লাইফ স্টাইল:- রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে যেতে অথবা বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করতে আমাদের সবারই ভীষণ ভালো লাগে। আসলে আমরা প্রতিদিনের কাজের চাপে অনেক দুর্বলতা অনুভব করি। তখন যদি বাইরে গিয়ে একটু সময় কাটাতে পারি তাহলে বেশ ভালই লাগে। অনেকদিন ধরে প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। কাজের জন্য কোনরকম সময় দিতে পারছি না নিজেকে।
হঠাৎ নাশিয়া কান্না করতে লাগলো তার নানুর বাড়িতে যাবে। তাই জন্য সন্ধ্যেবেলায় আমরা বের হয়েছিলাম আমাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। আসলে থাকার সময় নাই তাই ভাবলাম রাতে একটু দেখা করে আবার চলে আসব। তখন আমার হাজব্যান্ড বলল যেহেতু আমরা বের হচ্ছি, তাহলে যাওয়ার পথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া করি । অনেকদিন বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা হয় না। তাছাড়া প্রচন্ড ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে অনেক। যেহেতু রাত হয়ে গেছে অন্য কোথাও যাওয়ার অপশন নেই। তাই জন্য সোজা চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। এই রেস্টুরেন্টে আমরা প্রায় অনেকদিন গিয়েছি।
তাই জন্য রেস্টুরেন্টের লোকজনের সাথে একটা পরিচিতি হয়ে গিয়েছে। যেতেও ভীষণ ভালোই লাগে। তবে নাশিয়া বলছিল এখানে কেন যাচ্ছি সে তো নানুর বাড়িতে যাবে। আসলে যেটা বলে সেটা বলতেই থাকে। পরে বললাম আমরা এখান থেকে খেয়ে তারপর যাবো। তখন বলল তাহলে ঠিক আছে। পরবর্তীতে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন চাপ আর পরোটা অর্ডার করলাম। অর্ডার করে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। তারপর নাশিয়া কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। তার তো ছবি তোলা দেখে আরো বেশি ভাব ভঙ্গি বেড়ে গেল। টেবিলে বসে ওকে বেশি দেখা যাচ্ছিল না।
সে তো একেবারে চেয়ারে বসবে। পরবর্তীতে কিছুক্ষণ ওয়েট করার পর খাবার নিয়ে আসলো। তখন তো নাশিয়ার একেবারে টেবিলের উপর বসার জন্য বলছিল কারণ সে তো চেয়ার থেকে খেতে পারবে না। তখন তাকে একেবারে টেবিলের উপর এক পাশে বসিয়ে দিলাম। এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। খেতে ভীষণ ভালোই লেগেছিল। এগুলো খাওয়ার পর আমি এক কাপ চা অর্ডার করলাম। আসলে আমার হাজব্যান্ড চা খেতে খুব একটা পছন্দ করেনা। তাই জন্য অর্ডার করলো না। আর আমার কাছে রেস্টুরেন্ট আসলে চা খেতে ভালোই লাগে।
মনে হয় যেন ওনাদের হাতের চা বেশ ভালো হয়। পরবর্তীতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিলাম। এরপর বিল চলে আসলো। তখন বিল দিয়ে আবারো বেরিয়ে পড়লাম। আসলে অনেক দিন পর বাইরে খাওয়া-দাওয়া করে বেশ ভালোই লেগেছে। আমরা কিন্তু যতই ঘরে খাওয়া দাওয়া করি না কেন, একটু বাইরে বেরোলে আলাদা একটা অনুভূতি হয়। নিজের কাছে অনেকটা ফ্রেশ লাগে। পরবর্তীতে আমরা বের হয়ে গেলাম আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। এরপরে আমাদের বাড়িতে চলে গেলাম। সেখানে দুই তিন ঘণ্টা সময় কাটালাম।
নাশিয়াতো নানুর বাড়িতে এসে অনেক বেশি খুশি। সে দিবি খেলাধুলা করছিল। আমরাও কথাবার্তা বলছিলাম। পরবর্তীতে সময় কাটানোর পর যখন রাত হয়ে গেল তখন আবারো বেরিয়ে পড়ি বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে। আসলে এখানে কাজ ছিল তাই জন্য আর থাকিনি। তাছাড়া নিজেদের বাইক থাকাতে এই বিষয়টা অনেক সুবিধা হয়। ইচ্ছে হলে যাই আবার চলে আসি। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। এ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু নাসিয়া কে কিন্তু দারুন লাগছে। এক কথায় অসাধারন। আসলে এভাবে মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে বাহিরে খাওয়া দাওয়া করতে যাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছেন সেটা বুঝাই যায়। বেশ ভালো লাগছে আপনাদের কে । আমি থাকলে আরও ভালো লাগতো।
