"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ || ভিন্ন পাঁচ রকমের ভাপা পিঠার রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ভিন্ন পাঁচ রকমের ভাপা পিঠা রেসিপি। এখানে আমি সবজি ভাপাপিঠা, নবাবী ভাপাপিঠা, খিরসা ভাপা পিঠা, ডিম ভাপা পিঠা ও গুড় নারিকেলের তৈরি ভাপা পিঠা তৈরি করেছি।
প্রথমেই জানাই আমাদের জন্য সময়োপযোগী একটা প্রতিযোগিতা দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের নুসুরা আপুকে। শীতকাল মানেই হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পিঠা। শীতকালে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। যদিও এখন কিন্তু মানুষ আলসেমি করে তৈরি করে খেতে চায় না। আর প্রতিযোগিতা টা আমার কাছে এই জন্যই বেশি ভালো লেগেছে, কারণ আমরা যদি এমনি না তৈরি করে খেতে চাই, তাহলে কিন্তু প্রতিযোগিতার জন্য অবশ্যই তৈরি করব হা হা 🥰। এক্ষেত্রে কিন্তু আমাদের আলসেমি কাজ করবে না। আর প্রতিযোগিতার কারণে আমরাও দারুন সব পিঠা খেতে পারবো।
এ পর্যন্ত দেখলাম সবাই খুব সুন্দর সুন্দর পিঠা রেসিপি গুলো উপস্থাপন করছে। তাই জন্য আমিও এবারে ভিন্ন ধরনের কিছু উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। আসলে নরমালি আমরা কিন্তু সবাই ভাপা পিঠা খেতে খুবই পছন্দ করি। শীতকাল মানেই হচ্ছে ভাপাপিঠার গরম গরম ধোয়া। তবে ভিন্নতা নিয়ে এসেছি এইজন্য তা হচ্ছে আমি আজকে ভিন্ন পাঁচ রকমের ভাপা পিঠা তৈরি করেছি। আসলে আমি চিন্তা করলাম নরমালেই গুড় নারিকেলের তৈরি ভাপা পিঠা কিন্তু আমরা সবাই খেয়ে থাকি। কিন্তু ভাপা পিঠা যে আরও ভিন্নভাবে তৈরি করা যায় এটা আমি নিজেই কখনো তৈরি করিনি। তাই ভাবলাম নতুন সবগুলো গ্রহণ করি আর আপনাদের মধ্যে নতুন নতুন সব রেসিপি শেয়ার করি।
এখানে আমি সবজি ভাপাপিঠা, নবাবী ভাপাপিঠা, খিরসা ভাপা পিঠা, ডিম ভাপা পিঠা ও গুড় নারিকেলের তৈরি ভাপা পিঠা তৈরি করেছি। এর মধ্যে সবজি ভাপা আমি বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে তৈরি করেছি। বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে তৈরি করাতে খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। তাছাড়া এটা কিন্তু ঝাল ছিল। এই রেসিপিটাকে ঝাল ভাপা পিঠাও বলতে পারি ।আরে নবাবী ভাপা পিঠা এজন্যই বলেছি কারণ এখানে কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস , গুড়, নারিকেল এই সব কিছু দিয়ে রাজকীয় স্বাদের নবাবী ভাপা পিঠা তৈরি করেছি। এসব কিছুর মিশ্রণে ভাপাটা খেতে খুবই মজা লেগেছিল।
আর খিরসা ভাপা পিঠা এখানে আমি দুধ, নারিকেল , গুড় দিয়ে প্রথমে খিরসা তৈরি করে নিয়েছিলাম। আর এই খিরসা ভেতরে দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করাতে খেতে খুবই দারুণ লেগেছে। ডিম ভাপা পিঠাটা আমার কাছে আরো একটু বেশি ভালো লেগেছিল। এই পিঠার স্বাদ ছিল অন্যরকম । কারণ এটা মিষ্টি ছাড়া আর ডিমের স্বাদে ছিল। এটাও কিন্তু খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। আর হচ্ছে আমাদের নরমালি তৈরি গুড় নারিকেলের তৈরি ভাপা পিঠা। এখানে আমি একটু সৌন্দর্য বানানোর জন্য হালকা দুই ফোঁটা ফুড কালার মিশিয়ে ছিলাম। এতে করে এই পিঠার সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সত্যি বলতে এত ধরনের পিঠাগুলো আমি নিজেও কখনো খাইনি। এইবার এত ধরনের পিঠাগুলো তৈরি করতে আর খেতে সত্যি ভালো লেগেছিল। যদিও তৈরি করতে একটু বেশি কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু সবাই মিলে খেতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা পরিবারের সবাই মিলে খেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
সিদ্ধ চাল | ১ কেজি |
চালের গুঁড়া | ৪ কাপ |
ডিম | ২ টা |
গুড় | ২ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
সবজি গাজর, বাঁধাকপি , বরবটি কুচি | ১ বাটি |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
কাঠবাদাম | কয়েকটি |
পেস্তাবাদাম | কয়েকটি |
নারিকেল | ২ কাপ |
কিসমিস | ২ টেবিল চামচ |
দুধ | ২ লিটার |
লবন | পরিমাণমতো |
সুজি | পরিমাণমতো |
চিনি | পরিমাণমতো |
অরেঞ্জ ফুড কালার | ১ টেবিল চামচ |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি সিদ্ধ চাল গুলোকে ভিজিয়ে রেখেছিলাম। এরপরে ভেজা সিদ্ধ চাল গুলো ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে গুড়া করে নিয়েছি।
