জেনারেল রাইটিং :- অপেক্ষা বৃষ্টির হচ্ছে শিলা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো অপেক্ষা বৃষ্টির হচ্ছে শিলা আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
কতদিন বৃষ্টি হয়নি সেটা দিনটার কথা মানুষের মন থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে। বৃষ্টি কত বড় নেয়ামত আল্লাহর দেওয়া সেটা মানুষ ঠিক পদে পদে টের পাচ্ছে। বর্তমানে এই অনাবৃষ্টির কারণে চারিদিকে মনে হয় যেন আগুনের দলা পড়ছে। তীব্র এই গরমে একদিকে যেমন মানুষ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছে। অন্যদিকে মানুষের ফসল গুলো বিনষ্ট হওয়ার পথে। বলতেই হয় যারা ধানের ফসল তৈরি করেছে তারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এখন মেঘের বৃষ্টি পানি পায়নি। যখন এমন অবস্থা শেষের দিকে মানুষের ধানের মাথা গুলো পুড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা হতে থাকলে অবশ্যই মানুষ সামনের দিকে বড় বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। আপনারা হয়তো অনেকেই অবগত রয়েছেন কোন গোত্রের উপরে যখন আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকে তখন তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এই তীব্র দহন এর মধ্য দিয়ে চলছে আমাদের জীবন। যেখানে এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য মানুষ আহাজারি করছে। ঠিক এমন সময় কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছু এলাকায় এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নাই। এর মধ্যে একটা বিষয় আপনারা হয়তো বা লক্ষ্য করে দেখেছেন। বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হচ্ছে। গত বছরে একটা বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করি সেটা হল, আপনারা সবাই অবগত আছেন বর্তমান সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা পড়ছে। গত বছরে চুয়াডাঙ্গা থেকে বাড়ি আসার সময় দেখলাম শিলা পড়ে ভুট্টা পানের বড় সবচেয়ে বিনিষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে অনেক মানুষের অধিকতর থেকে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেক জায়গায় বৃষ্টির পাশাপাশি শিলা পড়েছে। এইতো কয়দিন আগেই বৃষ্টি নামে শুধু শিলা বৃষ্টি হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়নি শুধু শিলা পড়েছে।
চলমান সময় আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণ ধানের উৎপাদন হয়ে থাকে। মাঠে এখনো ধান রয়েছে। এমন একটা সময় চলছে যেখানে বৃষ্টি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। যদি এমন হয় বৃষ্টি না হয় যদি শিলা পরে তাহলে আমাদের এই এলাকার মানুষের অবস্থা কি হবে নিশ্চয়ই আপনারা অনুভব করতে পারছেন। তবে বৃষ্টি হলেই যে শিলা হচ্ছে এটা কিন্তু স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। কারণ এখন পর্যন্ত কোন এলাকাতে শিলা বিহীন বৃষ্টি হয়নি। আর যদিও হয়েছে তাও আবার কম পরিমাণ বৃষ্টি। যদি কোন এলাকার কওম বা গোত্রের মানুষ যদি যাকাত না দেয়, অশ্লীলতা, ব্যভিচার এগুলো যদি বেড়ে যায় তাহলে ঐসব গোত্রের উপরে আল্লাহ গজব নাযিল করেন। সেসব গজব এর মধ্যে খরা অনাবৃষ্টি শিলা এগুলো অন্যতম।
একটা সময় ছিল মানুষ আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে সেটা দিতো হোক বা দুইদিন আগে কিংবা দুদিন পরে। কিন্তু বর্তমান সময়ে ওই ভালো মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। মানুষ ঈমানহারা হয়ে পড়েছে। যার কারণে শুধু গজব পড়ছে। মুসা (আঃ) নবীর জামানায় একটা ঘটনা রয়েছে, সেই সময় বৃষ্টি হতো না। আল্লাহর কাছে তারা সবাই হাত তুলে মোনাজাত করছিল। বারবার মোনাজাত করার শর্তেও বৃষ্টি হচ্ছিল না। তখন আল্লাহর সাথে যখন মুসা আঃ কথা বলে তখন বলেছিল তোমাদের মধ্যে একজন পাপী ব্যক্তি আছে। তার জন্য আমি বৃষ্টি দিচ্ছি না। তখন মুসা আঃ সবাইকে তওবা পাঠ করালো এবং পরবর্তীতে বৃষ্টি হলো। আসলে আমি এই কথাটা বললাম এই কারণে এটা একটি হাদিস। সেখানে একজন ব্যক্তি ছিল গুনাহগার ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই গুনাহগার মানুষের সংখ্যায় বেশি। এখন সবাই বিভিন্ন পাপে পাপিষ্ট। তাহলে কিভাবে আশা করবো আল্লাহর নেয়ামত এত সহজেই পাবো আমরা। তাই আমাদের সেই সৃষ্টিকর্তার পথে ফিরে আসতে হবে। তাহলে এ সমস্ত বড় বড় গজব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করবেন তিনি।
Posted using SteemPro Mobile
এতদিন পরে যখন সবাই বৃষ্টির জন্য আকাশের দিকে চেয়ে আছে তখন বৃষ্টি না হয়ে হচ্ছে শিলাবৃষ্টি। আমাদের পাশের জেলায় এই শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানিনা এমন কত জায়গায় শিলাবৃষ্টির জন্য মানুষের জীবন আরো দুর্দশা দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। সৃষ্টিকর্তা এই সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তার বান্দাদেরকে হেফাজত করুক। আমাদের সবার একটাই কাম্য আমরা যেন আবারো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারি।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে মানুষজন সবাই চেয়েছিল শান্তির বৃষ্টি হবে কিন্তু দেশ যেই যেই জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে, দেখা গেছে সেখানে মানুষ বজ্রপাতের ফলে আতঙ্কিত আবার হয়েছে শিলাবৃষ্টি। আসলে এগুলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সৃষ্টিকর্তার গজব। তবে আমাদের এলাকায় বৃষ্টি দেখা নেই এজন্য খুবই খারাপ লাগলো।
