ঐতিহ্যবাহী খাবার জিলাপি,খোড়মা,কদমা,ঝুড়িভাজা,নিমকি,খাজা
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গায়ই কম বেশি মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। গত দুই তিন বছর মেলার আয়োজন অনেক কমে গিয়েছিল কারণ করোনা মহামারীর জন্য মেলা আয়োজন নিষিদ্ধ ছিল। গত দুই বছরের তুলনায় মেলার আয়োজন অনেক বেশি হয়েছে এবার । এসব মেলার আয়োজন কিছু আছে অনেক বড় এবং কিছু আছে অনেক ছোট।
মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান দেখা যায়। এসব খাবারের দোকানে যেগুলো বিক্রি করা হয়,বেশিরভাগ গুলোই ঐতিহ্যবাহী খাবার। একজন মহিলা জিলাপি তৈরি করে গরম চিনির রসের মধ্যে ডুবিয়ে উঠিয়ে রাখতেছে। গরম গরম রসে ভেজা জিলাপি খাওয়ার মজাই আলাদা। সেই জিলাপি কেনার জন্য ভিড় লেগে আছে। এখানে গুড়ের জিলাপি তৈরি করা হচ্ছে।চিনির জিলাপির চাইতে গুড়ের জিলাপির স্বাদ অনেক বেশি। এই গুড়ের জিলাপি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতেছে।
দোকানদার বলল চিনি এবং তেলের দাম অনেক বেশি। কিছুদিন আগেও ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। আমি ২০ টাকার জিলাপি কিনে এখান থেকে খাইলাম। অনেকে দেখলাম বাড়িতে যাওয়ার সময় ঝুরিভাজা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই খাবারের চাহিদা অনেক বেশি।ঝুরি ভাজা গুলো দোকানদার আগে থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ও ওজন দিয়ে পলিথিনে ভরে রেখেছে বিক্রির সুবিধার জন্য। অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা আবার এই ঝুড়ি ভাজা খেতে খেতে বাড়ি যাচ্ছে।
যারা মেলায় আসে তারা অবশ্যই কোন না কোন এসব খাবার কিনে নিয়ে যায়। মেলা থেকে খাবার না নিয়ে কোন মানুষ বাড়ি ফিরে না।কদমা সারা বছর তেমন একটা পাওয়া যায় না কিন্তু যে কোন মেলায় প্রায় কদমা দেখা যায়।কদমা খেতে অনেক মিষ্টি। কদমা সাথে গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষ পরিচিত। কদমা এখানে 160 টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমান জেনারেশনের অনেকেই এই খাবার চিনে না।
এখানে আরো দেখলাম কটকটি। এছাড়া খাবারের মধ্যে নিমকি,খোরমা, তিলের খাজাসহ বেশ কিছু খাবার রয়েছে। এখানে তিলের খাজার মধ্যে দেখা গেল তিলের পরিমাণ অনেক কম। গত কিছুদিন যাবৎ সবকিছুর দাম বৃদ্ধির ফলে এসব খাবারের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে।তাই অনেকে কিনতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
তারপরও চেষ্টা করতেছে অল্প কিছু হলো কিনে নেওয়ার। এসব ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেকদিন পর এরকম সুস্বাদু এতগুলো খাবার একসাথে দেখতে পেলাম।
পোস্ট করতে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ @selimreza1
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thanks
খাবার গুলো দেখে জিবে জল চোলে আসল। ঐতিহ্য বাহী খাবার নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। আপনার পোস্টির মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারলাম ও অনেক কিছু জানতেও পারলাম।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমার জিলাপি খুব পছন্দ। আমি গুড়ের জিলাপি প্রায়
প্রায় বাজারে খাই। আগে জিলাপি ৭০থেকে৮০টাকা কেজি
ছিল। আর এখন বর্তমানে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জিলাপির।
দাম ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বর্তমান দাম ১৪০টাকা। আপনি সুন্দর করে একটা পোস্ট উপাস্থপনা করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা সব জিনিসেরই তো দাম বাড়ছে৷ এটা বাড়াও স্বাভাবিক।
গ্রাম বাংলার কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে আপনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন ভাইয়া।এই খাবারগুলো মূলত গ্রামের মেলা কিংবা হাটবাজারে পাওয়া যায়। খাবার গুলো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমন মজা।এগুলো আমাদের ঐতিহ্যের অংশ বিশেষ। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা এগুলো তৈরি করে আসছে এবং এগুলোর চাহিদাও ব্যাপক।কিন্তু বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে সবকিছুর দাম দ্বীগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এগুলোর চাহিদা কমেনি।আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যা৷ ভাজাপোড়া খাবারের চাহিদা বেশি হয়েই।
এসব খাবার দেখলেই লোভ সামলানো যায় না। মাঝে মাঝেই এসব খাবার খাওয়া হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
কমেন্ট আর বড় করতে হবে৷ কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জিলাপি আমার অনেক প্রিয় ভাইয়া। বিভিন্ন মেলা বা সভায় গেলে আমি জিলাপি কিনি। বিশেষ করে গুড়ের জিলাপি আমার অনেক ভালো লাগে।ছোট বেলায় অনেক নিমকি খোরমা খাইতাম। আপনার ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন প্রিয় ভাই।তবে চিনির দাম বাড়ার কারনে আর হাতের লাগালে এই গুলার দাম নাই ভাইয়া।
আমাদের গ্রাম বাংলায় বাতাসা, নিমকি, খুড়মা, খাগড়াই, কটকটি ছাড়াও গ্রামিন জনপদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহি খাবার। অনেক দিন পর আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই খাবার গুলো দেখতে পেলাম। আমি অনেক দিন এই খাবার গুলো খাইনি। আপনার পোস্ট দেখে আমাকে খেতে ইচ্ছে করছে। আগে আমাদের এলাকায় ধর্মীয় উৎসব বা আওয়াজ মাহফিলের আয়োজন হলে এই গ্রামিন জন পদের ঐতিহ্যবাহি খাবার গুলো পাওয়া যেত। বর্তমানে এই খাবার গুলো বেশী দেখা যায় না। আমি আগে বোরো ধান কাটা হলে মাঠে মাঠে পড়ে থাকা ধান সংগ্রহ করতাম আর সেই ধান বিক্রি করে আমি এই খাবার গুলো কিনে খেতাম এবং বাড়ির লোকজনদের জন্য নিয়ে আসতাম। এই মুখরোচক খাবার গুলি আস্তে আস্তে আমাদের ঐতিহ্য হয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যাওয়ার ফল। খাবারের ঐতিহ্য নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট করেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনাকে আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ভাই। আপনি যে গুলো ঐতিহ্যবাহী খাবার আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন সব খাবারের মধ্যে থেকে আমি খোড়মা টা বেশি পছন্দ করি।আর কম বেশি সবাই জিলাপি পছন্দ করে, আপনার তোলা প্রতিটা ছবি খুব ভালো লাগছে ভাই, আমি কখনো দেখি নাই এইরকম ভাবে চজিলাপি খোড়মা ভাঁজার দৃশ্য, খুব সুন্দর লাগলো দৃশ্য গুলো দেখতে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য