জেনারেল রাইটিং :- মানুষ যখন পশু থেকেও নিকৃষ্ট।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হলো মানুষ। এই মানুষকে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কতটা মর্যাদা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা যদি সেই মর্যাদা বুঝতে পারতাম তাহলে পৃথিবীতে আমরা বেপরোয়া জীবন যাপন করতাম না। আমরা হয়তোবা পৃথিবীর শেষ জামানায় বসবাস করছি। আর এই সময় হানাহানি কাটাকাটি মারামারি মানুষ হত্যা ছিনতাই চুরি রাহাজানি এমনকি পশুর থেকেও নিকৃষ্ট কাজ করে চলেছে এই মানুষ। নিজের রক্তের সম্পর্কর ভাই বোন মা বাবার সাথে তারা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করছে। কেউ নিজের মায়ের বাবার জন্য,কেউ নিজের বউ সন্তানকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আবার কেউ বউয়ের জন্য মা-বাবাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আমরা এমন একটা অবস্থার মধ্যে রয়েছি যেখানে মানুষ শুধু পাপাচারে লিপ্ত। একবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন আমরা কোন জামানায় বসবাস করছি এবং কিসের মধ্যে বসবাস করছি। তবে হ্যাঁ বলবো না যে এর মধ্যে ভালো মানুষ নেই, অবশ্যই ভালো মানুষ রয়েছে। আর ভালো মানুষ রয়েছে বলেই পৃথিবী এখনো টিকে রয়েছে। ধর্ম জাত এটা বিষয় নয় সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা মানুষ। সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নয়। মানুষের উচিৎ প্রত্যেক মানুষকে ভালোবাসা।

ছোটবেলায় বলতে শুনেছি বাবা মানুষ হও মানুষ হও। লেখাপড়া শিখেছ বড় হয়েছো মানুষের মত মানুষ হবা। আচ্ছা মানুষকে আবার মানুষ হতে বলে কেন? এ প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে একটা কথা মনে হয়ে গেল। একজন গরিব মানুষ অনেক কষ্ট করে তার বাবা তাকে লেখাপড়া শিখে বিসিএস ক্যাডার বানিয়েছে। ছেলে যখন বড় বাড়ির মেয়ের সাথে বিয়ে করেছে তার কিছুদিন পরেই তার বাবা মাকে সেভাবে দেখাশোনা করে না। এমনকি সে তার সন্তান আর সেই বাবা সে তার ছেলে এটাও সে পরিচয় দিতে দ্বিধাবোধ করে। তাহলে মানুষ কি করে হলো? সে এত উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কিভাবে সে মানুষ। এটাকে মানুষ বলে না এরা মানুষ রুপে জানোয়ার। এখন বুঝতে পারি আসলে মানুষ হতে বলে কেন। মানুষের মধ্যে বহুরূপ রয়েছে। রয়েছে অনেক রোগ, এগুলো মানুষ একাক ক্ষেতে ব্যবহার করে থাকে।তবে মানুষের মধ্যে যেহেতু ভিন্নতা রয়েছে সেহেতু এমন হবে এটাই স্বাভাবিক।

এইতো কিছুদিন আগে একটা নিউজ শুনে খুবই খারাপ লাগলো। মানুষ কতটা নিচে নামলে একটা ছোট বাচ্চাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলতে পারে। মানুষ কতটা খারাপ হলে ছেলে তার বাবার গায়ে আঘাত করতে পারে। এমনকি মেরে ফেলতে পারে। মানুষ কতটা খারাপ হলে নিজের সন্তানকে দম বন্ধ করে মেরে দিতে পারে। মানুষ কতটা খারাপ হলে সন্তান বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে আসতে পারে। মানুষের মধ্যে কেন এমন হচ্ছে? আমরা একই পরিবারে বসবাস করি। সমাজে বসবাস করি অথচ আমরা এই সমাজের মানুষের সাথে পরিবারের মানুষের সাথে কত খারাপ আচরণ করে থাকি। আমরা কেন সবকিছু সহজভাবে নিতে পারি না। যেকোনো কাজে যদি একে অপরের আলোচনা সাপেক্ষে যদি সহজ ভাবে নিতে পারতাম তাহলে মানুষের মধ্যে এ ধরনের নিকৃষ্ট কাজ গুলো সংঘটিত হতে পারত না। মাঝেমধ্যে দেশের কোন খবর শুনে হতভম্ব হয়ে যায়। ভরা ক্লান্ত মনে হয় যেন কিভাবে করেছে এই সমস্ত কাজগুলো। এরা কি আসলেই মানুষ না মানুষরূপী জানোয়ার। কেন মানুষ এত নিকৃষ্ট কাজ গুলো করে থাকে। এই কাজ গুলো তো পশু জানুয়ারদের করা উচিত ছিল। কিন্তুু সেটা করছে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।

মানুষ আজ উন্মাদ হয়ে গেছে। সৃষ্টিকর্তা তার বিবেক দিয়েছে বুদ্ধি দিয়েছেন ভালো কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু আমরা তার বিপরীত কাজ করছি। আমাদের দ্বারা বর্তমান সময় এমন কাজ সংঘটিত হচ্ছে যেটা বিবেকবান মানুষের জন্য সহ্য করা কঠিন। আপনারা হয়তোবা সবাই বুঝতে পারছেন পৃথিবীতে বর্তমান সময়ে কি চলছে। আমাদের দেশের কথাই বলি বৃষ্টি নেই এক নাগরের রৌদ্র ক্ষরা এতে মানুষের জীবন অসহায় হয়ে পড়েছে। আসলে এগুলো তো আমাদের হাতের কামাই। আমরা এগুলো কামাই করেছি। এখন আমাদের সেগুলো খেতে দিচ্ছে। আপনি যেমন তৈরি করবেন তেমন ফল পাবেন। আমরা কিন্তু ঠিক তেমন একটা অবস্থার মধ্যেই রয়েছি। যদি এই অবস্থার মধ্য থেকে নিজেকে না বের করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য আরো খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।

আমরা মানুষ আমাদের বুদ্ধি বিবেক রয়েছে। আমাদের উচিত বুদ্ধি বিবেক ভালো কাজে লাগানো। এমন কোন কাজ করা উচিত নয় যেটা পশুর থেকেও আমাদের খারাপ বলবে। আমাদের এই চিন্তাধারা আমাদের এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে আমরা মানুষ আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। কখনোই আমরা মানুষ হয়ে পশুর থেকে নিকৃষ্ট কাজ করা যাবে না। কারণ পশুদের কোন বুদ্ধি দেয়নি বিবেক দেয়নি। আর যদিও তা দিয়ে থাকে সেগুলো মানুষের মতো প্রকাশ করতে পারেনা। আর মানুষ যেহেতু বুদ্ধি বিবেক সবকিছু রয়েছে। সেহেতু আমাদেরকে কোন কিছু করার আগে সেটা ভাবতে হবে তারপরে এগোতে হবে। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদেরকে তৌফিক দেয় এই নিকৃষ্টতম কাজকর্ম থেকে দূরে রাখার জন্য।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।