জেনারেল রাইটিং :- কাদা মাটির সেই ছেলেবেলা।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমার আলোচনার বিষয়টি হলো কাদা মাটির সেই ছেলেবেলা। আশা করি আজকের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনাটি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
চারিদিকে মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসছে। কেন জানি বুঝতে পারছি না আবহাওয়াটা কেন যেন টালোমালো অবস্থায়। ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি পরে আসছি বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। নিশ্চয়ই ছয় ঋতু বলতে আমরা বুঝি গ্রীষ্ম বর্ষ শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত। নামে যেমন ছয়টি ঋতু তার আবহাওয়া ছিল ছয় রকমের। তখন তো সেই সময়টা ছিল খুবই দারুণ। কিন্তু বর্তমান দেখেন সবকিছু কেমন যেন একটা অবস্থা। বেশ কয়েক বছর আগেও মনে হয়েছিল রিতু এখন তিনটা এক বর্ষা দৃশ্য এবং শীত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শীত খুবই কমে গেছে বর্ষা একই অবস্থা। এক কথায় একটানা গ্রীষ্মকাল চলছে। গরমের এই অবস্থা চলমান রয়েছে মানুষের জনজীবন যেন কঠিন হয়ে পড়ছে। যাহোক হঠাৎ করে মনে পড়ে গেল সেই ছেলে বেলার কথা। যেখানে লুকিয়ে আছে অনেক রকম স্মৃতি। আর সেই স্মৃতির কিছু অংশ কথা আমি আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি।
ছোট্ট একটা গ্রাম এক হাজার ভোটের মানুষ। এই গ্রামের শিক্ষিত হার ১০০%। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই এখন চাকুরিজীবী। গ্রামের সৌন্দর্যের কোন অংশে কমতি নেই। কিবা পরিবেশ কিংবা মানুষ কিংবা মানুষের সামাজিকতা সব মিলে খুবই সুন্দর। দশ পাঁচটা গ্রামের মধ্যে যথেষ্ট নাম রয়েছে আমাদের গ্রামটার। যখন আমরা ছোট ছিলাম তখন গ্রামের মাঝখান দিয়ে একটা কাদা মাটির রাস্তা বয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও অন্যান্য রাস্তা তো ছিলই। যখন স্কুলে যেতাম স্কুল থেকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতাম সেই রাস্তার দিকে। কখন আসবে আমার প্রিয়তমা হাহা। অন্য কিছু ভেবে বসবেন না। আসলেই স্কুল জীবনটা খুবই দারুণভাবে কাটিয়েছি। সবাই যখন ঐ রাস্তা দিয়ে আসতো তখন অবাক হয়ে যেতাম। বিশ্বাস করেন প্রত্যেকটা মানুষ বই মাথার উপরে আর এক হাত দিয়ে প্যান্ট অথবা পায়জামাটা উঁচু করে ধরে নিয়ে আসতো। এত কাঁদা ছিল বলে বোঝাতে পারবো না।
সেই সময় খেলার জন্য অনেক জায়গা ছিল। বর্ষা আসলে খেলার আমেজ টা একটু বেড়েই যেত। কাদা গায়ে কাদার মধ্যে কত খেলা খেলেছি। সেই সময় স্মৃতিগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। বর্তমান যুগের ছেলেরা ওই সময়টা কখনোই পাবে না। তারা এতটুকু অনুভবই করতে পারবে না তখনকার মানুষগুলো কতটা আনন্দের মধ্যে জীবন কাটিয়েছে। জানেন একদিন গিয়েছিলাম বক ধরতে ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছে, বকগুলো আকাশে উড়ে যাচ্ছে। কিন্তু উঠতে পারছে না প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টিতে তারা আটকে যাচ্ছে। মাঠে পানি হয়ে গেছে হাঁটু সমান। পাশে ছিল আমাদের একটা চাচা হঠাৎ করে লাফ বকের উপর। আশ্চর্য হতে পারেন হাসিও লাগতে পারে আমরা তো অবাক কিরে পিছনে তাকিয়ে দেখে বুক ধরে নিয়ে চলে আসছে। কত মজা করেছি সেই সময়। সেই সব স্মৃতিগুলো চোখে সামনে শুধু ভেসে বেড়ায়। ঘন্টা ঘন্টা পার হয়ে গেছে কাদামাটির মধ্যে গড়াগড়ি দিয়েছি। বৃষ্টি ঝমঝম পানিতে খেলেছে কত খেলা। একটা বিষয় মনে পড়ে গেল এতটাই পানির মধ্যে থাকতাম ছোটকালে যেন গোপ হয়ে যেত।
