বেড়ানো শেষ নিজ গন্তব্যে ফিরে এলাম
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাড়িতে বেড়ানো ঘোরাঘুরি শেষ করে নিজ গন্তব্যে ফিরে আসার অনুভূতি । আসলে সবাই মিলে যখন একসাথে সময় কাটানো হয় তখন সময় গুলো একেবারে দ্রুতগতিতে কোথা দিয়ে যেন শেষ হয়ে যায় বোঝাই যায় না । তারপরও যে কটা দিন থেকেছি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছি । আর বিশেষ করে আমরা তিন বোন সবসময় এক হতে পারি কিন্তু আপু দূরে থাকার কারণে ও আমাদের সাথে কখনই একসাথে হতে পারে না । এবার ঈদে আমার ফরিদপুর যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ছিল না তবে তানিয়া গেল ও ওয়াহিদা আগে থেকে ওখানে ছিল বিধায় আমিও যেতে রাজি হয়ে গেলাম । তারপর আমরা দুজনে মিলে এখান থেকে চলে গেলাম ফরিদপুরে ।
আমরা যাওয়ার আগেই আম্মার শরীরটা খারাপ ছিল যার কারণে একটু খারাপ লেগেছে । কারণ সবাই যখন যাই তখন সবাই মিলে সুস্থ থাকলে সময়টা সবারই ভালো কাটে । আম্মার শরীরটা ভালো না থাকার কারণে আমাদের নিজেদের কাছেই খারাপ লেগেছে । তারপরও সবাই মিলে আনন্দ করেই সময় গুলো কাটিয়েছি । আম্মা মোটামুটি আমরা যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল । তারপর সারাদিন গল্প গুজব আড্ডা দিয়ে রাতের বেলা চলত আমাদের কয়েকজনের মিলে খেলার আড্ডা । সেটা খেলতে খেলতে আমাদের রাত দুইটা তিনটা বেজে যেত । দেখতে দেখতে আমাদের ফিরে আসার সময় হয়ে যায় । এখন আর ইচ্ছা করলেও অনেক বেশি সময় থাকতে পারি না কারণ বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে এবং যার যার স্কুল খুলেও গিয়েছিল । তারপরও দুটো দিন আমরা ফাঁকি দিলাম । তানিয়া তো যেদিন বলেছে ঠিক সেদিনই চলে আসল ওর ছেলের ক্লাস আছে বলে ।
আম্মার শরীর হঠাৎ করেই সেদিন আবার খারাপ হয়ে গেল যার কারণে আমি আরো একটা দিন থেকে যায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম । আমি ভাবলাম যে যাওয়ার সময় ছোট ভাইকে সাথে করে নিয়ে যাব । ও গিয়ে তিন চারটা দিন আমাদের দুই বোনের বাসায় বেরিয়ে আসতে পারবে । ওর কোন সময় আসার সুযোগ হয়ে ওঠে না আম্মা একা থাকে বলে । এবার ওয়াহিদা থাকার কারণে সেই সুযোগটা হয়ে গেল । যথারীতি একটা দিন আর কতটুকু সময় দেখতে দেখতে সেই সময়টুকু আমাদের চলে গেল । আগের দিন ভাই গিয়ে টিকিট কেটে আনল । টিকিটটা আগে থেকে কাটা থাকলে তাড়াহুড়ো করে যেতে হয় না সময় মতো গেলেই হয়ে যায় ।
আমরা ইচ্ছা করে বিকালের দিকে টিকিট কেটেছি এবং নন এসি গাড়ির টিকিট কেটেছি । এসি গাড়িতে যেতে আমার ভালো লাগেনা আটকা থাকে বাইরে কিছু দেখা যায় না তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগে । আর নন এসি গাড়ি থাকলে জানালাটা খোলা থাকে বাইরের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর উপভোগ করা যায় । বিশেষ করে পদ্মা ব্রিজের উপর দিয়ে তাকালে সত্যিই খুব ভালো লাগে । আর বাইরের বাতাস বইতে থাকে সেজন্য আরো বেশি ভালো লাগে । তারপর সুন্দরভাবে একটু ফটোগ্রাফিও করা যায় । আল্লাহর রহমতে সেদিনকার আবহাওয়া আমাদের জন্য অনেক ভালো ছিল । আমরা বাসা থেকে বের হওয়ার আগে দেখি মেঘ করেছে যার কারণে খুব একটা রোদ হয়নি এবং গরমও ছিল না । আমরা খুব সুন্দরভাবে একেবারে দুই ঘন্টায় ঢাকার ভেতরে পৌঁছে গিয়েছি । সায়দাবাদ থেকে আমাদের বাসায় পৌছাতে সময়টা একটু বেশি লেগেছে কারণ সায়দাবাদ থেকে ঢাকার ভিতরে ভালোই বেশ খানিকটা জ্যাম ছিল । যার কারণে একটু সময় নিয়ে পৌঁছাতে হয়েছে এবং সেই সময়টা অনেক খারাপ গিয়েছিল গরমের ভেতরে বসে থাকতে হয়েছিল । তারপরও আমরা খুব সুন্দরভাবে বাসায় চলে আসতে পেরেছি এটাই বড় কথা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness
OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি আপু সুন্দর মুহূর্ত গুলো খুব দ্রুতই কেটে যায়। মনে হল এই তো সেদিন এলেন ।সবাই মিলে কত আনন্দ করলাম ।দেখতে দেখতে সবার যাওয়ার সময় হয়ে গেল। যাইহোক জীবন এমনই ।নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
যেহেতু আপনারা অনেকদিন পরে বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকেন, এজন্য গেলে আর আসতে ইচ্ছে করে না বুঝতে পারতেছি। তবুও বাচ্চাদের স্কুলের কারণে তো আসা লাগবেই। তানিয়া আপু চলে আসলেও আপনি আরো একদিন থেকে গিয়েছিলেন। আর আসার সময় আপনার ভাইকেও সাথে নিয়ে এসেছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনারা মন অসুস্থতার কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। দোয়া করি উনি যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান। তিন বোন যেহেতু একসাথেই ছিলেন, তাই সময় খুব ভালো কেটেছিল এটা তো এমনিতেই বুঝতে পারতেছি। সুন্দর সুন্দর কাটিয়ে ফিরে এসেছেন ভালোভাবে, দেখে ভালো লাগলো।
অনেক ক্ষেত্রেই আপন মানুষ গুলো কাছে থাকলে শরীর মন ভালো হয়ে যায় মানুষ সুস্থতা ফিরে পায়। দীর্ঘদিন ছুটি কাটিয়ে অবশেষে ঢাকা ফিরেছেন তবে হ্যাঁ আবহাওয়া একটু ঠান্ডা থাকলে সব সময় নন এসি বাস গুলো ভ্রমণের জন্য পারফেক্ট।
আসলেই সবাই মিলে সময় কাটালে, সময়গুলো খু তাড়াতাড়ি চলে যায়। আর ভাই বোন সব একএে হলে আড্ডা বেশ ভালোই জমে যায়।খারাপ লাগলেও ছুটি শেষে যার যার গন্তব্য চলে যেতেই হয়।
মা হলো আমাদের সবার চোখের মনি। আর এমন সুন্দর মূহূর্তে যদি সেই মা অসুস্থ থাকলে তো আর কিছুই ভালো লাগার কথা নয়। তবুও আপনারা তিন বোন তো দেখছি বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন মায়ের বাসায়। আর একটি কথা আপু এসি বাসে আসলে তো আর এত সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে পারতেন না।
আপু তিন বোন একসাথে ছিলেন তাই গল্প,আড্ডা,খেলাধুলায় সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে আপনাদের।তবে আপনার আম্মু অসুস্থ ছিলেন।আমার মনে হয় একসাথে তিন মেয়েকে দেখে তিনি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠলেন। আপনি ফেরার পথে ছোট ভাইটিকে নিয়ে এলেন।কারন এবার ঢাকা একটু বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে তার।ঢাকার বাইরে থেকে আসতে আমাদের যতোটা না কষ্ট হয়।তার চেয়ে বেশী কষ্ট হয় ঢাকার মধ্যে থেকেও বাসায় ফেরার সময়টুকু।যাক ভালো মতো বাসায় পৌছাতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।