ধাপ - ২ :
এরপরে আমি সবজিগুলোকে কেটে একদম কুচি কুচি করে নিয়েছে।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি একটা বাটিতে চালের গুড়া নিয়ে নিয়েছি। এরপর এখানে লবণ দিয়ে সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে হাত দিয়ে মেখে নিলাম। এরপর আমি একটা চালনি দিয়ে ছেঁকে নিয়েছি । এরপর আমি চালের গুঁড়ার সাথে সেদ্ধ চালের গুড়াটাও মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি চালের গুড়ার মিশ্রনের সাথে সবজিগুলো একটা একটা করে মিশিয়ে নিলাম। তার সাথে পেঁয়াজকুচি কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম। একটু হালকাভাবে মেখে নিতে হবে।
ধাপ - ৫ :
এরপর আমি একটা গোল ষ্টীলের বাটি নিয়ে নিয়েছি। বাটির মধ্যে মিশ্রণটাকে দিয়ে হাত দিয়ে চেপে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপর আমি একটা নেটের কাপড় নিয়ে নিলাম। কাপড়ের ভেতরে বাটিটা দিয়ে পেঁচিয়ে নিলাম। এরপরে চুলায় একটা ভাপা পিঠার পাতিল বসিয়ে দিলাম। পাতিল এর মধ্যে আমি পানি দিয়ে প্রথমেই গরম করে নিয়েছি। যখন ও ধোয়া ওঠা শুরু করেছে তখনই আমি এর উপরে পিঠাটা দিয়ে এরপর বাটিটা উঠিয়ে নিলাম। এরপরে ঢাকনা দিয়ে দেখে নিয়েছি।
ধাপ - ৭ :
কিছুক্ষণ এভাবে রেখে পিঠাটা উঠিয়ে নিলাম। এভাবে আমি আরো কয়েকটা পিঠা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৮ :
এরপর আমি একটি প্লেটের মধ্যে খেজুরের গুড় কুচি করে কেটে নিয়েছি। তার সাথে আমি কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম গুলোকে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। এরপর আমি কিসমিস এসব কিছু দিয়ে একটু মেখে নিলাম।
ধাপ - ৯ :
এগুলোর সাথে আমি নারিকেল কোড়ানো দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছে।
ধাপ - ১০ :
এরপর আমি একটা পাতিল এর মধ্যে দুধ চুলায় বসিয়ে দিলাম। দুধের মধ্যে চিনি দিয়ে একটু ঘন করে মালাই তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ - ১১ :
এরপরে আমি চালের গুড়াটাকে দুধের মালাই দিয়ে একটু একটু করে মেখে নিলাম । এরপরে চালনি দিয়ে চেলে নিলাম। এর সাথে কিছুটা নারিকেল কোড়ানো মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ - ১২ :
এরপরে আমি চালের গুড়ার মিশ্রণটা একটি বাটিতে কিছুটা পরিমাণে নিয়েছি। এর উপরে আমি বাদাম এবং গুড নারিকেলের মিশ্রণটাও নিয়ে নিলাম। এর উপরে আবারো কিছুটা পরিমাণে চালের গুড়ার মিশ্রণ দিয়ে বাটিটা ভরিয়ে নিলাম। এরপরে পিঠাটাকে ভাপে দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৩ :
এরপরে ভাপ থেকে উঠিয়ে নিলাম। এভাবে আমি আরো কিছুটা পিঠা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১৪ :
এরপর আমি দুধটাকে চুলায় বসিয়ে দিলাম। এরপরে এরমধ্যে চিনি এবং খেজুরের গুড় দিয়ে দিলাম। এরপরে এভাবে কিছুক্ষণ জ্বাল করতে থাকবো। এরপরে এর মধ্যে চার চামচ সুজি দিয়ে নাড়তে থাকবো। এভাবে আমি খিসরা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১৫ :
এরপরে আমি চালের গুঁড়ার সাথে দুধের মিশ্রণটা দিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১৬ :
এরপর আমি একটি বাটিতে চালের গুড়ার মিশ্রণ নিয়ে নিলাম। এর উপরে আমি খিরসা দিয়ে দিয়েছে। এর উপরে আমি চালের গুড়ার মিশ্রণ নিয়ে নিলাম। এর উপরে কাজু বাদাম ও কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৭ :
এরপর কাপড়ে পেঁচিয়ে ভাপে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি পিঠাটাকে তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১৮ :
এরপরে আমি চুলায় পানি দিয়ে গরম করতে দিলাম। এরপর এর ওপরে একটা গোল চামচ নিয়ে নিলাম। পানির উপরে দিয়ে এর মধ্যে একটা ডিম ভেঙে দিয়ে দিলাম। এভাবে আমি ডিমটাকে বাটির মধ্যে সিদ্ধ করে নিলাম। একই রকম ভাবে আমি দুটো ডিম করে নিয়েছি।
ধাপ - ১৯ :
এরপরে আমি চালের মিশ্রণ টা খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ২০ :
এরপরে একটি বাটিতে চলে মিশ্রণটা নিয়ে নিলাম। এরপর চালের মিশ্রণের উপরে একটা ডিম দিয়ে দিলাম। এর উপরে আবারো চালের মিশ্রন দিয়ে বাটিটাকে ভরিয়ে নিলাম।
ধাপ - ২১ :
