। যে মানুষকে ভালোবাসে আল্লাহ তাকে ভালবাসে। আত্মায় সৃষ্টি করে শ্রেষ্ঠ জীব হয়ে আমরা আমাদের নিজের সম্মানটাকে বজায় রাখবো।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার দুইটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
https://x.com/ABashar45/status/1887490581468983680?t=s47XnUeB8Kp2Yej6xYSngA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি ভাইয়া আমি প্রথমে আপনার টাইটেল দেখে ভাবলাম কি বিষয়ে লিখেছে। পরে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনি সমাজের কিছু নিচু প্রকৃতির মানুষকে অর্থাৎ যারা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না তাদেরকে পশুর সাথে তুলনা করেছেন। আমরা সমাজে অনেক মানুষ আছে ভাইয়া এরকম। আর এই ধরনের মানুষগুলোর কথা শুনে বোঝা যায় এদের আচরণ স্বভাব কেমন। সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া।
কিছু মানুষের আচরণ দেখলে আমার কাছে এমনই মনে হয়। তাই তাদের সম্পর্কে আমার এই লেখাটা। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে সমাজে এমন অনেক মানুষই থাকে যারা মানুষদেরকে মানুষ বলেও মনে করে না৷ তারা নিজেদেরকে এমন একটা কিছু মনে করে যে তারা সবকিছুই ভালোভাবে করতে থাকে৷ এত ভালোভাবে তারা মানুষদেরকে নিচু করতে থাকে এবং অপমান করতে থাকে যে তারা নিজেদেরকে অনেক ভালো একটা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে৷ তবে তাদেরকেও একটা না একটা সময় সেই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে৷ কারণ প্রকৃতি সব কিছুরই জবাব মানুষকে দেয় যা মানুষ পরবর্তীতে বুঝতে পারে৷
জি ভাই আপনার কথার সাথে আমি একমত বর্তমান সময়ে মানুষ খুব মানুষকেও ছোট করে। সমাজ এমন মানুষের অবস্থা এখন বেশি।