বর্তমান সময়ের আবহাওয়া দেখে ওই সময়টার কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে যায়। মনের মধ্যে অনেক আফসোস লাগে। যদি আবার ফিরে পেতাম সেই শৈশবের দিনগুলো। যদি ফিরে পেতাম আবার সেই আবহাওয়া। যেখানে ছিল ছয়টি রংয়ের ছয়টি ফুল। যে ছয়টি রংয়ের ছয়টি ফুল আমাদেরকে সব সময় মুখরিত করে গেছে। সময়ের ব্যবধানে ছয়টি ফুল থেকে এখন দুটি ফুলে পর্যন্ত হয়েছে। অনেক কিছু হারিয়ে গেছে এরই মধ্যে দিয়ে। জানি ওই সব দিনগুলো ফিরে পাবার নয়। তবে মানুষের জীবন তো থেমে থাকে না। এর মধ্য দিয়েই আমাদেরকে চলতে হবে। হয়তো এভাবেই একদিন আমরাও চলে যাব। জীবনের ছোট্ট এই অধ্যায় হয়তোবা একদিন শেষ হয়ে যাবে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে সুন্দর একটা মুহূর্ত থাকে। আমি জানি আপনার একমত হবেন সেই মুহূর্তটা হলেও সেসব জীবন।
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/ABashar45/status/1811023749258625348?t=2etm1UvxaAf-2KgvKag2hQ&s=19
সোনালী অতীত মনে পড়ে গেলো ভাই। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। এধরনের পোস্ট গুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে। ছোট বেলায় কত না দুষ্টামি করছি তার কোন হিসেব নেই। চমৎকার ভাবে আপনার অনূভুতি গুলো তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বসেই ছিলাম, প্রখর গরম লাগছিল। ঠিক তখনই বৃষ্টির কথা মনে হতেই ছোটবেলার কথা মনে হয়ে গেল। ওই অতীত গুলো ভুলে যাওয়া সত্যি প্রত্যেকটা মানুষের জন্য অনেক কঠিন।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন একটা সময় ছিল যা কখনো চাইলেও ভুলতে পারবো না। তা হলো ছেলেবেলার স্মৃতি। ছেলেবেলা আমিও বৃষ্টি এলে অনেক খুশি হতাম। দৌড়ে আমাদের এখানে একটি বড় মাঠ ছিল সেই মাঠে বৃষ্টি হলে পানি ভরে যেত। আর সেই পানিতে কত কাদামাটি ভরিয়েছি। আর মার হাতে মারও খেয়েছি। সত্যি ওই সব দিনগুলো ফিরে পাবার নয়। ঠিক মানুষের জীবনটা থেমে থাকে না। মেঘে মেঘ অনেক বেলা হয়ে গেছে। এখন কে যে কখন চলে যা পৃথিবী থেকে। ধন্যবাদ ভাইয়া। ছেলেবেলা কিছু স্মৃতি নিয়ে পোস্ট করার জন্য।
জন্ম থেকে এ পর্যন্ত যত স্মৃতি রয়েছে তার মধ্যে সর্বোত্তম স্মৃতি আমার মনে হয় শৈশবকাল। জানি সেই সব দিনগুলো আমরা কখনই ফিরে পাবো না তবে স্মৃতি হয়ে রয়ে যাবে আমাদের বুকের মাঝে।
শৈশবের দিনগুলো ভাই আমাদেরও ফিরে পেতে ইচ্ছে করে কিন্তু বাস্তবে সেটা সম্ভব হয় না । আপনার এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আমিও আমার শৈশবে চলে গেছিলাম। এরকম শৈশবের সময় গুলো আমিও পার করেছি। যাইহোক, এত সুন্দর ভাবে আপনার এই শৈশবের স্মৃতিগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
বর্ষার সময়টাতে যে গায়ে কাদা মাখিয়ে কত খেলা করেছি ভাই তা আপনাকে বলে শেষ করতে পারবো না। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো ভাই, আপনার এই পোস্টটি পড়ে।
বাস্তবতায় যদি শৈশব জীবন আবার ফিরে পেতাম সত্যিই অনেক মধুর লাগতো। চাইলেই তো অনেক কিছু ফিরে পাওয়া যায় না। অনেক ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে আমাদেরও ছোটবেলায় এরকম অনেক স্মৃতি রয়েছে৷ যেগুলো এখন মনে পড়লে খুবই ভালো লাগে৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম একটি স্মৃতি পড়েও খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে ছোটবেলায় যখন বৃষ্টি হতো আমরা সকল বন্ধু-বান্ধবরা মিলে এরকম একটি স্থানে চলে যেতাম এবং সেখানে খুব সুন্দরভাবে স্লাইড দেওয়া যেত । সেখানে কাদা নিয়ে খেলা করতাম আমরা সকলে মিলে৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
প্রত্যেকটা মানুষের শৈশবকাল এবং কাদা মাটি শৈশবকাল মনে থাকার মত। ওই সময়টা ভোলার মতো নয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।