কনকা কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকায়। এইখানে অংশগ্রহণ করেন নর্থ আমেরিকার ক্লাবগুলো। আপনার হয়তো অনেকেই জানেন লিগ কাপের ফাইনালে ন্যাশভ্যালিকে হারিয়ে এই কনকা কাপ চ্যাম্পিয়নশিপে জায়গা করে নেয় ইন্টার মিয়ামি। আর এখানে নর্থ আমেরিকার ক্লাবগুলো রাউন্ড অফ সিক্সটিনে সবাই খেলবে একে অপরের সাথে।

কনফা কাপ চ্যাম্পিয়নশীপে ইন্টার মিয়ামি এবং ন্যাশভেলী এর মধ্যে রাউন্ড অফ সিক্সটিন এর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলার শুরুতেই ন্যাশভেলির জাদু। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটের মাথায় জ্যাকব শ্যাফেলবার্গের গোলে এগিয়ে যায় এই দলটি। অনেকটা স্তব্ধ হয়ে যায় ইন্টার মিয়ামির প্লেয়াররা। আসলে খেলা শুরুতেই যদি গোল হয়ে যায় তাহলে একটু হতাশা কাজ করে। আর এমন অবস্থাতেই দল অনেকটা ব্যাকফুটে পড়ে যায়। তবে যেহেতু খেলা শুরু সেহেতু অবশ্যই ঘুরে দাঁড়ানো যেতে পারে যদি ভালোভাবে খেলা যায়। আর অবশ্যই মেসি বাহিনী সেই কাজটি করবে।

খেলা দেখার সময় একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখলাম সব সময় তাদের আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছিল ইন্টার মিয়ামি দলের উপর। কোনভাবে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারছিল না। তারা যেন একটু মাঠের মধ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। তবে ন্যাশভেলের প্রত্যেকটা খেলোয়ার খুবই দারুণ খেলছিল। আসলে ফুটবল খেলা হলো বল দখল করার লড়াই। মাঠের মধ্যে যে যত বেশি বল কাছে রাখতে পারবে তাদের তত বেশি ভালো খেলা হবে। আর এই কাজটি খুব ভালোভাবেই করে যাচ্ছিল ন্যাশভ্যালি। আর এর জন্য বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইন্টার মিয়ামি।

প্রথম অর্ধের খেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে। খেলা শুরুতে যে গোল হয়েছে তা ছাড়া আর কোন গোল হতে দেয়নি উভয় দল। যদিও এর মধ্যে কয়েকবার সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। তবে তার মধ্যে ন্যাশভেলির বেশি সুযোগ করেছিল কিন্তু তারা আর কোন গোল করতে সক্ষম হয়নি। তবে এ পর্যন্ত খেলা দেখে মনে হয়েছিল হয়তোবা হাফ টাইমের পরে ইন্টার মিয়ামি আবারো গোল খাবে। যদি নেশভ্যালি তারা তাদের এই খেলা ধরন ধরে রাখতে পারে।

প্রথম অর্ধে ইন্টার মিয়ামি এক গোলে পিছিয়ে পড়ে। খেলা শুরুতে তাদের মধ্যে একটা হতাশা কাজ করে। ঠিক একইভাবে আবারও হাফ টাইমের পরে এসেই যেন আবারও একটা গোল। শ্যাফেলবার্গের গোলে এগিয়ে যাওয়া ন্যাশভ্যালি পুনরায় ৪৬ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই তারকা। এখন ব্যবধান হয়ে যায় ২-০ গোলে। দ্বিতীয় অর্ধে খেলার কেবল শুরু হইলেও ২-০ গোলে যখন পিছিয়ে যায় তখন নিজেদের হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। তারপরও ফুটবল খেলা অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যায়।

মাঠের মধ্যে যেভাবে স্বাগতিকরা খেলছিল তাতে মনে হয়েছিল মেসি বাহিনী হার নিশ্চিত। কোনভাবে যেন তাদের সাথে পেরে উঠছিল না। খেলা যখন এই অবস্থা তখন ঠিক ৫২ মিনিটে সুয়ারেজের এসিস্টে গোল করেন মেসি। মেসির গোল ছিল অনেক দেখার মত। অনেকগুলো প্লেয়ারের মাঝখান দিয়ে তিনি যে শর্ট নেন এই শটে গোল হয়ে দাড়ায় ২-১। গোল একটি পরিশোধ হলেও স্বাগতিক দল কিন্তু তাদের সব সময় চাপের উপরে রাখছে।

খেলা চলাকালীন সেকেন্ড হাফের অনেকটা এগিয়ে গেছে। ঠিক এই সময় আবারও ন্যাশভেলি গোল করেন। যদিও এই গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপরে খেলা প্রায় শেষের দিকে অর্থাৎ এক্সট্রা টাইম চলছে। এমন সময় ভাগ্য তাদেরকে কথা বলেছে, অর্থাৎ বুসকেটসের ক্রসে হেডে গোল করে সমতা ফেরান লুইস সুয়ারেজ। যে খেলায় প্রায় হেরে গিয়েছিল শেষ পর্যন্ত তারা ড্র করে মাঠ ছাড়েন। ঠিক আগের একটা ম্যাচে তারা এমন ভাবেই ড্র করে ম্যাচটা বাঁচান। খেলাটি দারুণভাবে উপভোগ করেছি।

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।