এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । এলোমেলো এসব ফটোগ্রাফি গুলো সব সময় ভালো লাগে । এলোমেলো ফটোগ্রাফির সাথে এক একটা স্মৃতি জড়িয়ে থাকে । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুহূর্তে এই ছবিগুলো তোলা হয়ে থাকে । আসলে আজকাল কোথাও গেলে কোন মুহূর্তই যেন বাদ পড়া যাবে না এরকম একটা অনুভূতি ফিল হয় । যেখানেই যাওয়া হোক না কেন ছবি তুলতেই হবে আর সুন্দর কোন জিনিস চোখে পড়লে সেই ছবিটা যদি না তোলা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত মনের ভিতরে খচখচ করতে থাকে যে কখন ছবিটা তুলতে পারবো । এমনও অনেক সময় আছে যে ছবি তুলতে তুলতে আশেপাশের বিভিন্ন জিনিস দেখাই হয়ে ওঠে না । আবার কাজের প্রয়োজনে গেলেও ছবি তোলার জন্য কাজটা অনেকটা পিছিয়ে যায় । তারপরও যেন ছবি তোলা বাদ পড়া যাবে না এরকমই হয় । আমাদের আশেপাশে প্রকৃতিটা এতটাই সুন্দর যে ছবি না তুলেও পারা যায় না । চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ গাছপালা যদি থাকে তাহলে তো চোখ জুড়িয়ে যায় আর ছবি তুলতেও ভালো লাগে ।আমি আজকে ভিন্ন ধরনের এলোমেলো কয়েকটি ছবি শেয়ার করছি ।
এখানে দুটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন ।একটা ছবি বিকেলবেলা তুলেছি সূর্য ডুবে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে তোলা একেবারে আকাশটা হলুদ বর্ণ হয়ে আগুনের মতো হয়ে রয়েছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল । আস্তে আস্তে করে সূর্য আমাদের চোখের সামনেই মেঘের আড়ালে ডুবে যাচ্ছে সেই দৃশ্যটা দেখতে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল এজন্য ছবিটা তুলেছি ।আবার নিচের ছবিটা একেবারে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে সেই মুহূর্তের একটা ছবি । উপরে আকাশ নিচে সবুজ ঘাসে পরিপূর্ণ ছবিটা দেখেই বুঝতে পারছেন কতটা সুন্দর ছিল । এইসব মুহূর্তগুলো একেবারে কাছ থেকে উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে আর প্রত্যেকটা মুহূর্তের ছবি তুলতেও কিন্তু ভালো লাগে ।
এখানের একটা ছবি দিয়েছি আমার ছেলেটা আকাশের দিকে তাকিয়ে একেবারে মুগ্ধ হয়ে আকাশটাকে দেখছে । সূর্যটা তখন তার মাথার উপরেই রয়েছিল এই সূর্য ডোবার দৃশ্য সে খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করছে । আর পাশ দিয়েও তখন ওই মুহূর্তে একটা প্লেন উড়ে যাচ্ছিল সেটাও সে ভালো ভাবে দেখছে প্লেনটা কতদূর পর্যন্ত যায় । সূর্য ডুবার জন্য যদিও সে ভালোভাবে আকাশের দিকে তাকাতে পারছে না তারপরও সে দেখার চেষ্টা করছে তখন আমি ছবিটা তুলে নিয়েছি ।
এখন যে ছবিটা দিয়েছি এই ছবিটা আমি আমার ছাদের থেকে তুলেছি । আমাদের ছাদে এরকম একটা পানির বিশাল বড় ট্যাঙ্ক রয়েছে । আমাদের নিজস্ব পানির লাইন রয়েছে সেখান থেকে পানি উপরে উঠে এবং এখান থেকে পিউরিফায়িং হয়ে পানিটা আমাদের যার যার বাসায় আসে । দেখুন কত সুন্দর ঝর্ণার মত পানি পড়ছে । এখানে দাঁড়িয়ে আমরা বেশ খানিক সময় এই পানি পড়া দেখলাম এবং হাত দিয়েও স্পর্শ করে দেখেছি । এই পানিটা এমন ভাবে পড়ছিল দেখতে খুবই ভালো লাগছিল । ইচ্ছে করছিল এই পানির ভিতর দাঁড়িয়ে কতক্ষণ ভিজে আসি একেবারে বৃষ্টির পানির মত ঝরঝর করে পড়ছে ।
এটা আমাদের চিরচেনা ব্যস্ত ঢাকা শহর । উপর থেকে দেখলে এগুলো ভালো লাগে তবে নিচ দিয়ে যখন এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা হয় তখন একেবারেই বিরক্তি লাগে জ্যামে বসে থাকতে সত্যিই ভালো লাগেনা । আর এটা অনেক পরিচিত একটি রাস্তা উপর থেকে দেখতে কতটাই না ভালো লাগছে এজন্য ছবিটা তুলে নিয়েছি । আমাদের বাসার করিডোর থেকে জানলা দিয়ে ছবিটা তুলেছি ।