যখন মানুষ স্বস্তির জন্য বৃষ্টি চাচ্ছে তখনই স্বস্তির জায়গায় আর একটা ভয় মানুষের মাঝে কাজ বিরাজমান করছে সেটা হল বজ্রপাত এবং শিলা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই কতদিন যে বৃষ্টি হয় না তার কোন হিসাব নেই। বহুদিন বাদে আল্লাহর রহমত ফিরে এসেছে। জনজীবন প্রশান্তি নিয়ে একটু আরাম আয়েশ করতে পারছে। তবে যেখানে বৃষ্টি হয়েছে হালকা শিলা বৃষ্টি দেখা গেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আশে পাশে জেলা গুলোতে বৃষ্টি হচ্ছে ভাই কিন্তু আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কোন বৃষ্টি নাই। দেখা যাক কবে সেই রহমতের বৃষ্টি হয়।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই অনেক জায়গায় বৃষ্টি পাচ্ছে না। আবার অনেক জায়গায় হচ্ছে শিলাবৃষ্টি। সিলেটে অনেক জায়গায় অনেকের ঘর ফুটো হয়ে গিয়েছে শিলা বৃষ্টির কারণে। অনেকের ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও অনেক জায়গায় খুবই ভালো বৃষ্টি হয়ে পরিবেশটা ঠান্ডা করে দিয়েছে। দীর্ঘদিন গরমে সবারই অবস্থা একদম খারাপ হয়ে গিয়েছে ভাই। এটা ঠিক বলেছেন। আপনার প্রত্যেকটি লেখা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকের এই রাইটিং লেখা তাও অনেক বেশি ভালো ছিল।
সত্যি বলতে এখন বৃষ্টি মানে স্বস্তির একটা আস্থা। কিন্তু এই স্বস্তি এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি ভাই। তবে পাশের জেলাতে বৃষ্টি হলেও শিলা পড়েছে বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
উপরের লেখায় একটু ভুল আছে গজব এর জায়গায় গজল হয়েছে ভাই। বেশ কিছু দিন অনেক গরম ছিলো। আমাদের এখানে প্রায় তিন থেকে চার দিন বৃষ্টি হলো। তবে আল্লাহর রহমতে শিলাবৃষ্টি হয়নি। আপনাদের পাশের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। তাহলে বেশ কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোয়া রইল আল্লাহ যেনো আমাদের এসব গজব থেকে রক্ষা করেন আমিন।
দুই বার করে রিভিশন দিলাম তারপরও ভুল থেকে গেল একটা। তবে আপনাকে ধন্যবাদ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর কথা বলেছেন, আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছু জায়গা রোদে পুড়ে যাচ্ছে। তবে বৃষ্টি শুধু বৃষ্টি নয় সাথে শিলা বৃষ্টি হচ্ছে। এরজন্য আমরাই দায়ী, আমরা অন্যায় ও পাপ করতে করতে এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছি যেখানে আমাদের জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা আজ আমাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন আর সেই জন্যই আমাদের উপর আল্লাহর গজব শুরু হয়েছে। এই শিলা বৃষ্টির জন্য ধানের ফলন যেমন কম হবে তেমনি সব ধরনের ফলের ও ফলন কম হবে। তবে কৃষকরা এই খরার জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর তারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
জানিনা বর্তমান সময়ে এই অবস্থার শেষটা কোথায়। তবে সৃষ্টিকর্তা যেন খুব দ্রুত আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই বৃষ্টির জন্য আমরা অনেক অপেক্ষা করেছিলাম। তীব্র তাপদাহে মানুষের জীবন অনেকটা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। অনেকে তো হি ট স্ট্রোকে মারাও গিয়েছে। তবে শিলাবৃষ্টির খবরটা জেনে খুবই খারাপ লেগেছে। তবে এখানে তো আমাদের কোনো হাত নেই আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।প্রার্থনা করা ছাড়া কোন কিছুই নেই আমাদের।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমাদের কোন হাত নেই। তবে এগুলো আমাদের সৃষ্ট। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/ABashar45/status/1787740753927819743?t=_60uxwa7CwnJaUfYH_iO-w&s=19
প্রচন্ড গরমের ফলে জনজীবন ছিল অতিষ্ঠ। এই মুহূর্তে সবাই প্রত্যাশা করেছিল শীতল আবহাওয়া ও শান্তির বৃষ্টি। কিন্তু দেখা গেছে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে শিলা বৃষ্টি আর বজ্রপাত। এতে ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা পান তামাক সহ আরো অনেক কিছু। সত্যিই এটা খুবই দুঃখজনক।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বহু মানুষের এভাবেই যুগে যুগে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে আসছে আপু। তবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রতি সদই হবেন ইন-শা-আল্লাহ।
আপনি যেভাবে বৃষ্টির অভাব এবং শিলাবৃষ্টির প্রভাব নিয়ে লিখেছেন, তা সত্যিই মর্মস্পর্শী। আমাদের পরিবেশ এবং কৃষি উভয়ের উপর এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর। আপনার ব্লগ আমাদের সচেতন করে এবং প্রকৃতির প্রতি আরো যত্নশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে। আশা করি আমরা সবাই মিলে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাবো। আপনার লেখনী এবং ভাবনার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই এটা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। চেষ্টা করবো আমরা এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে নেয়ার জন্য।