অবশ্যই আপনি থাকলে আরো বেশি ভালো লাগতো। চলে আসেন আমাদের এখানে তাহলে একসাথে ঘুরাঘুরি করা যাবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জি আপু ঘুরতে যেতে অথবা বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করতে আমাদের ভীষণ ভালো লাগে এবং মাঝে মাঝে বাহিরে খেলে মনের পরিবর্তন হয়। মন ভালো থাকে।নাশিয়া কান্না করলো এবং তার মনকে ভালো রাখতে আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করছেন। এটা খুব ভাল ছিল।তার তো দেখছি ছবি তোলার বেশ ভাব ভঙ্গি বেড়ে গেল। ভীষণ ভালো লাগছিল তাকে দেখতে । যাক আপনারা অনেক সুন্দর ভাবে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে। বিল পেমেন্ট করে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে এই মুহূর্তটি তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। অনেক ভালো লাগলো
হ্যাঁ ভাইয়া তার ছবি তোলার ভাবভঙ্গি বেড়ে গিয়েছে।
কাছাকাছি নানা বাড়ি অথবা দাদা বাড়ি হলে এই এক সুবিধা। বাচ্চারা চাইলেই যেতে পারে। আপনার মেয়েরও মনে হয় হঠাৎ করে নানুর বাড়ির কথা খুব মনে হয়েছে। এজন্য যাওয়ার জন্য বায়না করেছে। যাওয়ার পথে বেশ মজাদার খাবার খেয়েছেন দেখছি। চা আমারও খুবই পছন্দের। বাইরে গেলে আমিও চা খাই। ভালো লাগল আপনাদের ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত পড়ে।
আসলে আমার মেয়েটা তো বেশিরভাগ সময় বলে থাকে। আসলে কাছাকাছি নানুর বাড়ি হলে এই এক জ্বালা। আপনিও বাইরে গেলে চা খান এটা জেনে ভালো লাগলো।
মাঝে মাঝে নিজের জন্য সময় দেয়া জরুরী। এতে নতুন করে কাজ করার ইচ্ছে তৈরি হয়।কাজ মনোযোগ সহকারে করা যায়।মেয়ের নানু বাড়ি যাওয়ার বায়না করাতে বাইরে যাওয়াতো হল।নাহলেতো কাজের জন্য তাও হয় না। বেশ সুন্দর কিছু সময় কাটালেন।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। এটা ঠিক বলেছেন মেয়ে বায়না ধরার কারণেই যেতে পারলাম।
https://x.com/TASonya5/status/1719209260163506645?s=20
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন সারাদিন কাজ করতে করতে আমাদের শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। আর এই ব্যস্ততার ফাঁকে কখনো যদি বাইরে খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি করতে যাওয়া হয় তাহলে আবারো মনে হয় যেন শরীরে এনার্জি ফিরে পাচ্ছি। যাই হোক নাশিয়ার নানির বাড়ি যাওয়ার পথে আপনারা রেস্টুরেন্টে কিছু খাওয়া-দাওয়া করে নিলেন দেখি বেশ ভালো লাগলো। আর চেয়ারে বসে তো নাশিয়ার শুধুমাত্র মাথাটা দেখা যাচ্ছে। আসলে ছোটবেলায় এই প্যারা টা অনেক সহ্য করেছি কারণ চেয়ার গুলো এমন যে ছোট বাচ্চারা বসলে আর টেবিল থেকে খেতে পারবে না। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া শুধু নাশিয়ার মাথাটা দেখা যাচ্ছে। আসলে আমরা ব্যস্ততার মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করি।
আসলে এক জায়গায় থাকতে থাকতে কারো কাছে ভালো লাগে না। তাই নাসিয়ার ও তার নানু বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে জাগলো মাঝেমধ্যে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসলে বেশ ভালই লাগে। নাসিয়াকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। সবাই মিলে বেশ খাওয়া দাওয়া এবং ভালো একটা সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সবাই মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলাম এবং সময়টাও বেশ ভালো কাটালাম।
পরিবারের সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলে বেশ ভালোই লাগে।আপনারা বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপু।এক জায়গায় থাকতে থাকতে মানুষের এখঘেঁয়েমি চলে আসে,তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে যাওয়া ভালো।ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্যি এক জায়গায় থাকলে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই ঘুরাঘুরি করা জরুরী।