এখানে দুটো আগাছা জাতীয় গাছের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । ২২ তলার ছাদের উপরে যখন উঠেছি তখন দেখলাম ছাদের উপরে হাঁটার জন্য বাড়তি একটা রাস্তার মতো তৈরি করা হয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে দাঁড়িয়ে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেসব জায়গায় কিছু কিছু গাছ জন্মেছে । এগুলো অল্প একটু ফাঁকা পেলে আগাছার মত ছাদের উপরেও বড় হয়ে বেড়ে ওঠে । এসব গাছ একটু বড় হলে কেটে দিতে হয় তা না হলে ছাদের ক্ষতি হয় । আগে যখন ছাদে উঠেছি তখন দেখেছি যে ছাদের উপরে টব ভর্তি অনেকগুলো গাছ ছিল এবার গিয়ে কোন গাছই দেখতে পাইনি । এরকম কিছু আগাছা রয়েছে । এ আগাছাগুলোর ছবিও তুলে নিয়েছি ফাঁকা ছাদের মাঝখানে গাছগুলো দেখতে ভালই লাগছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল সবগুলো ফটোগ্রাফি স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করেছেন তবে প্রথমে শেয়ার করা ফটোগ্রাফি টা বেশি সুন্দর ছিল যাইহোক আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সবকটি ছবি ভীষণ সুন্দর হয়েছে তোলা। প্রথমে সূর্যাস্তের ছবিটি অসাধারণ। আকাশের অসাধারণ কারুকাজ৷ আপনার ছেলে যেভাবে আকাশ পর্যবেক্ষণ করছে, তাতে আমার তো মনে হচ্ছে ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীই হবে। আর বাসার জানলা থেকে তোলা ঢাকা শহরের ছবিটিও অসাধারণ। আমিও এবার যখন ঢাকা গেছিলাম, সকালে উঠে ছাদ থেকে ঢাকার ছবি তুলেছিলাম৷ প্রচুর বাড়ি আর কংক্রিটের জঙ্গল৷ সবকটি ছবি ভীষণ প্রাণবন্ত। ভালো থাকুন সপরিবারে।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে যদিও আপনি এলোমেলো ফটোগ্রাফি বলে থাকবেন।অনেক ক্লিয়ার ছিল শুভকামনা রইল এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু ফটোগ্রাফি আছে বার বার দেখতে মন চায়। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার ছেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকারভাবে ফটোগ্রাফি করে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
আপু আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি ই চমৎকার হয়েছে।সূর্য ডোবার ফটোগ্রাফিটি একটু বেশীই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর বর্ননার মাঝে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর এলোমেলো ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার ফটোগ্রাফি এবং এর পেছনের ছোট ছোট গল্পগুলো সবসময়ই খুব আকর্ষণীয়। প্রতিটি ছবির সঙ্গে যুক্ত মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার ভঙ্গিমা আপনার পোস্টগুলোকে অন্যরকম করে তোলে। সূর্যাস্তের দৃশ্য, ছেলের মুগ্ধতা, পানির ট্যাঙ্কের ঝরঝরে পানির ধারা, ব্যস্ত ঢাকার রাস্তাগুলো—সবকিছুই যেন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে নতুন চোখে দেখতে শিখিয়ে দেয়। এগুলো দেখলে মনে হয় আমাদের চারপাশে কত সুন্দর আর মনোরম দৃশ্য ছড়িয়ে আছে। আপনার ছবি তোলার শখ এবং তা শেয়ার করার ভালোবাসা আমাদেরকেও অনুপ্রাণিত করে। আশা করছি ভবিষ্যতে আরো এমন সুন্দর পোস্ট দেখতে পাবো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন!
[@redwanhossain]
দৃশ্য টা সত্যি দারুণ আপু। আমরা বসে আছি সূর্য নিজের মতো করে অস্ত চলে যাচ্ছে। যানজট ঢাকা শহরের সবচাইতে বিরক্তিকর এবং অসহ্যকর একটা মূহূর্ত। এটা নিয়ে কিছু বলার আর নেই। বেশ সুন্দর করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো।