প্রকৃতির মনোরম কিছু ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে প্রকৃতির অপরূপ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলে এসেছি । প্রকৃতির এসব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে ভালোই লাগে সব সময় । আর আমাদের প্রকৃতিটা যে কত সুন্দর তা আশে পাশে তাকালেই আমরা দেখতে পাই । বিশেষ করে গ্রামের দিকের প্রকৃতি সত্যিই মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে ।চারদিকে সবুজে ঘেরা দেখলে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । আর বিশেষ করে আবহাওয়া যদি মনোরম ও সুন্দর থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই । আর গ্রামের পুকুরের ধারের প্রকৃতিটা আমার কাছে বেশি মুগ্ধ করে । চারিদিকে গাছপালা দিয়ে ঘেরা পুকুরটা দেখলে একেবারে হৃদয়ে দোলা দিয়ে যায় । আর পুকুরের আশেপাশে যেসব বাড়িঘর থাকে তাদের তো মনে হয় অনেক আনন্দ । ইচ্ছে করলেই পুকুরের পানিতে ঝাপাতে পারে এবং পুকুর পাড়ে গিয়ে ঠান্ডা প্রকৃতির মাঝে গিয়ে বসলে মনটা সত্যি শীতল হয়ে ওঠে । আর আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা তো এসব জিনিস থেকে সব সময় বঞ্চিত হয়ে থাকি । বিশেষ করে আমরা সবসময় এ ধরনের প্রকৃতি থেকে বঞ্চিত হই কারণ ঢাকা থেকে যদি ফরিদপুরে বাসাতেও যাই সেখানেও আমরা শহরেই বসবাস করি । এজন্য গ্রামের আবহাওয়ার সাথে আমাদের তেমন একটা পরিচয় নেই বললেই চলে ।তারপরও আশেপাশে যতটুকু গ্রামীন আবহাওয়া দেখি আমরা এনজয় করার চেষ্টা করি ।
এখানে ছবিটা দেখছেন পুকুরের চারদিক দিয়ে কত সুন্দর গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা একটি ছবি । এ ধরনের জায়গা আসলেই দেখতে অনেক ভালো লাগে । সেদিন বাসে করে ঢাকাতে আসার পথে এই ছবিগুলো আমি তুলেছিলাম । বাস কিছুটা যখন থামে তখনই সুন্দরভাবে একটি ছবি তোলা যায় ।তাছাড়া চলন্ত বাসে কেউ যদি একেবারে ফুল অ্যাটেনশন দিয়ে তুলে তাহলেই সুন্দর একটি ছবি তোলা যায় । এই ছবিটাও তুলেছি চলন্ত বাস থেকে । এ ধরনের একটি পুকুর যদি নিজেদের বাড়ির সাথে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই । দেখতে দেখুন কত সুন্দর লাগছে আর প্রকৃতিটা দেখুন কত সুন্দর মনোরম ছিল বাতাসে দোলা দিয়ে যাচ্ছে ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে । আর নিচেও দেখলাম একটি গাছ পুকুরের উপরে হেলে পড়েছে দেখতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে । আর দূরেই দেখা যাচ্ছে যে পুকুরের ওপরে গাছ গাছালিতে ঘেরা একটি বাড়ি সত্যি অপূর্ব ছিল ।
আমরা বাসে করে কিছু দূর চলতে চলতে দেখতে পেলাম যে আকাশ একেবারে কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছে । সূর্যটা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে যাচ্ছে । আর নিচ দিয়ে সবুজ গাছপালা একেবারে অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে । দেখতে ভালই লাগছিল তখন এই ছবিটা তুলে নিয়েছি । সত্যি প্রচন্ড গরমের পরে এরকম মেঘলা আকাশ দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে । আর কিছুদূর যেতেই দেখলাম যে একটা গাছের নিচে ছোট্ট একটি পিলারের উপরে একটি শালিক মনের আনন্দে বসে রয়েছে । আশেপাশে অনেকগুলো শালিক ছিল তবে এই শালিকটা সুন্দরভাবে বসে ছিল মনে হচ্ছে আমাদেরকে দেখছিল ভালো লাগলো তাই ছবিটা তুলে নিলাম ।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি মসজিদের ছবি । মসজিদটি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে । বাইরে থেকে দেখতে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছিল । এই মসজিদের নাম আল-মদিনা জামে মসজিদ । প্রতিবারই যখন ফরিদপুর থেকে ঢাকাতে আসি তখনই রাস্তার ধারে এই মসজিদটা দেখতে পাই আমার কাছে ভালই লাগে তাই এবার একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম । আর কিছুদিন যেতেই দেখতে পেলাম ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক । অনেক নাম শুনেছি এই পার্কটির ।এটি যে এখানে রয়েছে সেটা জানা ছিল না এবারই লক্ষ্য করলাম তাই ছবিটাও তুলে নিলাম । এ ধরনের পার্কে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে ওরা খুব খুশি হয় । বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেকগুলো রাইড থাকে ওরা চড়েও আনন্দ পায় ।
এবার ফরিদপুর থেকে আসার পথে প্রতিটা মাঠে দেখলাম ছোট ছোট পাটের গাছ হয়েছে । এখন মনে হয় পাটের সিজন । এ জন্য পাট গাছ গুলো দেখলাম সুন্দরভাবে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে তার কিছুদিন পরে হয়তো বড় হয়ে উঠবে । এরকম সুন্দর ক্ষেতের ভেতরে গাছ গাছালি দেখতে কিন্তু ভালো লাগে । এক একটা সময় এক এক ধরনের গাছ দেখতে পাওয়া যায় । এবার দেখলাম পাট গাছ গত আর একবার যখন গিয়েছিলাম তখন দেখেছিলাম সরিষা ক্ষেত হলুদ হয়ে রয়েছে আবার মাঝে মাঝে ধান ক্ষেতও দেখা যায় । এ ধরনের দৃশ্য দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আর তারপর কিছুদিন এগোতে দেখলাম যে একটি ইটের ভাটা । এই ইটের ভাটা সবসময় যাওয়া আসার পথে চোখে পড়ে এবার দেখলাম যে অনেক ইট রয়েছে ভাটায় । সব সময় এত পরিমানে ইট থাকে না এবার মনে হয় ইট ভালো হয়েছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবুজে ঘেরা এই প্রাকৃতিক ছবি সব সময় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে উপরের একটা ছবিতে আকাশে কালো মেঘ আর নিচে এরকম সৌন্দর্য বেশ কম সময়ে দেখা যায় যাই হোক দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ঠিকই বলেছেন এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ আসলেই অনেক ভালো লাগে । এ জন্য যখনই সুযোগ হয় ছবি তোলার চেষ্টা করি এবং যাওয়ার চেষ্টা করি ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে বেশ দারুন দারুন ফটো ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে গাছের চিত্রটা অনেক সুন্দর ছিল এদিকে ভাটার চিত্র। এদিকে চলতি পথের পাট গাছের চিত্র অসাধারণ ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সব মিলে দারুণ একটি পোস্ট দেখে ভালো লাগলো আমার।
আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে গাছের চিত্রটা আপনার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
যাত্রাপথে এমন অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় যা খুবই মনোমুগ্ধকর। আপনি চমৎকার কিছু ছবি তুলেছেন। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা সম্ভবত ফেনীর সেই বড় দিঘিটা। পরে দেখলাম অন্য। কিন্তু যাইহোক, দেখতে সুন্দর!
যাত্রাপথে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় তবে চলন্ত গাড়ি থেকে ছবি তোলা কষ্টকর তারপরও চেষ্টা করেছি ।
এই ধরনের পুকুর সাধারণত গ্রামে দেখা যায়।। পুকুরের চারিদিকে গাছপালা অনেক যেন সবুজে ছেয়ে গেছে। বেশ চমৎকার ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আপু। একটা সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আসলে গ্রাম ছাড়া এরকম পুকুরের বাড়ি হয়তোবা কোথাও দেখা যায় না ভালই লাগে এগুলো দেখতে আমার কাছে।
প্রকৃতির ছবি আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আপনি আজকে প্রকৃতির মনোরম কিছু ফটোগ্রাফি উপহার দিলেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত ছিল। মসজিদের ছবি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। তাছাড়াও পুকুরের চারদিক গাছ পালা ঘেরা দৃশ্য দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির মাঝে সবারই মনে হয় ভালো লাগে আমার তো অনেক ভালো লাগে।
যারা শহরে বাস করে তাদের প্রকৃতির এই মুহূর্তগুলো সত্যি উপভোগ করা হয় না ।প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি হয় ।আপনার সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আসলে গ্রামে যারা থাকে তারা এই প্রাকৃতিক সৌন্দর টা সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারে । আমরা তো করতেই পারি না তারপরে যতটুকু পারি করার চেষ্টা করি।