নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৯)

✋হ্যালো বন্ধুরা,✋

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের নবম পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।

^{ইউটিউব থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট}

নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-

নাম	ফকির গ্রাম।
পরিচালনা	ঈগল টিম
প্রযোজনা	কচি আহমেদ
প্রযোজনা সহকারী	জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি।
স্ক্রিপ্ট	সুলাইমান
অভিনয়ে	আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু।
প্রধান সহকারী পরিচালক	কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান
সম্পাদনা	অনিক ইসলাম
সহকারী সম্পাদনা	জুনায়েদ মোঃ বাঁধন

কাহিনী সারসংক্ষেপ

এই পর্বের প্রথমেই আমরা দেখতে পাই ফকিরদের সর্দারকে। তিনি ওই ছোট বাচ্চাদের সাথে কথা বলছিল, আর টাকার বিষয়ে বলছিল। এরপর দেখা যায় চান্দু ফকির সায়েম ফকিরের বাড়িতে এসেছে। আর এসেই সায়েমের বউ এর সাথে কথা বলতে শুরু করে। এটা দেখে সায়েম অনেক বেশি রেগে যায় এবং চান্দু ফকিরকে জিজ্ঞেস করে কেন এসেছে। এরপর চান্দু ফকির আসল খবরটা দেয় যে সর্দার কিছুক্ষণ পর একটা মিটিং বসিয়েছে। কারণ মানিক ফকিরকে মেম্বারের লোকজন মেরেছে। এটা বলার পর সায়েম আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় এবং বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তারপরে সায়েমের বউ তাকে কথা শুনিয়ে দেয় এবং চান্দু হাসতে হাসতে সেখান থেকে চলে যায়।

এরপর সায়েম তার বউকে নিয়ে ঘরে চলে যায়। এর পরবর্তীতে দেখা যায় সর্দার এর বাড়িতে সব ফকির এসেছে। এখন তারা মিটিং করতে থাকে সেখানে মেম্বারের বিরুদ্ধে। তারপরে মানিক ফকিরকে জিজ্ঞেস করে কিভাবে মার খেলো, এরপর মানিক সবকিছু খুলে বলে। তারপরে দেখা যায় চেয়ারম্যানের মেয়েকে খাটের উপর শুয়ে রয়েছে আর তার বাবা তাকে ডাকতেছে। সে না ওঠার কারণে চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। এরপর সে উঠে এবং বলে ফুলি নাকি মারা গিয়েছে। এভাবে কিছুক্ষণ ধরে কথা বলে, আর দেখে ফুলি তার সামনেই রয়েছে। তারপরে তারা সেখান থেকে চলে যায় এবং অপরদিকে মেম্বারের ছেলেকে দেখা যায়। সে তার মায়ের সাথে চাঁদনী কে নিয়ে বাজে কথা বলছিল। তখনই তার বাবা আসে এবং কিছুক্ষণ কথা বলে সেখান থেকে চলে যায় এবং তারাও ঘরে চলে যায়।

তারপর রতন ফকিরকে দেখা যায় ব্রাশ করতেছে। তখন সেখানে মানিক আসে এবং বলে চম্মনের বাড়িতে যাবে। কিন্তু রতন এগুলো শুনে রাগারাগি করে। তখন মানিক বলে যেন তাকে নিমপাতা বেড়ে যায়। কিন্তু রতন সেখান থেকে চলে যায়। আর তখন সায়েমের বউকে দেখা যায় ভাত তরকারি নিয়ে কোথাও যাচ্ছে। সায়েম জিজ্ঞেস করাতে বলে মানিক ফকির কে খাওয়াতে যাচ্ছে সে অসুস্থ তাই। এরপর তাদের মধ্যে কিছুক্ষণ কথা হয় তারপরে সেখান থেকে চলে যায়। তারপরে দেখা যায় রবিকে কাদের ফকিরের বাড়িতে উঁকি দিচ্ছে। আর মর্জিনা সাথে এসে কথা বলে এবং তাকে বলে সে তাকে যে পছন্দ করে এ ব্যাপারে কি ভাবলো। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে আর সেখানে কাদের ফকির এসে উপস্থিত হয়।

এরপর রবির সাথে উনার কিছুক্ষণ কথা হয় তারপরে তারা দুইজনেই চলে যায়। এরপর দেখা যায় সকল ফকির একত্রিত হয়েছে একটা জায়গায়। আর মেম্বার এর বিরুদ্ধে মিছিল শুরু করেছে। এরপর তারা এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত কথা বলার পর সেখান থেকে মিছিল করতে করতে চলে যায়। তারপরে মানিক ফকিরকে দেখা যায় চম্মনের বাড়ির দিকে আসতেছে। এরপর চম্মনকে ডেকে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে, আর তখনই সেখানে চম্মনের বাবা চলে আসে। এরপর ওষুধ গুলো তাকে দেয় মানে নিমপাতা তাকে দিয়ে বলে এগুলো যেন ১৯ দিন খায়। তারপরে তার বাবা ঘরে চলে যায় এবং মানিক চলে যায়।

তারপরে আবারও দেখা যায় সকল ফকির মিছিল করতেছে। এবং সায়েম তাদেরকে দাঁড় করিয়ে বলে মানিক ফকির কোথায়?? তারপর এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলার পর আবারও তারা মিছিল শুরু করে। এরপর দেখা যায় মানিক ফকির চম্মনের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলতেছে। সে বলতে থাকে সে তাকে আসলে কতটা ভালোবাসে। এভাবে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তারা কথা বলছিল। তারপরে দেখা যায় চেয়ারম্যানের মেয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তখন সেখানে ফুলি আসে। আর বলে গ্রামে কত বড় আগুন লেগেছে। মানে মেম্বারের বাড়িতে সবাই যাচ্ছে মারামারি করার জন্য। এটা শুনে চাঁদনী একটু ভয় পেয়ে যায়। এরপর ফুলি সেখানে যাবে বলে চলে যায়। ফকিররা মিছিল করার সময় মেম্বারের লোকদের সাথে দেখা হয়, এবং তাদেরকে তাড়া করতে থাকে। এখানেই পর্ব টা শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কি হয়েছে এটা পরবর্তী পর্বে আমরা জানতে পারবো।

ব্যক্তিগত মতামত

আসলেই নাটকের এই পর্বটাও কিন্তু আমার কাছে অনেক দারুন লেগেছে। বিশেষ করে গত পর্বে দেখেছিলাম মানিক ফকিরকে মেম্বারের লোকেরা মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। আর এই বিষয়টা সবাই শুনে সবার তো মাথায় একেবারে গরম হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে দেখছি ফকিরের সর্দারসহ সবাই একটা মিটিং করল। বিশেষ করে মেম্বারের লোকেদের সাথে একটা ঝগড়া করার চেষ্টা। তবে এসব কিছুর মধ্যে অনেকগুলো হাসির বিষয় ছিল। যেগুলা দেখতে অনেক বেশি মজা পেয়েছিলাম। তবে এ গর্বের শেষের দিকে দেখলাম ফকির এবং মেম্বারের লোকেরা মিলে একটা ঝামেলা করছিল। তখনই পর্ব টা শেষ হয়ে গেল। তবে পর্বটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। নিশ্চয় পরবর্তীতে ভীষণ ভালো লাগবে।

ব্যক্তিগত রেটিং

৯/১০

নাটকের লিংক