আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে বোয়াল মাছের ডিমের মজাদার রেসিপি শেয়ার করব । বোয়াল মাছের ডিম আগে কখনো খাওয়া হয়নি । আর বোয়াল মাছের যে এরকম ডিম হয় সেটাও জানা ছিল না । সেদিন বাজার থেকে বড় একটি বোয়াল মাছ এনেছিল এবং মাছটি বাজার থেকে কেটে আনা হয় সব সময় । কাটার সময় এই ডিমটি বের হয়েছিল যারা কাটে তারা ডিম প্রথম নিজেরাই রেখে দিতে চেয়েছিল । পরে আমার হাজব্যান্ড দেখে ডিমটা চাইলে তখন ওরা বলে যে আপনি নিবেন নাকি । তখন সে বলে যে নতুন বোয়াল মাছের ডিম দেখলাম নেবো না কেন । তোমরা তো জিজ্ঞাসা করো না নিজেরাই রেখে দিচ্ছো । তারপর লোকটা ডিমটা প্যাকেট করে দিল । মাছের ডিম যদিও আমার কাছে খেতে তেমনটা ভালো লাগে না কিন্তু আমার হাসবেন্ড খেতে পছন্দ করে । আজকে মসলা দিয়ে বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে মজা করে রান্না করেছি খেতে ভালোই হয়েছিল ।

প্রথমে মাছের ডিম গুলো আস্ত ছিল সেগুলো কেটে কেটে একেবারে ছোট করতে গিয়ে দেখুন একেবারে গলে গিয়েছে । ভেতরটা খুব নরম ছিল যার কারণে এরকম গলে গিয়েছে । তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে দিয়েছি । পেঁয়াজ মরিচ বাদামি করে ভেজে নিয়েছি । তারপর ভাজা হয়ে গেলে এর ভিতর আদা রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি ।

তারপর আদা রসুন বাটা দিয়ে পেঁয়াজের সাথে বেশ খানিকটা সময় ভেজে নিয়েছি । তারপর তার ভিতরে হলুদের গুড়া ,মরিচের গুঁড়া , ধনিয়ার গুঁড়া ,লবণ দিয়ে মসলাটাকে আরও বেশ খানিকটা সময় কষিয়ে নিয়েছি । মসলাটা সুন্দরভাবে কষানো হয়ে গেলে পরে মাছের ডিম গুলো ঢেলে দিয়েছি ।

মাছের ডিম গুলো দিয়ে অনবরত নাড়তে হয়েছে । কারণ একটু নাড়া থামালেই নিচ দিয়ে লেগে গিয়েছে ।মাছের ডিম দিয়ে নাড়তে নাড়তে সেই ফাঁকে একটু জিরার গুড়া দিয়ে দিয়েছি । এরপর আরো বেশ খানিকটা সময় ধরে নিয়েছি । সেই পর্যায়ে মনে হয়েছে তেল একটু কম হবে আবার বেশ খানিকটা তেল দিয়ে আরো সময় ভাজা ভাজা করে ফেলেছি । অতিরিক্ত নাড়াচাড়া করতে করতে শেষের ছবিটা তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম । এরপর রান্না হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটা বাটিতে পরিবেশন করেছি । গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সত্যি অনেক মজাদার ছিল ।