এরপর আবারও একই রকম ভাবে ভাপে দিয়ে আমি পিঠাটাকে তৈরি করে নিলাম। এভাবে আমি দুইটা পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ - ২২ :
এরপর আমি সিদ্ধ চালের গুড়া এবং আতফ চালের গুড়া নিয়ে নিলাম। এরমধ্যে আমি সামান্য পরিমাণে লবণ এবং সামান্য পরিমাণে ফুড কালার ব্যবহার করেছি। এরপর একটু পানি দিয়ে মিশিয়ে চালের গুড়া মিশ্রণটা তৈরি করে নিব।
ধাপ - ২৩ :
তারপর একটি বাটিতে মিশ্রণটাকে নিয়ে নিলাম। এর ভিতরে গুড় এবং নারিকেল দিয়ে দিলাম। এর উপরে আবারো চালের গুড়া মিশ্রণ দিয়ে এর উপরে কিছুটা পরিমাণে নারিকেল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ - ২৪ :
এরপরে ভাপে দিয়ে আমি পিঠাটা তৈরি করে নিলাম। এভাবে আমি আরো কয়েকটা পিঠা তৈরি করেছি।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Samsung S23 ultra |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
আপু আপনি কয়েক ধরনের ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে সবগুলো পিঠাই অনেক মজা রয়েছে। বিশেষ করে সবজি পিঠাটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে আপু ভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে অনেক সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপু সময় নিয়ে সুস্বাদু পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনার কাছে সবজি পিঠাটা সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার বিভিন্ন ধরনের ভাপা পিঠা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এত রকমের ভাপা পিঠা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সময় নিয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাটা একেবারে আলাদা। হ্যাঁ আপু অনেক বেশি সময় নিয়ে রেসিপিটি তৈরি করেছি।
ভাপা পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটা পিঠা। সাধারণ যেটা হয় ঐটা খেয়েছি। কিন্তু আপনি যেগুলো তৈরি করেছেন এগুলোর মধ্যে কয়েক প্রকার বাদাম কিসমিস এগুলো ছিল। যেটা একেবারে আলাদা করেছে পিঠা টা কে। আপনার পাঁচ ধরনের ভাপা পিঠা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এবং এটা একেবারে ইউনিক ছিল। এককথায় চমৎকার ছিল এটা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে। এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।।
ইউনিক ভাবেই পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সুন্দর মন্তব্যটা পেয়ে ভালো লাগলো।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথমে আপনাকে জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভিন্ন পাঁচ রকমের ভাপা পিঠা তৈরির রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছি। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার তৈরি করা রেসিপি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ভাপা পিঠা তো খেয়েছি তবে এতগুলো ভেরিয়েশন যে রয়েছে এই পিঠার মধ্যে তা তো জানতাম না। প্রত্যেকটা পিঠা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। একটি পিঠার এতগুলো ভেরেশান দেখে খুব ভালো লাগলো।
আপু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অভিনন্দন আপনাকে। আপনি তো দেখছি পাঁচ রকমের ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে চলে এলেন।আপনার পিঠার রেসিপি দেখে তো আমার লোভ লেগে গেলো।দারুন মজার পিঠা তৈরি করলেন।খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বলা যায়। আপনি ধৈর্য ও পরিশ্রম করে চমৎকার রেসিপি শেয়ার করলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মজার মজার ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধৈর্য ও পরিশ্রম নিয়ে পুরোটা করার চেষ্টা করেছি।
ভাপা পিটা খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে এত রকম ভাবে পিঠা বানানো যায় তা আমার জানা ছিল না। আইডিয়াটা বেশ দারুন লেগেছে আমার কাছে। আশা করি সব ধরনের পিঠাগুলোই খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। যাই হোক প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ
যেহেতু আগে জানা ছিল না তাহলে এখন তো জেনে নিয়েছেন। শুভকামনা জানিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
https://x.com/TASonya5/status/1731909689569677726?s=20